কালার ইনসাইড

যাদের টাকায় বলিউড চলে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

একটি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি চালায় সেখানকার প্রযোজক। সিনেমা নির্মাণ না হলে তো নায়ক-নায়িকাদেরও খোঁজ থাকতো না। বলিউডে এ সময়ে যারা নামজাদা প্রযোজক ও তাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। তাঁদের গল্প শোনানো হলো আজ:

রনি স্ক্রুওয়ালা ও ইউটিভি: ১৯৯৬ সালে ইউটিভি প্রডাকশন হাউজ শুরু করলেন রনি স্ক্রুওয়ালা ও তার স্ত্রী জেরিনা স্ক্রুওয়ালা। শুরুতে শুধু সিনেমার প্রচারণাতেই ব্যস্ত ছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু একটা সময়ে প্রযোজনার খাতায় নাম লেখান। ১৯৯৭ সালে প্রথম সিনেমা ‘দিল কো ঝারোকা মো’ প্রযোজনা করলেন। তারকা বলতে ছিলেন মনীষা কৈরালা। তবে দ্বিতীয় ছবিতেই চমক দিলেন। নির্মাণ করলেন ‘ফিজা’। কারিশমা কাপুর, হৃত্বিক রোশান, জয়া বচ্চন অভিনীত ছবিটি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। এরপর প্রতিষ্ঠানটি একে একে নির্মাণ করে ,‘চলতে চলতে’, ‘লক্ষ্য’, ‘স্বদেশ’, ‘ডি’, ‘রং দে বসন্তি’, ‘ফ্যাশন’- এর মত বহু প্রশংসিত সিনেমা। ইউটিভিরই অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠান ‘ইউটিভি স্পট বয়’। তারাও ২০ টির অধিক সিনেমা নির্মাণ করেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি বহু ব্যবসাসফল ছবির ডিস্ট্রিবিউটরও। ২৪ বছর প্রতিষ্ঠানটি একহাতে চালিয়েছেন। এরপর তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের পদ থেকে সরে যান। তিনি অন্য ব্যবসায় মন দেন। কিন্তু রনি এখনো নিয়মিত সিনেমা প্রযোজনা করছেন। গত বছর ৫ টি সিনেমা প্রযোজনা করেছেন তিনি। এ বছরে প্রথম হিট ‘উড়ি: দ্যা সার্জিকাল স্ট্রাইক’, সামনে আসছে ‘সঞ্চারিয়া’, ‘ দ্যা স্কাই ইজ পিংক’, ‘ওয়াইল্ড’, ‘রোশনি অর অলক’ সিনেমাগুলো। টেলিভিশনের জন্য নিয়মিত সিরিয়াল নির্মাণ করে এই প্রতিষ্ঠানটি। এমন এক মিডিয়া হাউস যা বহু বছর ধরে টিভি কনটেন্ট, গেমস ব্রডকাস্টিং চ্যানেল, মুভি স্টুডিও চালিয়ে গিয়েছে।

বলিউডের এ সময়ের সবচেয়ে ক্ষমতা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বলা হয় ইউটিভিকে। প্রতিষ্ঠানটির আরেক পরিচিত মুখ সিদ্ধার্থ রয় কাপুর। কম্পানির সিইও ও বহু সিনেমার প্রযোজক তিনি। বিদ্যা বালানের স্বামী বললে আরেকটু বেশি পরিচিত লাগে।

ইরোস ইন্টার ন্যাশনাল ও অর্জন লুল্লা: ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটির জন্ম। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা অর্জন লুল্লা এবং কিশোর লুল্লা। ১৯৭৮ সালে ‘ঘর’ সিনেমার মাধ্যমে সিনেমা প্রযোজনার যাত্রা শুরু। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি বলিউড ছাড়াও. তামিল, তেলেগু, মালায়লাম, কলকাতাসহ ভারতের প্রায় সকল ইন্ডাস্ট্রির জন্য সিনেমা নির্মাণ করে। অর্জন গত বছরের ডিসেম্বরে মৃত্যুবরণ করেন। তবে তিনি জীবিত থাকা অবস্থাতেই তার ছেলে সুনীল লুল্লা সিনেমা প্রযোজনায় নাম লেখান। এখন পর্যন্ত ৩৪ টি সিনেমা তিনিও প্রযোজনা করেছেন। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা ‘বজরাঙ্গি ভাইজান’। ‘মি. ইন্ডিয়া’, ‘পার্টনার’, ‘গান্ধী মাই ফাদার’র মত অসংখ্য সিনেমা নির্মাণ করেছেন তারা। তবে ডিস্ট্রিবিউশন ও কো প্রডিউসার হিসেবে তাদের খ্যাতিটা একটু বেশি।

যশ রাজ ফিল্মস ও আদিত্য চোপড়া: যশ রাজ চোপড়ার হাত ধরে ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। ইয়াশ চোপড়া তার বড় ভাই বিআর চোপড়ার সঙ্গে সহকারী ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠান বিআর ফিল্মস থেকে সিনেমাও নির্মাণ করেছেন। ১৯৭৩ সালে ‘দাগ: পয়েম অব লাভ’ সিনেমার মাধ্যমে যাত্রা শুরু। প্রথম সিনেমাটি যশ চোপড়া নিজেই পরিচালনা করেন। সিনেমাটিতে রাজেশ খান্নার সঙ্গে ছিলেন রাখি ও শর্মিলা ঠাকুর। এরপরের সিনেমাটি ছিল এর চেয়েও বড় সারপ্রাইজ। একই সিনেমায় অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে আছেন রাখি, ওয়াহিদা রহমান, শশী কাপুর, ঋষি কাপুর,  নিতু সিংরা। লম্বা সময় ধরে যশ রাজ ফিল্মস বলিউডে রাজত্ব করেছে। বলিউড ইতিহাসের বড় বাজেটের সিনেমাগুলো এই প্রতিষ্ঠান থেকেই মুক্তি পেয়েছে। ২০১৮ সালটা ভালো যায়নি প্রতিষ্ঠানটির। কারণ, থাগস অব হিন্দুস্থানের মত ডিজাস্টার সিনেমা তাদের খাতায় যোগ হয়েছে। এছাড়া ‘সই দাগা’ ‘হিচকি’ও তেমন ব্যাবসা করতে পারেনি। এ বছর সিদ্ধার্থ আনন্দের হৃত্বিক ও টাইগারকে নিয়ে নাম প্রকাশ না করা সিনেমাসহ ‘মারদানি ২’ , ‘সন্দীপ অর পিংকি ফারার’ সিনেমা মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। আগামী বছরের প্ল্যানে আছে ‘শমসেরা’র মত সিনেমা। অনেকে বলে শাহরুখ খানের উথান এ প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে। কারণ, শাহরুখের সব ব্যবসাসফল সিনেমা এই প্রতিষ্ঠানই নির্মাণ করে।

করণ জোহর এবং ধর্মা প্রডাকশন: এ সময়ের অন্যতম সাকসেসফুল প্রডাকশন হাউজ। এ প্রজন্মের কাছে পরিচিত মুখ করণ জোহর। প্রযোজকের চেয়ে তিনি পরিচালক হিসেবেই নাম কুড়িয়েছেন। তবে তাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি কিন্তু বেশ পুরনো। তার বাবা যশ জোহরের হাত ধরে ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু। প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে রাজ খোসলার,‘দস্তানা’ সিনেমার মাধ্যমে। অমিতাভ বচ্চন, শত্রুঘ্ন সিনহার, জিনাত আমানের সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৮০ সালে। ২০০৪ সালে যশ জোহরের মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই মূলত করণ সিনেমা পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজনাতেও মন দেন। নিজের পরিচালনার সিনেমা ছাড়াও অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা তিনি প্রযোজনা করেছেন।

মহেশ ভাট ও মুকেশ ভাট এবং ভিসেস ফিল্মস: মহেশ ও মুকেশের বাবার নাম ভিসেস। তার নাম অনুসারেই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির নাম করণ করা হয়। ১৯৮৭ সালে দুই ভাই মিলে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। শুরু থেকেই তারা নতুনদের সুযোগ দেন। বলিউড ইন্ডাস্ট্রির একঝাক তারকাকে সুযোগ দেয় এ প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৮ সালে ‘কবজা’ সিনেমা দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের শুরু। এরপরের বছরই মুক্তি পায় ‘আশিকি’। সিনেমাটি রীতিমতো রেকর্ড ব্রেক করে। বিশেষ করে সিনেমার গানগুলো আজও মানুষের মুখে মুখে। একটা সময়ে প্রযোজনার পাশাপাশি পরিচালনাও করতেন তারাই। ‘দস্তক’, ‘গোলাম’, ‘সংঘর্ষ’ ‘মার্ডার’, ‘কিলার’, ‘রাজ’, ‘আওয়ারাপান’, ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমাগুলো তাদের প্রডাকশনেরই। স্বল্প বাজেটের সিনেমা ও সিনেমায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্য রাখার জন্য তারা সমলোচিতও।

এছাড়াও সঞ্জয় লীলা বনশালির,‘বনশালি ফিল্মস’,সুভাষ ঘাইর ‘মুক্তা আর্টস’, বাশু ভগনানীর ‘পূজা ফিল্মস’ রাকেশ রোশনের ‘ফিল্ম ক্রাফট’ কুমার তরানি, রমেশ তরানি,‘টিপস মিউজিক ফিল্মস’, ‘বিধু বিনোদ চোপড়ার ‘বিনোদ চোপড়া প্রডাকশন্স’ আমির খানের, ‘আমির খান প্রডাকশন্স’ যশ জোহর ও করণ জোহরের, ‘ধর্ম প্রডাকশন’, ফারহান আখতার ও রিতেশ সিদ্ধনির ‘এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট’ সতিশ কৌশিকের ‘মেগা বলিউড’ শাহরুখ খান, গৌরি খানের,‘রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট’ সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার ‘নাদিয়াদওয়ালা গ্র্যান্ডসন এন্টারটেইনমেন্ট’, অজিত কুমার বার্জাতিয়া, কমল কুমার বার্জাতিয়া, রাজকুমার বার্জাতিয়ার ‘রাজশ্রী প্রডাকশন্স’ মণি রত্নমের ‘মাদ্রাজ টকিজ’, দিল্লিন মেহতার ,‘শ্রী আস্তাবিনায়ক সিনে ভিশন লিমিটেড’ বনি কাপুরের,‘সাহারা ওয়ান’, সালমান খানের ‘এসকে ফিল্মস এন্টারপ্রাইজ’, একতা কাপুর, শোভা কাপুরের ‘বালাজি মোশন পিকচার্স’, অনুরাগ ক্যাশ্যপের,‘ভায়াকম এইটিন মোশন পিকচার্স’ জন আব্রাহামের,‘জন আব্রাহাম এন্টারটেইনমেন্ট’, ভূষণ কুমারের ,‘টি-সিরিজ’ প্রডাকশন গুলোই নিয়মিত সিনেমা নির্মাণ ও আধিপত্য বজায় রেখেছে বলিউডে।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিশ্রামে যাচ্ছেন বলিউড বাদশাহ!

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান এক বছরেই জাওয়ান, পাঠান এবং ডাঙ্কির মতো হিট ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমা প্রেমিদের। বর্তমানে নতুন ছবির কাজ শুরুর আগে বিশ্রাম নিতে পারেন বলিউডের এই কিং খান। বিশ্রাম সেরে এ বছরের জুনে তিনি তার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং শুরু করতে চান।

শুক্রবার (৩ মে) ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন শাহরুখ খান।

অভিনেতা বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমার একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিত। তিনটি সিনেমা পরপর করে ফেলেছি। যার জন্য আমার শরীরে অনেক ধকল গেছে। আমি কলকাতা নাইট রাইডার্স দলকে বলেছিলাম যে এইবার শুধু মূল ম্যাচে আসব।

সৌভাগ্যবশত, আমার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং আগস্ট থেকে শুরু হবে বা হয়তো জুলাই। যদিও আমরা জুনে শুরু করার প্ল্যান করছি। আমি সব হোম ম্যাচে আসতে চাই কারণ কলকাতা আমার বাড়ির মতো। তবে শাহরুখ ছবির নাম বা অন্যান্য বিবরণ প্রকাশ করেননি।

এদিকে, শাহরুখকে স্টেডিয়ামে প্রায়ই তার ছোট ছেলে আব্রাম নিয়ে আসতে দেখা গেছে।


বলিউড বাদশাহ   শাহরুখ খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে কারিনা কাপুর

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। প্রায় দু'দশক ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে বলিউড ইন্ড্রাষ্ট্রিতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। অবিনেত্রী নিজের মত করেই দায়িত্ব পালন করেন, হোক সেটা বলিউড কিংবা নিজের পারিবারিক স্থান থেকে। কারিনা দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।

শনিবার (৪ মে) নিজেই ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এ খবর জানান কাপুরকন্যা। তিনি লেখেন, আমার জন্য খুব আবেগের একটা দিন। UNICEF-এর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেয়ে আমি ধন্য়।

ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত দশ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন কারিনা কাপুর। শুরুটা হয়েছিল সেই ২০১৪ সালে সেলেব্রিটি অ্যাডভোকেট হিসেবে। এবার সেই পদ থেকেই উত্তরণ হয়ে সরাসরি ইউনিসেফ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের দায়িত্ব পেলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে কারিনা বলেন, গত দশ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছি। গত বছরগুলোতে দেশের শিশু এবং নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের টিম যে কাজগুলো করেছে, তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি প্রতিদিন অনুপ্রেরণা পাই সেগুলো থেকে। আশা রাখি ভবিষ্যতেও এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে যাব।


ইউনিসেফ   রাষ্ট্রদূত   কারিনা কাপুর   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

যশের ছবি থেকে যে কারণে সরলেন কারিনা কাপুর

প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণী সিনেমার রকিং স্টার যশের সিনেমা পুরো বিশ্বে ব্যাবসায় রেকর্ড গড়েছে। ‘কেজিএফ’ ও ‘কেজিএফ ২’ এর পর গীতু মোহনদাসের ‘টক্সিক’ ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন যশ।

জানা যায়, ‘টক্সিক’ এই সিনেমায় যশের বোনের চরিত্রে দেখা যাবে কারিনা কাপুরকে। এমনকী, ‘ক্রু’ ছবির প্রচার চলাকালীন পরোক্ষভাবে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলিউড বেবো নিজেই। কিন্তু সে আশা যেন উড়ে গেল কাপুরের মতো। সম্ভাবনার বাস্তব রূপ আর দেখতে পাবেন না দর্শক।

ড্রাগ মাফিয়াদের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হবে এই সিনেমাটি। স্বাভাবিকভাবেই ‘কেজিএফ’ খ্যাত যশকে নিয়ে উন্মাদনা দর্শকমহলে। সম্প্রতি একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এই সিনেমার নির্মাতার তরফ থেকে। দর্শকের মধ্যে উত্তেজনা দেখে টিম টক্সিক খুবই আনন্দিত। তবে সিনেমাটি নিয়ে কোনো মিথ্যে তথ্য ছড়াতে বারণ করেছেন নির্মাতা।

এদিকে সিনেমার জন্য চলছে জোরদার প্রস্তুতি। ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিনেতাদের বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু যশের বিপরীতে কে অভিনয় করবেন তা নিয়ে শুধু নির্মাতা নয়, যশ-প্রেমীরাও ছিলেন বেশ চিন্তিত। অবশেষে যশের নায়িকা হিসাবে কিয়ারা আদভানি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্মাতা মনে করছেন, যাদের কাস্ট করা হয়েছে তারা শতভাগ উপযুক্ত।

অন্যদিকে ধোঁয়াশা রেখেই সিনেমাটি থেকে সরে গেলেন কারিনা। জানা যায়, তারিখ নিয়ে সমস্যার কারণেই অভিনেত্রীর এমন সিদ্ধান্ত। নির্মাতার তরফেও তারিখ বদল করার কোনও সম্ভাবনা নেই। স্বভাবতই ঘটনাটি নিয়ে কিছুটা হতাশ বেবোর অনুরাগীরা। তার পরিবর্তে কাকে কাস্ট করা হবে সে অপেক্ষায় সিনেপ্রেমীরা।


যশ   কারিনা কাপুর   বলিউড   দক্ষিণী সিনেমা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড অভিনেত্রী রাগিনি খান্না। তার আরেক পরিচয় তিনি বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দর ভাগনি। কয়েক দিন আগে এ অভিনেত্রী ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে দেন। কিন্তু এ ঘোষণা দেওয়ার একদিন পরই নিজ ধর্মে ফেরার কথা জানান এই অভিনেত্রী।

কয়েক দিন আগে রাগিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। তাতে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি ঘোষণা করছি যে, এখন থেকে খ্রিস্টান ধর্মের ঐতিহ্য, রীতিনীতি অনুসরণ করব।

রাগিনি এ ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্ষমা চান। এতে তিনি বলেন, আমি রাগিনি খান্না। আমার পূর্বের রিলস ভিডিওর জন্য ক্ষমা চাইছি। যাতে আমি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের কথা জানিয়েছিলাম। আমি পুনরায় আমার শিকড়ে ফিরে এসেছি। এখন থেকে হিন্দু সনাতন ধর্ম অনুসরণ করব।

রাগিনি খান্না একাধারে মডেল-অভিনেত্রী ও সঞ্চালক। ২০০৮ সালে হিন্দি ভাষার টিভি ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর অনেক সিরিয়ালে কাজ করেছেন।

২০১১ সালে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ‘টিন থাই ভাই’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে। পরের বছরই পাঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন রাগিনি। এরপর আরও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   রাগিনি খান্না  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ব্র্যাড পিটকে পেছনে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শাহরুখ খান

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান। নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।

বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময় শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!

সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা মেলেনি।

‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়। 

এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’


ব্র্যাড পিট   জনপ্রিয়তা   শাহরুখ খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন