কালার ইনসাইড

বয়স ‘২৭’ তারকাদের মৃত্যুফাঁদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:১৩ পিএম, ০৭ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

অশুভ সংখ্যা যদি ‘১৩’ হয়, তবে তারকাদের ক্ষেত্রে তা দুইগুণ বেড়ে হয়েছে ‘২৭’। বয়সের এই অঙ্ক যেন তারকাদের জন্য এক মূর্তিমান আতঙ্ক। কাকতালীয় হলেও, পৃথিবীর ইতিহাসে এ পর্যন্ত বহু তারকা এই নির্দিষ্ট বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। অদ্ভুত এই রহস্যের একটি নামকরণও করা হয়েছে ‘ক্লাব ২৭’ নামে। দেখা যাক জনপ্রিয় কারা হয়েছেন এই ক্লাবের দুর্ভাগা সদস্য-

জাহিন আহমেদ

রহস্যময় ‘ক্লাব ২৭’ এর সর্বশেষ সদস্য বাংলাদেশের গিটার বাদক জাহিন আহমেদ। বাংলা হেভি মেটাল ব্যান্ড ‘মেকানিক্স’-এর গিটার বাদক ছিলেন জাহিন। তাঁর আরেক পরিচয় তিনি জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘মাইলস’ এর কিবোর্ড বাদক মানাম আহমেদের ছেলে। ২০১৭ সালের ২২ জুলাই মাত্র ২৭ বছর বয়সে আত্মহাত্যার পথ বেছে নেন জাহিন। তাঁর মৃত্যুর দুই দিন আগেই বিশ্ব বিখ্যাত ব্যান্ড ‘লিঙ্কিন পার্ক’-এর প্রধান গায়ক চেষ্টার বেনিংটন আত্মহত্যা করেন। জাহিন ছিলেন চেস্টারের ডাইহার্ড অনুরাগী। চেস্টারের মৃত্যুর কিছুদিন আগে আবার আত্মহত্যা করেন আরেক রক তারকা ক্রিস কর্নেল, যিনি ছিলেন আবার চেস্টারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু! এ যেন রহস্যের এক আশ্চর্য ঘেরাটোপ!

রবার্ট জনসন

রবার্ট জনসনকে বলা হয় ‘কিং অব ব্লুজ’। রকের ধারা ‘ব্লুজ’-এর সঙ্গে যুক্ত সকলেই কমবেশি জনসনের কাছে ঋণী। মার্কিন এই সংগীতজ্ঞ ১৯৩৮ সালের ১৬ জুলাই ২৭ বছর বয়সে মিসিসিপিতে মৃত্যুবরণ করেন। তবে তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। কারো মতে বিষ প্রয়োগ করে তাঁকে মারা হয়েছে। আবার কেউ মনে করেন নিউমনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। এখনো নাকি অনেক মার্কিনী রবার্ট জনসনের আত্মাকে মিসিসিপির রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখেন।

অ্যান্টন ইয়েচিন

স্টিভেন স্পিলবার্গের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘টেকেন’ দিয়ে অভিনয়ে প্রবেশ করেন অ্যান্টন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। তবে তিনি ‘স্টার ট্রেক’ চলচ্চিত্র সিরিজে অভিনয় করে তারকা খ্যাতি অর্জন করেন। ২০১৬ সালের ১৯ জুন ভয়ংকর ২৭ বছরের কোটায় এক গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হন মার্কিন এই অভিনেতা।

ব্রায়ান জোন্স

তিনি ছিলেন বিখ্যাত ব্যান্ড রোলিং স্টোনসের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও গিটার বাদক। মাদকাসক্তির কারণে তাঁকে এক সময় দল থেকে বের করে দেওয়া হয়। ১৯৬৯ সালের ৩ জুলাই তাঁকে সুইমিং পুল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তখন ব্রায়ান জোন্সের বয়স ছিল ২৭!

জিম মরিসন

বিখ্যাত সাইকেডেলিক রক ব্যান্ড ‘দ্য ডোরস’এর প্রধান গায়ক ছিলেন জিম মরিসন। তবে ব্যান্ড ছাপিয়ে কবিসত্তা, দর্শন ও গায়কির জন্য তিনি ছিলেন অনন্য। ভীষণ পাগলাটে, মদ্যপ এই মার্কিন শিল্পীর মৃতদেহ ১৯৭১ সালের ৩ জুলাই প্যারিসের একটি পানশালার বাথটাব থেকে উদ্ধার করা হয়। মরিসনের বয়স তখন ২৭। তাঁর মৃত্যু নিয়ে আজও ধোঁয়াশা কাটেনি। কেউ বলছেন অতিমাত্রায় হেরোইন সেবন করে মরিসন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। আবার কেউ বলছেন তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। অদ্ভুতভাবে তাঁর বান্ধবী পামেলা করসনও ২৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

জিমি হেনড্রিক্স

গিটার শিল্পী ও রক প্রেমীদের কাছে এই কিংবদন্তির নাম অপরিচিত নয়। বিশ্বের সর্বকালের সেরা গিটারিস্টদের একজন বলা হয় তাঁকে। কৃষ্ণকায় এই শিল্পী ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় গিটার বাজিয়ে মার্কিনিদের বর্বরতার প্রতিবাদ করেছিলেন। ১৯৭০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সেই রহস্যময় বয়স সংখ্যা ২৭-এ মৃত্যু হয় জিমির। তাঁর মৃত্যু নিয়েও রয়েছে রহস্য। কেউ বলছেন অতিরিক্ত মাদক সেবনে আত্মহত্যা, আবার কেউ বলছেন তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

কার্ট কোবেইন

রক সংগীতের নতুন ধারা ‘গ্রাঞ্জ’ তৈরি হয়েছিল কার্ট কোবেইনের হাত ধরে। সেই সঙ্গে নতুন ধারার সংগীত নিয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচিত হতে থাকে তাঁর ব্যান্ড ‘নির্ভানা’। ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক টানাপড়েনে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন কোবেইন। স্ত্রীর সঙ্গেও সম্পর্ক ঠিকঠাক মতো চলছিল না। সব মিলিয়ে তিনি ১৯৯৪ সালের ৫ এপ্রিল মাত্র ২৭ বছর বয়সে আত্মহননের পথ বেছে নেন।

জেনিস জপলিন

তাঁকে বলা হতো রক অ্যান্ড রোলের ‘ফার্স্ট লেডি’। তিনিই প্রথম নারী শিল্পী, যিনি ব্লুজ ও সাইকেডেলিক রক সংগীতকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। তবে বিষাদগ্রস্ত জপলিন বেশীরভাগ সময়ই থাকতেন হেরোইনে বুঁদ হয়ে। জিমি হেনড্রিক্সের মৃত্যুর মাত্র দুই সপ্তাহ পর তিনিও ঢুকে যান ক্লাব ২৭-এ। 

অ্যামি ওয়াইনহাউজ

ব্রিটিশ এই সংগীতশিল্পী মাদক সেবনের জন্য বেশ কয়েকবার পুনর্বাসনে ছিলেন। ২০০৬ সালে তাঁর অ্যালবাম ‘ব্যাক অ্যান্ড ব্ল্যাক’ ২১ শতকে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ বিক্রিত অ্যালবামের রেকর্ড গড়ে। ২০১১ সালের ২৩ জুলাই মাদকই তাঁর মৃত্যু ডেকে আনে। এবারও সেই ২৭! অ্যামীর মৃত্যুর পর ‘ক্লাব ২৭’ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।

সূত্রঃ বিজনেস ইনসাইডার ও রোলিং স্টোন

বাংলা ইনসাইডার/এইচপি/জেডএ  

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নেটিজেনদের মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন স্বস্তিকা

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে উপভোগ করেন এই অভিনেত্রী। ঠোঁটকাটা স্বভাব, সমাজের বাঁকা দৃষ্টিকে পাত্তা না দেওয়ায় বছর জুড়েই আলোচনায় থাকেন। আবার সমকালীন বিষয় নিয়ে কথা বলেও বহুবার সমালোচিত হয়েছেন স্বস্তিকা।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। গেল এপ্রিল থেকেই এখানে প্রচণ্ড দাবদাহ দেখা যাচ্ছে। শুধু এপার বাংলা নয়, ওপার বাংলার মানুষও হাঁসফাঁস করছেন তীব্র দাবদাহে।

পরিবেশ বাঁচাতে বিজ্ঞানীরা যেমন গাছ লাগানোর কথা বলছেন, তেমনি তারকাদের মধ্যেও অনেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কথা বলে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন স্বস্তিকা। তবে তিনিও কম যান না। রীতিমতো নেটিজেনদের এক হাত নিলেন তিনি।

বুধবার (১ মে) নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন স্বস্তিকা। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আরও গাছ কাটো/ আরও পুকুর বোজাও/ কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করবে মানুষের লাশ।’

আর এতেই খেপে গিয়ে স্বস্তিকার দিকে প্রশ্নের তীর ছোড়া শুরু করেন তারা। সুপ্রিয়া নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি থাকেন কোথায়? কয়টা গাছ লাগিয়েছেন এই পর্যন্ত? ফ্ল্যাট কেনা নেই তো একটাও?’

প্রশ্নগুলো দেখে থেমে থাকেননি স্বস্তিকাও। সুপ্রিয়ার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী লেখেন, ‘হ্যাঁ, গাছ লাগিয়েছি। আমাদের বাড়ির গলিতে যত গাছ আছে সবগুলো আমি এবং আমার বাবা দুজনে মিলে লাগিয়েছি। আর আমার ফ্ল্যাট কেনা নেই। আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি। আর মুম্বাইতে থাকি ভাড়া বাসায়।

জবাবে অভিনেত্রী আরও লেখেন, ফেসবুকে এসে কাউকে আক্রমণ করার আগে চেক করে নিবেন আমার কয়টা ফ্ল্যাট আছে। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দায় আমাদের সবার। আমাকে তীর ছুড়ে প্রকৃতির কোনো সুরাহা হবে না।

অন্যদিকে সায়ন্তন ঘোষ লেখেন, ‘দিদি ভাই কংক্রিটের ফ্ল্যাটে বসে এবং এসিতে বসে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।’ এই মন্তব্যেরও কড়া জবাব দিয়েছেন স্বস্তিকা। তিনি লেখেন, ফুটপাতে বসে স্ট্যাটাস দিতে পারব না দাদা। আমি গত ৪ দিন ধরে রাস্তায় কাজ করছি। পোর্টবেল এসি তো পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলে না হয় সঙ্গে নিয়ে আসতাম।

আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছেন।’ এর জবাবে স্বস্তিকা লেখেন, ‘কী করে জানলেন আমি এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছি?’

এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে স্বস্তিকার কমেন্টসবক্সে। আর কেউ কেউ তো আবার স্বস্তিকার বাসার ছবিই চেয়ে বসেছেন। তারা আসলে দেখতে চান স্বস্তিকা এসি ঘরে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন কিনা। মূলত এসব বিষয় নিয়ে জোর চর্চা চলছে নেটদুনিয়ায়।

স্বস্তিকা মুখার্জি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়গুণে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। তবে জানেন কি? অভিনেত্রী নয় সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা।

জানা গেছে, সবসময়ই একজন সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন অনুশকা। কিন্তু ভাগ্যের টানে হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করার বদলে নিজেই একজন পেজ থ্রির নিউজে থাকেন। আর অভিনেত্রীর এই সফরটাই তখন শুরু হয় যখন ফ্যাশন ডিজাইনার ভেন্ট্রেল রড্রিকস তাকে একটি শপিং মলে দেখেন।

আনুশকাকে সেখানে দেখার পর একটি ফ্যাশন শোতে হাঁটার জন্য বলেন ভেন্ট্রেল রড্রিকস। সেই থেকে শুরু হলো আনুশকার শোবিজে পথ চলা। প্রথমে মডেলিং, পরে সেখান থেকে বলিউড যাত্রা।

২০০৮ সালে ‘রাব নে বানা দি জোড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় আনুশকার। আর ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাতেই শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আনুশকা। তাদের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। মেয়ে ভামিকা এবং ছেলে অকায়। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   আনুশকা শর্মা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সালমান খানের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্তদের রহস্যময় মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায় বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।

সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।

গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।


সালমান খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মধ্যরাতে ফেসবুকে তানজিন তিশার রহস্য ঘেরা পোস্ট

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেওয়া বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের। এর আগে পরীমণি, মাহিয়া মাহিকে মাঝরাতে এরকম করতে দেখা গেছে। এবার তালিকায় নাম উঠল তানজিন তিশার। দুপুর রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে তিশা নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি চাইলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প শেয়ার করতে পারি। সেই সাহস এবং প্রমাণ আমার আছে।’ 

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘মনে রেখো আমি তোমার খারাপ কাজের জন্য তোমাকে সবার সামনে রক্ষা করেছি। বিখ্যাত অভিনেতা হওয়ার আগে একজন ভালো ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন।’

তিশার এমন উত্তপ্ত পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেন নেটিজেনরা। কাকে এমন হুমকি দিলেন নায়িকা এমনটা যখন ভাবছিলেন অনেকে তখন দেখা যায় ওই পোস্টটি আর নেই। নিজের ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তুলকালাম বাঁধিয়েছিলেন তিশা। পরে মিটেও যায় তা। অনেকের ধারণা ফের হয়তো তাকে ঘিরেই রাত দুপুরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে রাতের আঁধারেই পোস্ট মুছে দিয়ে বিরত রইলেন অপরাধীর গল্প বলা থেকে। 

বলে রাখা ভালো, মাঝে এই প্রেমজনিত কারণেই ঢাকা মেডিকেলেও ভর্তি হতে হয়েছিল মধ্যরাতে। জানা গেছে, সেই যাত্রায় তিনি আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনও উঠে আসে সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহানের নাম।

তানজিন তিশা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০১৭ সালে মায়ের ইচ্ছায় অভিনয়ে নাম লেখান। তারপর অংসখ্য নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

গত ঈদুল ফিতরে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামের গানটি দ্বৈতভাবে কণ্ঠে তুলেন তাহসান খান ও ফারিণ। গানটি ‘ইত্যাদি’-তে প্রচারের পর গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায়। তারপর গানটি যেন লুফে নেন শ্রোতারা।

এখন পর্যন্ত গানটির মোট ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। দর্শক-শ্রোতারা গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে (মিউজিক) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে গানটি।

বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্রিয় দর্শক, ঈদ উপলক্ষে ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে প্রচারিত সবগুলো গানই আপনারা পছন্দ করেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। গানটির মধ্যে শিল্পী তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি আপনাদের বিচারে সেরা গান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে মিউজিক বিভাগে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে, যা এখনো অটুট আছে।”

গায়িকা হিসেবে ফারিণকে দর্শক এখন চিনলেও অনেক আগে থেকেই গানের চর্চা করেন তিনি। এ বিষয়ে ফারিণ বলেন, ‘আমি কিন্তু নায়িকার আগে গায়িকা। যশোর থেকে ঢাকায় এসেও গানের চর্চা করেছি। দিনের পর দিন গান শিখেছি। জাতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে গান করেছি। গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের কারণে গানের প্রতিভা এতদিন কেউ জানতে পারেনি।’

‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামে গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।

তাসনিয়া ফারিণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন