নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৪ পিএম, ১২ জুন, ২০১৯
ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আর বাংলাদেশ থেকে তাদের দিকে চেয়ে কোটি মানুষ। ক্রিকেট দলকে নিয়ে কত প্রত্যাশা কত স্বপ্ন। শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও চেয়ে আছেন বাংলাদেশ দলের দিকে। গত তিনটি ম্যাচ দেখেছেন এমন কয়েকজন তারকা জানালেন তাদের অনুভূতি।
ওমর সানী: ইংল্যান্ড তো বাংলাদেশের সঙ্গে চারশো রান করে ফেলতো। এত বড় স্কোর যখন বিপক্ষ দল করে। তখন নিশ্চয়ই বুঝতে হবে বোলিংয়ে গাফিলতি আছে। বোলিংয়ে দুর্বলতা আছে। সেখানে কিভাবে আমরা উন্নতি করতে পারি সেটা ভাবতে হবে। এত বড় স্কোর কিন্তু সচরাচর হয় না। যেটা ইংল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে করে ফেললো। আবার আমার কেন যেন মনে হচ্ছে ওভার কনফিডেন্সটা আমাদের কিছুটা ভোগাচ্ছে। সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়টাকি ভাবিয়েছে যে যেকোন প্লেয়ারই পারফর্ম করতে পারে বাংলাদেশের? কারণ যখনই আমি দেখছি প্রথম দুই চারজন ভালো রান করছে না, তখনই টিম ধুমরে মুচরে যাচ্ছে। কেউ আর দাড়াতে পারছে না। আমি মনে করি বিশ্বের যেকান দলের চেয়ে গড়পরতা বাংলাদেশের বোলিং খারাপ নয়। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের সঙ্গে যে আমরা এত বড় ব্যবধানে হারলাম। বাংলাদেশের বোলিংয়ের যে বৈশিষ্ঠ। রান চাপিয়ে রাখা। সেটাই তারা আজকাল পারছে না। এটা কিন্তু প্রতিটা ম্যাচে ভোগাবে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে কিছু দুর্বলতা তো আছেই। তবে এই মুহূর্তে আমি বোলিংয়ে সংকট দেখতে পাচ্ছি। কিছু চেঞ্জ আনা উচিত। একটু এদিক ওদিক করলে বিপক্ষ দলের গেম প্লানেও কিন্তু অনেক সমস্যা হয়। একটা সময় হয়তো বিপক্ষ দল আমাদের নিয়ে খুব বেশি ছক আকতো না। এখন আমি মনে করি বাংলাদেশকে তারা গভীরভাবে স্টাডি করেই মাঠে নামে।
চঞ্চল চৌধুরী: বাংলাদেশ দুর্ভাগ্যক্রমে পরপর দুটি ম্যাচ হারলো। কিন্তু আমার কেন যেন মনে হয় এই দুটি ম্যাচে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ছিল। ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশে যে ২৮০ করলো। ইংল্যান্ডের অত রান তাড়া করতে গিয়ে এটা করেছে। বাংলাদেশ যদি আগে ব্যাট করতো, আমার মনে হয় ৩০০ করার সামর্থ্য ছিল। সেটা তখন ইংল্যান্ডের জন্য একটু হলেও চাপ হতো। যেমন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচটায় দেখেছি। আমি ক্রিকেটার বা ক্রিকেট বোদ্ধাও নয়। তবে সাধারণ জ্ঞান থেকে আমি বলতে পারি যে বাংলাদেশ ম্যাচে যেকোন সময় ঘুরে দাড়াতে পারে। দুই ম্যাচ হারার পরে নিশ্চয়ই টিম ম্যানেজমেন্টের অনেক ভুল ত্রটি চোখে পড়েছে। সেগুলো দ্রুত শুধরে ঘুরে দাড়াতে পারে বলে মনে করি। সাকিব আল হাসান টানা ভালো খেলছে। দেখা গেল সামনের ম্যাচে আমরা তামিমের কাছ থেকে বড় স্কোর আশা করতে পারি। যেটা তামিম পারছে না বিশ্বকাপে। নতুনরা নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না। তারা গুটিয়ে আছে। তারা যদি এই সুযোগে নিজেদের প্রমান না করতে পারে। তাহলে সেটা দু:খজনক। আমি বাংলাদেশ টিমকে নিয়ে এখনো আশাবাদি। কারণ অতীতের যেকোন সময়য়ের চেয়ে এবার বেস্ট টিম গেছে বাংলাদেশ থেকে। সবচেয়ে অভিজ্ঞ টিম বাংলাদেশের। ঘুরে দাড়াবে আশা রাখি।
সুমি (চিরকুট): বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কাপে খেলছে এটা আমাদের জন্য গর্বের। বহু বছর ধরেই কোন একটা স্পোর্টস মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড কাপে খেলছে সেটা তো ভালো লাগার বিষয় আছেই। যদি আমরা সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স নিয়ে কথা বলি। বিশেষ করে এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে। তাহলে সমর্থক হিসেবে বলবো ধৈর্য ধরা উচিত। আমরা সমর্থকরা ভালোবাসি বলেই অনেক কিছু বলি। কিন্তু যারা মাঠে খেলে তাদের জন্য জয় পাওয়াটা কিন্তু এত সোজা ব্যাপার নয়। মাঠে যারা খেলে তারা নিশ্চয়ই বাংলাদেশের জন্য বেস্টটাই করার চেষ্টা করে সবসময়। সামনে আমাদেও অনেকগুলো খেলা আছে। আমরা আশা করি ওখানের কমপক্ষে দুই তিনটা ম্যাচে আমরা জিতবো। এতটকু আশা করতে পারি এই মুহুর্তে বাংলাদেশের টিম থেকে। আমরা প্রথম ম্যাচে জয় পেলাম। সেটা তো ভালো লাগা আছেই। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। সেটা বেশ ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের প্রথমে ব্যাটিংটা তেমন ভালো হলো না। তারপর বোলিংয়ের শুরুটাও কোন আশা দেখাতে পারছিল না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যেভাবে ঘুরে দাড়ায় সেটা অসাধারণ ছিল। আমার মনে হয় এই বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ এভাবে ঘুরে দাড়ানোর সামর্থ্য রাখে। তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের সঙ্গে টসে জিতে ব্যাটিংটাই নেওয়া উচিত ছিল বলে আমি মনে করি। কারণ ওদের ব্যাটিং যে লাইন আপ, সেখানে প্রেসার না নিয়ে খেলেছে। যা ওদের এত বড় স্কোর গড়ে দিল। আর আমরা ম্যাচের অর্ধেক সময়ই হেরে গেলাম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেলকে দরকার ছিল। রুবেল বরাবরই বাংলাদেশের যদি কেউ ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভালো বল করে, সে হচ্ছে রুবেল। সামনের ম্যাচগুলোতে এই দিকটায় ভাবা উচিত বলে মনে করি। আশা শেষ হয়ে যায়নি। এখনো আমরা ঘুরে দাড়াতে পারি। টিমকে ভালোবেসে পাশে থাকতে হবে।
রওনক হাসান: শুরুটা খুবই ভালো ছিল। ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর সেভাবেই বিশ্বকাপের শুরুটা ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আমাদেও কামব্যাকটাও ভালো ছিল। ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমার মনে হয় কিছু পরিবর্তন দরকার ছিল। ওয়ার্ল্ড কাপের মতো এমন বড় একটা প্ল্যাটফর্মে আমার মনে হয় এক্সপেরিয়েন্স প্লেয়ারদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত ছিল। মিঠুন, মোসাদ্দেকদের বদলে মনে হয় সাব্বির লিটনদের সুযোগ দিলে ভরসাটা বাড়তো। রুবেলকে মিস করি। রুবেল দেখা যায় ম্যাচের শেষের দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারে। রুবেল হয়তো কিছুটা রান চাপিয়ে রাখতে পারতো। মিঠুন ও মোসাদ্দেককে তো দেখলাম তিনটা ম্যাচ। তারা আসলে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেনি। তারা যে খেলতে পারে না ব্যাপারটি তা নয়। টানা সুযোগ দিতে থাকলে হয়তো একটা ম্যাচে ভালো খেলবে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে ধারাবাহিকতা আশা করতে পারছি না কেন যেন। আরেকটি কথা যে আমাদের দলে এতগুলো অলরাউন্ডার না রেখে মনে হয় একজন বোলার বাড়ানো উচিত। বোলিংয়ে কিন্তু দুর্বলতা পাই। আর ব্যাটিংয়ে প্রথম যে কয়জন আছে তারা ভেঙ্গে পড়লে আসলে খুব বেশি আশা করার মতো কিছু থাকে না। আমার মনে হয় দলে এতগুলো অলরাউন্ডার না রেখে সলিড একজন ব্যাটসম্যান ও একটা বোলার বাড়ানো দরকার। আমরা কি কৌশলের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছি কিনা সেটাও ভাবা দরকার। দ্বিতীয় ম্যাচে উইনিং কম্বিনিশন রাখা হয়েছে ভালো কথা। কিন্তু থার্ড ম্যাচে কিছুটা পরিবর্তন রাখা উচিত বলে মনে করি। ইংল্যান্ডের এক এক মাঠের এক এক রুপ। সেটা মাথায় রেখে দল করা উচিত। সেখানে যে কেই বাদ পড়তে পারে। যাই হোক আমি আশাবাদি যে এই টিমটা সেমিফাইনাল খেলার শতভাগ যোগ্যতা রাখে।
মৌসুমী হামিদ: এই মুহূর্তে বাংলাদেশ অন্যতম সেরা টিম। প্রত্যেকটা প্লেয়ার অভিজ্ঞ এবং নিজেদের প্রমান করা। বাংলাদেশ কিন্তু মাঠে নামছে আকাশ পাতাল ব্যবধান নিয়ে নয়। একটা সময় যেটা ছিল, হারালেও হারাতে পারে। সেটাকে সবাই ‘এক্সিডেন্ট’ বলতো। এখন কিন্তু সেই সুযোগটা নেই। বাংলাদেশ জয়ের টার্গেট নিয়েই মাঠে নামে। সেখানে পরপর দুটি ম্যাচ হেরে গেছে মানে এই নয় যে, আমরা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছি। ভারত যেমন টানা জয় পাচ্ছে, আবার কিন্তু পরপর দুটি ম্যাচ হেরেও যেতে পারে। দু:খজনক ব্যাপার হলো আমরা যারা সমর্থক, তারা অত্যাধিক পরিমানে রিঅ্যাক্ট করি। যখন জিতে তখন প্রশংসায় ফেসবুক ভরে যায়। আবার যখন হারে, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধুইতে থাকে। সাকিব আজকে ভালো খেলছে তার প্রশংসায় ভরে যাবে, কাল খারাপ খেললে তাকে ধুয়ে দেওয়া হবে। এটা কেমন সমর্থক বাবা!ওরা তো একা খেলে না। ২০ কোটি মানুষ একসঙ্গে খেলে। ওরা খেললে কলিজা আটকিয়ে যায়। আমি গত ম্যাচগুলোতে মুস্তাফিজকে নিয়ে এক্সপেক্ট করেছিলাম যে ভালো বল করবে। কিন্তু পারেনি। মিরাজের খেলা আমাকে খুবই মুগ্ধ করে। মিরাজকে আমার মনে হয় ভবিষ্যৎ সাকিব আল হাসান। মিরাজ আবার আমার খুলনার ভাই। টিমের সাতটা প্লেয়ারই যদি হয় আমার খুলনার। তাও আবার ঘরের পাশের সাতক্ষীরার দুইজন। সব ভাইব্রাদার খেলছে এই টিমে। সেদিন নিলয়, শ্যামল মাওলার সঙ্গে খেলা দেখতেছিলাম শুটিংয়ের ফাকে। ওরা বলে এটা তো নিউজিল্যান্ড বনাম খুলনার খেলা হচ্ছে। যাই হোক, মাশরাফির দল। তার উপর আমাদের আস্থা আছে। তিনি নিশ্চয়ই আমাদের জয়ের ধারায় নিয়ে যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা
ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান।
নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।
বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময়
শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক
পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের
বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময়
দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!
সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে
যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই
ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই
আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে
কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা
মেলেনি।
‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন
আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন
ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’
ব্র্যাড পিট জনপ্রিয়তা শাহরুখ খান বলিউড
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের
গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার।
শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে
পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী
দেখাও।
অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।
আরও পড়ুন: এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব
আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান
অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের
পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।
শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার
পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত
করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন।
শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।
একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত
দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই
নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে
বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।
শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো
মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি
জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে
বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি
গেলে আমিও যাব।’
শাকিব খান ঢালিউড অপু বিশ্বাস বুবলী
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন।
এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।