কালার ইনসাইড

‘১৯৭৭ নয়, ২০১৮ সালের মিসির আলীর দেখা মিলবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

১৯ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘দেবী’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অনম বিশ্বাস। দুই বাংলার জনপ্রিয় তারকা জয়া এই ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি আছেন প্রযোজনায়। এটি তৈরি করেছে তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘সি-তে সিনেমা’। রানু চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়া। ছবিতে অভিনয়সহ প্রাসঙ্গিক নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন এ অভিনেত্রী।

বাংলা ইনসাইডার: যদিও আপনি প্রথম নন। অভিনেত্রী থেকে হঠাৎ কেন প্রযোজক বনে যাওয়া?

জয়া: শিল্পের দায়বদ্ধতা থেকে। আমার মনে হয় যে কোন শিল্পীর একটা সময়ে প্রডিউস করা উচিত। তাহলে ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন কিছু দিতে পারবে। আরেকটা জায়গা হলো, এই গল্পটায় আমার অভিনয় করার খুব ইচ্ছে ছিল। আমি কয়েকজন প্রডিউসারের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিলাম। তারা ঠিক রাজি হননি। তাই আমিই ঘটি বাটি নিয়ে নেমে পড়লাম। খুব লোভ হচ্ছিল এই গল্পে অভিনয়ের।

বর্তমান সময়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অর্থ বিনিয়োগ অনেক বড় ঝুঁকি। মূলধন ফেরত পাচ্ছে না বলেই বেশিরভাগ প্রযোজকের অভিযোগ। বিশেষ করে সাহিত্যের গল্প নিয়ে কাজ করা তো আরও বড় ঝুঁকি। আপনি ব্যবসায়িকভাবে কতটা সফল হবেন বলে মনে করেন?

আমি আসলে এতদিন যে ধরনের ছবি করেছি। তার বাইরে গিয়ে কোন ছবি প্রডিউস করতে পারিনি। সেটা নিজের সঙ্গে বেইমানি হত। আর আমি চাইলে সেইফ জোনের কোন গল্পের ছবি করতে পারতাম। ওই যে বললাম নিজের সঙ্গে নিজের যে দায়বদ্ধতা। তা এড়াতে পারিনি।

দর্শক কেন দেখবে ছবিটি?

এটার সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের নাম আছে। মিসির আলী চরিত্র আছে। এই চরিত্রগুলোর কারণে আমি কখনোই চাইব না, মানুষগুলো অসম্মানিত হোক। তাই আমি ছবিটা কখনো ওই প্যাকেজিংয়ের মতো করে বানাই নাই, মানে বাণিজ্যিক টাইপের। যদিও হুমায়ূন আহমেদ, মিসির আলী-দুজনই ম্যাস পিপলের কাছে পৌঁছাবার বিশাল একটা মাধ্যম। উনাদের নিজেদেরই এক শ্রেণির দর্শকগোষ্ঠী আছে। আমার মনে হয়, ঠিক আছে বাণিজ্য হলে হবে। হলে খুবই ভালো। সেটা আমি মনে প্রানে চাই যে ছবিটি বানিজ্যিক সফলতা পায়। তাহলে আরও পাঁচজন সাহস পাবে।

বইয়ের শব্দগুলো কতটা ফুটিয়ে তুলেছেন সিনেমার ফ্রেমে?

এটা দর্শকই ভালো বলতে পারবে। তবে আমরা ১৯৭৭ সালের মিসির আলী না, ২০১৮ সালের মিসির আলীকে দেখিয়েছি। আর বইয়ের সবটা তো ফুটিয়ে তোলা সম্ভবই নয়। যেমন ধরেন ‘জানালা দিয়ে শিউলি ফুলের ঘ্রাণ ভেসে আসছে, এটা কী অশরীরি আত্মার গন্ধ নাকি বাগান থেকে ভেসে আসা সত্যিই ফুলের ঘ্রাণ’ -এ লাইনগুলো বইয়ে লেখা সহজ। এটা ভিজ্যুয়াল কী করে দেখাবেন? বইয়ে মনের মাধুরি মিশিয়ে অনেককিছু লেখা যায়। যা বাস্তবে সম্ভব নয়। সেটা দর্শকের বুঝতে হবে। সিনেমা করতে গেলে এমন অনেককিছুই তুলে আনা সম্ভব নয়। আবার অনেককিছু অ্যাড করতে হয়।



প্রযোজকের গুরু দায়িত্ব কতটা পালন করতে পেরেছেন বলে মনে হয়?

মজাই লাগছে। সব তো আর করতে পারছি না। আমার টিমের লোকজন করছে। অভিনয় করতাম। চরিত্রটা নিয়ে থাকলেই হত। এবার তো ভাবতে হয় আমাদের ছবিটা কোথায় যায়, কী করে ছবিটা প্রদর্শন হয়, দর্শক পর্যন্ত পৌঁছায়। এ কাজগুলোর সঙ্গে যে মানুষগুলো আছে, তারাও তো গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে এ বিষয়গুলো জানতাম, তবে জড়াইনি কখনো। তবে এবার এই বিষয়গুলো আমি এক্সপেরিয়েন্স করছি।

মিসির আলী চরিত্রের জন্য কেন চঞ্চল চৌধুরীকে বেছে নিলেন?

ওর কোনো কাজ দেখে বা কিছু দেখে, সেটা নয়; ওর কাজের প্রতি সততা দেখে। কারণ ও যখন যে সিনেমা করেছে, সেটাই বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে। ও নাটকে অনেক চরিত্র করেছে, সেটা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছে, মানুষের কাছে খুব পপুলার হয়েছে। কিন্তু ওর সিনেমার চয়েজ দেখলে আপনি ওর প্রতি অন্যরকম সম্মান দেখাতে বাধ্য। সেখানে ও এ সময়ের অন্যতম সেরা অভিনেতা।

‘দেবী’ ছবিতে রানু চরিত্রে নিজেকে তৈরি করা কতটা কঠিন ছিল? এ জন্য আপনাকে কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে?

আমি অন্য আট-দশটা ছবিতে যেমন অ্যাফোর্ড দিই, এ ছবিতেও তেমন অ্যাফোর্ড দিয়েছি। তবে প্রথম প্রোডাকশন তো! একটু মায়া কাজ করছে। আমি এ ছবিতে এমন কোনো এক্সট্রা অ্যাফোর্ড দিইনি, যেটা আমি অন্য ছবিতে দিয়েছি।

প্রযোজনার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলোতে অভাববোধ করেছেন?

আমি এক্সট্রা কোন ঝামেলায় পড়িনি। তবে আমি এ বিষয়গুলোর সঙ্গে তো অভ্যস্থ নয়। তাই কিছুটা কঠিন লেগেছে। হয়তো সামনে সেটা থাকবে না। তবে এ প্রক্রিয়াটা যে জটিল কিংবা অন্য কিছু, সেটা বুঝতে আরও কিছু ছবি করা লাগবে। কেন এই হিসাবগুলো এ রকম, ও রকম নয়, তখন আসলে পুরো বিয়ষটা বুঝতে পারব।

আপনার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘সি-তে সিনেমা’র পরবর্তী সিনেমা কি?

এখনো ঠিক করিনি পরেরটা কী হবে। তবে কিছু প্ল্যানিং আছে। এরকম না যে শখ হলো একটি সিনেমা করলাম আবার হারিয়ে গেলাম। অনেকেই আমাকে উৎসাহ দিচ্ছেন নিয়মিত সিনেমা করার। এর কারণ হলো, অনেকেরই মনে হয়েছে দেবীর ব্র্যান্ডিং দেখে আমারা ছবির প্রতি সিরিয়াস, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিরিয়াস, যেটা হয়তো অনেকেরই থাকে না। আমরা এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই। এটুকু বলছি হারিয়ে যাবো না।

ছবির নির্মাণকালীন হুমায়ূন আহমেদের মেয়ে অভিনেত্রী শীলা আহমেদ ও ছেলে নুহাশ হুমায়ূন অভিযোগ করেছেন, ছবিটি নির্মাণে লেখকের উত্তরাধিকারীদের সবার কাছ থেকেই অনুমতি নেননি। এরপর বিষয়টা নিয়ে আপনার দিক থেকে কোনো ধরনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি?

এরপরে কিছুই ঘটেনি। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। একটা মিস কমিউনিকেশন; নট মিস আন্ডারস্টান্ডিং। আসলে এর বাইরে কিছু না; সব ঠিক আছে। তারা আপত্তি তোলার পর যেহেতু আর কিছু বলছে না, তার মানে আমাদের দিক থেকে সব ঠিক আছে।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

গভীর রাতে রহস্যজনক স্ট্যাটাস, সকালে মিলল অভিনেত্রীর লাশ

প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শোবিজ অঙ্গনে আবারও শোক সংবাদ। সম্প্রতি বিহারের ভাগলপুরে নিজের ফ্ল্যাটে ভারতীয় ভোজপুরি সিনেমার অভিনেত্রী অমৃতা পাণ্ডেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সিলিং ফ্যানে শাড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। যদিও এ অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিনেত্রী অমৃতার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নোট শেয়ার করেছিলেন। রিপোর্ট বলছে, অমৃতা তার স্বামীর সঙ্গে মুম্বাইতে থাকতেন। কিন্তু তিনি সম্প্রতি ভাগলপুরে একটি বিয়ের জন্য তার আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) গভীর রাত পর্যন্ত জেগে ছিলেন অমৃতা এবং তার হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে একটি নোট পোস্ট করেছেন। কয়েক ঘণ্টা পরে, তাকে তার ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে, হোয়াটসঅ্যাপে অমৃতার নোটে লেখা ছিল, কেনো দুই নৌকায় ভাসছিল জীবন, নৌকা ডুবিয়ে জীবন সহজ করে দিয়েছি।

অমৃতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং পরিচিতরা জানিয়েছেন, অভিনেত্রী বেশ কিছুদিন ধরে বিষণ্ণতা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছিলেন এবং তিনি এর জন্য চিকিৎসাও করাতে চেয়েছিলেন।

তদন্ত শুরু হলেও, পুলিশ সন্দেহ করছে যে তার আত্মহত্যার কারণ হতাশা। সিটি এসপি শ্রী রাজ জানিয়েছেন যে অমৃতার মৃত্যুর ঘটনায় একটি হাই প্রোফাইল তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এসপি আনন্দ কুমারের নির্দেশে একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে। অমৃতার পরিবার এবং তার স্বামী এখনো জনসমক্ষে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি।

অমৃতা দিওয়ানাপান সিনেমায় ভোজপুরি সুপারস্টার খেসারি লাল যাদবের সঙ্গে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।

ভোজপুরি সিনেমা   অমৃতা পাণ্ডে  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শিল্পী সমিতির শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বে তারা গেল শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সহসভাপতি ডিএ তায়েব, সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কোষাধ্যক্ষ কমল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, চুন্নু ও সনি রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি, নাহিদা আশরাফ আন্না, ডি জে সোহেলসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়। মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট এবং ২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।


বঙ্গবন্ধু   শিল্পী সমিতি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অপু বিশ্বাস কেন ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ জানাল ইমন

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদ উপলক্ষে বরাবরই তারকাদের নিয়ে আড্ডার আয়োজন করে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো। বিভিন্ন ব্যান্ডের ফটোশুটে প্রায় তাদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস ও তরুন নায়ক ইমন খান কে। কাজের সূত্র ধরেই দুই তারকার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। বন্ধুত্বের জায়গা থেকেই এবারে ইমন অপু বিশ্বাসকে ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ বলেন। 

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে হাজির হয়েছিলেন ইমন। ওই অনুষ্ঠানে ‘জানতে চাই’ নামের একটি অংশ নায়কের কাছে উপস্থাপক জানতে চান ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ কে। এমন প্রশ্নের জবাবে অবলীলায় ইমন অপু বিশ্বাসের কথাবলেন।

ইমন একটু হেসেই বলেন, অপু বিশ্বাসের কাছে ঢালিউডের সব খবর থাকে। মানে অপু বিশ্বাসকে সবাই বলে নায়ক মান্না ভাই। আগে মান্না ভাইয়ের কাছে সব ধরনের খবর থাকত। এখন থাকে তার কাছে। সে জানে ইন্ডাস্ট্রিতে কোথায় কী হচ্ছে। এমনকি সে খুব সঠিক তথ্যও দিয়ে দেয়।

ব্যক্তি জীবনের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনায় থাকেন অপু বিশ্বাস। ঢাকাই সিনেমার নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে এবং বিচ্ছেদ নিয়েই বেশি আলোচনা চলে এই অভিনেত্রীকে নিয়ে। বর্তমানে নিজের ব্যবসা নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী।


অপু বিশ্বাস   ঢালিউড   ‘গসিপ কুইন’ ইমন খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

হানিফ সংকেতের ফেসবুক হ্যাক

প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হ্যাক হয়েছিল। পেজটির দখলে নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবিও পোস্ট করেন হ্যাকাররা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই হানিফ সংকেতের কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

ফেসবুক পেজ ফিরে পাওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পেজটি হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের এই পোস্ট দেয়ার আগেই অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন, সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’

হানিফ সংকেত   ফেসবুক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লাবণ্যময়ী সেই ভাইরাল হাসি নিয়ে মুখ খুললেন পিয়া

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।

রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে উঠে যাওয়া কিংবা যাকে নিয়ে চারদিকে এত হইচই, এবার পিয়া জান্নাতুলই মুখ খুললেন বিষয়টি নিয়ে। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মোটেই আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ বুঝি, যারা ২ সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে আবার ১ সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।

পিয়ার ভিডিওটি দেখে তরুণদের একটি বড় অংশ তাকে ‘জাতীয় ক্রাশ’বলে ডাকছেন। কেউ কেউ তো সোশ্যালমিডিয়ায় অবলীলায় লিখেও ফেলছেন, ‘প্রেমে পড়ে গেলাম। আহ্ কী হাসি!’

বিষয়টিকে ‘দোষের’ দেখছে না পিয়া জান্নাতুল। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি কনটেন্ট বা রিলস যে যেটাই তৈরি করছেন, তাদের বেশিরভাগই তরুণ-যুবক। আর তাদের জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।

পিয়া আরও বলেন, আসলে এগুলো এখন ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে। আর যখন যে ট্রেন্ড আসে, সবাই সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে দোষের কিছু দেখছি না।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জিতে আলোচনায় আসেন পিয়া জান্নাতুল। এরপর ২০০৮ সাল থেকে র‍্যাম্প মডেলিং দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। পরবর্তীতে ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ারও সাফল্য অর্জন করেন।


ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন   পিয়া জান্নাতুল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন