নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০১৮
২০০১ সালের পর থেকেই অশ্লীলতার স্বর্ণযুগ শুরু হলো। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। বাংলা সিনেমায় সবচেয়ে বেশি অশ্লীলতা হয়েছে এই সময়টায়। সেসময় প্রতিবছর ৮০-র বেশি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সারাদিন এফডিসিতে অখণ্ড নীরবতা, সন্ধ্যার পরেই আলো জ্বলে উঠত সবখানে। শুরু হত তুমুল ব্যস্ততা। ফ্লোরে ফ্লোরে চলছে শুটিং। মদ-গাঁজা-হেরোইনের গন্ধে মাতাল এফডিসি। সুশীল সমাজ ও নাগরিকরা টেলিভিশনমুখী হয়ে গেলেন এবং বিদেশি চলচ্চিত্রে বেশি আকৃষ্ট হলেন। বাংলা ছবির দর্শক থাকল মূলত গ্রাম আর মফস্বলে। সাধারণত অশিক্ষিত তরুণরা এবং যুবকরা।
বিএনপি সরকারের সময়কাল তখন শেষের দিক। অবহেলিত অবস্থায় সেন্সর বোর্ড। অবহেলিত এ সংস্থাটি শান্তিনগরের একতলা অতিপুরনো একটি বাড়িতে কাজ চালিয়ে আসছিল। প্রজেকশন হলটিও ছিল প্রায় ভঙ্গুর। বর্ষাকালে স্যাঁতস্যাঁতে ও জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় অফিস করত একজন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন সচিব এবং কয়েকজন প্রশাসনিক স্টাফ। ছিল না কোনো গাড়ি। কোন মহলেরই এ ব্যাপারে ছিল না কোন মাথাব্যাথা।
ড. মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আসেন। সে সময় সেন্সর বোর্ডের সদস্য ছিলেন চাষী নজরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, নায়ক উজ্জ্বল, সাংবাদিক রুহুল আমীন গাজী, আব্দুস শহীদ, আনোয়ার আল দীন, আনোয়ার কবির বুলু, অধ্যাপিকা অনামিকা হক লিলি এবং তথ্য, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি। এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও বোর্ডের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন প্রযোজক ও পরিচালক সমিতির সভাপতি।
সাধারন যে ব্যাপারটি ছিল। ছবি দেখার সময় অগ্রহণযোগ্য দৃশ্যগুলো কেটে দিয়ে আবার পেশ করার নির্দেশ দেয়া হত। পরিচালকরা তা মেনে নিতেন। কিন্তু হলে প্রদর্শনের সময় আবার সেই কাটপিস বা পৃথকভাবে নির্মিত কোনো কাটপিস জোড়া দিয়ে হলে প্রদর্শন করা হত।
মাহবুবুর রহমান বেশ শক্ত হাতে এসব অশ্লীলতা দমনে নামেন। কিন্তু কোনভাবেই প্রতিহত করা সম্ভব ছিল না স্থানীয় প্রশাসন ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের জন্য। সুস্থ ছবির নির্মাণ উৎসাহিত করার প্রচেষ্টায় চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তারা তখন অসহায় হয়ে ঘুরতেন। নায়িকাদের মধ্যে দুই বোন সুচন্দা, ববিতা ও কবরী নতুন সেন্সর বোর্ডের সভাপতির বাসায় গিয়ে অশ্লীলতা রোধের জন্য বলতে গেলে পায়ে ধরেন। প্রয়াত নায়ক মান্নাও বাসায় গিয়ে সমর্থন ও সহযোগিতার কথা ব্যক্ত করেন।
অশ্লীলতায় যখন ইন্ডাস্ট্রি ডুবে যাচ্ছিল। টনক নড়ে পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতির। পরিচালক সমিতি দু’জন পরিচালকের সদস্যপদ বাতিল করে। তারা হলেন রাজু চৌধুরী এবং শাহাদত হোসেন লিটন। তাদের দু’ জনের ছবিতে ভয়াবহ অশ্লীল দৃশ্য থাকার অভিযোগে সদস্যপদ বাতিল করা হয়। তাদের ছবি ‘অবৈধ অস্ত্র’ এবং ‘নিষিদ্ধ আখড়া’। এছাড়াও চারজন পরিচালককে শো’কজ নোটিস দেয়া হয়। তারা হলেন এমএ রহিম, সাজেদুর রহমান সাজু, আহমেদ ইলিয়াস ভূঁইয়া এবং আনোয়ার চৌধুরী জীবন।
সে সময় নায়িকা মুনমুন ও ময়ূরীর পরিচিতি বেড়ে যায়। ম্যাডাম ফুলি-খ্যাত নায়ক আলেকজেন্ডার বো খানিকটা নাম পরিবর্তন করে লিডে চলে আসলেন। রুবেলের উপস্থিতিও ছিল দেখার মতো। রিয়াজ-ফেরদৌসের উপস্থিতি খানিকটা কমে গেল। অমিত হাসান প্রধান সারিতে ঢুকে গেলেন। নায়িকাদের মধ্যে আসলেন পলি, মনিকা। ডন, মেহেদি, সোহেল, আসিফ ইকবাল, আবরাজ খান, শিখা, ঝর্ণা, শাপলা, শায়লা ও নাম জানা-অজানা অনেকে ছিলেন সক্রিয়।
অশ্লীল যুগের সিনেমা বানাতেন মূলত এনায়েত করিম, মোহাম্মদ হোসেন-(ফায়ার), শরিফুদ্দিন খান দিপু, স্বপন চৌধুরী, মালেক আফসারী (মরণ কামড়, মৃত্যুর মুখে), মোস্তাফিজুর রহমান বাবু (স্পর্ধা), শাহাদাৎ হোসেন লিটন (কঠিন শাস্তি) এবং তার বড় ভাই বাদশা ভাই (লণ্ডভণ্ড, জোগি ঠাকুর), বদিউল আলম খোকন (দানব), রাজু চৌধুরী, এম এ আউয়াল, পল্লী মালেক (ঢাকার কুতুব), এম বি মানিক (জাদরেল), শাহিন-সুমন (নষ্ট), উত্তম আকাশসহ আরো অনেকে।
এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি অশ্লীল ছবির জন্য দায়ী ১১ জনকে চিহ্নিত করে। তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হলে এই মর্মে মুচলেকা দেন যে, ‘ভুল ত্রুটি যা হয়েছে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আগামীতে কোনো ছবির অশ্লীল দৃশ্যে আর অভিনয় করব না। ভবিষ্যতে যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে শিল্পী সমিতি এবং সংশ্লিষ্টরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মাথা পেতে নেব।’ মুচলেকা দেয়া শিল্পীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন প্রিন্স, শায়লা, ড্যানিরাজ, জেসমিন, মমতাজ, নিরঞ্জন, লোপা, ডানা প্রমুখ। অশ্লীল ছবির প্রযোজক ও পরিচালক শরীফ উদ্দিন খান দিপুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এই দিপু তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের সংস্কৃতি অঙ্গনে তখন ব্যাপক প্রভাব বিস্তারকারী। তিনি ‘এনকাউন্টার’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেন। যা নিয়ে সেন্সর বোর্ডের সকলের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। দিপু সদস্যদেরকে অকথ্য গালাগাল করেন, ভয়ভীতি দেখান। প্রায় সবাই আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে নায়িকা ববিতা এবং শিল্পী খুরশীদ আজিম খান আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন।
দিপুকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়, তাকে এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তার ছবির সনদপত্র দেয়া হবে না এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দিপুর বিরুদ্ধে মামলা করায় দিপুকে আটক করার জন্য পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। তাকে দৌড়ের ওপর রাখে পুলিশ।
সে সময় অশ্লীলতার বিরুদ্ধ র্যাবের মরহুম কর্নেল গুলজার একের পর এক হল এবং অশ্লীল ছবি সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছিলেন কাটপিস নামক অশ্লীল সিনেমা ফুটেজ। তার অবদানও স্বীকার পেতে হবে।
বাংলা চলচ্চিত্রের ভয়ংকর অশ্লীলতার যুগ ২০০৬ সালে এসে কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। ফখরুদ্দীন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এর প্রকোপ কিছুটা স্তিমিত হয়। র্যাব হানা দেয় কাকরাইলের অফিসগুলোতে। জব্দ করল হাজার হাজার কাটপিস, অগণিত নীল ছবি, অসংখ্য অশ্লীল পোস্টার।
২০০৭ এর শুরু দিকে এফডিসি এবং ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন অঙ্গনে শুরু হল অশ্লীলতাবিরোধী আন্দোলন। আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন নায়ক মান্না। সাথে যোগ দিলেন কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী। আন্দোলনকে সমর্থন দিল গণমাধ্যম।
সে সময় ডিপজল শাকিবকে নিয়ে কিছু সিনেমা নির্মাণ করেন। সেসব ছবি ব্যবসাসফল হলে ইন্ডাস্ট্রি অশ্লীল যুগ থেকে একরকমের মুক্তি পায়।
অশ্লীলতার প্রবল দাপটে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতির শিকার হয়েছিল চলচ্চিত্রাঙ্গন তা হচ্ছে মেধাবী পরিচালকদের নির্বাসনে চলে যাওয়া। যার জন্য আজও ধুকছে ইন্ডাষ্ট্রি। এজে মিন্টু সর্বশেষ পরিচালনা করেছিলেন ‘বাপের টাকা’ ছবিটি। সুনির্মিত হওয়ার পরও দেশের সর্বকালের অন্যতম সফল এই পরিচালকের ছবিটি অশ্লীলতার কারণে চলেনি। ১৯ বছর ধরে তিনি চলচ্চিত নির্মাণ ছেড়ে দিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পিয়া জান্নাতুল
মন্তব্য করুন
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা
পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির
গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে
অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ
আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।
গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়।
তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন
‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে
গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’
সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো
সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার
সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’
রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায়
কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা
আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো
খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম
দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম
হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’
‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য
বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য
রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে।
(৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
(৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে
পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
মন্তব্য করুন
ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাসসের
খবর অনুযায়ী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী
ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ।
ইরাকের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত
ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা
এএফপি’কে এই কথা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা
এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র
জানায়, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর
জন্য পরিচিত হয়েছিলেন।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে
ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার
জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেয়।
ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু
সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার
অভিযান শুরু করে।
টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক
বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন
করে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।
মন্তব্য করুন
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে ঢালিউড
সুপারস্টার শাকিব
খান দাম্পত্য
সম্পর্কের ইতি টেনেছেন অনেক আগেই। তবে এখনও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মিডিয়ায় শাকিবের সঙ্গে
তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন দুই নায়িকাই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অনেক খুঁটিনাটি
ফাঁস করেছেন বুবলী। যা নিয়ে বর্তমানে দর্শকমহলে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।
সাক্ষাৎকারে বুবলী বলেছিলেন, ‘আইনগতভাবে আমি এখনও শাকিব
খানের বৈধ স্ত্রী।’ আবার বলছেন, ‘আমি শাকিবের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের
সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।’
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বুবলীর সেসব কথার প্রেক্ষিতে
কথা বলেছেন অপু
বিশ্বাস।
বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু। হাসতে
হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত
হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’
অপু বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ।
প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের
ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে
নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে
তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
অপু আরো বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি,
আবেগে আপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না। এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির
খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি
তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
বুবলীকে ইঙ্গিত করে নাম প্রকাশ না করে অপু আরও বলেন, ‘এখন আমরা একটা জায়গায় চলে এসেছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখতে হবে। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি উনাকে সুস্থ থাকা দরকার।’
অপু বিশ্বাস শবনম বুবলী ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান
মন্তব্য করুন
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে বড়সড় ধামাকা আসতে চলেছে। মুক্তি পেতে
যাচ্ছে ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। মুক্তির চার মাস আগে থেকেই এই সিনেমা শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত প্রচার শুরু হয়নি সিনেমার। তা সত্ত্বেও, খবরের শিরোনাম দখল করে নিচ্ছে
‘পুষ্পা’। কেন জানেন?
শোনা যাচ্ছে, প্রচারের আগে, মুক্তির অনেক আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা
করে ফেলেছে এই সিনেমা। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এমন ঘটনা এটিই প্রথম। অনন্য নজিরটি গড়ল
আল্লু অর্জুন অভিনীত এই সিনেমা।
১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শক্তি সামন্ত পরিচালিত ‘অমর প্রেম’ সিনেমায়
শর্মিলা ঠাকুরের কান্না দেখে রাজেশ খান্না বলেছিলেন ‘পুষ্পা, আই হেট টিয়ার্স’। কাট
টু, ২০২১ সালে, ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমায় দক্ষিণের সুপারস্টার আল্লু অর্জুন বললেন,
‘পুষ্পা, ম্যায় ঝুঁকে গা নেহি সালা…’।
পুষ্পাকে কেন্দ্র করে দুই সংলাপে আকাশ-পাতালের তফাত। তফাত সোয়্যাগে।
এক পুষ্পা (‘অমর প্রেম’ সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত চরিত্রের নাম ছিল পুষ্পা) কান্নাকাটি
করে ভাসায়। ১৯৭২ সাল থেকে দর্শকের মনে বদ্ধমূলভাবে গেঁথে গিয়েছে– ফুলের মতো নাজুক পুষ্পারা
কেবল কাঁদতেই পারে। ফোঁস করতে পারেন না।
২০২১ সালে আল্লু অর্জুন প্রথম দেখালেন, পুষ্পাদের কাঁটাও আছে। ফোঁস
করতেও পারে। পুষ্পার নতুন সংজ্ঞা তৈরি করলেন এই বলে যে, সে মাথা নোয়াতে রাজি নয়, ‘পুষ্পা
ঝুঁকে গা নেহি!’ সোয়্যাগে পরিপূর্ণ ডায়ালগ ডেলিভারি, থুতনির নিচ দিয়ে আঙুলগুলো কায়দা
করে নিতে-নিতে পুষ্পা বলে ‘ঝুঁকে গা নেহি সালা’!
এই সিনেমায় অভিনয় করে প্রকৃত অর্থেই শোরগোল ফেলে দিলেন দক্ষিণ ভারতীয়
তারকা আল্লু অর্জুন। যিনি অতীতে কেবল নিজের ঘরের মাঠেই গোল দিয়েছেন। কখনও ‘দেসামুদুরু’,
কখনও ‘পারুগু’ তো কখনও ‘ইয়েভাদু’ সিনেমায়। রাতারাতি প্যান ইন্ডিয়া স্টারের তকমা পেয়ে
গেলেন আল্লু। হয়ে উঠলেন গোটা দেশের ঘরের ছেলে।
গ্ল্যামারের মোড়ক থেকে আগাগোড়া বেরিয়ে, রোদে পোড়া চেহারা নিয়ে ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়ালেন পুষ্পারূপী আল্লু অর্জুন। পাখির চোখ করলেন গোটা দেশের দর্শককে। ‘মহাভারত’ মহাকাব্যের বীরের মতো লক্ষ্যভ্রষ্ট ছিলেন না বলেই পুষ্পার সিক্যুয়েল নিয়ে এখন থেকেই এত হাঙ্গামা শুরু হয়ে গেছে।
ইতিহাস ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ বলিউড
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।