নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮
প্রায় বছর তিনেক প্রেম করার করার পর গতকাল (২২ এপ্রিল) বিয়ে করেন মডেল ও অভিনেতা মিলিন্দ সোমান। কনে বিমান বালা অঙ্কিতা কনোয়ার। মিলিন্দের সঙ্গে আঙ্কিতার বিয়ে নিয়ে গণমাধ্যমগুলো ছিল সরগরম। কারণ পঞ্চাশোর্ধ মিলিন্দের স্ত্রী অঙ্কিতার বয়স মাত্র ২৫ বছর। বিয়ে নিয়ে ইন্টারনেটে ব্যাপক তাচ্ছিল্যের স্বীকার হয়েছেন মিলিন্দ। কিন্তু মিলিন্দের জীবনে অঙ্কিতাই প্রথম নারী নয়। অঙ্কিতার আগে ছয় ছয়জন নারী এসেছিলেন মিলিন্দের জীবনে। দেখা যাক কারা কারা এসেছিলেন ৫২ বছর বয়সী মিলিন্দের জীবনে-
মধু সাপ্রে
মিলিন্দের জীবনের প্রথম ভালোবাসা মধু সাপ্রে। দু’জন শুধু প্রেম করেন নি, এক ছাদের নিচে বসবাসও করেছিলেন কয়েক বছর। ১৯৯০ সালে এক জুতার বিজ্ঞাপনে নগ্ন হয়ে পোজ দিয়ে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন মধু সাপ্রে। পোশাকের বদলে সাপ জড়িয়ে মডেলিং করায় অশ্লীলতার দায়ে মামলাও করা হয় মধু-মিলিন্দের বিরুদ্ধে। এরপর ১৯৯৫ সালে তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে।
দীপান্বিতা শর্মা
মধু সাপ্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বেশ কিছুদিন একাই কাটিয়ে দেন প্রেমিক পুরুষ মিলিন্দ। এরপর ২০০২ থেকে তিনি মডেল দীপান্বিতা শর্মার সঙ্গে নতুন প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এই মডেলের সঙ্গে ‘জোড়ি ব্রেকার্স’ ও ‘১৬ ডিসেম্বর’ নামে দু’টি ছবিও করেন মিলিন্দ। তখন মিলিন্দ দীপান্বিতার সঙ্গে একই ছাদের নীচে থাকতেন বলে জানা যায়। এরপর মিলিন্দ বিপাশা বসুর উপর ঝুঁকে পড়লে দূরে সরে যায় দীপান্বিতা।
বিপাশা বসু
মিলিন্দ ও বিপাশা দু’জনেই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেলিং দিয়ে। মডেলিং করতে গিয়েই দু’জনের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে। মিলিন্দ বিপাশার প্রথম প্রেম হলেও বিপাশা ছিলেন মিলিন্দের জীবনের তৃতীয় নারী। মডেল দীপান্বিতার সঙ্গে সম্পর্কের পাট চুকে গেলেই বিপাশার সঙ্গে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়েন মিলিন্দ। কিন্তু প্রেম জমে ওঠার আগেই আলাদা হয়ে পড়েন দু’জন।
গুল পানাগ
শুধু প্রেম নয়, অভিনেত্রী গুল পানাগের সঙ্গে একই ছাদের নীচে থাকতেন বলেও এক সময় গুঞ্জন ওঠে। কিন্তু মিলিন্দ কখনোই সেসব স্বীকার করেননি। সবসময় বলতেন, ‘আমাদের সম্পর্ক শুধুই পেশাদারীত্বের সম্পর্ক।’
সাহানা গোস্বামী
সাহানার সঙ্গে মিলিন্দের বর্তমান স্ত্রী অঙ্কিতার বেশ মিলে যায়। সাহানা ছিলেন মিলিন্দের চেয়ে ২১ বছরের ছোট। সাহানার সঙ্গে প্রেমের কথা প্রথম প্রকাশ্যে স্বীকারও করেন মিলিন্দ। অঙ্কিতার মতই সাহানার সঙ্গে প্রায় চার বছর একই ছাদের নীচে থেকেছিলেন মিলিন্দ। তবে ‘রক অন’, ‘হনিমুন ট্রাভেলস’ ছবিতে অভিনয় করা সাহানাকে বিয়ে করেন নি মিলিন্দ।
মেলিন জাম্পানোই
ফরাসী অভিনেত্রী মেলিন জাম্পানোই মিলিন্দের প্রথম স্ত্রী বলে জানা যায়। ২০০৬ সালের দিকে ফ্রান্সের একটি রিসোর্টে দু`জন বিয়ে করেছিলেন। এরপর দু`জন দু`প্রান্তে থাকার কারণে ২০০৯ সালে বিচ্ছেদ ঘটান মিলিন্দ-মেলিন।
বাংলা ইনসাইডার/এইচপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।
নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।
এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।