কালার ইনসাইড

দুর্গম পথের দুঃসাহসী যাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:১৮ এএম, ২৫ মে, ২০১৭


Thumbnail

একজন যাত্রী, নিরুদ্দেশের যাত্রী নন, উদাস পথিক নন, তাঁর যাত্রার একটা লক্ষ্য ছিল, সেদিকেই তিনি চলেছিলেন, কিন্তু একপর্যায়ে তাঁকে থেমে যেতে হয়েছে। গন্তব্যটা ছিল ধ্রুব, কিন্তু দৈবক্রমে তিনি পতিত হয়েছিলেন নানাবিধ বিপদ-আপদে, যে জন্যে চলেছেন ঠিকই, এগিয়েছেনও অনেক দূর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে থামতে হয়েছে, বলা যায় থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। পথটা মোটেই স্বচ্ছন্দ ছিল না, ছিল অত্যন্ত দুর্গম, সেই পথে চলতে গিয়ে তিনি রীতিমতো রক্তাক্ত হয়েছেন; কিন্তু দুর্গম জেনেও তিনি ওই পথেরই যাত্রী ছিলেন, তাঁর পক্ষে ভিন্নপথে চলাটা ছিল অসম্ভব।

তাঁকে আমরা নানা পরিচয়ে চিনি; তিনি বিদ্রোহী ছিলেন, আবার ছিলেন প্রেমিকও; এক হাতে তাঁর বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ-তূর্য এই ঘোষণা তো নিজেই দিয়ে গেছেন। আরো অনেক ভূমিকা ছিল তাঁর, প্রায় রবীন্দ্রনাথের মতোই, যদিও রবীন্দ্রনাথের তুলনায় তিনি অবশ্যই অনেক পেছনে। রবীন্দ্রনাথ যে-বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, ছবি এঁকেছেন, ভ্রমণ করেছেন বহুদেশ, সে-কাজগুলোও তিনি করতে পারেননি। সম্ভব ছিল না করা। তাঁর হাতে সময় অল্প, সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। কিন্তু তবু তিনি চলেছেন। কোন দিকে? এক কথায় বলতে গেলে বিপ্লবের অভিমুখে। তিনিই আমাদের প্রথম বিপ্লবী কবি। বিদ্রোহী নন, আসলে বিপ্লবী। সমাজ ও রাষ্ট্রে একটা বিপ্লব চেয়েছেন। অন্য কোনো উদ্দেশ্যে নয়, পৃথিবীটাকে সুন্দর করার জন্যে। সেজন্যেই তিনি একই সঙ্গে প্রেমিক ও বিদ্রোহী।

প্রতিরোধ ও ব্যঙ্গবিদ্রূপ নজরুলের কবিতায় এবং গদ্য রচনাতে অনেক বেশি তীব্র। এবং তা প্রধানত ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধেই, যেজন্যে নজরুলের লেখা রাষ্ট্রের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হয়নি। তাঁর অনেক বই প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। এই বইগুলোর মধ্যে রয়েছে যুগবাণী (১৯২২), ভাঙার গান (১৯২৩), বিষের বাঁশি (১৯২৪), দুর্দিনের যাত্রী (১৯২৬), প্রলয়শিখা (১৯৩০) ও চন্দ্রবিন্দু (১৯৩১)। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবি ছিল স্বাধীনতার পক্ষের উপন্যাস, এবং সেখানে পথের যে-নির্দেশ ছিল সেটাও আপসরফার নয়, সশস্ত্র ‘বিপ্লবে’র। যেজন্যে সরকারের পক্ষে ওটিকে সহ্য করা সম্ভব হয়নি, উপন্যাসের বিতরণ, মুদ্রণ, সংরক্ষণ সবই তারা নিষেধ করে দিয়েছিল; যার ফলে গোপনে এবং হাতে লিখে পথের দাবি বিতরণ চলেছিল। কিন্তু শরৎচন্দ্রের শুধু একটি বই-ই বাজেয়াপ্ত হয়েছে, নজরুলের হয়েছে একে একে ছয়টি, কেবল তাই নয়, রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে কবির সশ্রম কারাদন্ড হয়েছে। এক বছরের ওপরে তিনি কারাবন্দি ছিলেন। দ্বিতীয়বারও তাঁর কারাদন্ডাদেশ হয়েছিল, কিন্তু সেটি কার্যকর হয়নি গান্ধী-আরউইন চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার দরুন। ব্রিটিশ রাজের জন্য এই কবি এতটাই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন। বলা বাহুল্য, এক্ষেত্রে তিনি তুলনাবিরহিত। অন্যকোনো ভারতবর্ষীয় কবি সরকারকে এমনভাবে ক্ষিপ্ত করতে পারেননি।

১৯২৯-এ কাজী নজরুল ইসলামকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়। সভায় সুভাষচন্দ্র বসু উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বক্তৃতাতে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা যখন যুদ্ধক্ষেত্রে যাব তখন সেখানে নজরুলের যুদ্ধের গান গাওয়া হবে। আমরা যখন কারাগারে যাব, তখনো তার গান গাইব।’ এ ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা প্রমাণিত হয়নি। যেমন যুদ্ধক্ষেত্রে তেমনি কারাগারে নজরুলের গান গাওয়া হয়েছে বইকি।

নজরুলের অনুরাগী, ভক্ত ও সমর্থকের সংখ্যা ছিল বিপুল। বিশেষ করে তরুণদেরকে তো তিনি অত্যন্ত উদ্বেলিত করে তুলেছিলেন। তিনি তাদের কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছিলেন। তাই বলে নজরুল যে কেবল যুগের হাওয়ায় পাল খাটিয়েছিলেন তা নয়, শিল্পী হিসেবে অবশ্যই তিনি ছিলেন কালোত্তীর্ণ। তাঁর রচনায় বক্তব্য ছিল স্পষ্ট, সে-বক্তব্য বিপ্লবের পক্ষে, কিন্তু বক্তব্যকে তিনি মুখ্য করে তোলেননি, সেটি থেকেছে শিল্পের ভেতরেই এবং শৈল্পিক সৌন্দর্যের সঙ্গে একেবারেই অঙ্গীভূত অবস্থায়, যেজন্যে তাঁর আবেদন ছিল একাধারে ব্যাপক ও গভীর।

লেখক, প্রাবন্ধিক, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘নজরুল ইসলামের সাহিত্য জীবন’ বই থেকে সংকলিত।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়গুণে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। তবে জানেন কি? অভিনেত্রী নয় সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা।

জানা গেছে, সবসময়ই একজন সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন অনুশকা। কিন্তু ভাগ্যের টানে হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করার বদলে নিজেই একজন পেজ থ্রির নিউজে থাকেন। আর অভিনেত্রীর এই সফরটাই তখন শুরু হয় যখন ফ্যাশন ডিজাইনার ভেন্ট্রেল রড্রিকস তাকে একটি শপিং মলে দেখেন।

আনুশকাকে সেখানে দেখার পর একটি ফ্যাশন শোতে হাঁটার জন্য বলেন ভেন্ট্রেল রড্রিকস। সেই থেকে শুরু হলো আনুশকার শোবিজে পথ চলা। প্রথমে মডেলিং, পরে সেখান থেকে বলিউড যাত্রা।

২০০৮ সালে ‘রাব নে বানা দি জোড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় আনুশকার। আর ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাতেই শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আনুশকা। তাদের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। মেয়ে ভামিকা এবং ছেলে অকায়। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   আনুশকা শর্মা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সালমান খানের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্তদের রহস্যময় মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায় বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।

সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।

গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।


সালমান খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মধ্যরাতে ফেসবুকে তানজিন তিশার রহস্য ঘেরা পোস্ট

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেওয়া বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের। এর আগে পরীমণি, মাহিয়া মাহিকে মাঝরাতে এরকম করতে দেখা গেছে। এবার তালিকায় নাম উঠল তানজিন তিশার। দুপুর রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে তিশা নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি চাইলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প শেয়ার করতে পারি। সেই সাহস এবং প্রমাণ আমার আছে।’ 

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘মনে রেখো আমি তোমার খারাপ কাজের জন্য তোমাকে সবার সামনে রক্ষা করেছি। বিখ্যাত অভিনেতা হওয়ার আগে একজন ভালো ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন।’

তিশার এমন উত্তপ্ত পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেন নেটিজেনরা। কাকে এমন হুমকি দিলেন নায়িকা এমনটা যখন ভাবছিলেন অনেকে তখন দেখা যায় ওই পোস্টটি আর নেই। নিজের ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তুলকালাম বাঁধিয়েছিলেন তিশা। পরে মিটেও যায় তা। অনেকের ধারণা ফের হয়তো তাকে ঘিরেই রাত দুপুরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে রাতের আঁধারেই পোস্ট মুছে দিয়ে বিরত রইলেন অপরাধীর গল্প বলা থেকে। 

বলে রাখা ভালো, মাঝে এই প্রেমজনিত কারণেই ঢাকা মেডিকেলেও ভর্তি হতে হয়েছিল মধ্যরাতে। জানা গেছে, সেই যাত্রায় তিনি আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনও উঠে আসে সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহানের নাম।

তানজিন তিশা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০১৭ সালে মায়ের ইচ্ছায় অভিনয়ে নাম লেখান। তারপর অংসখ্য নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

গত ঈদুল ফিতরে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামের গানটি দ্বৈতভাবে কণ্ঠে তুলেন তাহসান খান ও ফারিণ। গানটি ‘ইত্যাদি’-তে প্রচারের পর গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায়। তারপর গানটি যেন লুফে নেন শ্রোতারা।

এখন পর্যন্ত গানটির মোট ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। দর্শক-শ্রোতারা গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে (মিউজিক) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে গানটি।

বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্রিয় দর্শক, ঈদ উপলক্ষে ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে প্রচারিত সবগুলো গানই আপনারা পছন্দ করেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। গানটির মধ্যে শিল্পী তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি আপনাদের বিচারে সেরা গান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে মিউজিক বিভাগে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে, যা এখনো অটুট আছে।”

গায়িকা হিসেবে ফারিণকে দর্শক এখন চিনলেও অনেক আগে থেকেই গানের চর্চা করেন তিনি। এ বিষয়ে ফারিণ বলেন, ‘আমি কিন্তু নায়িকার আগে গায়িকা। যশোর থেকে ঢাকায় এসেও গানের চর্চা করেছি। দিনের পর দিন গান শিখেছি। জাতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে গান করেছি। গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের কারণে গানের প্রতিভা এতদিন কেউ জানতে পারেনি।’

‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামে গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।

তাসনিয়া ফারিণ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় তার নানান কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হতে হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন ঘটনায় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে হঠাৎ নিজের মেজাজ হারাতে দেখা গেছে। এবার তাকে দেখা গেছে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপে সাকিবের ক্ষোভের বিষয়টি দেখা গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তার ঠিক পাশেই দাঁড়ানো ছিল চিত্রনায়ক জায়েদ খান। হঠাৎ দেখা যায়, সাকিব তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি সুইমিংপুলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হেঁটে চলে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাকিবের এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যান জায়েদ খান। ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে ছুড়ে ফেলা ফোনটি জায়েদ খানের।

ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সেকারণেই হয়তো জায়েদ খানের ওপর চটেছেন সাকিব আল হাসান। শেষমেশ মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে হাতে থাকা ফোনটি পানিতে ছুঁড়ে মারেন। 

ভিডিওটি ঠিক কোন জায়গায় ধারণ করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে ভিডিওটির বিশ্লেষণে অনুমান করা যায়, সেটি কোনো রিসোর্ট কিংবা হোটেলের সুইমিংপুল হতে পারে।

জানা গেছে, ব্যক্তিগত কাজে গিয়ে সেখানে সাকিবের সঙ্গে দেখা হয় জায়েদ খানের। তখন একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মাঝেই ঘটে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

যদিও এই ঘটনার রেশ ধরে এখনো তাদের কেউই প্রকাশ্যে কথা বলেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

জায়েদ খান   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন