নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪২ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৮
চলচ্চিত্রে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আন্দোলন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে এই আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’। ঘটনার শিকার নারীরা হ্যাশট্যগের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছে অভিযুক্তের নাম। বলিউড ছাড়িয়ে এবার এই আন্দোলনের উত্তাপ লেগেছে টলিউডে। প্রথিতযশা পরিচালক সৃজিত মুখার্জির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন নারী।
‘মি টু’ তে কি পরিচালক সৃজিত মুখার্জির নাম কি যোগ হয়েছে?’ ফেসবুকে ঠিক এভাবেই সৃজিতের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করা শুরু করেন শর্মিষ্ঠা সাহা নামের এক নারী। এরপর ২০১৪ সালের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেন, এক বন্ধুর মাধ্যমে সৃজিতের সঙ্গে তাঁরা পরিচয়। ‘রাজকাহিনী’ ছবিতে সৃজিতের সঙ্গে তাঁর সহকারী পরিচালক হিসবে কাজ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন তিনি জার্মানিতে থাকতেন। হোয়াটসঅ্যাপে তাঁরা ছবির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলত। মাঝে মাঝে সৃজিত অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিমা করে কথার জবাব দিতেন। সৃজিত তাঁকে বারবার নিজের একাকীত্বের কথা বলতেন। ২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বরে দেশে ফিরে সৃজিতের সঙ্গে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। এর কিছুদিন আগেই সৃজিত তাঁকে ফোন করে জানতে চান যে তিনি ‘সিঙ্গেল’ কি-না। উত্তরে শর্মিষ্ঠা ‘না’ বলার পর থেকেই দূরত্ব বাড়ান পরিচালক। তিনি ভারতে ফেরার পর সৃজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পরিচালক স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, শ্যুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সুযোগ নেই।
এমন অভিযোগ সৃজিতের চোখ এড়ায়নি। এক ফেসবুক বার্তায় তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। কথা বলতে বলতে নাকি তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন। তবে কাজের সঙ্গে এই ঘটনার সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান সৃজিত।
সৃজিতের ব্যাখ্যা দেওয়া পোস্টেই তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মন্তব্য করেন র্যাচেল হোয়াইট নামে আরও এক মডেল। র্যাচেলের কথায়, ‘এ পর্যন্ত তিনবার সৃজিতের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আর প্রতিবারই তাঁর প্রশ্ন, “তুমি কি সিঙ্গেল?”
র্যাচেলের অভিযোগেরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন সৃজিত। তাঁর দাবী, র্যাচেলের অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়। তাহলে কেন তিনি পরবর্তীতে নৈশভোজের নিমন্ত্রন করেছিলেন?
এদিকে দুর্গাপূজাকে ঘিরে ১২ অক্টোবর শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে সৃজিত মুখার্জী পরিচালিত ছবি ‘এক যে ছিল রাজা’। ভাওয়াল সন্ন্যাসীর কাহিনী নিয়ে নির্মিত এই ছবিতে অভিনয় করছেন যিশু সেনগুপ্ত, জয়া আহসান, রুদ্রনীল ঘোষ, অঞ্জন দত্ত, অপর্ণা সেন, রাজনন্দিনী পাল ও অনির্বাণ ভট্রাচার্য্যসহ অনেকে।
বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।
নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।
এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।