নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৩ পিএম, ০৭ অক্টোবর, ২০১৮
অশুভ সংখ্যা যদি ‘১৩’ হয়, তবে তারকাদের ক্ষেত্রে তা দুইগুণ বেড়ে হয়েছে ‘২৭’। বয়সের এই অঙ্ক যেন তারকাদের জন্য এক মূর্তিমান আতঙ্ক। কাকতালীয় হলেও, পৃথিবীর ইতিহাসে এ পর্যন্ত বহু তারকা এই নির্দিষ্ট বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। অদ্ভুত এই রহস্যের একটি নামকরণও করা হয়েছে ‘ক্লাব ২৭’ নামে। দেখা যাক জনপ্রিয় কারা হয়েছেন এই ক্লাবের দুর্ভাগা সদস্য-
জাহিন আহমেদ
রহস্যময় ‘ক্লাব ২৭’ এর সর্বশেষ সদস্য বাংলাদেশের গিটার বাদক জাহিন আহমেদ। বাংলা হেভি মেটাল ব্যান্ড ‘মেকানিক্স’-এর গিটার বাদক ছিলেন জাহিন। তাঁর আরেক পরিচয় তিনি জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘মাইলস’ এর কিবোর্ড বাদক মানাম আহমেদের ছেলে। ২০১৭ সালের ২২ জুলাই মাত্র ২৭ বছর বয়সে আত্মহাত্যার পথ বেছে নেন জাহিন। তাঁর মৃত্যুর দুই দিন আগেই বিশ্ব বিখ্যাত ব্যান্ড ‘লিঙ্কিন পার্ক’-এর প্রধান গায়ক চেষ্টার বেনিংটন আত্মহত্যা করেন। জাহিন ছিলেন চেস্টারের ডাইহার্ড অনুরাগী। চেস্টারের মৃত্যুর কিছুদিন আগে আবার আত্মহত্যা করেন আরেক রক তারকা ক্রিস কর্নেল, যিনি ছিলেন আবার চেস্টারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু! এ যেন রহস্যের এক আশ্চর্য ঘেরাটোপ!
রবার্ট জনসন
রবার্ট জনসনকে বলা হয় ‘কিং অব ব্লুজ’। রকের ধারা ‘ব্লুজ’-এর সঙ্গে যুক্ত সকলেই কমবেশি জনসনের কাছে ঋণী। মার্কিন এই সংগীতজ্ঞ ১৯৩৮ সালের ১৬ জুলাই ২৭ বছর বয়সে মিসিসিপিতে মৃত্যুবরণ করেন। তবে তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। কারো মতে বিষ প্রয়োগ করে তাঁকে মারা হয়েছে। আবার কেউ মনে করেন নিউমনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। এখনো নাকি অনেক মার্কিনী রবার্ট জনসনের আত্মাকে মিসিসিপির রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখেন।
অ্যান্টন ইয়েচিন
স্টিভেন স্পিলবার্গের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘টেকেন’ দিয়ে অভিনয়ে প্রবেশ করেন অ্যান্টন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। তবে তিনি ‘স্টার ট্রেক’ চলচ্চিত্র সিরিজে অভিনয় করে তারকা খ্যাতি অর্জন করেন। ২০১৬ সালের ১৯ জুন ভয়ংকর ২৭ বছরের কোটায় এক গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হন মার্কিন এই অভিনেতা।
ব্রায়ান জোন্স
তিনি ছিলেন বিখ্যাত ব্যান্ড রোলিং স্টোনসের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও গিটার বাদক। মাদকাসক্তির কারণে তাঁকে এক সময় দল থেকে বের করে দেওয়া হয়। ১৯৬৯ সালের ৩ জুলাই তাঁকে সুইমিং পুল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তখন ব্রায়ান জোন্সের বয়স ছিল ২৭!
জিম মরিসন
বিখ্যাত সাইকেডেলিক রক ব্যান্ড ‘দ্য ডোরস’এর প্রধান গায়ক ছিলেন জিম মরিসন। তবে ব্যান্ড ছাপিয়ে কবিসত্তা, দর্শন ও গায়কির জন্য তিনি ছিলেন অনন্য। ভীষণ পাগলাটে, মদ্যপ এই মার্কিন শিল্পীর মৃতদেহ ১৯৭১ সালের ৩ জুলাই প্যারিসের একটি পানশালার বাথটাব থেকে উদ্ধার করা হয়। মরিসনের বয়স তখন ২৭। তাঁর মৃত্যু নিয়ে আজও ধোঁয়াশা কাটেনি। কেউ বলছেন অতিমাত্রায় হেরোইন সেবন করে মরিসন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। আবার কেউ বলছেন তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। অদ্ভুতভাবে তাঁর বান্ধবী পামেলা করসনও ২৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
জিমি হেনড্রিক্স
গিটার শিল্পী ও রক প্রেমীদের কাছে এই কিংবদন্তির নাম অপরিচিত নয়। বিশ্বের সর্বকালের সেরা গিটারিস্টদের একজন বলা হয় তাঁকে। কৃষ্ণকায় এই শিল্পী ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় গিটার বাজিয়ে মার্কিনিদের বর্বরতার প্রতিবাদ করেছিলেন। ১৯৭০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সেই রহস্যময় বয়স সংখ্যা ২৭-এ মৃত্যু হয় জিমির। তাঁর মৃত্যু নিয়েও রয়েছে রহস্য। কেউ বলছেন অতিরিক্ত মাদক সেবনে আত্মহত্যা, আবার কেউ বলছেন তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কার্ট কোবেইন
রক সংগীতের নতুন ধারা ‘গ্রাঞ্জ’ তৈরি হয়েছিল কার্ট কোবেইনের হাত ধরে। সেই সঙ্গে নতুন ধারার সংগীত নিয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচিত হতে থাকে তাঁর ব্যান্ড ‘নির্ভানা’। ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক টানাপড়েনে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন কোবেইন। স্ত্রীর সঙ্গেও সম্পর্ক ঠিকঠাক মতো চলছিল না। সব মিলিয়ে তিনি ১৯৯৪ সালের ৫ এপ্রিল মাত্র ২৭ বছর বয়সে আত্মহননের পথ বেছে নেন।
জেনিস জপলিন
তাঁকে বলা হতো রক অ্যান্ড রোলের ‘ফার্স্ট লেডি’। তিনিই প্রথম নারী শিল্পী, যিনি ব্লুজ ও সাইকেডেলিক রক সংগীতকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। তবে বিষাদগ্রস্ত জপলিন বেশীরভাগ সময়ই থাকতেন হেরোইনে বুঁদ হয়ে। জিমি হেনড্রিক্সের মৃত্যুর মাত্র দুই সপ্তাহ পর তিনিও ঢুকে যান ক্লাব ২৭-এ।
অ্যামি ওয়াইনহাউজ
ব্রিটিশ এই সংগীতশিল্পী মাদক সেবনের জন্য বেশ কয়েকবার পুনর্বাসনে ছিলেন। ২০০৬ সালে তাঁর অ্যালবাম ‘ব্যাক অ্যান্ড ব্ল্যাক’ ২১ শতকে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ বিক্রিত অ্যালবামের রেকর্ড গড়ে। ২০১১ সালের ২৩ জুলাই মাদকই তাঁর মৃত্যু ডেকে আনে। এবারও সেই ২৭! অ্যামীর মৃত্যুর পর ‘ক্লাব ২৭’ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।
সূত্রঃ বিজনেস ইনসাইডার ও রোলিং স্টোন
বাংলা ইনসাইডার/এইচপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন