নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৪ এএম, ২৫ মে, ২০১৭
তিনি পুরনো সমাজকে ভেঙে সেখানে নতুন একটি সমাজ গড়ার জন্য লিখছেন; তাঁর ফলে স্বভাবতই কায়েমি স্বার্থের যারা ধারক ও বাহক তারা ক্ষুব্ধ, বিচলিত, ক্রুদ্ধ ইত্যাদি হবেনই। এবং সেটা তারা হয়েছেনও।
হিন্দুসমাজ তাঁকে উপেক্ষা করতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের ভেতরও বিদ্বেষ ছিল, বিশেষ করে এই কারণে যে, তিনি একজন ব্রাহ্ম মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন এবং স্ত্রীর বিধবা মাতাই অনেককাল ধরে ছিলেন তাঁর সংসারের পরিচালক। রুচিবান হিন্দুরা তাঁর গান খুব পছন্দ করতেন, তাঁরা কখনো কখনো তাঁকে গৃহে এবং অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতেন, কিন্তু ব্রাহ্মণ নয় জেনে নজরুলের উপস্থিতিতে অন্যরা অস্বস্তি বোধ করতেন। আর তিনি যে ভগবান-বুকে পদচিহ্ন এঁকে দেওয়ার সংকল্প ঘোষণা করেছিলেন, ধর্মপ্রাণরা তাতে প্রীত হননি।
কিন্তু বড় রকমের আপত্তিটা এসেছিল মুসলমান সমাজের কাছ থেকেই। দুই কারণে। প্রথমত, তিনি ওই সমাজে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, মুসলমান সমাজ ছিল অনেকটা পিছিয়ে। তৃতীয় একটা কারণও ছিল। সেটা হলো, নজরুলের প্রতিভা। নজরুল ‘মহররম’ , ‘ফাতেহা দোয়াজদাহাম’ , ‘ফাতেহা ইয়াজদাহাম’, ‘কোরবানী’ , ‘সাতিল আরব’ , ‘খেয়াপারের তরণী’ র মতো অসামান্য কবিতা লিখেছেন; ইসলামি গান লিখেছেন অসংখ্য; ফার্সি-আরবি শব্দকে বাংলা সাহিত্যে চালু করে দিয়েছেন, সেই কবিই কী না আবার এমনসব কবিতা লিখলেন যেগুলো পড়লে মনে হয়, তিনি ইসলামবিরোধী তো অবশ্যই, বোধকরি নাস্তিকও। লিখলেন হিন্দুয়ানি কবিতাও।
রক্ষণশীল অংশ তাঁকে যাচ্ছেতাই রকম গালাগাল করেছে। শয়তান, অনাচারী, নরাধম, ফেরাউন, নমরুদ, খোদাবিরোধী, ধর্মজ্ঞানশূন্য বুনো বর্বর, কুলাঙ্গার ইত্যাদি বলেছে। নজরুল নিজেই মন্তব্য করেছেন, ‘এই গালির গালিচাতে বোধ হয় আমি একালের সর্বশ্রেষ্ঠ শাহানশাহ।’কেউ কেউ তাঁকে বুঝতেই পারেনি, খেয়াল করেনি যে, নজরুল যা লিখেছেন তা সমাজের উপকারের জন্যেই। তাঁর লেখা গজল ও তথাকথিত ইসলামবিরোধী রচনার মধ্যে কোনো বৈরিতা নেই, উদ্দেশ্য একই - সমাজকে আন্দোলিত করা এবং তাকে আনন্দলাভের পথে পরিচালিত করা। তাঁর আক্রমণের লক্ষ্যবস্ত্ত ছিল ধর্মব্যবসায়ী ও ভন্ডরা, সরল বিশ্বাসী মানুষেরা নন। এমন কী এস ওয়াজেদ আলীর মতো অত্যন্ত উচ্চশিক্ষিত এবং বাঙালির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত সাহিত্যিকও একসময়ে মন্তব্য করেছিলেন যে, নজরুলের পক্ষে উচিত কাজ হতো মুসলিম সংস্কৃতির ভেতরে থেকেই সাহিত্যরচনা করা এবং তার বাইরে না যাওয়া।
কলকাতায় যখন নজরুলের নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় তখন নজরুলের বয়স মাত্র ৩০। এই সংবর্ধনার বিরুদ্ধে মুসলমান সাহিত্যসেবীদের একাংশ বেশ সক্রিয় ছিল। আয়োজকদের ভেতর প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন। ঢাকা থেকে ‘বুদ্ধির মুক্তি’র আন্দোলনের সদস্যরা এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানান। এই প্রসঙ্গে আবুল হুসেনের একটি উক্তি তাৎপর্যপূর্ণ। ঢাকার রায়সাহেবের বাজার থেকে তিনি লিখেছেন :
আপনারা যে আয়োজন করতে পেরেছেন এতেই আশ্চর্য হচ্ছি, কারণ বর্তমান বাংলার মুসলমান সমাজ প্রতিভার কদর করতে শেখেইনি, বরং প্রতিভাকে মেরে ফেলেই তারা ইসলাম ও তার প্রবর্তকের গৌরব অক্ষুণ্ন রাখতে চায়।
লেখক, প্রাবন্ধিক, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘নজরুল ইসলামের সাহিত্য জীবন’ বই থেকে সংকলিত।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান এক বছরেই জাওয়ান, পাঠান এবং ডাঙ্কির মতো
হিট ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমা প্রেমিদের। বর্তমানে নতুন ছবির কাজ শুরুর আগে বিশ্রাম
নিতে পারেন বলিউডের এই কিং খান। বিশ্রাম সেরে এ বছরের জুনে তিনি তার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং
শুরু করতে চান।
শুক্রবার (৩ মে) ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা
জানিয়েছেন শাহরুখ খান।
অভিনেতা বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমার একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিত। তিনটি
সিনেমা পরপর করে ফেলেছি। যার জন্য আমার শরীরে অনেক ধকল গেছে। আমি কলকাতা নাইট রাইডার্স
দলকে বলেছিলাম যে এইবার শুধু মূল ম্যাচে আসব।
সৌভাগ্যবশত, আমার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং আগস্ট থেকে শুরু হবে বা
হয়তো জুলাই। যদিও আমরা জুনে শুরু করার প্ল্যান করছি। আমি সব হোম ম্যাচে আসতে চাই কারণ
কলকাতা আমার বাড়ির মতো। তবে শাহরুখ ছবির নাম বা অন্যান্য বিবরণ প্রকাশ করেননি।
এদিকে, শাহরুখকে স্টেডিয়ামে প্রায়ই তার ছোট ছেলে আব্রাম নিয়ে আসতে
দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন
বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। প্রায় দু'দশক ধরে জনপ্রিয়তার
শীর্ষে থেকে বলিউড ইন্ড্রাষ্ট্রিতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন
একের পর এক হিট সিনেমা। অবিনেত্রী নিজের মত করেই দায়িত্ব পালন করেন, হোক সেটা বলিউড
কিংবা নিজের পারিবারিক স্থান থেকে। কারিনা দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান
তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূত হিসেবে
মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।
শনিবার (৪ মে) নিজেই ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এ খবর জানান কাপুরকন্যা। তিনি
লেখেন, আমার জন্য খুব আবেগের একটা দিন। UNICEF-এর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেয়ে আমি ধন্য়।
ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত দশ বছর ধরে
ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন কারিনা কাপুর। শুরুটা হয়েছিল সেই ২০১৪ সালে সেলেব্রিটি অ্যাডভোকেট
হিসেবে। এবার সেই পদ থেকেই উত্তরণ হয়ে সরাসরি ইউনিসেফ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের
দায়িত্ব পেলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে কারিনা বলেন, গত দশ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছি। গত বছরগুলোতে দেশের শিশু এবং নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের টিম যে কাজগুলো করেছে, তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি প্রতিদিন অনুপ্রেরণা পাই সেগুলো থেকে। আশা রাখি ভবিষ্যতেও এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে যাব।
ইউনিসেফ রাষ্ট্রদূত কারিনা কাপুর বলিউড
মন্তব্য করুন
দক্ষিণী সিনেমার রকিং স্টার যশের সিনেমা পুরো বিশ্বে ব্যাবসায় রেকর্ড
গড়েছে। ‘কেজিএফ’ ও ‘কেজিএফ ২’ এর পর গীতু মোহনদাসের ‘টক্সিক’ ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ
হয়েছেন যশ।
জানা যায়, ‘টক্সিক’ এই সিনেমায় যশের বোনের চরিত্রে দেখা যাবে কারিনা
কাপুরকে। এমনকী, ‘ক্রু’ ছবির প্রচার চলাকালীন পরোক্ষভাবে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলিউড
বেবো নিজেই। কিন্তু সে আশা যেন উড়ে গেল কাপুরের মতো। সম্ভাবনার বাস্তব রূপ আর দেখতে
পাবেন না দর্শক।
ড্রাগ মাফিয়াদের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হবে এই সিনেমাটি। স্বাভাবিকভাবেই
‘কেজিএফ’ খ্যাত যশকে নিয়ে উন্মাদনা দর্শকমহলে। সম্প্রতি একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এই
সিনেমার নির্মাতার তরফ থেকে। দর্শকের মধ্যে উত্তেজনা দেখে টিম টক্সিক খুবই আনন্দিত।
তবে সিনেমাটি নিয়ে কোনো মিথ্যে তথ্য ছড়াতে বারণ করেছেন নির্মাতা।
এদিকে সিনেমার জন্য চলছে জোরদার প্রস্তুতি। ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিনেতাদের বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু যশের বিপরীতে কে অভিনয় করবেন
তা নিয়ে শুধু নির্মাতা নয়, যশ-প্রেমীরাও ছিলেন বেশ চিন্তিত। অবশেষে যশের নায়িকা হিসাবে
কিয়ারা আদভানি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্মাতা মনে করছেন, যাদের কাস্ট করা হয়েছে তারা
শতভাগ উপযুক্ত।
অন্যদিকে ধোঁয়াশা রেখেই সিনেমাটি থেকে সরে গেলেন কারিনা। জানা যায়,
তারিখ নিয়ে সমস্যার কারণেই অভিনেত্রীর এমন সিদ্ধান্ত। নির্মাতার তরফেও তারিখ বদল করার
কোনও সম্ভাবনা নেই। স্বভাবতই ঘটনাটি নিয়ে কিছুটা হতাশ বেবোর অনুরাগীরা। তার পরিবর্তে
কাকে কাস্ট করা হবে সে অপেক্ষায় সিনেপ্রেমীরা।
যশ কারিনা কাপুর বলিউড দক্ষিণী সিনেমা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা
ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান।
নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।
বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময়
শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক
পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের
বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময়
দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!
সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে
যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই
ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই
আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে
কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা
মেলেনি।
‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন
আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন
ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’
ব্র্যাড পিট জনপ্রিয়তা শাহরুখ খান বলিউড
মন্তব্য করুন
বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। প্রায় দু'দশক ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে বলিউড ইন্ড্রাষ্ট্রিতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। অবিনেত্রী নিজের মত করেই দায়িত্ব পালন করেন, হোক সেটা বলিউড কিংবা নিজের পারিবারিক স্থান থেকে। কারিনা দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।