কালার ইনসাইড

তারকাদের সংসারের মেয়াদকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ২২ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

হায় হায় ডিভোর্স হয়ে গেল! এই না সেদিন বিয়ে হলো? শোবিজ তারকাদের প্রেম বিয়ে নিয়ে মাথাব্যাথা কারই বা নেই। তারকাদের ডিভোর্সের পরে দু-চারটা মন্তব্য আপনি আমি সবাই দিয়ে থাকি। আর সে সময় সবার যে একটা কমন জিজ্ঞাসা থাকে, সেটা হলো ঠিক কতদিন তার সংসার টিকেছিল? এবং ডিভোর্স ও বিয়ে নিয়ে কোন লেখা চোখে পড়লেই দেখবেন সেই আদ্যিকাল থেকে তারকাদের সংসারের বয়সসীমা হিসেব করা হয়। বয়সসীমা হয়তো তার ভক্তদের কিছুটা পীড়াও দেয়। দেখে নেয়া যাক আমাদের দেশের ডিভোর্স হওয়া তারকাদের সংসারের মেয়াদটা কেমন ছিল…

১৩ দিন: ২০১৭ সালের ১২ মে বৈমানিক পারভেজ সানজারিকে বিয়ে করেছিলেন মিলা ইসলাম। বিয়ের প্রায় ১০ বছর আগে থেকেই তাঁদের পরিচয় ও প্রেম।  কিন্তু বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় মারধর ও যৌতুকের অভিযোগে মিলা মামলা করেন সানজারির বিরুদ্ধে। কারণ হিসেবে বলেন, ১০ বছর সম্পর্কের পর আমরা বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু বিয়ের মাত্র ১৩ দিনের মাথায় জানতে পারি, একাধিক নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক। প্রেমের সময় থেকেই সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করে এসেছে। বিয়ের পরও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমাকে প্রতারিত করেছে। এত বছরের সম্পর্কের পরও যে মানুষ এমন করতে পারে, তার সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকা যায় না। কোনো নববধূই এমন বর প্রত্যাশা করে না। ১৩ দিনের মাথায় তিনি তাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

একমাস: বিয়ের পর মাত্র ২ মাস ১০ দিন অপূর্ব-প্রভা একসঙ্গে ছিলেন। তারপর দাম্পত্য কলহের কারণে প্রায় ৫ মাস তারা আলাদা থেকেছেন। গাজীপুরের পুবাইলে চয়নিকা চৌধুরীর ‘পালিয়ে বিয়ে’ নাটকের শুটিং শেষে মায়ের সঙ্গে বাসায় যান। গভীর রাতে বাসা থেকে অভিনেতা অপূর্বর হাত ধরে প্রভা শুটিং স্পট থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরদিন ভোরে ময়মনসিংহে তারা বিয়ে করেন। সেই সম্পর্ক নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনায় ভেঙ্গে যায়। 

ছয়মাস: ইলিয়াস কাঞ্চন ও দিতির বিয়ে টিকেছিল ছয় মাসের মতো। অথচ দুজনার জুটি ছিল অসম্ভব জনপ্রিয়। একসঙ্গে প্রায় ৩০ টির মোত ছবি করেছেন। দুজনারই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। সন্তানদের কথা চিন্তা করে ডিভোর্স দিয়েছেন।

সাতমাস: তারিন ও সোহেল আরমানের বিয়ে টিকেছিল সাতমাস। অনেকে তার চেয়েও কম সময় দাবি করেন। এই একমাসের মধ্যে তারা পরিবারের অমতে পালিয়ে যায়। এরমধ্যে বিয়ে কর্ম সাড়ে। 

৮ মাস: ২০১৫ সালের ১ আগস্ট হৃদয় খানের সাথে সুজানার বিয়ে হয়। এরপর ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এই আটমাসে তারা পাঁচমাস আলাদা থাকে। লম্বা সময়ের মতো হানিমুন ট্রিপও ছিল তাদের।

একবছর: ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি শখ ও নিলয় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর বছর না ঘুরতেই তাদের ডিভোর্সের খবর পাওয়া যায়। ঠিক কতদিন তারা সংসার করেছিল সে রহস্য অবশ্য আজও অজানা।

অপি করিম ও এক বছর: অপি করিম প্রথমে ড. আশিরকে বিয়ে করেন। কিন্তু বছর না যেতেই ডিভোর্সের খবর রটে। পরবর্তীতে পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জলকে বিয়ে করেন। সেই সংসারও টেকে না একবছর। এরপর এনামুল করিম নির্ঝরকে বিয়ে করেন। বছর না ঘুরতেই ডিভোর্সের খবর শোনা যায়। সর্বসাকুল্যে অপি করিমের একবছেরে ফাড়া যেন কাটে না।

দুই বছর: ১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের চিত্রনির্মাতা রিঙ্গোকে বিয়ে করেন শমী কায়সার। বিয়ের স্থায়িত্ব ছিল দুই বছর। নানা কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে সেই বিয়ে ভেঙে যায়।

ছয় মাস প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল দুই পরিবারের সম্মতিতে লাক্স তারকা নাদিয়া ও  সাফায়াতের বিয়ে হয়। সংসার জীবনের দুই বছর পার হতে না হতেই তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেলো।

২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নির্মাতা রাফসান আহসানের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন হয় স্পর্শিয়ার। একই বছরের ১ অক্টোবর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। আর বিয়ের দু’বছরের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদ হল তাদের। আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হতে দুবছর লাগলেও তার আগে প্রায় একবছরের মতো তারা আলাদা ছিলেন।

ক্ষনিক তবে দিন তারিখ নেই: শাকিল খান ও পপি বিয়ে করেছেন বলে সিনে জগতে রটে আছে। তবে সেই বিয়ে যে খুব বেশিদিন টিকেনি। এরই মধ্যে দুজন দুজার শত্রু হয়ে যায়। তরুণ অভিনেত্রী বৃষ্টির সংসারও টিকেছিল বড়জোর মাস ছয়েক। আফসানা মিমি ও গাজী রাকায়াতের সংসারও টিকেছিল খুব অল্প সময়। সামিনা চৌধুরী ও নকিব খানের বিয়েটাও বছর ঘুরেনি। তবে কবে বিয়ে ও কবে ভাঙ্গলো তার সঠিক ডেট তারিখ পাওয়া যায়নি। ২০০৩ সালে হাবিব প্রথম বিয়ে করেছিলেন লুবায়না নামের এক মেয়েকে। সেই বিয়েও বেশিদিন টিকেনি। তাজিন আহমেদ ডিভোর্স দেন মুন্নাকে। সংসারের বয়স একবছর হয়নি। মুন্না বিয়ে করেন অভিনেত্রী মমকে। তাদেরও সংসার ছিল না খুব বেশিদিনের। প্রেম করে বিয়ে করেন জনপ্রিয় শিল্পী রবি চৌধুরী ও ডলি সায়ন্তনীও। রবি চৌধুরীর পরকীয়া প্রেমের কারণে ডলি ডিভোর্স দেন রবিকে। ব্যান্ড তারকা পার্থ বড়ুয়া-অভিনেত্রী শাবন্তী। উপস্থাপক আনজাম মাসুদ-মডেল, অভিনেত্রী রোমানা। অভিনেতা শাকিল খান- অভিনেত্রী জনা, সঙ্গীত শিল্পী প্রিতম ও সঙ্গীত পাঠিকা সঙ্গীতা। এদের বিয়ের বয়স কারোই বছর পেরোয়নি।

লম্বা সময়ের সংসার, অত:পর ডিভোর্স: জহির রায়হান ১৯৬১ সালে সুমিতা দেবীকে বিয়ে করেন। ১৯৬৬ সালে তাকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করেন সুচন্দাকে। দীর্ঘ ২২ বছরের সংসার জীবন শেষে ২০০৮ সালে বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন হুমায়ূন ফরিদী- সুবর্ণা মুস্তাফা। ফরীদিকে ডিভোর্সের পর নির্মাতা বদরুল আলম সৌদকে বিয়ে করেন সুবর্ণা। বিয়ের ১১ বছরের মাথায় তাহসান- মিথিলার সংসার ভেঙ্গে যায়। শিমুল-নাদিয়া ২০০৩ সালে পরস্পরের প্রেমে পড়েন। দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০০৮ সালে তারা বিয়ে করেন। তবে ২০১৪ সালের মাঝামাঝিতে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ভারতের কলকাতার একটি ক্লিনিকে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় শাকিব-অপুর ছেলে আব্রাম খান জয়ের। ২০১৮ সালে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফেসবুক পেজ হ্যাক, অপসারণের পর যা জানালেন হানিফ সংকেত

প্রকাশ: ০৮:১৭ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হ্যাকারদের কবলে পড়েছিলো জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ। তবে দুর্বৃত্তরা বেশিক্ষণ পেজটি নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি। 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হানিফ সংকেতের পেজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবি পোস্ট করে হ্যাকাররা। কিছুক্ষণের মধ্যেই হানিফ সংকেতের কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ নেয়। 

১ কোটির বেশি অনুসারীর এই পেজটি ফিরে পেয়ে সন্ধ্যা সাতটার হানিফ সংকেতের নামে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পেজটি হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’ ‘আমাদের এই পোস্ট দেওয়ার আগেই অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন, সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’

জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও উপস্থাপনা করেন হানিফ সংকেত। তিনি নাটকও নির্মাণ করেছেন। হানিফ সংকেত করেছেন অভিনয়, লিখেছেন রম্যরচনা।



হানিফ সংকেত   ফেসবুক পেজ হ্যাক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

হানিফ সংকেতের ফেসবুক হ্যাক

প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হ্যাক হয়েছিল। পেজটির দখলে নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবিও পোস্ট করেন হ্যাকাররা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই হানিফ সংকেতের কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

ফেসবুক পেজ ফিরে পাওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পেজটি হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের এই পোস্ট দেয়ার আগেই অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন, সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’

হানিফ সংকেত   ফেসবুক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লাবণ্যময়ী সেই ভাইরাল হাসি নিয়ে মুখ খুললেন পিয়া

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।

রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে উঠে যাওয়া কিংবা যাকে নিয়ে চারদিকে এত হইচই, এবার পিয়া জান্নাতুলই মুখ খুললেন বিষয়টি নিয়ে। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মোটেই আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ বুঝি, যারা ২ সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে আবার ১ সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।

পিয়ার ভিডিওটি দেখে তরুণদের একটি বড় অংশ তাকে ‘জাতীয় ক্রাশ’বলে ডাকছেন। কেউ কেউ তো সোশ্যালমিডিয়ায় অবলীলায় লিখেও ফেলছেন, ‘প্রেমে পড়ে গেলাম। আহ্ কী হাসি!’

বিষয়টিকে ‘দোষের’ দেখছে না পিয়া জান্নাতুল। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি কনটেন্ট বা রিলস যে যেটাই তৈরি করছেন, তাদের বেশিরভাগই তরুণ-যুবক। আর তাদের জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।

পিয়া আরও বলেন, আসলে এগুলো এখন ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে। আর যখন যে ট্রেন্ড আসে, সবাই সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে দোষের কিছু দেখছি না।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জিতে আলোচনায় আসেন পিয়া জান্নাতুল। এরপর ২০০৮ সাল থেকে র‍্যাম্প মডেলিং দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। পরবর্তীতে ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ারও সাফল্য অর্জন করেন।


ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন   পিয়া জান্নাতুল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগেই আটকে গেল রায়হান রাফির ‘অমীমাংসিত’

প্রকাশ: ১১:১৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।

গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’

রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’

‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে। (৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। (৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।


অমীমাংসিত   রায়হান রাফি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৯:৪৩ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাসসের খবর অনুযায়ী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ।

ইরাকের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এএফপি’কে এই কথা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর জন্য পরিচিত হয়েছিলেন।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেয়।

ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার অভিযান শুরু করে।

টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।


টিকটক তারকা   হত্যা   ইরাক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন