নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০১৯
সারাবিশ্বে এই চর্চাটা আছে। হলিউডে তো সবচেয়ে বেশি। হলিউডের পরের স্থানটা ধরে রেখেছে বলিউড। হারহামেশাই সেখানে পরিচালকের প্রেমে পড়ে নায়িকারা। এর মধ্যে বেশিরভাগই একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সম্পর্কে জড়ায়। কেউ কেউ পুরনোকে বাদ দিয়ে নতুন সম্পর্কে জড়ায়। এর মধ্যে অনেকের সংসার টিকে আছে, অনেকেরটা আবার ভেঙ্গেও গেছে। তবে বলিউডের ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার লক্ষণীয়। সিনেমার স্পট থেকে তাদের প্রেম হলেও বিয়ের পরে একসঙ্গে আর কারো তেমন কাজ করা হয়নি। কয়েকটি দম্পতি, যেমন:
মহেশ ভাট-সোনি রাজধান:
সোনি রাজদান এ পর্যন্ত ২৩টি চলচ্চিত্র অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন। অভিনয় করেছেন ছোট পর্দায়েও। তিনি চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক মহেশ ভাটের দ্বিতীয় স্ত্রী। মহেশ লোরেন ব্রাইট কে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান, পূজা এবং রাহুল জন্মায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও দুজনেই বুঝলেন তাঁদের বিয়ে কোনমতেই বাঁচানো যাবে না। এরই মধ্যে নায়িকা সোনি রাজদানের প্রেমে পড়েন মহেশ। কিন্তু প্রথম স্ত্রী কিছুতেই বিবাহবিচ্ছেদ করতে চাইছিলেন না। ফলে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে মহেশ ও সোনির বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়ে শাহীন আর আলিয়া।
দীপ্তি নাভাল- প্রকাশ ঝা:
১৯৮৪ সালে ‘হিপ হিপ হুররে’ সিনেমার সেটে তাদের তাদের প্রেম শুরু হয়। প্রকাশ ঝার সঙ্গে সম্পর্ক ভালোই চলছিল। তাদের দত্তক নেয়া দুটি সন্তান রয়েছে। তবে দীপ্তির সঙ্গে পন্ডিত যশরাজের ভাগ্নে বিনোদ পন্ডিতের সঙ্গে সম্পর্কেও জড়ায়। ২০০২ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেলেও দীপ্তি আর প্রকাশের সম্পর্ক এখনো বেশ ভালো।
কালকি কোয়েচলিন ও অনুরাগ কাশ্যপ:
অনুরাগ‚ কাল্কি প্রেমে প্রেমে পড়েন ‘দেব ডি’ সিনেমার শুটিয়ের সময়। সেইসময় অনুরাগ আরতি বাজাজের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন, কালকির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বিচ্ছেদ হয় আরতির সঙ্গে। দুই বছর লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকার পর ২০১১ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু সেই সম্পর্ক টেকেনি। ২০১৫ সালে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।
রানি মুখার্জি ও আদিত্য চোপড়া:
বহু বছর ধরেই তাঁরা প্রেম করেছেন। কিন্তু প্রেমের কথা কোনদিন স্বীকার করেননি। অবশেষে ইতালিতে চুপিচুপি বিয়ে করে নেন। ২০১৫ সালে মেয়ে আদিরা জন্মায়। প্রযোজক পরিচালক আদিত্যর এর আগেও একটি বিয়ে ছিল। রানী তার দ্বিতীয় সংসার।
উদিতা গোস্বামী এবং মোহিত সুরি:
৯ বছর প্রেম করার পর অবশেষে ২০১৩ সালে বিয়ে করেন। ২০১৫ সালে তাদের দেবী নামে এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। ২০০৫ সালে মোহিতের প্রথম ছবি ‘জাহির’ -এর শুটিং চলাকালীন সময়ে উদিতার প্রেমে পড়েন তিনি।
সোনালী বেন্দ্রে ও গোল্ডি বহেল: দুজনের পরিচয় ‘নারাজ’ ছবির সেটে। তবে সোনালীকে তার অনেক আগ থেকেই পছন্দ করতেন গোল্ডি। বেশ কয়েকবার প্রপোজও করেন। কিন্তু মানাতে পারেননি তখনকার হার্থথ্রুবকে। কিন্তু গোল্ডি হাল ছাড়েননি। অবশেষে ‘নারাজ’ সিনেমায় সফল হন গোল্ডি। ২০০২ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলেও আছে।
রামায়া কৃষনান: বাহুবলির অভিনেত্রী বলে একটু বেশি পরিচিত। রামায়া পরিচালক কৃষ্ণা ভামসিকে বিয়ে করেছিলেন। ‘চন্দ্রলেকা’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তাদের প্রেম শুরু হয়। সেটা ১৯৯৮ সালের কথা। তারা বিয়ে করেন ২০০৩ সালে। সম্পর্কটা এখনো অটুট আছে এই দম্পতির। শাহরুখ খানের নায়িকা হয়েও এই অভিনেত্রী ‘চাহাত’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন।
জেপি দত্ত- বৃন্দিয়া গোস্বামি: বলিউডের সত্তর আশি দশকের অভিনেত্রী বৃন্দিয়া। তিনি প্রথমে বিয়ে করেছিলেন বিনোদ মেহরাকে। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে ‘সারহাদ’ সিনেমার সিনেমার সেটে দেখা হয় জেপি দত্তের সঙ্গে। ১৯৮৫ সালে বিনোদকে ডিভোর্স দিয়ে জেপি দত্তকে বিয়ে করেন এ নায়িকা।
এছাড়াও শেফালি শাহ- বিপুল শাহ, রাখি-গুলজার, রমেশ সিপ্পি- কিরণ জুনেজা, মীনা কুমারি-কামাল আমরোহি, সাধণা- আরকে নায়ার, বিআর ইশারা- রেহানা সুলতানা ও শেখর কাপুর- সুচিত্রারা রয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।
নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।
এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।