কালার ইনসাইড

যেমন কাটছে পিয়ার ইংল্যান্ড ট্যুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০৪ পিএম, ০৯ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জান্নাতুল পিয়া। কেমন ছিল পিয়ার এই ইংল্যান্ড ট্যুর, তা নিয়ে কথা বললেন বিস্তারিত…

যাওয়ার পথে জয়া-রাজ্জাক:

বায়োস্কোপের হয়ে জিটিভির প্রযোজনায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে উপস্থাপনার জন্য আমাকে পাঠানো হলো। বিমানবন্দরেই পেয়ে গেলাম জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আবদুর রাজ্জাক আর জয়া আপুকে (অভিনেত্রী জয়া আহসান)। তাঁরা বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তারকা অতিথি হয়ে যাচ্ছেন। জয়া আহসানের সঙ্গে আগে চোরাবালি সিনেমায় কাজ করলেও এত গল্প হয়নি। আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য তাঁর চেয়ে ভালো কেউ হতে পারে না। আর রাজ্জাক ভাইও অসাধারণ মানুষ।

ইংল্যান্ড নেমে যা দেখলেন:

ওভাল- কেনিংটন বিশ্বকাপের সাজে সজ্জিত। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাকিংহাম প্যালেসে গেলাম। কাছে গিয়ে দেখলাম জয়া আহসান আর আবদুর রাজ্জাক সকাল থেকে উপস্থিত। ঠান্ডায় সবার অবস্থা কাহিল। সবার হাতে কফির মগ। ঢুকতেই কাকে যেন দেখলাম খুব পরিচিত। ও মাই গড! ব্রেট লি। ছোটবেলাতে যখন খেলা বুঝতাম না, তখন থেকেই তাঁকে খুব ভালো লাগত। ছবি তুলতে কিন্তু ভুল করিনি। পাশেই ফারহান আক্তার, মালালা ইউসুফজাই। এ রকম আরও অনেকে। ভাবলাম, এখানে কমপক্ষে একজনের সাক্ষাৎকার নিতেই হবে। যদিও তাঁরা সবাই খুব ব্যস্ত। কার নেওয়া যায়? তখনই চোখ পড়ল স্যার ভিভ রিচার্ডসের ওপর। তিনি এত বিনয়ী, অবাক না হয়ে পারলাম না। তাঁকে বললাম, আমি পিয়া, বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় হবে কি না। তিনি তখনই বললেন, ‘অবশ্যই।’ তিনি জানালেন, বাংলাদেশ খুব ভালোই করছে। এই কথোপকথনের পর ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে প্রায় এক সপ্তাহ পরে আবার দেখা হলো। তখন বললেন, ‘মিস বাংলাদেশ কেমন আছ?’ বিদেশের মাটিতে এমন সম্মান কজনই পায়।

ইংল্যান্ডের শহরগুলো:

ইংল্যান্ডের শহরগুলো বেশ চমৎকার লেগেছে। আমি আশার আগে টেনশনে ছিলাম যে, দেড় দুই মাস আমি কিভাবে দেশের বাইরে থাকবো। কারণ আমি বেশিদিন দেশের বাইরে থাকতে পারি না। একেবারেই পারি না। অনেক ট্রাভেল করি। কিন্তু বেশিদিন থাকতে পারি না। এখানকার আবহায়ওয়া চমৎকার। আমার ডারহাম খুব ভালো লেগেছে। ছোট শহর, কিন্তু ক্ল্যাসি একটা শহর। কী অসাধারণ শহর! ছবির মতো সাজানো। ছোট ছোট পুরনো সব বাড়ি, দেখতে অসাধারণ। পাহাড় ঘেরা শহর। সত্যিই অদ্ভুত সুন্দর এই শহরটি। সাউদাম্পটনের রোজ বোল স্টেডিয়াম অসাধারণ। ওখানকার আবহাওয়াও চমৎকার। ছেলেমেয়ে সবাই দারুণ স্মার্ট। সাউদাম্পটনের চেয়ে ডারহাম শহরটা খুব ছোট। ইংল্যান্ডে গেলে লন্ডনেই তো বেশি যাওয়া হয়। এইসব ছোট শহরে আগে খুব একটা যাওয়া হয়নি। এবার ঘুরে ঘুরে অনেক জায়গায় প্রথমবারের মতো যাওয়া হলো। স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গও খুব ভালো লেগেছে। আমরা অনেক ঐতিহ্য ইতিহাস বইতে পড়েছি পেপার বা টিভিতে দেখেছি। সেসব আসলে বাস্তবে ইংল্যান্ডের সেসব শহরে পাওয়া গেছে।

ধারাভাষ্যকরদের সঙ্গে সম্পর্ক:

সবার সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। অনেক দিনের জার্নি। তাদের মধ্যে যাদের কথা বলতে হয়, সাইমন ডল, হার্শা ভোগলে, মাইকেল হোল্ডিংকে একটু বেশি ভালো লেগেছে। মাইকেল হোল্ডিংকে তো সবসময় ফলো করি। মাইকেল হোল্ডিংয়ের ধারাভাষ্য আমার খুব ভালো লাগে। উনি যখন কথা বলেন, কখনোই একঘেয়েমি লাগে না। আমি তার ধারাভাষ্য মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনি। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হই। আমিও চাই তার মতো করে বলতে, যেন কারও বোরিং না লাগে। আমি চাই মানুষ যেন আমার উপস্থাপনা উপভোগ করতে পারেন। নেতিবাচক কিংবা ইতিবাচক যাই বলুক, তবুও যেন বলে। গল্পের মতো করে হোল্ডিং ব্যাখ্যা করেন। এটাই আসলে শ্রোতারা শুনতে চান। আমিও নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করছি। মাইকেল ক্লার্ক একটু বেশি মুগ্ধ করেছে, হয়তো সে গুড লুকিং তাই (হাসি)।

মায়ান্তি ল্যাঙ্গার ও জয়নব আব্বাসের সঙ্গে সখ্যতা:

মায়ান্তি ল্যাঙ্গার কিংবা জয়নব আব্বাস দুজনই খুব ভালো মানুষ। তাদের সঙ্গে সময়টা খুব ভালো কাটছে। দুইজনের উপস্থাপনা তুলনা করলে মায়ান্তি অসাধারণ। তার উপস্থাপনায় দারুণ কিছু ব্যাপার আছে। আমার মনে হয় সে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা নারী উপস্থাপক।

চ্যালেঞ্জ:

সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জটা ছিল, কোন রেস্ট পাইনি। প্রত্যেকদিন আমাদের ম্যাচ কাভার করতে হয়েছে। তাও একটা সিটি থেকে অন্য সিটিতে দৌড়াতে হয়েছে। এটা বেশ কঠিন ছিল। এই ট্রাভেলের মধ্যে নিজেকে সুন্দর কওে প্রেজেন্ট করা আরো কঠিন ছিল। এটাও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল যে এত বড় একটা দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। সেটা যেন প্রপারভাবে করতে পারি। আমি চেষ্টা করেছি প্রপারলি করার।

বাংলাদেশ সম্পর্কে গ্রেট প্লেয়ারদের মন্তব্য:

সত্যিই আমার জন্য এটা গ্রেট অপরচুনিটি। ওয়াসিম আকরাম, সৌরভ গাঙ্গুলি, মাইকেল ক্লার্ক, ব্রায়ান লারা, ওয়াকার ইউনুসদের সঙ্গে বসে থাকছি। তাদের সঙ্গে কথা বলছি, কাজ করছি। ক্রিকেট ভক্তরা যাদের ব্যাপারে অন্ধ, তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারছি। এই বয়সে এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। সত্যি কথা বলতে, আমার জন্য গ্রেট অভিজ্ঞতা। প্রত্যেকেই খুব ভালো মন্তব্য করেছেন। নানা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। স্পেশালি সৌরভ গাঙ্গুলির কথা বলতে হয়। তিনি নানাভাবে প্রশংসা করতেন। এটা বলাটা ঠিক হবে কিনা জানি না, বাংলাদেশ যেদিন ভারতের কাছে হেরে গেল। তার খুব মন খারাপ হয়েছে। তার মুখ দেখে সেটা স্পষ্ট বোঝা গেছে। তিনি বাংলাদেশ থেকে আরেকটু ফাইট আশা করেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলিকে আমরা বরাবরই দেখেছি তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে যথেষ্ঠ পজিটিভ। তিনি মনে করেছিলেন ম্যাচটা আরো প্রতিযোগিতামূলক হবে। সাইমন ডলের কথা বলতে হয়, কোন ম্যাচের সময় তিনি আর আমি দাড়িয়ে খেলা দেখছিলাম। শ্রীলঙ্কা খুব বাজেভাবে হেরে যাচ্ছিল। হেরে যাওয়ার পরও শ্রীলংকার সাপোর্টাররা গান গাচ্ছিল। সুন্দর কওে সাপোর্ট দিচ্ছিল। আমি আর সাইমন ঢুল তা দেখছিলাম। আমি বলছিলা, শ্রীলংকার ফ্যানরা এত পজিটিভ। এত বাজেভাবে হেরে যাচ্ছে তাও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে যা দেখার মতো। তখন তিনি বলছিলেন, তোমাদের ফ্যানরাও বেশ ভালো। বাংলাদেশের খারাপ সময়ও তারা বেশ পজিটিভলি সাপোর্ট দিয়েছে। আমি তখন বলছিলাম, তারা সমালোচনাও কম করে না। তখন তিনি হাসছিল।

নতুন বন্ধু:

এখানে এসে অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। একজন ব্যারিষ্টারের সঙ্গে বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে, উনি হচ্ছেন ব্রিটিশ। একজন পকিস্তানি কমেডিয়ান কিন্তু লন্ডনে থাকেন। তার সঙ্গে বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে। ইন্ডিয়ান একজন প্রেজেন্টার আছে রিদ্ধিমা, তার সঙ্গেও বেশ ভালো সম্পর্ক হয়েছে।

ক্রীড়া উপস্থাপনায় বাংলাদেশের অবস্থান:

আমি আসলাম প্রথমবারের মতো। বাংলাদেশ থেকে কেউ প্রথমবারের মতো মাঠ থেকে সরাসরি উপস্থাপন করলো।  উন্নতির তো শেষ নেই। এরজন্য আসলে আমরা কতটা প্রাকটিস করতে পারি সেটাও একটা বিষয়। যেমন আমি ফাইনালের পরে আরো কিছুদিন থেকে যাবো লন্ডনে। কিছু কোর্স করে তারপর যাবো। উন্নতি আর ভালোর কোন শেষ নেই। ক্রিকেট বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আমার মনে হয় এটাকে লক্ষ্য করেও অনেকে উপস্থাপনায় আসতে পারেন।

প্রথমবারের মতো আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে দেখে নতুন নতুন মেয়েরা যেন আসে। ক্রিকেট এমন একটা জায়গায় চলে গেছে, এটাকে পেশা হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। এজন্য নিজের কিছু প্রস্তুতি জরুরি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবকিছু এমনভাবে উপস্থাপনা করতে চাই, যেন মানুষ লাইভ দেখার অনুভূতি পায়। আমার উপস্থাপনায় মানুষ যেন এন্টারটেইন হয়, একঘেয়ে যেন না হয়।

প্রতিবন্ধকতা:

কোন প্রতিবন্ধকতাই ছিল না। বাংলাদেশ থেকে গিয়েছি। সবাই খুব সম্মান দিয়েছেন। সবাই মিস বাংলাদেশ বলে সম্বোধন করতেন। তবে প্রতিবন্ধকতার বিপরীতে বলতে হয় আমার খুব স্টাডি করতে হয়েছে। যাতে প্রতিবন্ধকতা না আসে। মাঠ, স্থান, খেলোয়ার, পূর্ব ইতিহাস নিয়ে অনেক স্টাডি করেছি। ম্যাচশেষে সব সময়ই আমাকে খেলোয়াড়দের ইন্টারভিউ নেওয়া লেগেছে। কিন্তু হেরে যাওয়া দলের খেলোয়াড়দের ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কেননা, হেরে যাওয়া দলের খেলোয়াড়দের প্রশ্ন করার ব্যাপারে আমাকে সচেতন থাকতে হয়। এমন কোনও প্রশ্ন যেন না হয়, যেটাতে ওই খেলোয়াড় ব্যথিত কিংবা বিব্রত হয়। এই কাজটা আমার জন্য কঠিন ছিল।

ভালো মুহুর্তগুলো:

যাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে শচিন টেন্ডলকার, ব্রায়ান লারা, ওয়াসিম আকরামদের মতো লিজেন্ডদের সঙ্গে দেখা হয়েছে কথা হয়েছে। তারা কেন লিজেন্ড তা কথা বলেই বোঝা যায়। অনেক বড় বড় মানুষ তারা। অন্যকে প্রশংসা করার মতো অদ্ভূত সুন্দর গুন রয়েছে। সব মিলিয়ে এত চমৎকার অভিজ্ঞতা আমার আর কখনো হয়নি। আমরা যদি রেজাল্টটা নিয়ে আসতে পারতাম। তাহলে আমার যে উপভোগ্য সময়, সেটা মনে হতো সারাদেশের মানুষেরও হতো। সেই ফিলটা হতো।

শেষে বলতে হয়:

আমি বিশ্বাস করি আমরা ৮ নাম্বারে যাওয়ার মতো দল নয়। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সমালোচনা করছে হয়তো। কিন্তু আমরা আবার এমনই জাতি। আরেকটা জয় পেলে ভুলে যাবো বিশ্বকাপের ব্যার্থতা। আর সেটা আশা করি বাংলাদেশ আবার খুব শিঘ্রই পেতে যাচ্ছে। নতুন একটা ট্যুর জিতে আসলেই বাংলাদেশ আবার প্রশংসা পাবে। আর প্লেয়ারদের ফ্যামিলি নিয়েও কিছু বলা ঠিক নয়।

স্পোর্টস উপস্থাপনা:

স্পোর্টসে উপস্থাপনা করাটা বেশ আনন্দের, চ্যালেঞ্জও বটে। তবে আমি এখানে ক্যারিয়ার গড়বো এই চিন্তা করে আসিনি। ক্যারিয়ারের কথা ভাবলে, আইনজীবী কিংবা ব্যবসা নিয়ে মনোযোগী হতাম। দুটো অপশনই আমার ছিল এবং এখনও আছে। তবে আমি সব সময়ই প্রাধান্য দিয়েছি আমার ভালো লাগাকে। স্পোর্টস ঘরানায় আসার পেছনে বিশেষ কারও অবদান কিংবা অনুপ্রেরণা বলতে গেলে আমান আশরাফ (গাজী টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক) ভাইয়ের কথা বলতেই হবে। উনি একদিন আমাকে বলছিলেন, আমরা প্রতিবছর কিছু হলেই বিদেশ থেকে মেয়েদের নিয়ে আসি। সেটা আন্তর্জাতিক হোক আর লোকাল কিছু হোক। তুমি নিজেকে প্রস্তুত করো। আমাদের এখানে কি স্মার্ট মেয়ে নেই? আমাদের কেন বাইরে থেকে মেয়ে নিয়ে আসতে হবে উপস্থাপনার জন্য?

তখন আমি ভাবলাম, সেই মেয়েটা আমি কেন নই! মনে হলো, ক্রিকেটের এই জায়গায় উপস্থাপক হিসেবে আমিও কাজ করতে পারি। খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে, যারা পছন্দকে পেশা হিসেবে নিতে পারে। আমি ক্রিকেট পছন্দ করতাম, সেই পছন্দের জায়গাতেই কাজ করতে পারছি এখন।

বাংলাদেশ দলের দুর্বলতা:

আমার মনে হয় বাংলাদেশ দলের কোন দুর্বলতা নেই। দুর্বলতা হলো সমালোচকদের। কারণ বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে, সেখান থেকে এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ারই কথা। বাংলাদেশ দলে যে নিয়মিত উন্নতি হচ্ছে। সেটা এই টুর্নামেন্টেও চোখে পড়ে। স্পেশালি সাকিব আল হাসানের কথা বলতে হয়। মুস্তাফিজও ভালো বল করেছেন। মুশফিক তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছেন। সাকিব আসলে এতটাই ভালো পারফর্মেন্স করেছেন যে অন্য কারোটা চোখে পড়ে না। অতিদানবীয় পারফর্মেন্স করেছেন সাকিব। নতুনদের মধ্যে আমরা সাইফউদ্দীনকে পেলাম। আসলে বাংলাদেশের ভাগ্যটাও কিছুটা খারাপ ছিল। কিছু ফিল্ডিং মিস আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেছে। শেষের দুইটা ম্যাচ টস হেরে বিপদে পড়তে হয়েছে। আল্টিমেটলি রেজাল্টটা পাইনি আমরা। ৮ নাম্বারে এসেছি আমরা। কিন্তু আমরা ৮ নাম্বারে যাওয়ার মতো দল নয়। আমাদের সেমি ফাইনালে যাওয়ার মত দল ছিল। অন্য বড় দলগুলোও যেমন ছিটকে পড়েছে। আমরাও তেমন ছিটকে পড়েছি। পুরোটা সময় জুড়েতো চোখের সামনে দেখেছি। আসলে তাদের কিছু ম্যাচ পরাজয় কেন হয়েছে বলার ভাষা নেই। যখন হেরে গিয়েছে আসলে এতটাই আবেগ কাজ করেছে।

দেশে ফেরা:

২২ তারিখ ফেরা হবে। আমি কোর্স করছি কমিউনিকেশন এবং টিভি প্রেজেন্টেশনের উপরে। এই কারণেই বিশ্বকাপ শেষেও থাকা হবে।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ: চিত্রনায়িকা অপু

প্রকাশ: ০৬:১৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টেনেছেন অনেক আগেই। তবে এখনও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মিডিয়ায় শাকিবের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন দুই নায়িকাই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অনেক খুঁটিনাটি ফাঁস করেছেন বুবলী। যা নিয়ে বর্তমানে দর্শকমহলে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।

সাক্ষাৎকারে বুবলী বলেছিলেন, ‘আইনগতভাবে আমি এখনও শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী।’ আবার বলছেন, ‘আমি শাকিবের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।’

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বুবলীর সেসব কথার প্রেক্ষিতে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

অপু বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’

অপু আরো বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগে আপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না। এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’

বুবলীকে ইঙ্গিত করে নাম প্রকাশ না করে অপু আরও বলেন, ‘এখন আমরা একটা জায়গায় চলে এসেছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখতে হবে। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি উনাকে সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   ঢালিউড   সুপারস্টার শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ল ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’!

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের স্বাধীনতা দিবসে বড়সড় ধামাকা আসতে চলেছে। মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। মুক্তির চার মাস আগে থেকেই এই সিনেমা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রচার শুরু হয়নি সিনেমার। তা সত্ত্বেও, খবরের শিরোনাম দখল করে নিচ্ছে ‘পুষ্পা’। কেন জানেন? 

শোনা যাচ্ছে, প্রচারের আগে, মুক্তির অনেক আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে এই সিনেমা। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এমন ঘটনা এটিই প্রথম। অনন্য নজিরটি গড়ল আল্লু অর্জুন অভিনীত এই সিনেমা।

১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শক্তি সামন্ত পরিচালিত ‘অমর প্রেম’ সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুরের কান্না দেখে রাজেশ খান্না বলেছিলেন ‘পুষ্পা, আই হেট টিয়ার্স’। কাট টু, ২০২১ সালে, ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমায় দক্ষিণের সুপারস্টার আল্লু অর্জুন বললেন, ‘পুষ্পা, ম্যায় ঝুঁকে গা নেহি সালা…’। 

পুষ্পাকে কেন্দ্র করে দুই সংলাপে আকাশ-পাতালের তফাত। তফাত সোয়্যাগে। এক পুষ্পা (‘অমর প্রেম’ সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত চরিত্রের নাম ছিল পুষ্পা) কান্নাকাটি করে ভাসায়। ১৯৭২ সাল থেকে দর্শকের মনে বদ্ধমূলভাবে গেঁথে গিয়েছে– ফুলের মতো নাজুক পুষ্পারা কেবল কাঁদতেই পারে। ফোঁস করতে পারেন না। 

২০২১ সালে আল্লু অর্জুন প্রথম দেখালেন, পুষ্পাদের কাঁটাও আছে। ফোঁস করতেও পারে। পুষ্পার নতুন সংজ্ঞা তৈরি করলেন এই বলে যে, সে মাথা নোয়াতে রাজি নয়, ‘পুষ্পা ঝুঁকে গা নেহি!’ সোয়্যাগে পরিপূর্ণ ডায়ালগ ডেলিভারি, থুতনির নিচ দিয়ে আঙুলগুলো কায়দা করে নিতে-নিতে পুষ্পা বলে ‘ঝুঁকে গা নেহি সালা’!

এই সিনেমায় অভিনয় করে প্রকৃত অর্থেই শোরগোল ফেলে দিলেন দক্ষিণ ভারতীয় তারকা আল্লু অর্জুন। যিনি অতীতে কেবল নিজের ঘরের মাঠেই গোল দিয়েছেন। কখনও ‘দেসামুদুরু’, কখনও ‘পারুগু’ তো কখনও ‘ইয়েভাদু’ সিনেমায়। রাতারাতি প্যান ইন্ডিয়া স্টারের তকমা পেয়ে গেলেন আল্লু। হয়ে উঠলেন গোটা দেশের ঘরের ছেলে।

গ্ল্যামারের মোড়ক থেকে আগাগোড়া বেরিয়ে, রোদে পোড়া চেহারা নিয়ে ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়ালেন পুষ্পারূপী আল্লু অর্জুন। পাখির চোখ করলেন গোটা দেশের দর্শককে। ‘মহাভারত’ মহাকাব্যের বীরের মতো লক্ষ্যভ্রষ্ট ছিলেন না বলেই পুষ্পার সিক্যুয়েল নিয়ে এখন থেকেই এত হাঙ্গামা শুরু হয়ে গেছে।


ইতিহাস   ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার, বললেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
 
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।  বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
 
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তামান্না ভাটিয়াকে ভারতীয় সাইবার সেলে তলব

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।

দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


তামান্না ভাটিয়া   ভারতীয় সাইবার সেল   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন