নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৭ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৮
কেন প্রযোজনা?
জয়া আহসান জানালেন,‘ যেকোনো আর্টিস্টেরই একটা জার্নির পরে গিয়ে প্রডিউস করা উচিত। দায়িত্বশীল আর্টিস্টের এটা কর্তব্য বলে আমি মনে করি।’ জয়া আহসান ‘দেবী’র মাধ্যমে প্রযোজনায় নাম লেখালেন। শুধু যে পয়সা দিয়েই খালাস তা নয়। দক্ষ প্রযোজকের মতো ছবির প্রচারণা কৌশল থেকে সবকিছুতেই প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।
অভিনয়শিল্পী হয়ে জয়াই যে প্রথম প্রযোজনায় নাম লিখিয়েছেন এমনটা নয়। শাবানা থেকে শুরু করে বহু অভিনয়শিল্পী প্রযোজনায় নাম লিখিয়েছেন। বলিউডে তো সালমান, আমির, শাহরুখ, অক্ষয়, সাইফ আলী খান থেকে শুরু করে এ যুগের আনুশকাও নিয়মিত ছবি প্রযোজনা করছেন। ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, চলচ্চিত্রের টাকা চলচ্চিত্রেই খাটুক। চলচ্চিত্র থেকে কামানো অর্থ প্রযোজকের অভাবে ধুঁকতে থাকা এফডিসিতে কেন বিনিয়োগ হবে না! এরকম অবুঝ প্রশ্ন ইন্ডাস্ট্রির অনেকের। এই প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে বর্তমান সময়ের চিত্র তারকারাও।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রযোজনা:
বাংলাদেশে গেল কয়েকবছরে, প্রযোজক হিসেবে জায়েদ খানের মুক্তি পেল ‘অন্তর জ্বালা’। ‘বিজলী’র প্রযোজক বনে গেলেন ববি। শাকিব খান মাঝেমধ্যেই প্রযোজনায় ফেরার ঘোষণা দেন। সামনেও ছবি আসছে এই এক ছবির প্রযোজকের। সিনেমায় ১৫ বছর কাটানোর পর ২০১৪ সালে প্রযোজকের চেয়ারে বসেন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ড গড়া তারকাটি। গুজব আছে, এর আগে বেনামে টাকা ঢালেন কিং খান। পরীমনি ‘ক্ষত’ নামে একটি ছবি প্রযোজনা করছেন। ফেরদৌস চলচ্চিত্র প্রযোজনায় অল্প করে আছেন। মাহি প্রযোজনার ঘোষণা দিলেও খবর নেই। তবে প্রযোজনায় দুই কালের ব্যবধান স্পষ্ট।
সেই যে যুগ:
১৯৯৩ সালের ঈদুল ফিতরের ঘটনাই মনে করা যাক, শাবানার এসএস প্রডাকশন থেকে মুক্তি পেল ‘অবুঝ সন্তান’ আর নায়করাজের রাজলক্ষী সংস্থা থেকে মুক্তি পেল ‘প্রেমশক্তি’। তার পরের বছরের ঈদুল ফিতরে জসীমের জ্যাম্বস প্রডাকশন থেকে মুক্তি পেল ‘কালিয়া’ আর উজ্জলের উজ্জল ফিল্মস থেকে মুক্তি পেল ‘শক্তিপরীক্ষা’।
এরকম ঘটনা একটি দুটি নয়, অসংখ্য। সারা বছরই প্রযোজক কাম তারকাদের দাপট থাকতো ইন্ডাস্ট্রিতে। শাবানার এসএস প্রডাকশন্স বহুবছর ঈদে নেতৃত্ব দিয়েছে। অন্য প্রযোজক ছবি বানানোর আগেই এই ব্যানারের ঈদ বুকিং করা থাকতো। এ নিয়ে বিচার-সালিশ কম হয়নি সেই সময়। এক যুগ আগে চলচ্চিত্রের অবস্থা ছিল এমনই প্রতিযোগিতাপূর্ণ।
তারকারা তাদের সব পুঁজি ঢেলে দিতেন প্রিয় এফডিসিতে। উল্লিখিত চার তারকা রাজ্জাক, শাবানা, উজ্জল, জসীম ছাড়াও অধিকাংশ তারকা প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সোহেল রানার পারভেজ ফিল্মসের ব্যানারে তো বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম সিনেমা নির্মাণ হয়। নিয়মিত ছবি প্রযোজনা করেছেন আলমগীর এবং ইলিয়াস কাঞ্চন। আলমগীরের আঁখি ফিল্মস এবং ইলিয়াস কাঞ্চনের জয় চলচ্চিত্র থেকে হিট-সুপারহিট ছবি বেরিয়েছে। ববিতা কিংবা রোজিনা কাকে প্রযোজনায় দেখা যায়নি বলুন? সত্তর, আশির দশকের প্রতিষ্ঠিত সব তারকাই প্রযোজনায় হাতেখড়ি নিয়েছেন। বাদ যাননি দ্বিতীয়-তৃতীয় সারির নায়ক-নায়িকারাও। নব্বই দশকে রুবেল, মান্নারাও নাম লিখিয়েছেন প্রযোজক হিসেবে। রুবেলের ‘বিচ্ছু বাহিনী’ আর মান্নার ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’ ছবির সাফল্যের গল্প খুব বেশি দিন আগের তো নয়।
কিন্তু তারপর কি হলো?
মৌসুমী বাবার সঙ্গে যৌথভাবে একটি-দুটি ছবি প্রযোজনা করেছেন। নিয়মিত হতে পারেননি। সফল প্রযোজক বিশেষণটি তাকে দেয়ার উপায় নেই। ক্যারিয়ারের পড়তি সময়েও প্রযোজনা করে ফিরে আসার কোনো চ্যালেঞ্জ তার মধ্যে দেখা যায়নি। পপি কিংবা শাবনুরের জন্য সুযোগ ছিল ছবি প্রযোজনার। ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি শক্ত অবস্থানে ছিলেন। প্রযোজকরা যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। তিনি পারতেন অর্থলগ্নি করতে। একইভাবে পূর্ণিমাও এখন পর্যন্ত একটি টাকা কোথাও বিনিয়োগ করেননি। নায়কদের মধ্যে আমিন খানের ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ বছর পেরিয়ে গেছে। ছবি করেছেন তিনশর উপরে। সিনেমায় তিনশ টাকাও বিনিয়োগ করেননি। মাঝখানে প্রযোজনার কথা শোনা গেলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। রিয়াজ বছর ছয়েক আগে ‘হৃদয়ের কথা’ ছবিটিতে অংশীদার প্রযোজকের ভুমিকায় ছিলেন। তারপর আর খোঁজ নেই।
প্রযোজনার নামে নতুনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ:
ববি ও নবাগত মিষ্টির প্রযোজক পরিচয় হয়েছে। এমন আরও অনেক নবাগত প্রযোজক বনে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের অর্থের উৎস নিয়ে রহস্য রয়েছে। তারা কী নামকাওয়াস্তে প্রযোজক, নেপথ্যে প্রকৃত পুঁজিপতি, বাপের টাকা নাকি বয়ফ্রেন্ডের টাকা? প্রযোজক বাবার সূত্র ধরে মারুফ ও সম্রাট কাঁচা বয়সেই প্রযোজকের দায়িত্ব সেরে ফেলেছেন। তবে তাঁরা ব্যবসা গুটিয়েও ফেলেছেন অল্প বয়সে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।
নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।
এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।