নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮
গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’র সংগীত পরিচালনা করেছিলেন অর্ণব। এতে চন্দনা মজুমদার, মমতাজ, ফজলুর রহমান বাবু, কৃষ্ণকলি, চঞ্চল চৌধুরী ও অর্ণবের নিজের গাওয়া গানগুলো আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা লাভ করে। গত কয়েক বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবিও ধরা হয় ‘মনপুরা’কে। চলচ্চিত্রের গানে বেশ সফল অর্ণব। ‘আহা!‘ সিনেমায় গান গাওয়া, পরবর্তিতে ‘জাগো’ এবং ‘মনপুরা’ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনা দিয়েই তাঁর চলচ্চিত্রের গানে যাত্রা শুরু। মনপুরা ছিল ফোক ঘরানার আর জাগো সিনেমার গান অনেকটাই শহুরে। দুটি সিনেমার গানই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। মনপুরা সিনেমার ‘সোনার ময়না পাখি’ এবং আহা! সিনেমার ‘দূর ইশারায়’ গানটিতে তিনি কণ্ঠও দিয়েছেন।
এগুলো বাদেও ‘কলকাতা কলিং’,‘দীপ নেভার আগে’ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। ‘পদ্ম পাতার জল’, ‘আইসক্রীম ‘ ও ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার গানেও কন্ঠ দিয়েছেন। বোঝাই যায়, অর্ণবের চলচ্চিত্রের গানের ক্যারিয়ার। স্বল্প তবে প্রশংসিত। অ্যালবামের গানেও তাঁর জনপ্রিয়তা কোন অংশে কম ছিল না। অর্ণব এখন নিয়মিত নেই। গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে নেই কোন আলোচনা। গানের চেয়ে তিনি এখন আকাআঁকিতেই বেশি সময় দেন। তার গান বাংলা চলচ্চিত্রে নতুন মাত্রা দিত। তা বলাই যায়।
এক সময় দাপটের সঙ্গে সঙ্গীতাঙ্গনে বিচরণ করেছেন বালাম। প্রজাপতি, কমন জেন্ডার, হৃদয় ভাঙা ঢেউ, প্রিয়তমেষু, আমাদের ছোট সাহেব চলচ্চিত্রের গানে তাকে পাওয়া গেছে। সবগুলো গানই ছিল জনপ্রিয়। তবে তার দাপটটা মূলত ছিল অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে। স্বনামে ‘বালাম’ প্রথম অ্যালবাম থেকে বেশ কিছু সলো ও মিক্সড অ্যালবামে গান করেছেন। কিছুদিন আগে ফিরেছেন। টুকটাক গান করছেন। হারিয়ে যাওয়া নিয়ে তিনি বলেন,‘ ইচ্ছে করে বিরতী নেয়া হয়নি। আমার স্ত্রী অসুস্থ ছিল। কিছুদিন ভালো থাকে, আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে- এভাবেই দীর্ঘ সময় কেটেছে। দেশে-বিদেশে তাকে নিয়ে দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হয়েছে। এটা নিয়ে মানসিকভাবে আমি ক্লান্ত ছিলাম। যার ফলে গানে মনোনিবেশ করতে পারছিলাম না।গানটা তো ভাললাগা থেকে করতে হয়। তবে ফিরতে চেষ্টা করছি।’
নিজ বাড়িতে গৃহকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং সন্দেহভাজন হিসেবে স্বামীকে আটকের পর থেকেই অনেকটা আড়ালে চলে গেছেন জনপ্রিয় সঙ্গিত শিল্পী কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম। সেই থেকে তার নতুন কোন গানও বের হয়নি। তিনটি সলো অ্যালবাম ও ‘মনপুরা’ সিনেমার গান তাকে বেশ জনপ্রিয়তা দিয়েছিল।
দীর্ঘদিন গানে নেই আনুশেহও। সর্বশেষ গান গেয়েছিলেন ২০১৬ সালে। নির্ঝর চৌধুরির সুরে। তার অনুরোধে একটি মিক্সড অ্যালবামে গানটি গেয়েছিলেন। ঢাকায় আনুশেহ গড়ে তোলেন `যাত্রা বিরতি` নামের একটি মিউজিক্যাল রেস্তেরাঁ। সেটি চলছে এখনও। আরও কিছু ব্যবসা নিয়ে তিনি ব্যস্ত আছেন।
`আমার একটা নদী ছিল জানলো না তো কেউ`। তার নদীর খবর সব শ্রোতাই জেনেছিল। পথিক নবীর সেই নদীটি এখন আর নেই। নদীটি আকারে আরো বড় হয়ে সাগরে রুপ নিয়েছে। দীর্ঘ এগারো বছর তিনি মিডিয়া থেকে দূরে। এতগুলো বছরে তার কোন গান শ্রোতাদের কাছে পৌঁছায় নি। তাতে কি? তিনি নিরলসভাবে, নিমগ্ন চিত্তে সঙ্গীতের সাধনা করে গেছেন নাকি এতটা বছর। প্রায় তিন চারশো গান নিজে লিখেছেন, সুর করেছেন। নতুন কোন গান অডিওতে প্রকাশ না পেলেও টুকটাক আজকাল স্টেজ শো করতে দেখা যায়।
ফুয়াদ আল মুক্তাদির বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের আরেক উজ্জল নাম। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পরিবার নিয়ে আছেন ফুয়াদ। আগের মতো আর জৌলুস নেই তাঁর। একটা সময়ে অ্যালবামের পাশাপাশি সিনেমাতেও কাজ করেছেন। দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বিজ্ঞাপনের জিজ্ঞেলেও। কিছুদিন আগে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। তার শরীরে প্যাপিলারি কারসিনোমা ধরা পড়েছে। এটা থাইরয়েড ক্যানসার, সহজে নিরায়মযোগ্য। অস্ত্রোপাচার হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১০টার পরে হঠাৎ এফডিসিতে দেখা মিললো তার। এতো রাতে হঠাৎ এফডিসিতে কেন ফুয়াদ ? দেখা গেল এফডিসির ৯ নাম্বার ফ্লোরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ফ্লোরটিতে চলছে গান বাংলা টেলিভিশনের উইন্ড অব চেঞ্জ অনুষ্ঠানটির শুটিং। খোঁজ নিয়ে জানা গেল এবার উইন্ড অব চেঞ্জে গান গাইবেন ফুয়াদ। ফুয়াদ নিজেকে গানে নিয়মিত করার দৃড় প্রত্যয়ে আছেন।
নব্বই দশকে এদেশে ব্যান্ড সংগীতের ছিলো স্বর্ণযুগ। অসংখ্য ব্যান্ডদলের জন্ম হয়েছে নানা চেতনা ও ভাবনায়। প্রমিথিউস ছিলো তার মধ্যে অন্যতম। অসংখ্য গান গেয়ে শ্রোতানন্দিত হয়েছেন দলপ্রধান বিপ্লব। গানের সেই সুদিন আর নেই। একে একে ব্যান্ডদলগুলোও নিজেদের আড়ালে সরিয়ে নিয়েছে। সলো ক্যারিয়ার গড়েছিল বিপ্লব। কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার খাতায় তার নামটাও রাখা যায়। দীর্ঘদিন তার কোন নতুন গান নেই।
জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন আরেফিন রুমিও। হঠাৎ করে তিনিও হারিয়ে যান। কিছুদিন আগে তো ঘোষণাই দিয়ে দেন আর গান করবেন না। ব্যক্তিজীবনে ঘর-সংসার নিয়ে ব্যাপক বিতর্কিত এ সংগীত শিল্পী।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।
নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।
এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।