নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ১১ জানুয়ারী, ২০১৯
বাংলা চলচ্চিত্রে আজও তারা হয়ে জ্বলছেন চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। তাঁর নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ ও সাহিত্য নির্ভর চলচ্চিত্র বাংলা চলচ্চিত্রশিল্পকে করেছে সমৃদ্ধ। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করা এই পরিচালকের আজ (১১ জানুয়ারি) চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৫ সালের এই দিনে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চাষী নজরুল ইসলাম। চলুন জেনে নেই তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য-
- চাষী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৯৪১ সালের ২৩ অক্টোবর বিক্রমপুরের শ্রীনগরে।
- তাঁর নাম রাখেন বাংলার বাঘ শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক। চাষীর মামা শেরেবাংলার সঙ্গে রাজনীতি করতেন। সেই সূত্রে নাম রাখার দায়িত্ব বর্তায় শেরেবাংলার উপর। তখন তিনি তাঁদের বংশ ‘চাষী’ এবং কবি নজরুলের ‘নজরুল’ মিলিয়ে এই নামকরণ করেন।
- চাষী নজরুলের বাবা ছিলেন ভারতের টাটা স্টিলের ইঞ্জিনিয়ার। সেই সূত্রে তাঁর মা তাঁকে বাবার কর্মস্থল জামশেদপুরে নিয়ে যান।
- শৈশব কাটে ভারতের জামশেদপুরে। সেখানেই তিনি বাবার প্রতিষ্ঠা করা স্কুলে পড়াশোনা করেন। জমশেদপুরেই কলেজ সম্পন্ন করেন চাষী নজরুল।
- বাবার অসুস্থতার দরুন ১৯৫৮ সালে চাষীর পরিবারে সবাই বিক্রমপুরে চলে আসে।
- ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত এজি অফিসে পোস্ট সর্টার হিসেবে কাজ করেন চাষী নজরুল।
- পরিচালক হওয়ার আগে দীর্ঘদিন মঞ্চে কাজ করেছেন।
- তৎকালীন পরিচালক ফতেহ লোহানি এবং সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার ওবায়েদ উল হকের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।
- ১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন চাষী নজরুল ইসলাম।
- যুদ্ধ থেকে ফিরে বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘ওরা ১১ জন’ নির্মাণ করেন। ওটাই ছিল চাষী নজরুল ইসলামের প্রথম ছবি।
- সাহিত্য এবং মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর প্রায় ২৬টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন গুণী এই পরিচালক।
-তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘ওরা ১১ জন’, সংগ্রাম’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘ধ্রুবতারা’, ‘দেবদাস’, ‘শুভদা’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘হাছন রাজা’, ‘শাস্তি’ ও ‘সুভা’।
-বাংলা চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একুশে পদকসহ দেশ-বিদেশের বহু সম্মাননা।
বাংলা ইনসাইডার/এইচপি/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।
নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।
এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।