নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ২১ অগাস্ট, ২০১৯
শুধু সাধারণ দর্শক নয়। তারকারাও তার সহকর্মীর কাজ দেখতে চোখ রাখে টেলিভিশনে। এবার ঈদে আলোচিত নাটকের পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা জানালেন তাদের কি ভালো লাগলো।
আশফাক নিপুন:
প্রথমটি বলবো মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘কেস ৩০৪০’। এটি ভালো লাগার প্রথম কারণ হচ্ছে অপি করিম। অপি আপাকে নিয়ে আমি যে ধরনের কাজ করি। আমি যেভাবে চিন্তা করি। অপি আপার এখানে ক্যারেক্টারটা ছিল পুরোপুরি বাইরের। এগুলো আমরা নর্মালি দেখছি বাইরে হয়। আমি অপি আপাকে কোনভাবে হেয় করছি না। কিন্তু ওনার যে এইজ আছে। এটাকে প্রপারলি ব্যবহার করা। ওনার যে এইজ, উনি চাইলেই তো কলেজ স্টুডেন্ট হতে পারবে না। আমার কাছে মনে হয়েছে গল্পটাতে উনি প্রপারলি খাপ খেয়েছেন। এমনিতেই আমি অপি আপার ফ্যান। তারপরে যখন ওনাকে পুলিশ অফিসারের ক্যারেক্টারে দেখেছি তখন সেটা বেশ ভালো লেগেছে। ভারতে রানী মুখার্জি, শেফালী শাহদের এমন চরিত্র করতে দেখেছি। যেসব দিক বিবেচনায় এই কাজটি আমার বেশ ভালো লেগেছে। প্রথম কারণ অপি করিম হলে দ্বিতীয় কারণ মিজানুর রহমান আরিয়ান। কারণ এই পরিচালককে আমরা যেভাবে দেখি, ওনার এই ঈদে মনে হয় সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে লাইফ ইন্সুরেন্স নাটকটা। কিন্তু আমি ওই আরিয়ানকে চিনি। অপূর্ব ও মিথিলাকে নিয়ে যে গল্পটা করেছেন ‘লাইফ ইন্সুরেন্স’। ওইটা আমি আগেও দেখেছি। ওটা তো আরিয়ান পারে। তার নিজস্বতা থেকে বের হয়ে যে ডিডেক্টিভ থ্রিলার স্টোরি করেছেন কতটুকু পেরেছেন কি পেরেছেন ওটা তো সময় বলবে। কিন্তু আমার কাছে আগ্রহের জায়গাই ছিল ওইটা যে যখন কোন ডিরেক্টর নিজের কমফোর্ট জোনটা ভেঙ্গে অন্য কিছু করেন। এই কাজটা নিয়ে প্রচারের আগে থেকেই আমি এক্সাইটেড ছিলাম। সেটা দেখার পরও আমার ভালো লেগেছে। কিছু কিছু জায়গায় প্লট হোল আছে। কিন্তু এই কাজটা একটা বড় কাজ। আর্টিস্ট পছন্দ থেকে ক্যামেরার কাজ সবকিছুই প্রপার হয়েছে। কোন কার্পণ্য করেননি পরিচালক। অনেক সিনিয়র আর্টিস্টদের নিয়েছে।
শাফায়াত মনসুর রানার ‘আমাদের সমাজ বিজ্ঞান’। রানার কাজ এমনিতেই আমার ভালো লাগে। এখানেও আমি একই কথা বলবো। রানাকে আমরা প্রায় সময়ই দেখি জন অপর্নাকে নিয়ে কাজ করতে। এখানে যে গল্প সেখানে জন অর্পনাকে ধরেই নায়। ও নিলো নতুন একটা ছেলে ইয়াশ রোহানকে। ইয়াশের সঙ্গে আমি অনেক কাজ করেছি। এবার ঈদেও করেছি। এই কাজটিতে অনেক প্লট হোল আছে। যেমন লাস্টে আমার মনে হয়েছে রানার ভয়েসটা দেওয়া মনে হয়েছে দরকার ছিল না। সেটা আমি রানাকে পার্সোনালি বলেছিও। রানারটা ভালো লেগেছে কোন জায়গা থেকে। ওর গল্পটায় কামিং অব এইজ বলে একটা ব্যাপার আছে। কোন ওভার ড্রামাটিক না। একদমই এখনকার ছেলে মেয়েদের সঙ্গে মিলাইয়া করা। জিনিসটা এমনভাবেও ধরেনি যে একদম নেগেটিভিটির চরমে নিয়ে গেছে। খুবই থার্ড এক বিবেচনা থেকে ও ক্যারেক্টারটা দেখাইছে। আমি ‘এই শহরে’ নিশো- মেহজাবিনের ক্যারেক্টারটা ক্রিয়েট করেছি। আমার মনে হয়েছে ইয়াশের ক্যারেক্টারটা ও ক্রিয়েট করেনি। ইয়াশ ওর পাশের বাসায় ছিল। ও জাস্ট ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে ওকে তুলে এনেছে। এমন নাযে ওই ক্যারেক্টারের ভিতর এইসেই বৈশিষ্ট থাকবে। এভাবে ও করেনি। ও খুবই ক্যাজুয়াল স্টাইলে করে গেছে। এই সময়ে আমরা কি ফিল করতেছি সেটা ও খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে। সাউন্ড খুবই ভালো ছিল। আমি আসলে এখন দেখতে গেলে ব্যাকগ্রাউন্ডটাও খুব বিবেচনায় নেই। সেটা বিবেচনাতেও খুব ভালো কাজ হয়েছে। ‘আমাদের সমাজ বিজ্ঞান’ আমি পুরো বিরতীসহ দেখেছি। আমি একবারের জন্যও উঠিনি কাজটি দেখার সময়।
শাফায়াত মনসুর রানা:
অন্য কারো নাটক নিয়ে বলার মতো যোগ্যতা আমার আছে কিনা জানি না। তারপরও যখন প্রশ্ন করা হয় তখন সাধারণ দর্শক হিসেবে পছন্দেও কথা বলতে পারি। ভালো লাগা খারাপ লাগাটা শেয়ার করতে পারি। কয়েকটি নাটকই আমি দেখছি। এর মধ্যে দুইটা নাটক আমার একটু বেশি ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে এই দুইটা নাটকের অনেক কিছুই আগে দেখিনি।
একটা হলো ইফতেখার আহমেদ ফাহমির ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’। সামাজিক প্রেক্ষাপটেরই গল্প। তবে গল্পটার প্রেজেন্টেশন ভিন্ন ছিল। গল্পটায় একটা চমক আছে। এক লেয়ারের না গল্পটা। গল্পটা নিয়ে ভাবনার জায়গা আছে। ওভারঅল সবকিছু মিলিয়ে একটা প্রডাকশন দেখার যে আনন্দ সেটা এটায় পেয়েছি। অভিনয় নিয়ে বলতে গেলে তিশা, চঞ্চল গুনী শিল্পী। তারা ভালো করে এবং এটাতেও করেছেন। এখানে যে বিষয়টা, ফাহমি ওনার মতোই অভিনয়টা বের করে নিয়েছেন। নাটক বা তাদের অভিনয় দেখলে আর কেউ যদি এই পরিচালকের আগের কিছু কাজ দেখে থাকেন। তাহলে একবারে বলে দিতে পারবেন এটা ফাহমির নাটক। জিল্লুরও ভালো অভিনয় করেছেন। নাটকটির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ে একটা ভালো মানের কাজ হয়েছে। গল্পটার ভিতর একটা কিউরিসিটি বিল্ড আপ করাটা ছিল কাজটার বেস্ট পার্ট। গল্পটা ফ্লপি, কিন্তু তারপরও সেখানে একটা কিউরিসিটি ছিল যে বাচ্চাটাকোথা থেকে আসলো কিভাবে আসলো। লজিক্যাল ইললজিক্যাল যেটাই হোক বাচ্চাটাকে নিয়ে একটা ভালো টার্ন ছিল। শেষে মেসেজটাও ইনডাইরেক্টলি দেওয়াটাও আমার কাছে ইন্টেরেস্টিং লেগেছে। ফাহমি অনেকদিন পর ভালো প্রডাকশন নিয়ে ব্যাক করেছেন। এটাও আমাদের এবার ঈদের নাটকের বড় পাওয়া। তিনি যদি রেগুলার প্রডাকশন নির্মাণ করেন তাহলে বাজারে যা ঘটতেছে সেখান থেকে কিছুটা হলেও বেটার কিছু হবে।
আশফাক নিপুনের ‘এই শহরে’। এর গল্পটা ভালো। তবে যেটা একটু বেশি ভালো লেগেছে সেটা হলো নিশোর অভিনয়। নিশোর অনেক নাটক চোখে পড়ে, সেখানে কেমন লাগে আর আশফাক নিপুনের কোন কাজে তাকে কেমন লাগে সেটা আমি আশা করি সে নিজেও জানে। উনি যে লেভেলের অ্যকটিং করতে পাওে সেটা তিনি মনে হয় সাবান বানানোর মতো করে ফেলছেন। ওনার যে অ্যকটিং স্কিল সেটা মনে হয় এই নাটকটায় আবার দেখতে পেরেছি। উনি যে কত অসাধারণ অভিনয় করতে পারেন সেটা এই নাটকটায় দেখতে পেরেছি। গল্পে কিছু প্লট হোল ছিল। সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কাজ করার জন্য পরিচালককে সাধুবাদ। তবে গল্পটা যে কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত দেখতে বাধ্য করিয়েছে তা হলো নিশো। তার প্রত্যেকটা মোমেন্টের দিকে চেয়ে ছিলাম। তার ছোট ছোট এক্সপ্রেশন, ডায়লগ ডেলিভারি সবকিছুই নাটকটিকে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। আর মেহজাবিন ভালো করেছেন। তার যেটা বেটার পার্ট, সে এখন অ্যাকটিং নিয়ে খুবই সিরিয়াস। সে যে যেকোন চরিত্র খুব যত্ন নিয়ে করতে চায় সেটা এই নাটকটি দেখলেও বুঝা যায়। তবে আরো ভালো করতে হবে। কারণ কিছু কিছু জাগায় সে মিক্স টোনে কথা বলছিল। এই জায়গা গুলোতে সে আরেকটু সতর্ক হলে আমার মনে হয় সময়ের থেকে সে একটু এগিয়ে যাবে। আর মেহজাবিন কিংবা নিশো তাদের এই নাটকে ভালো কিছু বের করার প্রশংসা তো অবশ্যই পরিচালককে দিবো।
মাবরুর রশীদ বান্নাহ:
তৌহিদ আশরাফের ‘কিটনাশক’। ঈদে বেশিরভাগ সময়ই রোমান্টিক না হয় কমেডি নাটকই হয়। সেখানে অফট্রাক স্টোরি নিয়ে স্টোরি খুবই কম হয় আমাদের দেশে। অফট্রাকের জায়গা থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে এটা একটা ভিন্ন গল্প। এই পরিচালক অপেক্ষাকৃত নতুন ও অপরিচিত। কিন্তু ওর গল্প বলার ধরণটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ওর উদ্দেশ্য সৎ ছিল। গল্প বলার ক্ষেত্রে ও নতুন ঢংটা তৈরী করতে চেয়েছে। ঈদে সবাই হিট প্রডাকশন বানানোর জন্য রোমান্টিক বা কমেডি জনরাতেই কাজগুলো করে। সেখান থেকে ‘কিটনাশক’ এর গল্প বলার ধরণটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। মুশফিক ফারহানও বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। একই সঙ্গে নাটকে তার দুই রুপ দেখা গেছে। যেটা সে বেশ ভালোভাবেই করতে পেরেছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
মোরসালিন শুভর ‘রাজন দ্যা কিং’ নাটকটিও ভালো লেগেছে। একজন খেটে খাওয়া মানুষ কিভাবে পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেক খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারে। সেটা হয়তো অনেক সময় বাংলা ছবিতে আমরা দেখেছি। কিন্তু নাটকে খুব রিয়েলিস্টিক ওয়েতে এ ধরনের গল্প খুব কমই আমার চোখে পড়েছে। সাধারণ এক ছেলে। বস্তিতে বেড়ে উঠা। বেড়ে উঠাটা বেশ হাবগোবা হয়েই। সেই ছেলেটি হয়ে উঠে শহরের ত্রাস। হয়ে উঠে চাঁদাবাজ আর আন্ডার ওয়ার্ল্ড জগতের ডন। কিন্তু কেন ছেলেটি ডন হয়ে উঠেন। হয়ে উঠেন ভয়ংকর? কে তাঁর গডফাদার, কে তাঁকে নিয়ে এলো এই অন্ধকার জগতে এবং কেনই বা মোশাররফ করিমরা শীর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে ওঠেন। অপূর্ণ রুবেলের চিত্রনাট্যে টেলিফিল্মটির পরিচালক মুরসালিন শুভ। মোশাররফ করিম এর মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মোশাররফ ভাই তো দুর্দান্ত অভিনয় করেছেনই সঙ্গে শামিম হাসান সরকার, অর্ষাসহ অভিনয়শিল্পীরা বেশ ভালো অভিনয় করেছেন।
মৌসুমী হামিদ:
মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘সাবলেট’ নাটকটা খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে অপূর্ব ভাইয়া আর পূর্ণিমা আপুর অভিনয়। কিছু কিছু নাটক আছে না যে দেখা শেষেও রেশ থেকে যায়। এটা সে ধরনের একটা গল্প ছিল। আর নাটকটি দেখতে গিয়ে মনের মধ্যে বারবার মোচড় দিয়েছে, শুন্যতা তৈরী হয়েছে। পূর্ণিমা আপুর ছোট ছোট এক্সপ্রেশনগুলো আমাকে ভীষণ টাচ করেছে।
আরেকটির কথা বলবো মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘বুক ভরা ভালোবাসা ২’। শবনম ফারিয়ার অভিনয় আমার এমনিতেই ভালো লাগে। ওর ‘বুক ভরা ভালোবাসা’ দেখেছিলাম। এর সিক্যুয়েলটাও ভালো লেগেছে। ফারিয়া ও তৌসিফ খুবই ভালো অভিনয় করেছে। এই গল্পটাও আমার খুব আপন মনে হয়েছে। সহজ সরল গল্প, সাধারণ দর্শক হিসেবে আমার ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের পরিবারগুলো সুখী হোক, পরিবারের স্বামী স্ত্রীর যে বোঝাপড়া সেটা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
অর্ষা
শাফায়াত মনসুর রানার ‘আমাদের সমাজ বিজ্ঞান’ আমার খুব ভালো লেগেছে। আমাদের সমাজের এই সময়ের ক্রাইসিস গুলো খুব একটা ইয়ং ছেলের মধ্য দিয়ে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আসলে নাটকটি দেখে মনে হবে ওই চরিত্রটা আমি ও আমার মতো আরো যারা এই সমাজকে নিয়ে ভাবে। শাফায়াত মনসুর রানার গল্প বলার ঢংটা আমার খুব পছন্দ। বরাবরের মতোই ওনার কাজে একটা আলাদা ব্যাপার থাকে। কম কাজ করে বলে মনে হয় ওনার কাজে প্রপার মনোযোগ দেওয়া থাকে।
রাফসান আহসানের ‘লিডার’। এখানে যে ব্যাপারটি ছিল এটা একটু সিনেমাটিক অ্যাকশন বেইসড। টেলিভিশনে তো আসলে অ্যকশন বেইজড কাজ কম হয়। দু:খ , প্রেম, ভালোবাসা , অ্যকশন সবই ছিল গল্পটায়। মনে হয়েছে ছোট পর্দায় সিনেমার স্বাধ। শতাব্দি ওয়াদুদ, স্পর্শিয়া, অন্তুরা গল্পটাও বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান এক বছরেই জাওয়ান, পাঠান এবং ডাঙ্কির মতো
হিট ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমা প্রেমিদের। বর্তমানে নতুন ছবির কাজ শুরুর আগে বিশ্রাম
নিতে পারেন বলিউডের এই কিং খান। বিশ্রাম সেরে এ বছরের জুনে তিনি তার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং
শুরু করতে চান।
শুক্রবার (৩ মে) ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা
জানিয়েছেন শাহরুখ খান।
অভিনেতা বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমার একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিত। তিনটি
সিনেমা পরপর করে ফেলেছি। যার জন্য আমার শরীরে অনেক ধকল গেছে। আমি কলকাতা নাইট রাইডার্স
দলকে বলেছিলাম যে এইবার শুধু মূল ম্যাচে আসব।
সৌভাগ্যবশত, আমার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং আগস্ট থেকে শুরু হবে বা
হয়তো জুলাই। যদিও আমরা জুনে শুরু করার প্ল্যান করছি। আমি সব হোম ম্যাচে আসতে চাই কারণ
কলকাতা আমার বাড়ির মতো। তবে শাহরুখ ছবির নাম বা অন্যান্য বিবরণ প্রকাশ করেননি।
এদিকে, শাহরুখকে স্টেডিয়ামে প্রায়ই তার ছোট ছেলে আব্রাম নিয়ে আসতে
দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন
বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। প্রায় দু'দশক ধরে জনপ্রিয়তার
শীর্ষে থেকে বলিউড ইন্ড্রাষ্ট্রিতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন
একের পর এক হিট সিনেমা। অবিনেত্রী নিজের মত করেই দায়িত্ব পালন করেন, হোক সেটা বলিউড
কিংবা নিজের পারিবারিক স্থান থেকে। কারিনা দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান
তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূত হিসেবে
মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।
শনিবার (৪ মে) নিজেই ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এ খবর জানান কাপুরকন্যা। তিনি
লেখেন, আমার জন্য খুব আবেগের একটা দিন। UNICEF-এর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেয়ে আমি ধন্য়।
ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত দশ বছর ধরে
ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন কারিনা কাপুর। শুরুটা হয়েছিল সেই ২০১৪ সালে সেলেব্রিটি অ্যাডভোকেট
হিসেবে। এবার সেই পদ থেকেই উত্তরণ হয়ে সরাসরি ইউনিসেফ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের
দায়িত্ব পেলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে কারিনা বলেন, গত দশ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছি। গত বছরগুলোতে দেশের শিশু এবং নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের টিম যে কাজগুলো করেছে, তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি প্রতিদিন অনুপ্রেরণা পাই সেগুলো থেকে। আশা রাখি ভবিষ্যতেও এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে যাব।
ইউনিসেফ রাষ্ট্রদূত কারিনা কাপুর বলিউড
মন্তব্য করুন
দক্ষিণী সিনেমার রকিং স্টার যশের সিনেমা পুরো বিশ্বে ব্যাবসায় রেকর্ড
গড়েছে। ‘কেজিএফ’ ও ‘কেজিএফ ২’ এর পর গীতু মোহনদাসের ‘টক্সিক’ ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ
হয়েছেন যশ।
জানা যায়, ‘টক্সিক’ এই সিনেমায় যশের বোনের চরিত্রে দেখা যাবে কারিনা
কাপুরকে। এমনকী, ‘ক্রু’ ছবির প্রচার চলাকালীন পরোক্ষভাবে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলিউড
বেবো নিজেই। কিন্তু সে আশা যেন উড়ে গেল কাপুরের মতো। সম্ভাবনার বাস্তব রূপ আর দেখতে
পাবেন না দর্শক।
ড্রাগ মাফিয়াদের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হবে এই সিনেমাটি। স্বাভাবিকভাবেই
‘কেজিএফ’ খ্যাত যশকে নিয়ে উন্মাদনা দর্শকমহলে। সম্প্রতি একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এই
সিনেমার নির্মাতার তরফ থেকে। দর্শকের মধ্যে উত্তেজনা দেখে টিম টক্সিক খুবই আনন্দিত।
তবে সিনেমাটি নিয়ে কোনো মিথ্যে তথ্য ছড়াতে বারণ করেছেন নির্মাতা।
এদিকে সিনেমার জন্য চলছে জোরদার প্রস্তুতি। ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিনেতাদের বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু যশের বিপরীতে কে অভিনয় করবেন
তা নিয়ে শুধু নির্মাতা নয়, যশ-প্রেমীরাও ছিলেন বেশ চিন্তিত। অবশেষে যশের নায়িকা হিসাবে
কিয়ারা আদভানি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্মাতা মনে করছেন, যাদের কাস্ট করা হয়েছে তারা
শতভাগ উপযুক্ত।
অন্যদিকে ধোঁয়াশা রেখেই সিনেমাটি থেকে সরে গেলেন কারিনা। জানা যায়,
তারিখ নিয়ে সমস্যার কারণেই অভিনেত্রীর এমন সিদ্ধান্ত। নির্মাতার তরফেও তারিখ বদল করার
কোনও সম্ভাবনা নেই। স্বভাবতই ঘটনাটি নিয়ে কিছুটা হতাশ বেবোর অনুরাগীরা। তার পরিবর্তে
কাকে কাস্ট করা হবে সে অপেক্ষায় সিনেপ্রেমীরা।
যশ কারিনা কাপুর বলিউড দক্ষিণী সিনেমা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা
ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান।
নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।
বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময়
শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক
পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের
বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময়
দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!
সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে
যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই
ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই
আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে
কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা
মেলেনি।
‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন
আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন
ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’
ব্র্যাড পিট জনপ্রিয়তা শাহরুখ খান বলিউড
মন্তব্য করুন
বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। প্রায় দু'দশক ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে বলিউড ইন্ড্রাষ্ট্রিতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। অবিনেত্রী নিজের মত করেই দায়িত্ব পালন করেন, হোক সেটা বলিউড কিংবা নিজের পারিবারিক স্থান থেকে। কারিনা দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।