নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮
হুমায়ূন আহমেদ কখন যেন শাওনকে খুব গুরুত্ব দিতে লাগলেন। এই যে শাওন না থাকলে ভালো না থাকা, থাকলে আনন্দে থাকা, এই পরিবর্তনটা শাওন বেশ ধরতে পারতেন। শাওনকে চিঠি লিখতেন...বড় বড় চিঠি লিখতেন, কখনো কখনো তিন পাতার চিঠি, আবার দুই লাইনের চিঠিও লিখতেন। একতরফা গল্প তো। হুমায়ূন গল্প করতেন, শাওন শুনতেন। প্রচুর ফোনে কথা হতো, ল্যান্ডফোনে।
মজার ব্যাপার, সব সময়ই তো আর ফোনের কাছে থাকা হত না। সেই গল্পটাও শেয়ার করলেন শাওন,‘যখন উনি ফোন করতেন যদি কাজের মেয়েটা ফোন ধরত উনি বলতেন, এটা কি কমলাপুর রেলস্টেশন? কাজের মেয়ে বলত জ্বি না। পরপর তিনচারবার কমলাপুর রেলস্টেশনের ফোন আসছে, প্রথম প্রথম আমি খুব রাগ করে ফোনটা ধরলাম তখন দেখি যে উনি। বাসায় এটা প্রতিষ্ঠিত হলো যে, ফোনে কেউ যদি উল্টা পাল্টা কথা বলে, তাহলে পরের ফোনটাই আমি ধরব। আমি নিশ্চিত যে কাজের মেয়েরা ফোন ধরলে বলবে এটা কি রেলস্টেশন কিনা, বা এটা কি ধর্মমন্ত্রীর বাড়ি, নয় বলবে এটা কী শাহবাগের ওসির বাড়ি। ফোনে আমাদের প্রচুর গল্প হতো। এটাকে আসলে খুনসুটি বলব কিনা বুঝতে পারছি না।’
কী ধরনের কথা হত? ‘সেগুলো খুব অর্থহীন নির্ভেজাল কথা। যেমন শুটিং না থাকলে, দুপুরে কী দিয়ে ভাত খেয়েছি, মাছ? কীভাবে রান্না ছিল, মটরশুটি ছিল, আলু দিয়ে রান্না কিনা। কোন সময় যে এসব খুনসুটি প্রেমে টান নিলো ওনার দিক থেকে আমি বলতে পারব না। উনি সরাসরি আমাকে একদম চিঠি লিখেই প্রেমের প্রস্তাব দেন।’
শাওন চিঠি লিখতেন না। এটা নিয়ে খুব অনুযোগ ছিল। বারবার বলতেন যে কেন চিঠি লিখো না, ‘আমার একটা খুব ভয় ছিল, ভয়টা হচ্ছে, আমার খালি মনে হতো আমি তো আর তার মতো সুন্দর করে লিখতে পারব না। খুব সিলি হবে লেখাটা আর এটা নিয়ে নিশ্চয়ই খুব হাসাহাসি হবে। খুব টেনশনে পড়ে আমার খুব জ্বর চলে এলো। আমার এসএসসি পরীক্ষা ছিল ৯৬-এর মার্চে। আমি একটা চিঠি লিখলাম পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে। সেদিন থেকে আমি সিরিয়াসলি অসুস্থ হয়ে পড়লাম ভয়ে। আমি অসুস্থ হবার পর হুমায়ূন আহমেদ আমার জন্য বাসায় এক ট্রাক ডাব পাঠালেন।’
তারপর শাওন বারবার চিঠিটা ফেরত চাইলেন। চিঠিটা ফেরত দিলেন মার্চের ১৫ তারিখে। ‘চিঠিটা আমি দিয়েছিলাম একটা বইয়ের ভেতর ঢুকিয়ে। তিনি বইসহই ফেরত দিলেন, সঙ্গে ওনার একটা চিঠি। তিনি চিঠিতে লিখেছিলেন, আমি চিঠি ফেরত চেয়ে ঠিক করিনি, চিঠিটা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, শুধুমাত্র আমাকে খুশি করার জন্যই চিঠিটা ফেরত দিয়েছেন।’
জীবনে ওই একটি চিঠিই লিখেছিলেন। এরপর আর কোনোদিন সাহস হয়নি।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।