নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক, সিনেমার চিত্রনাট্য-শিল্প-সাহিত্যের সব শাখা চষে বেড়িয়েছেন সৈয়দ শামসুল হক। এ জন্য তাঁকে বলা হয় ‘সব্যসাচী’ লেখক। তাঁর লেখা গান ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস’ এর মতোই ২০১৬ সালের এই দিনে দম ফুরিয়ে যায় কিংবদন্তি এই লেখকের। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁর দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস।
সৈয়দ শামসুল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে। ‘ধরলা’ নদীর পাড়ে শৈশব কাটানো এ লেখক কুড়িগ্রাম শহরের রিভারভিউ স্কুলে পড়ালেখা করেছিলেন নবম শ্রেণি পর্যন্ত। পেশায় হোমিও চিকিৎসক বাবা চাইতেন ছেলে চিকিৎসাবিদ্যায় পড়বে। কিন্তু তিনি এ চাপ এড়াতে ১৯৫১ সালে ভারতের মুম্বাই পালিয়ে যান। সেখানে তিনি বছরখানেক একটি সিনেমা প্রডাকশন হাউসে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এর পর দেশে ফিরে ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজের মানবিক শাখায়। পরে ১৯৫৪ সালে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। তবে পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন তিনি। এরপর নিজের প্রহম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’ প্রকাশ করে ঢুকে পড়েন সাহিত্য জগতে।
সেই থেকে শুরু। ১৯৫৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সৈয়দ হক ৩০টির মতো চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য রচনা করেন। সৈয়দ হকের লেখা ‘মাটির পাহাড়’, ‘তোমার আমার’, ‘রাজা এল শহরে’, ‘শীত বিকেল’, ‘সুতরাং’, ‘কাগজের নৌকা’ ইত্যাদি চলচ্চিত্র দর্শকপ্রিয় হয়।
সৈয়দ হক চলচ্চিত্রের জন্য গানও রচনা করেন। ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘তোরা দেখ দেখ দেখরে চাহিয়া’ ‘এমন মজা হয় না, গায়ে সোনার গয়না’, ‘তুমি আসবে বলে কাছে ডাকবে বলে’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবনা তোমার তুলনা’ এর মতো তাঁর লেখা জনপ্রিয় সব গান বাংলা চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছে।
গান ও চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও থেমে থাকেনি সৈয়দ হকের কবিতা, উপন্যাস কিংবা ছোটগল্প রচনা। জীবদ্দশায় তিনি প্রায় ৪০ টি উপন্যাস, ২০টি কবিতার বই, ৯টি ছোট গল্প এবং বহু শিশু সাহিত্য, অনুবাদ ও কাব্যনাট্য লিখেছেন।
লেখালেখিতে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদক। এছাড়া বাংলা একাডেমি পদক, আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, পদাবলী কবিতা পুরস্কার, জাতীয় কবিতা পুরস্কার, আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা।
বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন