নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৭ পিএম, ২২ জুন, ২০১৮
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এবং লাভজনক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নাম ব্রাজিল। ল্যাটিন আমেরিকার সেরা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। তবে, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ইউরোপের চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি ব্রাজিল। তাইতো তাঁরা আমেরিকান সিনেমার ভেতর দিয়েই নিজেদের ইমেজ তৈরী করেছে। সেজন্য যখনই কোনো ব্রাজিলিয়ান ছবি বানাতে যান, প্রথমেই ভাবনা আসে আমেরিকার মতো চলচ্চিত্র বানাবেন, আর সেটা করাটাও জরুরি। কারণ, ব্রাজিলের দর্শকরাই চায় আমেরিকান মার্কা ব্রাজিলিয়ান সিনেমা। বরাবরই শুদ্ধ ব্রাজিলিয়ান সিনেমাগুলো সেখানকার বক্স অফিসে মার খেয়েছে।
কাজেই সহজেই বোঝা যাচ্ছে, কোন ধরনের ব্রাজিলিয়ান সিনেমা দর্শকপ্রিয় হচ্ছে। সেগুলোই হচ্ছে যেগুলো আমেরিকান প্রযুক্তি, চলচ্চিত্রের কৌশল ও শিল্পকে নকল করছে। দুটি আবশ্যিক উদাহরণ হলো, লিমা ব্যারেতোর সিনেমা O Cangaceiro (1953)এবং রবার্ট ফারিয়াসের O Assalto ao Trem Pagador (1953)।
সিনেমা যেহেতু সাংস্কৃতিক প্রক্রিয়ারই একটা উপাদান, তাই একে সমাজের ভাষাই হয়ে উঠতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোন সমাজের? ‘পরিবর্তনের’ ভেতর দিয়ে যাওয়া ব্রাজিল হলো: দেশজবাদী/অহংকারী,রোমান্টিক/বিলোপবাদী,বাস্তববাদী/অনুন্নত, বিপ্লবী/প্রথানুসারী,প্রতীকবাদী/প্রকৃতিবাদী,বস্তুনিষ্ঠ/ভাবালুতাপ্রবণ,নৈরাজ্যবাদী/স্বজাতিগ্রাসী, জাতীয় লোকবাদী/সংস্কারবাদী, ক্রান্তীয়/ কাঠামোবাদী ইতি ও আদি, প্রজাতান্ত্রিক/ দৃষ্টবাদমূলক।
সাধারণ দর্শক ব্রাজিলের সিনেমা নিয়ে গবেষণা করলে বুঝতে পারবেন, ব্রাজিলের ব্যবসাসফল সিনেমাগুলোর মূল প্রতিপাদ্য মাফিয়া আর অপরাধী চক্র নিয়ে। হলিউডের চেয়ে এই বিষয়বস্তু নিয়ে ব্রাজিলীয়ান সিনেমাগুলো আপনার কাছে বেশি ভালো লাগতে পারে। হলিউডে যেমন হৈ হৈ রৈ রৈ অ্যাকশন নিয়ে খুনোখুনি দেখানো হয় , সেটা তো দেখতে ভাল, কিন্তু বাস্তবে অসম্ভব। ব্রাজিলীয়ান মুভিগুলো সেক্ষেত্রে বাস্তবতার আলোকে বানানো।
আপনি যদি ব্রাজিল দলের সমর্থক হন। ব্রাজিলের কিছু সিনেমা সম্পর্কেও জানতে পারেন…
সিটি অব গড: ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি ব্রাজিলের সিনেমাকে নিয়ে গেছে অন্য রকম উচ্চতায়। বিশ্বের সর্বকালের সেরা সিনেমাগুলোর মধ্যে একটি। রিও ডি জেনেইরোর শহরতলীতে অল্প বয়েসীদের অপরাধ জগতে ক্রমাগত জড়িয়ে পড়া এবং সে থেকে বিস্তৃত বিরাট অপরাধীদের জাল গড়ে ওঠার ঘটনাকে কেন্দ্র করে । মুভিটির ট্যাগলাইন "Fight and you`ll never survive... Run and you`ll never escape’ সিনেমাটি নিয়ে অনেককিছু বলে দেয় । অনন্য নির্মাণশৈলীর এই সিনেমাটি অনেকেই জানেন না ব্রাজিলের।
সেন্ট্রাল স্টেশন: ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি মানবিক আবেদনের জন্য বিখ্যাত। বর্ষীয়ান মহিলা ডোরার পেশা রিও-ডি-জেনেইরোর সেন্ট্রাল স্টেশনে বসে নিরক্ষর মানুষকে চিঠি লেখে দেয়া। ৯ বছরের বালক জোশুয়ার মা ডোরার কাছে নিয়মিত চিঠি লিখিয়ে নেয়, জোশুয়ার হারিয়ে যাওয়া বাবাকে উদ্দেশ্য করে। একদিন ঘটে যায় মর্মান্তিক এক ঘটনা, বাস চাপায় মারা যান মা, জোসুয়া হয়ে গৃহহীন অনাথে । ডোরা জোসুয়াকে সঙ্গে করে নিয়ে যায় বেচে দেবার উদ্দেশ্যে। হঠাৎ করে নিজের মানবিকতা জেগে ওঠে। ভেতর থেকে বিবেক যেন তাকে চেপে ধরে । পরের গল্পগুলো শুধুই ছুঁয়ে যাবার..
ভ্যারেন লাইভস: উত্তর পূর্ব ব্রাজিলের বিস্তীর্ণ বিরান ভুমিতে খাদ্য, আশ্রয়ের খোঁজে দিনের পর দিন চষে বেড়ায় একটি দরিদ্র পরিবার। বাবা ফাবিয়ানো, মা সিনহা, তাঁদের দু`সন্তান আর একটি কুকুর ছানা । কিন্তু ভাগ্য বিধাতা তাদের কোনমতেই সহায় হতে চায় না। ফিল্মটির বৈশিষ্ট্য হল এর সাইক্লিক নেচার। সিনেমাটি শেষ হওয়ার পরে মনে হবে মুভিটি শেষ হয়ে যাবার পর আপনি যদি ভাবতে শুরু করেন। আরও কয়েকটি সিনেমার গল্প আপনার মাথায় এসে যাবে।
ব্লাক গুড হোয়াইট ডেভিল: ১৯৪০ দশকের প্রেক্ষাপটে নির্মাণ হয় ১৯৬৪ সালে। ভাড়াটে বন্দুকধারী বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা আন্তোনিওর জবানীতে মুভির প্রধান চরিত্র দরিদ্র খামার কর্মী ম্যানুয়েল । বঞ্চনার প্রতিবাদে নিজের মালিককে হত্যা করে স্ত্রী সহ অপরাধ জগতে নাম লেখায় ম্যানুয়েল। ধীরে ধীরে তারা হয়ে পড়ে আরও বৃহত্তর চক্রের অংশ।
বাস ১৭৪: ২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া ডকুমেন্টারি ফিল্ম । একদল ডাকাত ডাকাতি প্রচেষ্টার পর ঘটনাক্রমে জিম্মি করে ফেলে একটি বাসের যাত্রীদের। ৪ ঘন্টার জিম্মিদশার ঘটনাপ্রবাহে উঠে আসে রিও-ডি জেনেইরোর বস্তিবাসী জীবনের চিত্র , ব্রাজিলের বিচারব্যবস্থা।
শুধুমাত্র ক্লাসিক সিনেমা নয়। ব্রাজিলে প্রতিবছর দুই শতাধিক সিনেমা নির্মাণ হয়। বাহি:বিশ্বে ব্রাজিলের সিনেমার বেশ কদরও রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন