নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৭ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত গুণী নির্মাতা, অভিনেতা ও পরিচালক আমজাদ হোসেনের শারিরিক অবস্থার ফের অবনতি হয়েছে। এজন্য আজ (১৯ নভেম্বর) তার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। গতকাল থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন।
আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে নাট্য নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল জানান,‘ চিকিৎসকরা ধারণা করেছিলেন ব্রেনের অল্প জায়গা জুড়ে স্ট্রোক হয়েছে। কিন্তু দুইবার সিটি স্ক্যান করার পর জানা গেল যে ব্রেনের অনেক বড় জায়গা জুড়ে স্ট্রোক হয়েছে এবং সেখানে রক্ত চলাচল বন্ধ আছে।’
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার ইম্পালস হাসপাতালে ভর্তি আছেন আমজাদ হোসেন। আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে কী ধরনের চিকিৎসা তাকে দেওয়া হবে তা ঠিক করতেই এখন কাজ করছে মেডিকেল বোর্ড।
প্রসঙ্গত গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার আমজাদ হোসেনকে বিছানার নিচে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। কখন তিনি অচেতন হয়েছেন, তা আঁচ করে বলতে পারেননি। এরপর সকাল ১০টার দিকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্র শুরু করেন তিনি। তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আগুন নিয়ে খেলা’ ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায়। পরিচালক হিসেবে ‘নয়নমনি’ (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।
‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেন।
বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন