কালার ইনসাইড

সুন্দরী সংবাদ পাঠিকা, হতে পারেন নায়িকাও

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৪ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

নায়িকা বুবলি বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনে সংবাদ পাঠ করেছেন প্রায় তিন বছর। তারপর শাকিবের হাত ধরে সময়ের ব্যস্ত নায়িকা বনে গেলেন। এবার শাকিবের হাত ধরে ঢালিউডে এন্ট্রি নিচ্ছেন নবাগত রোদেলা জান্নাত। জানা যায়, রোদেলাও বেসরকারি চ্যানেল এটিএন বাংলার সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কাজ করেছেন। সংবাদ পাঠিকাদের এর আগেও অভিনয়ে দেখা গেছে। সামিয়া রহমান নাটকে অভিনয় করেছেন। ফারহানা নিশোও সংবাদ পাঠিকা হিসেবে বেশ পরিচিত মুখ, একটা সময় টুকটাক নাটকেও দেখা গেছে।

শাকিব জানান, ‘আরও তিন-চারজন নিউজ প্রেজেন্টার আছেন, যারা কাজ করতে চেয়েছেন। এটা খুব ভালো দিক। সিনেমায় শিক্ষিত মেয়েদের আসাটা জরুরি।’

শাকিব জানাননি কোন তিন-চারজন নিউজ প্রেজেন্টার সিনেমায় আসছেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টেলিভিশন চ্যানেলে এমন অনেক সুন্দরী সংবাদ পাঠিকা আছেন, যারা নায়িকা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। এমন কয়েকজনের পরিচিতিই দেয়া হল:

টুম্পা চৌধুরি:

পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব নিউট্রেশন ফুড সাইন্সে। আরটিভিতে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। সেখান থেকে চলে আসেন চ্যানেল ২৪- এ। বর্তমানে তিনি কর্মরত রয়েছেন যমুনা টেলিভিশনে। নিউজ প্রেজেন্টেশনের বাইরেও যমুনা টিভির ইনহাউস অনুষ্ঠান উপস্থাপনায়ও দেখা যায় তাঁকে। ২০১১ সালে নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। যমুনা টিভি সম্প্রচারে আসার আগেই তিনি চ্যানেলটিতে যোগদান করেন। সংবাদ পাঠের বাইরে তিনি পুরোপুরি একজন গৃহিনী। পুরো সময়টা পরিবারের সঙ্গেই কাটান। এর বাইরে আর কিছুই করছেন না। ঈদের কিছু অনুষ্ঠানেও তাকে দেখা যায়। তিনি রাজি থাকলে পরিচালকরা তাঁকে নিয়ে ভাবতে পারেন।

সামিয়া জাহান মুন:

তিনিও আছেন যমুনা টেলিভিশনে। যমুনার শোবিজ টুনাইট অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন। শোবিজের প্রতিদিনকার খবরা খবর নিয়ে তিনি টেলিভিশন পর্দায় হাজির হন। মডেলিংয়ের সঙ্গেও টুকটাক জড়িত আছেন বলে সিনেমায় অভিনয় করতে পারেন।

ইসলাম শায়লা:

যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংবাদ পাঠিকা হিসেবেও তার ভক্ত রয়েছে। তার কথা বলার স্টাইল অনেক মেয়েরাই অনুসরণ করেন। 

ফারজানা বিথী:

তরুণ প্রজন্মের কাছে পছন্দের উপস্থাপিকা ও সংবাদ পাঠিকা ফারজানা বিথী। কাজ করেছেন একুশে টিভি, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ঢাকা এফ এম এবং বর্তমানে নিউজ ২৪- এ কর্মরত আছেন। তিনি বলেন,‘  সিনেমা নিয়ে ভাবছি না। আম্মুর খুব শখ ছিলো আমি মিডিয়াতে কাজ করি। সেই জন্য, নাচ, গান, অভিনয়, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন এসবকিছুই শেখা হয়েছে। আম্মু তখন জোর করতেন, তাই বাধ্য হয়ে শেখা। কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্যরা বলতো- আমি সবকিছুতেই পারদর্শী, আমি পারবো।’

অভিনয় করতে ইচ্ছুক কিনা। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,‘ যদি আমার ব্যাটে-বলে মিলে যায়, খুব ভালো একটা গল্প বা আমার সঙ্গে যেটা যাবে এমন টাইপের গল্প পেলে অবশ্যই আমি অভিনয় করবো। কারণ আমার মতো একজন উপস্থাপিকার-উপস্থাপনার থেকে অভিনয় টাই বেশি করতে হয়। বিশেষ করে যখন আমার মন ভালো না, আমার পরিবারের কেও অসুস্থ বা আমার নিজের শরীরটা খারাপ তার ১ঘন্টা পরে আমার একটা লাইভ প্রোগ্রাম, সেখানে গিয়ে কিন্তু আমি দর্শকদের বলতে পারিনা যে আমার মন ভালো নেই বা ‘আমি অসুস্থ’ আপনারা কিছু মনে করবেন না। হাজারো বাঁধা থাকলেও অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় হাসি মুখেই কিন্তু সেটা শেষ করতে হয়। আমার জীবনে এটাও একটা অভিনয়। তাই আমি মনে করি- একজন উপস্থাপিকার অভিনয় করার গুণ অবশ্যই থাকা দরকার। তা না হলে সে ভালভাবে উপস্থাপনাই করতে পারবে না ‘

সাবরিনা সাকা মীম:
বাংলাদেশ টেলিভিশনের নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছিলেন সাবরিনা সাকা মীম। নাচ, গান, অভিনয়- তিনটিতেই সেরা। পরে টিভি নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে প্রায়ই দেখা যেত তাকে। ২০১২ সালে বিয়ে করেন তিনি। এরপর অল্প কিছু নাটকে অভিনয় করলেও পরে আর সেদিকে পা বাড়াননি তিনি। একসময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী এখন টিভি চ্যানেলে পুরোদস্তুর সংবাদ উপস্থাপিকা। করছেন দুটি টক শো অনুষ্ঠান। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, সিনেমায় অফার পেলে কি অভিনয় করবেন? ‘এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো সিনেমা হচ্ছে। মাঝে মাঝে লোভ হয় অভিনয় করি। কিন্তু এখন তো নাটকই করছি না, সিনেমা কীভাবে করব। তবে নাটকে অভিনয়ের ইচ্ছা আছে। সময় পেলে বছরে দু-একটা কাজ করতে পারি।

মৌসুমী আক্তার লোপা:
‘সময় টিভি’ থেকে বর্তমানে যমুনা টিভিতে আছেন লোপা। সেখানে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

শারমিন সাজ্জাদ:
অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদের স্ত্রী। বতর্মানে চ্যানেল আইয়ের সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অল্প সময়ে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। সুন্দরী হিসেবে তিনি নাম লেখাতে পারেন অভিনয়েও। স্বামীর পথে পা বাড়াতে পারেন।



নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রেজেন্টার তাসনিম এ জান্নাত অর্থী, যোজনা তুন নিসাও সুন্দরী সংবাদ পাঠিকা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।



এছাড়াও শাহনাজ শাহরিয়ার (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন), ফাবলিহা বুশরা (চ্যানেল আই), জুলিয়া আলম (৭১ টেলিভিশন), সাদিয়া বিনতে ওমর (চ্যানেল আই)-নিয়ে পরিচালকরা ভাবতে পারেন বলে অনেকে মনে করেন। 



নিউজ প্রেজেন্টারের প্রথমে ক্যামেরার সামনে ফ্রেন্ডলি হওয়া প্রয়োজন। সংবাদ যে পড়বে তার অবশ্যই স্বকীয়তা থাকতে হবে। কোনো ঘটনার খবর এমনভাবে বলতে হবে যেন বাসায় ড্রয়িংরুমে কথা বলছি। দর্শকদের সঙ্গে গল্প করছি। নিউজটা নিজের মতো করেই সুন্দর উচ্চারণে সাবলীলভাবে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করতে পারার দক্ষতা থাকা উচিত। আর এসব দক্ষতা একজন সংবাদ পাঠিকার মধ্যে পরিপূর্ণ থাকলে তিনি অভিনেত্রীও হতে পারেন।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কপিল শর্মার এক পর্বে ৫ কোটি!

প্রকাশ: ১০:৪০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। 

এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।

শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।

ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।


কপিল শর্মা   নেটফ্লিক্স  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৯:৩৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ।

গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।

এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি। বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে খুবই সামান্য টাকা পায়।

এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে কথা বলব’।

ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব। প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।

চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব দিতে হবে’।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’

এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র আরও এগিয়ে যাবে’।

বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায় না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।

শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।

এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড, গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।

উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়। তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।


‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’   গোলটেবিল বৈঠক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নেটিজেনদের মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন স্বস্তিকা

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে উপভোগ করেন এই অভিনেত্রী। ঠোঁটকাটা স্বভাব, সমাজের বাঁকা দৃষ্টিকে পাত্তা না দেওয়ায় বছর জুড়েই আলোচনায় থাকেন। আবার সমকালীন বিষয় নিয়ে কথা বলেও বহুবার সমালোচিত হয়েছেন স্বস্তিকা।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। গেল এপ্রিল থেকেই এখানে প্রচণ্ড দাবদাহ দেখা যাচ্ছে। শুধু এপার বাংলা নয়, ওপার বাংলার মানুষও হাঁসফাঁস করছেন তীব্র দাবদাহে।

পরিবেশ বাঁচাতে বিজ্ঞানীরা যেমন গাছ লাগানোর কথা বলছেন, তেমনি তারকাদের মধ্যেও অনেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কথা বলে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন স্বস্তিকা। তবে তিনিও কম যান না। রীতিমতো নেটিজেনদের এক হাত নিলেন তিনি।

বুধবার (১ মে) নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন স্বস্তিকা। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আরও গাছ কাটো/ আরও পুকুর বোজাও/ কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করবে মানুষের লাশ।’

আর এতেই খেপে গিয়ে স্বস্তিকার দিকে প্রশ্নের তীর ছোড়া শুরু করেন তারা। সুপ্রিয়া নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি থাকেন কোথায়? কয়টা গাছ লাগিয়েছেন এই পর্যন্ত? ফ্ল্যাট কেনা নেই তো একটাও?’

প্রশ্নগুলো দেখে থেমে থাকেননি স্বস্তিকাও। সুপ্রিয়ার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী লেখেন, ‘হ্যাঁ, গাছ লাগিয়েছি। আমাদের বাড়ির গলিতে যত গাছ আছে সবগুলো আমি এবং আমার বাবা দুজনে মিলে লাগিয়েছি। আর আমার ফ্ল্যাট কেনা নেই। আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি। আর মুম্বাইতে থাকি ভাড়া বাসায়।

জবাবে অভিনেত্রী আরও লেখেন, ফেসবুকে এসে কাউকে আক্রমণ করার আগে চেক করে নিবেন আমার কয়টা ফ্ল্যাট আছে। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দায় আমাদের সবার। আমাকে তীর ছুড়ে প্রকৃতির কোনো সুরাহা হবে না।

অন্যদিকে সায়ন্তন ঘোষ লেখেন, ‘দিদি ভাই কংক্রিটের ফ্ল্যাটে বসে এবং এসিতে বসে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।’ এই মন্তব্যেরও কড়া জবাব দিয়েছেন স্বস্তিকা। তিনি লেখেন, ফুটপাতে বসে স্ট্যাটাস দিতে পারব না দাদা। আমি গত ৪ দিন ধরে রাস্তায় কাজ করছি। পোর্টবেল এসি তো পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলে না হয় সঙ্গে নিয়ে আসতাম।

আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছেন।’ এর জবাবে স্বস্তিকা লেখেন, ‘কী করে জানলেন আমি এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছি?’

এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে স্বস্তিকার কমেন্টসবক্সে। আর কেউ কেউ তো আবার স্বস্তিকার বাসার ছবিই চেয়ে বসেছেন। তারা আসলে দেখতে চান স্বস্তিকা এসি ঘরে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন কিনা। মূলত এসব বিষয় নিয়ে জোর চর্চা চলছে নেটদুনিয়ায়।

স্বস্তিকা মুখার্জি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়গুণে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। তবে জানেন কি? অভিনেত্রী নয় সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা।

জানা গেছে, সবসময়ই একজন সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন অনুশকা। কিন্তু ভাগ্যের টানে হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করার বদলে নিজেই একজন পেজ থ্রির নিউজে থাকেন। আর অভিনেত্রীর এই সফরটাই তখন শুরু হয় যখন ফ্যাশন ডিজাইনার ভেন্ট্রেল রড্রিকস তাকে একটি শপিং মলে দেখেন।

আনুশকাকে সেখানে দেখার পর একটি ফ্যাশন শোতে হাঁটার জন্য বলেন ভেন্ট্রেল রড্রিকস। সেই থেকে শুরু হলো আনুশকার শোবিজে পথ চলা। প্রথমে মডেলিং, পরে সেখান থেকে বলিউড যাত্রা।

২০০৮ সালে ‘রাব নে বানা দি জোড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় আনুশকার। আর ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাতেই শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আনুশকা। তাদের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। মেয়ে ভামিকা এবং ছেলে অকায়। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   আনুশকা শর্মা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সালমান খানের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্তদের রহস্যময় মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায় বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।

সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।

গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।


সালমান খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন