নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৪ পিএম, ১৪ মে, ২০১৯
দর্শকপ্রিয় অভিনেতা তারিক আনাম খান। তিনি আবারও বিয়ে করবেন! তাও আবার হাঁটুর বয়সী স্পর্শিয়াকে! তবে তা সিনেমার গল্পে দেখা যাবে। তারিক আনাম খান এবং স্পর্শিয়া জুটি-বেঁধে নতুন ছবিটিতে অভিনয় করছেন। অনন্য মামুন পরিচালিত এ ছবিটির নাম ‘আবার বসন্ত’। এই ছবির গল্প বললেন তারিক আনাম খান।
‘আবার বসন্ত’ সিনেমাটি কেন করা?
একজন অভিনেতার তো আকাঙ্খা থাকে লীড ক্যারেক্টার, তাকে নিয়ে গল্প, তাকে ঘিরে গল্প, তার দু:খ যন্ত্রণা হতাশা সবকিছুই যেখানে থাকে সেটা যেকোন অভিনয়শিল্পী পছন্দ করবে। আমার কাছে স্ক্রিপ্টটা পাওয়ার পর তেমনটা মনে হয়েছে বলে করা। আমাদের অভিনয়শিল্পীদেরও তো এক ধরনের সামাজিক বক্তব্য থাকে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকে। মানুষের কল্যান মঙ্গলের জন্য কিছু করার তাড়না থাকে। সেইটার সঙ্গেও খুব সুস্পষ্ট বক্তব্য আছে যেটা বর্তমান সমাজের খুব ভালো প্রযোজ্য। এর সঙ্গে সিনেমার যেটা দরকার, এন্টারটেইনমেন্ট। সেটাও খুব পরিস্কার। সুন্দর আনন্দ বিনোদনও থাকবে।
সিনেমাটির গল্প কী?
ষাটোর্ধ একজন ব্যক্তি যার জীবনের শুরুর দিকে অনেক ঝড় যাপ্টা গেছে। কিন্তু সে নিজের চেষ্টাতেই কাজ কর্ম করে তিনি সফল হয়েছে। কিন্তু সন্তান এবং সংসারের জন্য নিজের বসন্তগুলো নিয়ে তিনি কখনো ভাবেননি। যখন দুই ছেলে একমেয়ে স্টাবলিশড হয়ে গেছে। তাদের নাতি নাতনি হয়ে গেছে। তারা যে যার জীবনে ব্যস্ত। প্রবীণ লোকটির আর সমময় কাটে না। ৬০ বছর পরেও তিনি ভালো প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি অ্যাওয়ার্ডও পায় বিজনেস সেক্টরে। কিন্তু প্রচন্ড রকমের একাকিত্ব, রাত কাটে তার মৃত্যুর কথা চিন্তা করে। তিনি ভাবে যে একদম আমাকে নিয়ে ভাববার কে আছে। সেই জায়গা থেকে একাকিত্ব অসহায়ত্ব, সবকিছু মিলিয়ে তাকে একটি কষ্টের মধ্যে রাখে। তখন সে পরিবারকে জানায় সে একজন সঙ্গী চায় এবং তার যে জীবনের বাকিদিনগুলো। যতদিন সে বাঁচবে, ততদিন তিনি তার সুখ ও দু:খগুলো কারো সঙ্গে বন্টন করে পাশাপাশি থেকে সে কাটাতে চায়। এইটাতেই ছেলে মেয়েরা রিঅ্যাক্ট করে। এই লোকটির স্ত্রী মারা গেছে প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে। অনেক বড় বাড়ি চাকর বাকর সবই আছে। সেখান থেকেই বিভিন্ন ঘটনা আবর্তিত হয়। একটা সাইটে সে বিজ্ঞাপন দেয় পাত্রী চেয়ে। এই সূত্র ধরেই স্পর্শিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। এই দুজনার একটা সম্পর্ক ও বোঝাপড়া তৈরী হয়। স্পর্শিয়ার জীবনেও একটা গল্প আছে। যার কারণে দুজন পাশাপাশি চলতে থাকে তারপর শুরু হয় দ্বদ্ব।
সহ-অভিনেত্রী হিসেবে স্পর্শিয়া কেমন করেছেন?
স্পর্শিয়া খুবই ভালো করেছে। সেটা শুধু আমি একা নয়, যারা টুকটাক সিনেমাটি দেখেছেন। বিশেষ করে সেন্সর বোর্ডের তারাও খুব প্রশংসা করেছেন। সবাই হয়তো সাহস করে না। এই বয়সী একটা মেয়ে সিনিয়র কারো সঙ্গে অভিনয় করবে। সেক্ষেত্রে আমাদেরই পরিচিত আরেকটি মেয়ে নাকি করতে রাজিও হয়নি। স্পর্শিয়া সেখানে সাহসী ও খুব স্বাভাবিকভাবে কাজটি করতে পেরেছে। যার কারণে আমি কমফোর্টলি অভিনয়টা করতে পেরেছি। ও এই চ্যালেঞ্জগুলো নিতে পারে সাধারণত। বৃত্তের বাইরে কাজ করতে চায়। ফর্মূলার বাইরে কাজ করে সেটা খুব ভালো দিক।
‘আবার বসন্ত’র গল্প কি আপনার আশেপাশে ঘটে?
আমি নাম বলবো না। আমার পরিচিতও একজন বয়সে ছোট হবে। ওর বাবাকে নিয়েও এমন একটা জটিলতা শুরু হয়েছিল। আমার খুবই ঘনিষ্ঠ একজন। যিনি এখন নেই। তাকে দেশের বাইরে হসপিটালে যখন চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে তখন জিজ্ঞেস করলো ওনার স্ত্রী কোথায়? তখন ওনার সঙ্গে থাকা ছেলেমেয়েরা বললো উনি মারা গেছেন ২০ বছর আগে। তখন ডাক্তার খুব বকা দিয়েছিলেন। তিনি ইংরেজি বলছেন, তোমরা তো খুব নিষ্ঠুর লোক। তোমার হাজবেন্ড আছে, বাচ্চা পরিবার আছে। তাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকো। কিন্তু এই মানুষটাকে কিভাবে এমন একা রাখলে।
আপনার বয়সী একজন মানুষের গল্প, আপনার অনুভূতি কী?
সন্তানকে মানুষ করার জন্য আমাদের সবচেয়ে ভালো যে সময়টা থাকে। সোজা কথায় ‘যৌবন’ বলতে পারি। সেই সময়টা কি করে সন্তান মানুষ করবো। কিভাবে ভালো স্কুলে ভর্তি করবো এই নিয়েই তার সময়টা কেটে যায়। ছেলে মেয়েরা তো ভাবা মায়ের যত্ন নিলেও অনেক সময় ওভাবে চিন্তা করতে পারে না। হয়তো আমরাও ওভাবে বাবা মাকে নিয়ে ভাবতে পারিনি। যখন আমরা তরুন ছিলাম। আমার বাবা ও মা দুজনেই মারা গেছেঁন। বৃদ্ধাশ্রমেও পাঠিয়ে দেওয়া হয় অনেকের বাবা মাকে। এগুলো আসলে আমার তোমার সবার গল্প।
সিনেমাটি মানুষ কেন দেখবে?
এখন সিনেমার পরিবর্তন হয়েছে। এখানে সমাজকে নিয়ে বলা হয়েছে। তবে সেটা যে খুব সিরিয়াসভাবে বলা হয়েছে তা নয়। অনেক অনেক জায়গা আছে খুব কমিক একটা সিচুয়েশন তৈরী হয় চিত্রনাট্যেও কারণে। যেটাতে সমাজকে খুব রিফ্লেক্ট করে। যারা একটু আধুনিক মানুষ ভাবনার খোড়াক চান। আবার বিনোদনও চান তাদের কাছে খুব ভালো লাগবে বলতে পারি। সামাজিক বাস্তবতা যেমন আছে তেমনি আবার চমৎকার বিনোদন আছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন