নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৮
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু গত বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সকাল সাড়ে ৮টায় তার হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাকের পর তার মুখ থেকে ফেনা উঠতে থাকে। সোয়া ৯টায় ড্রাইভার তাকে হাসপাতালে আনেন। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই সময়টুকুতে অকালে চলে গেলেন কিংবদন্তি এ শিল্পী। দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন এ শিল্পী। সপ্তাহ দুয়েক আগেও একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। আগের পরীক্ষায় তাঁর হার্টের কর্মক্ষমতা ৩০ ভাগে নেমে এসেছিল বলে জানানো হয় হাসপাতালের তরফ থেকে। আইয়ুব বাচ্চুর মত হার্টের রোগে এর আগেও অনেক তারকা মারা গেছেন।
মাস চারেক (২২ মে) আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৩ বছর। এমন বয়সে তার মৃত্যু অনেকেই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি। বলিউডের শ্রীদেবীও একই রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মারা গেলেন। বর্তমানে হৃদরোগকে বিশ্বের একনম্বর ঘাতকব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবছর প্রায় পৌনে ২ কোটি মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে। যা ২০৩০ সাল নাগাদ ২ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ হৃদরোগের ভয়াবহতার ব্যাপারে সেইভাবে প্রচারণা নেই।
অনেক তারকা আছেন যারা সাম্প্রতিক সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের স্বনামধন্য মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের হৃদপিন্ডে প্রধান তিনটি রক্তনালীসহ ছোটবড় ৮টি ব্লক ধরা পড়েছে। পরে তার চিকিৎসাও করা হয়েছে। চলচ্চিত্র পরিচালক আজিজুর রহমান গত বছর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার জন্য সাহায্যও করেন। গত বছরের শুরুর দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তারিক আনাম খান। হসপিটালেও থেকেছেন বেশ কিছুদিন। হার্টে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখন অবশ্য সুস্থ আছেন, শুটিং করছেন।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তাঁর হার্টের রক্তনালিতে তিনটি রিং পরানো হয়েছে। সিনেমার ভিলেন পারভেজ গাঙ্গুয়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অভিনয়শিল্পী শবনম পারভিনও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যশঙ্কা কাটিয়ে আইসিইউ থেকে তিনি সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। সিনেমার শুটিং চলাকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ।
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি ও দেশের গুণী অভিনেতা শহীদুল আলম সাচ্চু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানীও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হার্টের রক্তনালীতে চারটি ব্লক ধরা পড়েছে। তার অপারেশন করে রিং পড়ানো হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ পরিচালক কাজী হায়াত। হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এই চলচ্চিত্র পরিচালক-প্রযোজক উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এখন তিনি সুস্থ। তবে কাজের খুব বেশি চাপ নিতে পারেন না বলে জানান।
এইরোগে তাঁরা পৃথিবী ছেড়েছেন:
অভিনয়শিল্পী ও নির্দেশক খালেদ খান দীর্ঘদিন ধরে মোটর নিউরন ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা যান। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে নায়ক মান্না মৃত্যুবরণ করেন। দিনাজপুরের একটি ছবির শুটিংয়ের যাওয়ার পথে ট্রেনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ঢাকাই ছবির সুপরিচিত খল অভিনেতা মিজু আহমেদ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানও। হৃদরোগে ভুগতেন বারী সিদ্দিকীও।
নাট্য নির্মাতা আরিফ আল মামুন ও অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আলী ২০১৬ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। একই রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠখ্যাত শিল্পী খেয়ালি কর্মকার।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
হ্যাকারদের কবলে পড়েছিলো জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের
অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ। তবে দুর্বৃত্তরা বেশিক্ষণ পেজটি নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হানিফ সংকেতের পেজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে
একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবি পোস্ট করে হ্যাকাররা। কিছুক্ষণের মধ্যেই হানিফ সংকেতের
কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
১ কোটির বেশি অনুসারীর এই পেজটি ফিরে পেয়ে সন্ধ্যা
সাতটার হানিফ সংকেতের নামে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পেজটি
হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই
আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’ ‘আমাদের এই পোস্ট দেওয়ার আগেই
অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন, সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
ও কৃতজ্ঞতা।’
জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র গ্রন্থনা, পরিকল্পনা
ও উপস্থাপনা করেন হানিফ সংকেত। তিনি নাটকও নির্মাণ করেছেন। হানিফ সংকেত করেছেন অভিনয়,
লিখেছেন রম্যরচনা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পিয়া জান্নাতুল
মন্তব্য করুন
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা
পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির
গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে
অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ
আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।
গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়।
তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন
‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে
গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’
সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো
সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার
সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’
রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায়
কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা
আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো
খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম
দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম
হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’
‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য
বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য
রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে।
(৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
(৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে
পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
মন্তব্য করুন
ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাসসের
খবর অনুযায়ী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী
ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ।
ইরাকের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত
ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা
এএফপি’কে এই কথা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা
এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র
জানায়, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর
জন্য পরিচিত হয়েছিলেন।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে
ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার
জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেয়।
ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু
সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার
অভিযান শুরু করে।
টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক
বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন
করে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।