কালার ইনসাইড

‘চাইলেও ফুল টাইম অভিনেতা হতে পারবো না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯


Thumbnail

অমিতাভ রেজার ‘ঢাকা মেট্রো’ চলছে এখন হইচইতে। নেভিল ফেরদৌস হাসান এই ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছেন। তবে অভিনয়ে তিনি মোটেও নতুন নয়। কর্পোরেটে ব্যস্ত এই মানুষের অভিনয়ে পথচলার গল্প বলেছেন তিনি নিজে।

অভিনয়ের শুরুটা কিভাবে?

২০০৪ সালের শেষের দিকে গিয়াস উদ্দীন সেলিম ভাই ‘সংশয়’ নামে একটি সিরিয়াল বানাবেন। যেখানে জয়া আহসান, ফজলুর রহমান বাবু ভাইরা ছিলেন। তখন একটা ক্যারেক্টারের জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন তিনি। পরিচিত মুখ নিয়ে ওই ক্যারেক্টারটা পরিচালক করতে ইচ্ছুক ছিলেন না। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ভাইর সঙ্গে আগেই পরিচিত ছিলাম। সরয়ার ভাই আমার কথা সেলিম ভাইকে বলেন। সেলিম ভাই তখন আমার অফিসে এসে দেখা করলেন। অনেক আড্ডা কথা বার্তা হলো। প্রথমে বলেননি যে এই চরিত্রটা করতে হবে। কিছু অবজারভেশনের পর জানালেন চরিত্রটা করতে পারবে কিনা। অফার পেয়ে না করিনি। কেন নয়। করতেই পারি। চেষ্টা তো করতে পারি। ওই নাটকটা খুব হিট হয়েছিল। ওই সময় জয়াও এই নাটকটি থেকে বেশ লাইমলাইটে চলে আসে।

তারপরের পথচলা?

তারপরে প্রচুর কাজের অফার আসতে থাকে। চাকরি সামলিয়ে বেশ কিছু করিছিও। আফসানা মিমির ‘স্পর্শের বাইরে’, ‘লাবন্য প্রভা’, গিয়াস উদ্দীন সেলিমের ‘জনক বাবুর জনরা’, অমিতাভ রেজার ‘মায়েশা’, ‘সারফেস’, ‘শেষ আড্ডা’, মেজবাউর রহমান সুমনের ‘রেলস্টেশনে শোনা গল্প’সহ আরো অনেক কাজ করা হয়েছে। আমি তো ফুল টাইম অ্যাডর্ভাটাইজিংয়ে কাজ করি। চাইলেও ফুল টাইম অভিনেতা হতে পারবো না। ২০০৪-০৫ এর দিকে চেষ্টা করলে হয়তো ফুল টাইম অভিনেতা হতে পারতাম। কিন্তু যখন দেখলাম অনেক কাজের অফার আসছে তখন আসলে অ্যাডভার্টাইজিংয়েই বেশি মনোযোগি হই। কারণ সেটা আমার কাছে প্রয়োরিটি বেশি ছিল। তখনই আস্তে আস্তে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছি। এখন তো একদম হাতে গোনা বছরে একটা দুইটা করতে চাই। তাও যদি পরিচালক কিংবা গল্প পছন্দ হয়। তখন সেটা অ্যাডভার্টাইজিংয়ের ওখান থেকে একটু ছুটি নিয়ে করি। সামনেও এভাবেই করার ইচ্ছে আছে। ফুল টাইম অ্যাক্টর আসলে কখনো হওয়া হবে না মনে হয়।

‘ঢাকা মেট্রো’র প্ল্যানিং নাকি হয় অনেক বছর আগে?

২০০২-০৩ সালের দিকের ঘটনা। আমার সাদা রংয়ের একটা করোলা গাড়ী ছিলো। ওইটা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও যাওয়া হতো। তখন যে আমার ক্যারেক্টারটা ছিল, অ্যাডভার্টিজিং, করপোরেটে কাজ করি। এত ব্যস্ত, যদি একদিন সবকিছু ছেড়ে চলে যাই। কেমন হবে সামনের পথটা। পরিচালক অমিতাভ রেজা দীর্ঘদিনের বন্ধু। সেই সময়ে নিয়মিত আড্ডা হতো। আমার সামনে যা কিছু ঘটতে পারে বলে ওর ভাবনায় এসেছে। আর ওই গাড়িটার যে নেমপ্লেট ছিলো। সেই নামেই একটা গল্প আমাকে নিয়ে ভেবে রাখে। আর সেই গল্পটা নিয়ে ও বিভিন্ন সময়ে ভাবছিলো সিনেমা করবে। কিন্তু সেটা নানা কারণে হয়নি। ফাইনালি এবার হলো ওয়েব সিরিজ।

শুটিং অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

ওয়েব সিরিজটির ১১ দিন শুটিং ছিলো দিনাজপুরে। এর আগে ওখানে কখনো যাওয়া হয়নি। এত সুন্দর একটা জায়গা। আর মানুষজনও এত ভালো। তারা বেশ প্রগতীশীল। শুটিংয়ের জন্য ভোর পাঁচটায় উঠতে হতো। গ্রামে ভোরে উঠে পরিবেশটা দেখা সত্যই মুগ্ধতায় ভরা ছিল। সাধারণত এত ভোরে ঘুম থেকে উঠি না। শুটিংয়ের জন্য উঠলাম। সকালে উঠে আমরা শুটিং শুরু করতাম। সন্ধ্যার আগে শুটিং শেষ হয়ে যেত। তারপর রাতে আড্ডা দিতাম। তখন নানা ধরনের কথা হতো। অনেক স্মৃতিচারণ হতো। আমাদের গল্পটা যেমন শহুরে জীবন থেকে ছুটির। তেমনি শুটিংয়ের সময়ও আমাদের ছুটি মিলেছিল।



অপি করিমের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

পরিচালক অমিতাভ রেজা যেমন দীর্ঘদিননের বন্ধু। তেমনি অপি করিমের সঙ্গেও বন্ধুত্ব ও পরিচিতি অনেক দিনের। এর আগেও অপি করিমের সঙ্গে অভিনয় করা হয়েছে। এছাড়াও অফিসিয়ালি তার সঙ্গে পরিচয়ও বহুদিন আগে থেকে। সেখান থেকে যখন একসঙ্গে অভিনয় করা হলো। সে খুবই পাওয়ার ফুল একজন অভিনেত্রী। আমি যেমন কোন প্ল্যান ছাড়া অভিনয় করি। ও তো অভিনয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস। ও ভালো করবে সেটা তো আমাদের সবার জানা কথাই ছিল। কো আর্টিস্ট হিসেবে অপি ভীষণ সাপোর্টিভ। ছোট ছোট অনেক বিষয় আছে। যেমন আমার ক্লোজআপ নিচ্ছে। বিপরীত পাশে ওর যখন ক্লোজআপ নেওয়া হয়েছিল। সেটাই সে আমার ক্লোজআপের সময়ও দিবে। যাতে আমার প্রোপারটা দিতে পারি। অনেক সময় তো এটা অনেকে দিতে চায় না।

অ্যাডভার্টাইজিংয়ের ক্যারিয়ার ২০ বছর হয়ে গেছে। শুরু হয়েছিল কিভাবে?

সেটাও সিরিয়াসভাবে শুরু করা হয়েছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকোনোমিক্সে পড়াশুনা শেষ করে জিআরই করছিলাম। বিদেশে গিয়ে পিএইচডি করার ইচ্ছে। ওই সময় এক বন্ধুর পরামর্শ দেয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছি। সে বর্তমানে আমেরিকাতে আছে। আমার ক্রিয়েটিভ কাজের প্রতি সবসময়ই একটা আগ্রহ ছিলো। সেটা ক্লাস ফ্রেন্ডরা সবাই জানতো। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছবি আঁকতাম, গান গাইতাম, গিটার বাজাতাম। সে পরামর্শ দিলো, তুই যে কয়দিন বাংলাদেশে আছোস। এক বছর তো সব কিছু গুছিয়ে বিদেশ যেতে লাগবে। এশিয়াটিকে সিভি দিতে পারিস। বন্ধুরাই সিভি বানিয়ে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে ডাক আসে। ওখানে চাকরিটা হয়ে যায়। চাকরিটা বেশ উপভোগ্যই মনে হলো। কিন্তু এর মাঝে বিদেশ যাওয়া ভুলেনি। যখন ভিসার জন্য দাড়ালাম। তখন এশিয়াটেকে চাকরি ছেড়েও দিয়েছিলাম। কিন্তু পরপর দুইবার চেষ্টাতেও ভিসা পেলাম না। না পাওয়ার পর এশিয়াটেকের সারাহ যাকের ম্যাম ডেকে বললেন, কি করবে। তুমি যদি চাও, তোমার এখানকার জবটা কন্টিনিউ করতে পারো। তখন আবার কন্টিনিউ করলাম জবটা। তারপর থেকে তো চলছে এই কাজ। আমার প্রফেশন নিয়ে আমি খুবই খুশি। আমার সে সময়ের সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো না।

বর্তমানে এশিয়াটেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে আছেন। সামনের দিনের প্ল্যানিং কী?

ঢাকা মেট্রোর সামনে আরেকটি সিজন হওয়ার কথা আছে। সেটা হলে অবশ্যই করা হবে। এছাড়া সিলেক্ট কিছু ভালো কাজ অবশ্যই করতে চাই। এখন প্ল্যান সামনে পাঁচ বছরের মধ্যে আমি আমার যে শখগুলো আছে। যেটা আমার প্যাশন ছিলো কলেজ ভার্সিটি লাইফে। সেগুলোর প্রতি আরো যত্নশীল হবো। সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করবো। সেগুলোতে সচেতনভাবে আরো সময় দিয়ে করবো।

আপনি তো মিউজিশিয়ানও…

পার্টটাইম মিউজিশিয়ানও বলা যায়। একটা ব্যান্ডও আছে। ব্যান্ডের নাম ‘দ্যা সারোগেট ব্যান্ড’। অ্যালবামের কাজ অনেক আগে শুরু করা হলেও শেষ করা হচ্ছে না যথেষ্ট সময়ের জন্য। ক্লাাসিক রক গানগুলো একটা সময় কাভার করতাম। গান গাই, গিটার বাজাই। এখন পিয়ানো বাজানো শিখছি। আঁকাআঁকিটাও নিয়মিত করা হয়। ছবি তুলতে ভীষন পছন্দ করি।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফেসবুক পেজ হ্যাক, অপসারণের পর যা জানালেন হানিফ সংকেত

প্রকাশ: ০৮:১৭ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হ্যাকারদের কবলে পড়েছিলো জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ। তবে দুর্বৃত্তরা বেশিক্ষণ পেজটি নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি। 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হানিফ সংকেতের পেজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবি পোস্ট করে হ্যাকাররা। কিছুক্ষণের মধ্যেই হানিফ সংকেতের কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ নেয়। 

১ কোটির বেশি অনুসারীর এই পেজটি ফিরে পেয়ে সন্ধ্যা সাতটার হানিফ সংকেতের নামে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পেজটি হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’ ‘আমাদের এই পোস্ট দেওয়ার আগেই অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন, সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’

জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও উপস্থাপনা করেন হানিফ সংকেত। তিনি নাটকও নির্মাণ করেছেন। হানিফ সংকেত করেছেন অভিনয়, লিখেছেন রম্যরচনা।



হানিফ সংকেত   ফেসবুক পেজ হ্যাক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

হানিফ সংকেতের ফেসবুক হ্যাক

প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হ্যাক হয়েছিল। পেজটির দখলে নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবিও পোস্ট করেন হ্যাকাররা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই হানিফ সংকেতের কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

ফেসবুক পেজ ফিরে পাওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পেজটি হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের এই পোস্ট দেয়ার আগেই অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন, সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’

হানিফ সংকেত   ফেসবুক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লাবণ্যময়ী সেই ভাইরাল হাসি নিয়ে মুখ খুললেন পিয়া

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।

রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে উঠে যাওয়া কিংবা যাকে নিয়ে চারদিকে এত হইচই, এবার পিয়া জান্নাতুলই মুখ খুললেন বিষয়টি নিয়ে। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মোটেই আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ বুঝি, যারা ২ সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে আবার ১ সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।

পিয়ার ভিডিওটি দেখে তরুণদের একটি বড় অংশ তাকে ‘জাতীয় ক্রাশ’বলে ডাকছেন। কেউ কেউ তো সোশ্যালমিডিয়ায় অবলীলায় লিখেও ফেলছেন, ‘প্রেমে পড়ে গেলাম। আহ্ কী হাসি!’

বিষয়টিকে ‘দোষের’ দেখছে না পিয়া জান্নাতুল। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি কনটেন্ট বা রিলস যে যেটাই তৈরি করছেন, তাদের বেশিরভাগই তরুণ-যুবক। আর তাদের জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।

পিয়া আরও বলেন, আসলে এগুলো এখন ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে। আর যখন যে ট্রেন্ড আসে, সবাই সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে দোষের কিছু দেখছি না।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জিতে আলোচনায় আসেন পিয়া জান্নাতুল। এরপর ২০০৮ সাল থেকে র‍্যাম্প মডেলিং দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। পরবর্তীতে ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ারও সাফল্য অর্জন করেন।


ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন   পিয়া জান্নাতুল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগেই আটকে গেল রায়হান রাফির ‘অমীমাংসিত’

প্রকাশ: ১১:১৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।

গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’

রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’

‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে। (৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। (৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।


অমীমাংসিত   রায়হান রাফি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৯:৪৩ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাসসের খবর অনুযায়ী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ।

ইরাকের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এএফপি’কে এই কথা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর জন্য পরিচিত হয়েছিলেন।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেয়।

ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার অভিযান শুরু করে।

টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।


টিকটক তারকা   হত্যা   ইরাক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন