কালার ইনসাইড

বলিউড তারকারা বিজ্ঞাপনে কে কত পান?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

একটা সময়ে বলিউড তারকাদের খুব বেশি বিজ্ঞাপনের মডেল হতে দেখা যেত না। কিন্তু সময় বদলেছে। ভারতের সেরা সেরা সব ব্রান্ডের মডেল হয়ে আছেন বলিউড তারকারা। আর এই বিজ্ঞাপনের জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে নিচ্ছেন অবাক করার মত। অনেকের তো প্রতি বছর অভিনয়ের চেয়ে অনেক বেশি আয় হয় এই বিজ্ঞাপনের জন্য। তারকাদের মধ্যে বিজ্ঞাপনে চুক্তিবদ্ধ হওয়া নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। তারকাদের তারকা মূল্য এবং তাদের অবস্থান নির্ধারণেও এই বিজ্ঞাপন গুলো হয়ে উঠে অন্যতম নিয়ামক।

তাদের ব্রান্ড ভ্যালু:

দেশের সেলেব্রিটিদের দিকে তাকিয়েই বিজ্ঞাপন তৈরি করে সংস্থাগুলি। সেলিব্রেটিদের ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ হিসেব করে তাদের মডেল করা হয়। তিনি থাকলে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে একটা বিজ্ঞাপন, দেখা হয় এ সব। এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলি এই ব্রান্ড ভ্যালুতে ভারতে সবচেয়ে এগিয়ে। ডাফ অ্যান্ড ফেল্পস একটি সমীক্ষা চালায়। সেখানে ‘দ্য বোল্ড, দ্য বিউটিফুল অ্যান্ড দ্য ব্রিলিয়ান্ট’- এই তিনটি বৈশিষ্টের ভিত্তিতে রিপোর্ট করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এসে বিরাটের ব্র্যান্ড ভ্যালু প্রায় ১৭০.৯ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২০৫ কোটি টাকা।

তাদের মূলত এই আয়টা হয়-ই-কমার্স, রিটেল, এফএমসিজি ও স্মার্টফোনের বাজার থেকে। দ্বিতীয় স্থানটি দখল করেছেন বলিউড নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন। ‘পদ্মাবত’ নায়িকার ব্র্যান্ড ভ্যালু প্রায় ১০২.৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭২৩ কোটি টাকা।

তৃতীয় স্থানেও কিন্তু খানদের প্রাধান্য নেই। অক্ষয় কুমার রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। তাঁর ব্র্যান্ড ভ্যালু ৬৭.৩ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৪৭ কোটি টাকা ।

সিম্বা অভিনেতা রণবীর সিংয়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু প্রায় ৪৪৫ কোটি টাকা। তিনি আছেন চতুর্থ স্থানে।

সেলেব্রিটিদের নিয়ে ভারতে ২০০৭ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণ হয় ৬৫০টি, ২০১৭ সালে তা ১৬৬০, ২০১৯ সালে যার পরিমান বেড়েছে আরও দুইশ।

শুধু বিজ্ঞাপনেই আছেন তারা:

যেমন কাজলের কথাই ধরুন, সিনেমায় নিয়মিত না দেখা গেলেও বিজ্ঞাপনের মাঠে ঠিকই আছেন। এভাবে কারিশমা কাপুর অথবা জুহি চাওলারাও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সারা বছর দর্শকের সামনে উপস্থিত হচ্ছেন। ক্যান্সার আক্রান্ত সোনালী বেন্দ্রে একটু সুস্থতা পেলেই বিজ্ঞাপনের জন্য ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে গেছেন। এমন অনেক তারকাই আছেন যারা সিনেমায় নেই, কিন্তু বিজ্ঞাপনে বাজিমাত করছেন।

পারিশ্রমিকে এগিয়ে:


দীপিকা পাডুকোন: বিজ্ঞাপনে এখন নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় দীপিকা পাড়ুকোনের। প্রতিদিন হিসেবে তিনি নাকি নিয়ে থাকেন ৩ থেকে ৫ কোটি রুপি। ফোর্বস সাময়িকীর ভারত সংস্করণ এ গত বছর শেষে সর্বোচ্চ আয় করা ১০০ জন নারীর তালিকায়, যেখানে প্রথম সারিতে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছিলেন বলিউড সুন্দরী দীপিকা পাড়ুকোন। গেল বছর তার আয় ১১২ কোটি ৮০ লাখ রুপি।

অক্ষয় কুমার:  এই অভিনেতা বিভিন্ন অটোমবাইলস, সেলফোন সহ ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেট এবং বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রচারের সঙ্গেই তিনি জড়িত। অক্ষয়ের প্রতিদিনের পারিশ্রমিক সাড়ে তিন কোটি রুপি।

রনবীর সিং: ৩ কোটি রুপি নিয়ে থাকেন প্রতিদিনের জন্য। তবে শোনা যাচ্ছে, গেল বছর একটি বিজ্ঞাপনের জন্য ৭৫ কোটি হাকিয়েছিলেন। সেখানে অবশ্য দুই বছরের জন্য চুক্তি ছিল। যে চুক্তিতে দুই বছরে বেশ কিছু বিজ্ঞাপন ও শোতে অংশগ্রহণ করতে হবে ওই পণ্যের জন্য।

সালমান খান: প্রতিদিন পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি নিয়ে থাকেন ৩ কোটি রুপি। তবে তিনি সব বিজ্ঞাপনের মডেল হন না।

অমিতাভ বচ্চন: গুজরাট ট্যুরিজমের বিজ্ঞাপন সহ মাথার তেল, ক্রিম, নুডুলস এমন কোন বিজ্ঞাপন নাই যেখানে অমিতাভ করেননি। তার পারিশ্রমিক ঠিক জানা না গেলেও প্রথম দুই চারজনের মধ্যেই তার নাম থাকবে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়।

আমির খান: বিজ্ঞাপনে কাজের জন্য প্রতিদিন তিনি পাঁচ কোটি রুপী নিয়ে থাকেন। যা এ পর্যন্ত বলিউডে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। তবে গত বছর তাকে গালভর্তি দাড়ি, মাথায় পাগড়ি, পাঞ্জাবি উচ্চারণ, আর গ্রাম্য ব্যবসায়ী রূপে যে দেখা মিলেছিল। নতুন চিন্তার জয়গান গাওয়া হয়েছে তাতে। বলা হয়েছে, শুধু ছেলে নয়, মেয়েরাও পারে অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে। সেই বিজ্ঞাপনে নাকি আমির নিয়েছিলেন ১০০ কোটি রুপি। অবশ্য শুধু অভিনয়ই নয়, বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানটির বিপণণ কৌশল থেকে প্রচারের ধরন সবই ঠিক করেছেন আমির।

শাহরুখ খান: ইদানিং শাহরুখ একটু কম কাজ করছেন। তিনি বিজ্ঞাপনে কাজের জন্য আনুমানিক প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কোটি রুপী নিয়ে থাকেন। তার বিজ্ঞাপন থেকে বাৎসরিক আয় সবচেয়ে বেশি। যা তিনি সিনেমা অভিনয়ের চেয়েও অনেকবেশি আয় করেন।  

ক্যাটরিনা কাইফ: তার করা স্লাইস আমের জুসের বিজ্ঞাপন জনপ্রিয়তার সাথে সাথে সমালোচিত হয়েছে অনেক। এছাড়াও তিনি ভারতের শীর্ষস্থানীয় এক অলংকার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানেরও ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হিসাবে কাজ করেছেন। প্রতিদিন বিজ্ঞাপনে কাজের জন্য দেড় কোটি রুপি নিয়ে থাকেন।

কারিনা কাপুর: বিয়ে- সন্তানের পরও তিনি একের পর এক পণ্যের সাথে যুক্ত হচ্ছেন তাদের প্রচারের জন্য। ইলেক্ট্রনিক্স, জুয়েলারী সহ নানা রকম এফএমসিজি ব্র্যান্ডের মডেল হয়েছেন তিনি। আর এই অভিনেত্রী পণ্যের বিজ্ঞাপনে কাজের জন্য দিন প্রতি দেড় কোটি রুপি নিয়ে থাকেন।

রণবীর কাপুর: ল্যাপটপ, ঘড়ি মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে তার উপস্থিতি পণ্য প্রচারে নতুন মাত্রা এনেছে। তিনিও পারিশ্রমিক নেন দিন হিসাবে এবং প্রতিদিনের জন্য তিনি পান ৩ কোটি রুপী।

প্রিয়াংকা চোপড়া: তার ব্যাগে এখন পেপসি, নাইকন সহ বেশ কিছু স্থানীয় এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয় সব পণ্যের বিজ্ঞাপন। পারিশ্রমিক হিসাবে তিনি প্রতিদিন এক কোটি রুপি।



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নেটিজেনদের মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন স্বস্তিকা

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে উপভোগ করেন এই অভিনেত্রী। ঠোঁটকাটা স্বভাব, সমাজের বাঁকা দৃষ্টিকে পাত্তা না দেওয়ায় বছর জুড়েই আলোচনায় থাকেন। আবার সমকালীন বিষয় নিয়ে কথা বলেও বহুবার সমালোচিত হয়েছেন স্বস্তিকা।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। গেল এপ্রিল থেকেই এখানে প্রচণ্ড দাবদাহ দেখা যাচ্ছে। শুধু এপার বাংলা নয়, ওপার বাংলার মানুষও হাঁসফাঁস করছেন তীব্র দাবদাহে।

পরিবেশ বাঁচাতে বিজ্ঞানীরা যেমন গাছ লাগানোর কথা বলছেন, তেমনি তারকাদের মধ্যেও অনেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কথা বলে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন স্বস্তিকা। তবে তিনিও কম যান না। রীতিমতো নেটিজেনদের এক হাত নিলেন তিনি।

বুধবার (১ মে) নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন স্বস্তিকা। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আরও গাছ কাটো/ আরও পুকুর বোজাও/ কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করবে মানুষের লাশ।’

আর এতেই খেপে গিয়ে স্বস্তিকার দিকে প্রশ্নের তীর ছোড়া শুরু করেন তারা। সুপ্রিয়া নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি থাকেন কোথায়? কয়টা গাছ লাগিয়েছেন এই পর্যন্ত? ফ্ল্যাট কেনা নেই তো একটাও?’

প্রশ্নগুলো দেখে থেমে থাকেননি স্বস্তিকাও। সুপ্রিয়ার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী লেখেন, ‘হ্যাঁ, গাছ লাগিয়েছি। আমাদের বাড়ির গলিতে যত গাছ আছে সবগুলো আমি এবং আমার বাবা দুজনে মিলে লাগিয়েছি। আর আমার ফ্ল্যাট কেনা নেই। আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি। আর মুম্বাইতে থাকি ভাড়া বাসায়।

জবাবে অভিনেত্রী আরও লেখেন, ফেসবুকে এসে কাউকে আক্রমণ করার আগে চেক করে নিবেন আমার কয়টা ফ্ল্যাট আছে। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দায় আমাদের সবার। আমাকে তীর ছুড়ে প্রকৃতির কোনো সুরাহা হবে না।

অন্যদিকে সায়ন্তন ঘোষ লেখেন, ‘দিদি ভাই কংক্রিটের ফ্ল্যাটে বসে এবং এসিতে বসে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।’ এই মন্তব্যেরও কড়া জবাব দিয়েছেন স্বস্তিকা। তিনি লেখেন, ফুটপাতে বসে স্ট্যাটাস দিতে পারব না দাদা। আমি গত ৪ দিন ধরে রাস্তায় কাজ করছি। পোর্টবেল এসি তো পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলে না হয় সঙ্গে নিয়ে আসতাম।

আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছেন।’ এর জবাবে স্বস্তিকা লেখেন, ‘কী করে জানলেন আমি এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছি?’

এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে স্বস্তিকার কমেন্টসবক্সে। আর কেউ কেউ তো আবার স্বস্তিকার বাসার ছবিই চেয়ে বসেছেন। তারা আসলে দেখতে চান স্বস্তিকা এসি ঘরে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন কিনা। মূলত এসব বিষয় নিয়ে জোর চর্চা চলছে নেটদুনিয়ায়।

স্বস্তিকা মুখার্জি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়গুণে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। তবে জানেন কি? অভিনেত্রী নয় সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা।

জানা গেছে, সবসময়ই একজন সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন অনুশকা। কিন্তু ভাগ্যের টানে হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করার বদলে নিজেই একজন পেজ থ্রির নিউজে থাকেন। আর অভিনেত্রীর এই সফরটাই তখন শুরু হয় যখন ফ্যাশন ডিজাইনার ভেন্ট্রেল রড্রিকস তাকে একটি শপিং মলে দেখেন।

আনুশকাকে সেখানে দেখার পর একটি ফ্যাশন শোতে হাঁটার জন্য বলেন ভেন্ট্রেল রড্রিকস। সেই থেকে শুরু হলো আনুশকার শোবিজে পথ চলা। প্রথমে মডেলিং, পরে সেখান থেকে বলিউড যাত্রা।

২০০৮ সালে ‘রাব নে বানা দি জোড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় আনুশকার। আর ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাতেই শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আনুশকা। তাদের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। মেয়ে ভামিকা এবং ছেলে অকায়। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   আনুশকা শর্মা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সালমান খানের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্তদের রহস্যময় মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায় বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।

সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।

গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।


সালমান খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মধ্যরাতে ফেসবুকে তানজিন তিশার রহস্য ঘেরা পোস্ট

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেওয়া বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের। এর আগে পরীমণি, মাহিয়া মাহিকে মাঝরাতে এরকম করতে দেখা গেছে। এবার তালিকায় নাম উঠল তানজিন তিশার। দুপুর রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে তিশা নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি চাইলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প শেয়ার করতে পারি। সেই সাহস এবং প্রমাণ আমার আছে।’ 

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘মনে রেখো আমি তোমার খারাপ কাজের জন্য তোমাকে সবার সামনে রক্ষা করেছি। বিখ্যাত অভিনেতা হওয়ার আগে একজন ভালো ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন।’

তিশার এমন উত্তপ্ত পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেন নেটিজেনরা। কাকে এমন হুমকি দিলেন নায়িকা এমনটা যখন ভাবছিলেন অনেকে তখন দেখা যায় ওই পোস্টটি আর নেই। নিজের ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তুলকালাম বাঁধিয়েছিলেন তিশা। পরে মিটেও যায় তা। অনেকের ধারণা ফের হয়তো তাকে ঘিরেই রাত দুপুরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে রাতের আঁধারেই পোস্ট মুছে দিয়ে বিরত রইলেন অপরাধীর গল্প বলা থেকে। 

বলে রাখা ভালো, মাঝে এই প্রেমজনিত কারণেই ঢাকা মেডিকেলেও ভর্তি হতে হয়েছিল মধ্যরাতে। জানা গেছে, সেই যাত্রায় তিনি আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনও উঠে আসে সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহানের নাম।

তানজিন তিশা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০১৭ সালে মায়ের ইচ্ছায় অভিনয়ে নাম লেখান। তারপর অংসখ্য নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

গত ঈদুল ফিতরে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামের গানটি দ্বৈতভাবে কণ্ঠে তুলেন তাহসান খান ও ফারিণ। গানটি ‘ইত্যাদি’-তে প্রচারের পর গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায়। তারপর গানটি যেন লুফে নেন শ্রোতারা।

এখন পর্যন্ত গানটির মোট ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। দর্শক-শ্রোতারা গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে (মিউজিক) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে গানটি।

বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্রিয় দর্শক, ঈদ উপলক্ষে ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে প্রচারিত সবগুলো গানই আপনারা পছন্দ করেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। গানটির মধ্যে শিল্পী তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি আপনাদের বিচারে সেরা গান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে মিউজিক বিভাগে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে, যা এখনো অটুট আছে।”

গায়িকা হিসেবে ফারিণকে দর্শক এখন চিনলেও অনেক আগে থেকেই গানের চর্চা করেন তিনি। এ বিষয়ে ফারিণ বলেন, ‘আমি কিন্তু নায়িকার আগে গায়িকা। যশোর থেকে ঢাকায় এসেও গানের চর্চা করেছি। দিনের পর দিন গান শিখেছি। জাতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে গান করেছি। গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের কারণে গানের প্রতিভা এতদিন কেউ জানতে পারেনি।’

‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামে গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।

তাসনিয়া ফারিণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন