নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২০ পিএম, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮
ক্যামেরায় যা ইচ্ছা তা ধারণ করে সিনেমা বানানো যায়, কিন্তু মুক্তি দেওয়া যায় না। এর জন্য বিশ্বের সব চলচ্চিত্রশিল্পেই থাকে সেন্সর বোর্ড। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সিনেমাটি মুক্তির উপযোগী কি না। আবার নিজ দেশে মুক্তির উপযোগী হলেও, অন্য দেশে তা উপযোগী না ও হতে পারে। পৃথিবীতে এমন বহু সিনেমা রয়েছে, যেগুলো নিজ দেশের সেন্সর অতিক্রম করলেও, অন্য দেশে গিয়ে আটকে গেছে। অর্থাৎ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন কয়েকটি আলোচিত সিনেমার কথাই আজ জানা যাক-
এ সার্বিয়ান ফিল্ম
বিতর্কিত সিনেমার কথা উঠলেই প্রথমে আসবে সার্বিয়ার চলচ্চিত্র ‘এ সার্বিয়ান ফিল্ম’এর কথা। বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত এই সিনেমার গল্প একজন অ্যাডাল্ট ছবির নায়ককে ঘিরে, যে একসময় এই পেশা থেকে সরে আসে। প্রচণ্ড অর্থকষ্টে কাটতে থাকে তাঁর দিনকাল। হঠাৎ এক পরিচালক তাঁর কাছে একটি ছবির প্রস্তাব নিয়ে আসে। একসময় তিনি বুঝতে পারেন পরিচালক তাঁকে ভয়ংকর ফাঁদে ফেলেছেন। এই ছবিতে দেখানো হয় ভয়ংকর সব খুন, শিশু ধর্ষণ এবং মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গমের গা ছমছমে দৃশ্য। আমেরিকার মতো প্রগতিশীল দেশও ছবিটি নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়। এছাড়া ব্রাজিল, স্পেন ও নরওয়েসহ পৃথিবীর বহু দেশে ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়।
ক্যানিবাল হলোকাস্ট
অ্যামাজনের মানুষ খেকো আদিবাসীদের উপর একটি ভুয়া তথ্যচিত্রের ওপর নির্মিত হয়েছিল ক্যানিবাল হলোকাস্ট। এই ছবি দেখে সিনেমাহলে অনেকেই অসুস্থ বোধ করা শুরু করেন। একজন প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞ অ্যামাজনে যান গবেষণার কাজে। সেখানে তিনি কিছু ফুটেজ খুঁজে পান। সেগুলো নিয়ে তিনি আমেরিকায় আসেন। এরপর ফুটেজে দেখেন বীভৎস সব দৃশ্য। পৃথিবীর প্রায় ৫০টিরও বেশি দেশে ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়।
লাস্ট ট্যাংগো ইন প্যারিস
‘গডফাদার’ খ্যাত অভিনেতা মার্লন ব্র্যান্ডো অভিনীত ক্ল্যাসিক ছবি ‘লাস্ট ট্যাংগো ইন প্যারিস’। খোলামেলা দৃশ্যে সাজানো সাহসী সিনেমা হিসেব খ্যাত ছবিটি। কিন্তু নিষিদ্ধ করা হয় ইতালি ও স্পেনে। কারন সিনেমার একটি দৃশ্যে নায়ক মার্লন ব্রান্ডো নায়িকার শরীরে মাখন মাখাচ্ছিলেন। আর খাবারের জিনিসকে এভাবে দেখানো ইতালি, স্পেনে জঘন্য অপরাধ।
ব্যাক টু দ্য ফিউচার
টাইম ট্র্যাভেল ও কমেডির সংমিশ্রণে নির্মিত এই সিনেমা সিরিজ আশির দশকে দর্শক সমালোচকদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। কিন্তু চীনে নিষিদ্ধ করা হয় ছবিটি। কারণ চীনা সংস্কৃতিতে ভবিষ্যৎ দেখা বারণ। তার ওপর ছবিতে নাকি প্রচুর কুসংস্কার দেখানো হয়েছে।
দ্য সিম্পসনস মুভি
জনপ্রিয় কার্টুন সিরিজ দ্য সিম্পসন নিয়ে ২০০৭ সালে হলিউডে নির্মিত হয় অ্যানিমেশন ছবি ‘দ্য সিম্পসনস মুভি’। ছবিটি বিশব্যাপি জনপ্রিয়তা লাভ করলেও মায়ানমারে নিষিদ্ধ করা হয়। নিষিদ্ধের কারণ কোনো জঘন্য দৃশ্য বা কাহিনী নয়, বরং সিম্পসনের গায়ের রঙ হলুদ বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় মায়ানমারের সরকার। কারণ দেশটিতে হলুদ রঙ নিষিদ্ধ।
অল কোয়াইট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট
এটি ১৯৩০ সালে নির্মিত একটি হলিউড ক্লাসিক ছবি। ছবিটি হিটলার ও নাৎসি বাহিনীর বিপক্ষে তৈরি। তাই অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়। ঐ সময় কেউ সিনেমাটি জার্মানীতে দেখলে তার ওপর ব্যাপক অত্যাচার করা হতো।
দ্য টিন ড্রাম
এই ছবিতে ১১ বছরের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের সঙ্গে ১৬ বছরের মেয়ের যৌনতা দেখানো হয়েছে। যার ফলে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটির প্রশাসন বলছে, এই ছবিতে শিশু পর্ণগ্রাফিকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। জার্মানির এই ছবিটি অস্কারে বিদেশী ছবি বিভাগে সেরার পুরস্কার জিতে।
দ্য বার্থ অব এ নেশন
১৯১৫ সালে মুক্তি পাওয়া একটি নির্বাক চলচ্চিত্র ‘দ্য বার্থ অব এ নেশন’। এটি পৃথিবীর প্রথম সিক্যুয়েল মুভি। কিন্তু বর্ণবাদি গল্পের কারণে ছবিটি বহু কৃষ্ণাঙ্গ দেশে নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও পরিচালক ডি ডাব্লিউ গ্রিফিথ এর জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন।
ক্লক ওয়ার্ক ওরেঞ্জ
বিখ্যাত পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিকের এই ছবি গ্রেট বিটেনে প্রায় ২৭ বছর ধরে নিষিদ্ধ ছিল। অ্যালেক্স নামক এক বখে যাওয়া তরুণের নৃশংস সব কর্মকাণ্ড নিয়ে ছবিটি নির্মিত হয়। অত্যধিক ভায়োলেন্স এবং পাশবিক ধর্ষনের দৃশ্য থাকায় ব্রিটেনে ছবিটি নিষিদ্ধ হয়। কিন্তু সারাবিশ্বে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায় ছবিটি।
দ্য এক্সরসিস্ট
ভৌতিক সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর সিনেমা ধরা হয় এটিকে। অশুভ আত্মার প্রভাবে আচ্ছন্ন এক কিশোরী এবং তাঁকে ঘিরে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর সব ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। ভয় পাওয়ার সমস্ত রসদই রয়েছে এতে। ছবিটি দেখতে গিয়ে অনেকের জ্ঞান হারানো এমনকি হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এসব কারণে পৃথিবীর বহু দেশে নিষিদ্ধ করা হয় ছবিটি।
বাংলা ইনসাইডার/এইচপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।
নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।
এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।