নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০২০
জন্ম ধানমণ্ডি এলাকায়। লেকের পাশ ঘেঁষে এক বাড়িতে। ধানমণ্ডি আর লালমাটিয়ায় কেটেছে বেশ কয়টি বছর। নবম শ্রেণি পেরিয়ে যখন সবে দশমে। চলে যাওয়া হয় ফার্মগেটে। ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত সেখানেই থাকা হয়েছে। সেখান থেকে কয়েক বছর উত্তরায়। বর্তমানে গুলশানে স্থায়ী।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঈশতা বলেন, ‘আমরা বড় হয়েছি আশি-নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে। মানে এই সময়টা আমাদের শৈশব বলা চলে। যদি প্রশ্ন করা হয়, তখন ঢাকা কেমন ছিল? প্রথমেই যে উত্তরটা আসবে- ঢাকা অনেক সবুজ ছিল। আরো অনেক বেশি গাছ ছিল। বড় বড় গাছ। প্রায় প্রত্যেক মহল্লায় একাধিক বড় খেলার মাঠ ছিল। আমরা মেয়েরা তো সেখানে ছোটাছুটি করতাম, খেলতাম। ছেলেরা দেখতাম বিকেল হলেই ফুটবল অথবা ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ত। তারপর আমরা সবাই সবার অনেক পরিচিত ছিলাম। দু-এক এলাকার মানুষের খবর আমরা জানতাম। কার কোনটা বাসা চিনতাম। ফ্ল্যাট কালচারে যেটা সবচেয়ে বেশি অনুপস্থিত। আর তখন অনেক বেশি ঢাকার মানুষ ঢাকায় বাস করত। এখন যেমন বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে ভরে গেছে। তখন আসলে এই সংখ্যাটা খুবই কম ছিল।’
ছোটবেলার আরো কিছু স্মৃতি রোমন্থন করেন ঈশিতা। ‘ ধানমন্ডিতে জ্ঞানকোষের পাশে একটা দোকান ছিল, নাম স্নো হোয়াইট। সেখানে বসে আইসক্রিম খেতাম। গার্ডেন মার্কেট বলে ধানমণ্ডিতে অনেক বড় একটা মার্কেট ছিল। ওখান থেকে আমরা চকোলেট কিনতাম, ঘুরতাম। তখনকার সময় এই ঘোরার মধ্যেও একটা মজা ছিল। এত এত মানুষ ছিল না। এত এত জ্যাম ছিল না। ওই যে বললাম, আগে বড় বড় গাছ ছিল, এখন বড় বড় ভবন দেখা যায়। ঢাকার সবুজ দখল করেছে সব হাইরাইজ বিল্ডিং। ঢাকা একটা নির্মল শহর ছিল। আস্তে আস্তে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে!
অনেক রকম অভিযোগ আছে ঢাকার বিরুদ্ধে; কিন্তু জ্যাম সব কিছুকে ছাড়িয়ে। তবুও এই ঢাকাকে পৃথিবীর সব কিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসেন। ‘পৃথিবীর যে দেশেই যাই, গুনে পাঁচ দিনের বেশি থাকতে গেলে দম বন্ধ হয়ে যায়। নিজের মতো করে জীবনযাপনের জন্য নিজের দেশ, নিজের শহরের কোনো বিকল্প হয় না। ঢাকাকে নিয়ে সবার আরো অনেক বেশি ভাবা উচিত, বিশেষ করে এই ঢাকার যাঁরা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন। ভবিষ্যতে যিনি দায়িত্ব পাবেন। যেমন আছে তেমন তো চলতে পারে না। আরো অনেক বেশি পরিকল্পিত হলে হয়তো জ্যাম বা এ ধরনের নানা সমস্যা উতরানো সম্ভব। আর ঢাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আমরা যারা সাধারণ জনগণ আছি, তাদেরও আরো অনেক বেশি সচেষ্ট হওয়া উচিত। ঘরটাকে যেমন পরিষ্কার রাখতে চাই, সাজিয়ে রাখতে চাই। ঢাকাকেও যদি আমরা ঘর মনে করি, তাহলে তা সাজিয়ে রাখা সম্ভব। এটা যে শুধু মেয়রদের কাজ তা নয়। এটা আমাদের সবার কাজ।’ বললেন ঈশিতা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন