নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১০ পিএম, ১৪ জুন, ২০১৮
বিশ্বকাপ মানে শুধু ফুটবলই নয়, চলে যৌনতা ও মদের অবাধ বেচাকেনা। বিশ্বকাপের বাজারে যতটা না ফুটবল বিক্রি হয় তার থেকেও অধিক পরিমানে যৌনতা বিক্রি হয়। অনেকেই বলে থাকেন, রাশিয়া শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এক উদার জমিন। সেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ফুটবল প্রেমীদের পসরা থাকবে। হোটেল, এপার্টমেন্ট সব জায়গাতেই থাকবে বিদেশীদের ঢল।
ইতিমধ্যেই দেহপসারিণীরা সাজিয়েছেন পসরা। ব্যবসায়ীরা শুধু মাত্র রাশিয়াই নয়, বহি:বিশ্ব থেকেও ঘটিয়েছে মদের আমদানি। তারা এ সময়টাকে বাড়তি অর্থ উপার্জনের মওসুম হিসেবে দেখছেন। আর যেসব বিদেশী রাশিয়ায় গিয়েছেন বা যাচ্ছে, তাদের সবাই যে শুধু ফুটবল যুদ্ধ ভোগ করতে যাচ্ছেন তা কিন্তু নয়। তাদের অনেকের মধ্যে চাড়া দিয়ে উঠবে আদিম নেশা।
আচ্ছা, বিশ্বের সবথেকে সেক্সি যৌনকর্মীরা কোন দেশের বলতে পারবেন? না! সেভাবে বলাটা খুব কঠিন। কারণ সেইভাবে কোনও সমীক্ষাই হয়নি এই বিষয়ে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট যখন বলছেন তখন কি আর কোনও সমীক্ষার প্রয়োজন হয়! না হয় না। ভাবছেন তো বিষয়টি কি? রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, বিশ্বের সেরা যৌনকর্মীরা রাশিয়াতেই রয়েছেন! বিশ্বজুড়ে প্রচলিত রয়েছে, বর্তমান সময়ে ইউরোপের সেক্সের রাজধানী হচ্ছে রাশিয়া।
তবে বেশি লাভ একেবারে না করে, বেশি পর্যটকদের আগমন ঘটাতে জোর দিয়েছে রুশ প্রশাসন৷ এরই জন্য তারা প্রায় সমস্ত কিছুর দাম বেঁধে দিয়েছে৷ হোটেল যা পাওয়া যাচ্ছে তার বিজ্ঞাপনেও জোর দেওয়া হচ্ছে ‘কম দামে ভালো পরিষেবা’-র ওপর৷
শুধু হোটেলের ক্ষেত্রেই নয়, পানীয়ের ক্ষেত্রেও দর কম রাখার নির্দেশিকা রয়েছে৷ এবারের বিয়ারের এক বোতলের জন্য দর হচ্ছে ১.৬৩ পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকায় ১১২.৭৭। এদিকে এই বিয়ারের জন্য ব্রাজিল বিশ্বকাপে খসাতে হত ৫ পাউন্ড যা ৫০০ টাকার বেশি। এর চেয়েও বেশি দর ছিল ফ্রান্সে ইউরোর সময়৷ তখন প্রতি বিয়ারের দাম ছিল ৫.৩৬ ইউরো অর্থাৎ প্রায় ৬০০ টাকা।
তবে কমে মিললেই বিয়ারপ্রেমীরা যে দেদার পান করতে পারবেন, তা অবশ্য হবে না৷ কারণ স্টেডিয়াম বা শহরের নিরাপত্তার জন্য পানের মাপের ওপর নির্দেশিকা থাকবে৷ যাতে কোনও ভাবেই অশান্তি তৈরি না করতে পারেন ফুটবল হুলিগানরা৷
জেনে নেই রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের যৌনতা নিয়ে কিছু তথ্য:
যৌনসুখের যোগান দিতে অভিনব ‘ব্রথেল’: বিশ্বের প্রথম রোবোটিক ব্রথেল তৈরি হয়েছে মস্কোতে ৷ মানুষরূপী এই রোবটগুলিকে পুরোপুরি মানুষের ফিল দিয়েই তৈরি করা হয়েছে ৷ এই ব্রথেলের নাম ‘দ্য ডলস হোটেল ’৷ এই ব্রথেলে গেলে ঘন্টা প্রতি ২৪ থেকে ৪০ ডলার খরচ হবে।
কালোদের সঙ্গে যৌনতা নয়: ইতিমধ্যেই যৌনকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে রুশ সরকার এবং অংশগ্রহণকারী দলগুলো। বিদেশি কালো চামড়ার পুরুষের সঙ্গে কোনোভাবেই যৌনমিলন করা যাবে না! আইনসভায় এ আইন করা হয়। উল্লেখ করা হয়, রাশিয়ান নারীরা যখনই অন্য দেশের পুরুষকে বিয়ে করেন, তখনই সম্পর্ক খারাপভাবে শেষ হয়ে যায়। বেশির ভাগ সময়েই তাদের সন্তানেরা অন্য দেশে চলে যায়, আর রাশিয়ার মেয়েরা সন্তানদের ফিরে পায় না।
এর আগে ১৯৮০ সালে মস্কো গেমসের পর এমন বহু সন্তান জন্ম নিয়েছিল, যাদের `চিলড্রেন অব অলিম্পিক` বলে আখ্যা দেওয়া হত। ওইসব সন্তানেরা বিভিন্ন সময় বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছে।
জার্মান ফুটবলারদের যৌনতায় লাগাম: সাধারনত বিশ্বকাপে প্লেয়ারদের সঙ্গেই হোটেল রুমে জায়গা পান ফুটবলারদের স্ত্রী ও গার্লফ্রেন্ডরা৷ এমনকি মাঠে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য যৌনতা উপভোগের কথা বলে থাকেন প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড়রা। কিন্তু এই পথ থেকে সরে এসেছেন জার্মান কোচ। বিশ্বকাপ চলাকালীন ফুটবলারদের যৌনতা উপভোগ করায় ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন জোয়াকিম লো৷ এমনকি টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে গেলে কোনওভাবেই দেখা করা যাবে না পরিবারের সঙ্গে৷ পাশাপাশি ওজিল, সেন এবং মুলারদের মত প্লেয়ারদের সোশ্যাল মিডিয়াতেও সক্রিয় থাকা যাবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন কোচ।
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোমারিওর পরামর্শ: বিশ্বকাপে গোল পেতে ভরপুর এবং উদ্দাম যৌনতার দাওয়াইয়ের কথা বলেছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ৷ উত্তরসূরিদের সেক্স করেই গোলের ছন্দে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন রোমারিও৷ তিনি জানান, ফুটবল বিশ্বকাপের সঙ্গে অবাধ যৌনতার সম্পর্ক বেশ পুরনো৷ বিশ্বকাপে প্লেয়ারদের সঙ্গেই হোটেল রুমে জায়গা পান ফুটবলারদের স্ত্রী ও গার্লফ্রেন্ডরা৷ শুধু রোমারিও নন অনেকেই বড় ফুটবল ব্যক্তিত্বরা মনে করেন হোটেল রুমের উপভোগ্য যৌনতা মাঠে খেলোয়াড়দের ভালো পারফর্ম করতে সাহায্য করে৷
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি এইচআইভির সংক্রমণের দেশ রাশিয়া:
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি হারে এইচআইভি আক্রান্ত হচ্ছে এই দেশেই। আর অপ্রকৃত যৌন সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমেই তাদের অর্ধেকের বেশি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন