নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৫ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সিনেমা নির্মাণ করেন প্রযোজকরা, থাকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। ষাট ও সত্তর দশকে চলচ্চিত্রের প্রাণ ছিল গুলিস্তান। বড় বড় প্রযোজক ও পরিবেশকদের অফিস ছিল গুলিস্তানে। সবাই ওই এলাকাকে বলত ‘ছবিপাড়া’। ইকবাল ফিল্মস, চিত্রা ফিল্মস, আলমগীর পিকচার্স, আনন্দমেলা চলচ্চিত্র, এসএস প্রডাকশন, সনি কথাচিত্র- বিখ্যাত সেসব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এখন আর সিনেমা বানায় না। আশির দশকে এসে চিত্র পাল্টে। গুলিস্তান থেকে কাকরাইলে স্থানান্তরিত হয় ‘ছবিপাড়া’।
ভুঁইয়া ম্যানশন, ইস্টার্ন কমার্শিয়ালসহ আশপাশের কয়েকটি বিল্ডিংয়ে প্রযোজক-পরিবেশকদের অফিস বসে। চলচ্চিত্রের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠল কাকরাইল। এইতো সাত-আট বছর আগেও ছিল সনি কথাচিত্র, শুভ ইন্টারন্যাশনাল, সন্ধানী কথাচিত্র, আশা প্রডাকশনস, ফাইভস্টার ফিল্মস, নবীন কথাচিত্র, জননী কথাচিত্র, তিতাস কথাচিত্রের মতো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান একের পর এক ছবি নির্মাণ করেছে। কিন্তু তারা প্রায় সবাই ব্যবসা গুছিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বেশির ভাগ প্রযোজক অফিস পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছে। সেসব প্রযোজকদের কোন খোঁজ নেই।
চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রায় ৩০ বছর জড়িত তিতাস কথাচিত্রের প্রযোজক আবুল কালাম। ২০১৪ সালে সর্বশেষ বানিয়েছিলেন শাকিব খানকে নিয়ে ‘ভালবাসা এক্সপ্রেস’। কিন্তু তারপর আর সাহস পাননি সিনেমা নির্মাণের। কারণ কী? ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সর্বশেষ শাকিব খানকে নিয়ে সিনেমা বানিয়েছি। তার আগের বছর বানালাম বাপ্পিকে নিয়ে। লাভ তো দূরের কথা, পুঁজিই ফেরত পাইনি। সারা জীবনের সঞ্চয় শেষ করেছি। প্রতিষ্ঠিত প্রযোজক ছিলাম, ব্যাংক লোন পেতাম। অনেক হিট ছবি উপহার দিতাম। পুঁজি নেই বলে নতুন করে ছবি বানানোর জন্য যখন ব্যাংকের দ্বারস্থ হলাম, তখন লোনও পেলাম না। কিভাবে চলচ্চিত্রের সঙ্গে থাকব?’, বললেন কালাম।
কাকরাইলে গিয়ে খোঁজ নিলে আরও খারাপ অবস্থা চোখে পড়ে। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলো। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ‘মা কথাচিত্রের’ এম ডি বাদল। দুইযুগ সিনেমার সঙ্গে আছেন। তিনি বলেন,‘ চোখের সামনে রমরমা ব্যবসা দেখেছি। প্রযোজকরা ব্যাগ ভর্তি করে টাকা নিয়ে যেত। গাড়ি- বাড়ির মালিক হয়েছে এই সিনেমার বদৌলতে। কিন্তু যখনই ব্যবসায় একটু ধস নামতে শুরু করেছে, একদম কেটে পড়েছে। অন্য ব্যবসায় সে টাকা লগ্নি করেছেন। তারা যে সবাই বসে ভালো কিছু করবেন। তা কেউ আর করেনি। আমার কাছে মনে হয়েছে, প্রতিষ্ঠিত বেশির ভাগ প্রযোজক ছিল স্বার্থপর। নিজেদের স্বার্থ উসুল করে আমাদের মাঝপথে রেখে কেটে পড়েছে।’
খোঁজ নিয়ে তার কথার সত্যতাও মিলে যায়। কেউ গার্মেন্টস ব্যবসা কেউবা বড় মার্কেটে শো রুম দিয়েছেন। তাদের সামর্থ্য থাকলেও এখন আর ছবি বানাতে ইচ্ছুক নয়। ‘মুভি মোগল’ বলে পরিচিত আলমগীর পিকচার্সের জাহাঙ্গীর খান। কথা হলো তাঁর সঙ্গেও। একটা সময়ে তার প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বাধিক সিনেমা নির্মাণ হতো। এখন কেন সরে দাড়িয়েছেন? ‘২০০০ সালের পর থেকে একের পর এক রুচিহীন, মানহীন ছবি তৈরির অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু হলো। ফলে সম্মান নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছি’ বলেন জাহাঙ্গীর খান। তাঁর সঙ্গে একমত আনন্দমেলা চলচ্চিত্রের প্রযোজক আব্বাস উল্লাহও। ‘বেদের মেয়ে জোসনা’খ্যাত এই প্রযোজক বলেন,‘ কখনোই আমি সিনেমা থেকে সরে দাড়াতে চাইনি। মাত্র একজন নায়ক এখন। তাঁর শিডিউল মেলানোও মুশকিল। তা ছাড়া আমি সিনিয়র প্রযোজক। একটা সম্মান তো আছে। শিডিউলের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ানোটা আমার সাজে না। আর পরিচালকও বা কে আছে যাকে দিয়ে সিনেমা নির্মাণ করবো। এমন কেউ নেই যার উপর ভরসা করবো। বাধ্য হয়েই এখন নাটক প্রযোজনা করছি।’
তাছাড়া একটা সময়ে শাবানা, আলমগীর, সোহেল রানা, সুচন্দা, সুচরিতা, রাজ্জাকসহ অনেক অভিনয়শিল্পীও নিয়মিত সিনেমা প্রযোজনা করতেন। বর্তমান সময়ে তারা সিনেমাতেও নেই। প্রযোজনাতেও নেই। সবটা থেকেই নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে।
মোহাম্মদ আলীর মিনা ফিল্ম, মনির হোসেনের আশা প্রডাকশন, মাহমুদ হোসেন মুরাদের মেরিনা মুভিজ, মনোয়ারা ফিল্মস, নাভী ফিল্মস, আশীর্বাদ চলচ্চিত্র - গেল কয়েকবছর সচেষ্ট থাকলেও অনেকটা নিষ্প্রভ এখন। বর্তমান সময়ে প্রভাবশালী চারটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। চারটিই নতুন। এর মধ্যে রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া, হার্টবিট, টাইগার মিডিয়া ও শাপলা মিডিয়া। এর মধ্যে হার্টবিট, যার বয়স মাত্র ১০ বছর। শাকিব খানকে নিয়েই বেশিরভাগ সিনেমা নির্মাণ করেছে এ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। জাজ মাল্টিমিডিয়া যাত্রা শুরু করেছে ২০১১ সালে। নতুন অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক তৈরীতে তারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তবে নানা কারণে তারা বিতর্কিতও হয়েছে। শাপলা মিডিয়ার হাত ধরে মাত্র তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সবগুলোই শাকিব খানের। টাইগার মিডিয়া বর্তমানে অনেকটা নিশ্চুপ। তারা শর্টফিল্ম নির্মাণ করছে।
এছাড়াও অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানেরই মাঝেমধ্যে নাম শোনা যায়। সেগুলোর একটি কিংবা দুইটি সিনেমার পর আর খোঁজ থাকে না। এখন আসলে ‘সিনেমা পাড়া’ বলতে জায়গাটা নেই বললেই চলে।
বাংলা চলচ্চিত্রের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। যাদের হাত ধরে শুরু থেকে জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে। সত্যিই চলচ্চিত্র খুব মিস করে, নায়ক রাজ রাজ্জাকের ‘রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন’, আব্বাস উল্লাহ ও মতিউর রহমান পানু ‘আনন্দমেলা সিনেমা লিমেটেড ও ছায়াছন্দ চলচ্চিত্র’, এস এম তালুকদার মান্না ‘কৃতাঞ্জলি চলচ্চিত্র’, ওয়াহিদ সাদিক ও শাবানা ‘এস এস প্রোডাকশন’, মোহাম্মদ হোসেনের ‘সনি কথাচিত্র’, নায়ক জসিমের ‘জ্যাম্বস ইন্টারন্যাশনাল লি’, মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ‘অমি বনি কথাচিত্র’ শফি বিক্রমপুরীর ‘যমুনা ষ্টার লি’, কৌহিনূর আক্তার সুচন্দা ‘সুচন্দা চলচ্চিত্র’, আরিফা জামান মৌসুমী ‘কপোতাক্ষ চলচ্চিত্র’, মোশাররফ হোসেন ‘মর্ডান ফিল্ম ইন্টারন্যাশনাল’, জোহরা গাজী ‘দেশ চিত্রকথা’, চিত্রা জহির ‘চিত্রা ফিল্মস’ নুরুল ইসলাম পারভেজ ‘এটলাস মুভিজ’ কামাল ইউসুফ ‘লীনা ফিল্মস’, এ জে মিন্টু ‘সানফ্লাওয়ার মুভিজ’ গায়ত্রী বিশ্বাস ‘গীতি চিত্রকথা’ মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার ‘পারভেজ ফিল্ম’ রমলা সাহা ‘স্বরলিপি কথাচিত্র’, প্রদীপ দে ‘ঋদ্ধি টকিজ’, শফিকুল ইসলাম ‘বন্ধন বানীচিত্র’ , রোজী আফসারী ‘রোজী ফিল্মস’, খোশনূর আলমগীর ‘আঁখি ফিল্মস’ , রোজিনা ও ফজলুর রশীদ ঢালী ‘রোজিনা ফিল্মস’, হেলেনা মুস্তাফিজ সুচরিতা ‘মৌসুমী কথাচিত্র’, শহিদুল ইসলাম খোকনের ‘জেকে. মুভিজ’ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পিয়া জান্নাতুল
মন্তব্য করুন
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা
পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির
গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে
অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ
আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।
গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়।
তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন
‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে
গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’
সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো
সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার
সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’
রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায়
কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা
আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো
খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম
দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম
হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’
‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য
বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য
রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে।
(৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
(৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে
পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
মন্তব্য করুন
ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাসসের
খবর অনুযায়ী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী
ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ।
ইরাকের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত
ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা
এএফপি’কে এই কথা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা
এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র
জানায়, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর
জন্য পরিচিত হয়েছিলেন।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে
ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার
জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেয়।
ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু
সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার
অভিযান শুরু করে।
টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক
বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন
করে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।
মন্তব্য করুন
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে ঢালিউড
সুপারস্টার শাকিব
খান দাম্পত্য
সম্পর্কের ইতি টেনেছেন অনেক আগেই। তবে এখনও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মিডিয়ায় শাকিবের সঙ্গে
তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন দুই নায়িকাই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অনেক খুঁটিনাটি
ফাঁস করেছেন বুবলী। যা নিয়ে বর্তমানে দর্শকমহলে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।
সাক্ষাৎকারে বুবলী বলেছিলেন, ‘আইনগতভাবে আমি এখনও শাকিব
খানের বৈধ স্ত্রী।’ আবার বলছেন, ‘আমি শাকিবের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের
সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।’
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বুবলীর সেসব কথার প্রেক্ষিতে
কথা বলেছেন অপু
বিশ্বাস।
বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু। হাসতে
হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত
হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’
অপু বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ।
প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের
ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে
নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে
তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
অপু আরো বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি,
আবেগে আপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না। এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির
খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি
তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
বুবলীকে ইঙ্গিত করে নাম প্রকাশ না করে অপু আরও বলেন, ‘এখন আমরা একটা জায়গায় চলে এসেছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখতে হবে। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি উনাকে সুস্থ থাকা দরকার।’
অপু বিশ্বাস শবনম বুবলী ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান
মন্তব্য করুন
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে বড়সড় ধামাকা আসতে চলেছে। মুক্তি পেতে
যাচ্ছে ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। মুক্তির চার মাস আগে থেকেই এই সিনেমা শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত প্রচার শুরু হয়নি সিনেমার। তা সত্ত্বেও, খবরের শিরোনাম দখল করে নিচ্ছে
‘পুষ্পা’। কেন জানেন?
শোনা যাচ্ছে, প্রচারের আগে, মুক্তির অনেক আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা
করে ফেলেছে এই সিনেমা। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এমন ঘটনা এটিই প্রথম। অনন্য নজিরটি গড়ল
আল্লু অর্জুন অভিনীত এই সিনেমা।
১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শক্তি সামন্ত পরিচালিত ‘অমর প্রেম’ সিনেমায়
শর্মিলা ঠাকুরের কান্না দেখে রাজেশ খান্না বলেছিলেন ‘পুষ্পা, আই হেট টিয়ার্স’। কাট
টু, ২০২১ সালে, ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমায় দক্ষিণের সুপারস্টার আল্লু অর্জুন বললেন,
‘পুষ্পা, ম্যায় ঝুঁকে গা নেহি সালা…’।
পুষ্পাকে কেন্দ্র করে দুই সংলাপে আকাশ-পাতালের তফাত। তফাত সোয়্যাগে।
এক পুষ্পা (‘অমর প্রেম’ সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত চরিত্রের নাম ছিল পুষ্পা) কান্নাকাটি
করে ভাসায়। ১৯৭২ সাল থেকে দর্শকের মনে বদ্ধমূলভাবে গেঁথে গিয়েছে– ফুলের মতো নাজুক পুষ্পারা
কেবল কাঁদতেই পারে। ফোঁস করতে পারেন না।
২০২১ সালে আল্লু অর্জুন প্রথম দেখালেন, পুষ্পাদের কাঁটাও আছে। ফোঁস
করতেও পারে। পুষ্পার নতুন সংজ্ঞা তৈরি করলেন এই বলে যে, সে মাথা নোয়াতে রাজি নয়, ‘পুষ্পা
ঝুঁকে গা নেহি!’ সোয়্যাগে পরিপূর্ণ ডায়ালগ ডেলিভারি, থুতনির নিচ দিয়ে আঙুলগুলো কায়দা
করে নিতে-নিতে পুষ্পা বলে ‘ঝুঁকে গা নেহি সালা’!
এই সিনেমায় অভিনয় করে প্রকৃত অর্থেই শোরগোল ফেলে দিলেন দক্ষিণ ভারতীয়
তারকা আল্লু অর্জুন। যিনি অতীতে কেবল নিজের ঘরের মাঠেই গোল দিয়েছেন। কখনও ‘দেসামুদুরু’,
কখনও ‘পারুগু’ তো কখনও ‘ইয়েভাদু’ সিনেমায়। রাতারাতি প্যান ইন্ডিয়া স্টারের তকমা পেয়ে
গেলেন আল্লু। হয়ে উঠলেন গোটা দেশের ঘরের ছেলে।
গ্ল্যামারের মোড়ক থেকে আগাগোড়া বেরিয়ে, রোদে পোড়া চেহারা নিয়ে ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়ালেন পুষ্পারূপী আল্লু অর্জুন। পাখির চোখ করলেন গোটা দেশের দর্শককে। ‘মহাভারত’ মহাকাব্যের বীরের মতো লক্ষ্যভ্রষ্ট ছিলেন না বলেই পুষ্পার সিক্যুয়েল নিয়ে এখন থেকেই এত হাঙ্গামা শুরু হয়ে গেছে।
ইতিহাস ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ বলিউড
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।