নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২০ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০১৭
একটি নাটক নির্মাণের পেছনের গল্প জানেন? প্রতিদিন টিভিতে নাটক-টেলিফিল্ম প্রচার হচ্ছে। ঈদ গেল,শ-চারেক নাটক প্রচার হয়েছে। আলোচনা-সমলোচনা কম হয়নি। কিন্তু কখনো কী আমরা ভাবি একটি নাটকের নির্মাণ ব্যয় কত? দিনশেষে এটা একটি ইন্ডাষ্ট্রি। এখানে টাকা লগ্নি করা হয় মুনাফা লাভের আশায়। বাস্তবে কি তা সম্ভব? একটা নাটক কত টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয় আর কত টাকায় চ্যানেলের কাছে বিক্রি হয়? নাটক অঙ্গনে চিরাচরিত একে অন্যের দিকে দোষারোপ, বাজেট নেই। বাস্তবিক চিত্র তো ভিন্ন। বাংলাদেশের নাটক বিদেশেও শুটিং হচ্ছে। খবর মেলে, পরিচালক এক ইউনিট নিয়ে মাস খানেকের জন্য দেশের বাহিরে যাচ্ছে। সিঙ্গাপুর , মালয়েশিয়ায,অষ্ট্রেলিয়া এমনকি আমেরিকা লন্ডনেও নাটকের শুটিং হচ্ছে। গেল কয়েক বছরের চিত্র দেখলে স্পষ্ট এসব নাটক তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়েই নির্মাণ হয়। যেন তারুণ্যের জোয়ার সব বিদেশেই বহে। বিদেশে শুটিং হয়েছে আর আপনার ভালো লেগেছে এমন কয়টা নাটকের নাম আপনি বলতে পারবেন? বাজেট না থাকলে কীভাবে সম্ভব এত টাকা ব্যয়? ভাবছেন চ্যানেল এত টাকা দিয়ে প্রযোজকের কাছ থেকে নাটক কেনে? বিদেশে শুটিং আর কাস্ট ক্রু মিলিয়ে যে খরচ সে টাকা দিয়ে চ্যানেল নাটক কিনলে স্পন্সর কোথায় পাবে? চ্যানেল তার আদর্শিক দিক থেকে কখনোই নড়ে না। তাদের মূল ফোকাস ব্যবসা। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন বেসরকারী চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে না আমরা ব্যবসা বাদ দিয়ে সংস্কৃতিকে মুখ্য হিসেবে দেখি। এটা সম্ভবও নয় দিন শেষে। প্যাকেজ নাটক, পৃথিবীতে বোধ হয় এই একটা জিনিসেরই দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে গত পাঁচ বছরে। এখন এক লাখ ৮০ হাজার বা দুই লাখ টাকার ওপরে কোনো নাটকের বাজেট গেলে সেটাকে আত্মহত্যা বলেই ধরে নেয়া যায়। তারপর আবার আমাদের স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর প্রযোজকদের সাথে চুক্তির সময়সীমা রক্ষার যে আন্তরিকতা টিভি চ্যানেলগুলোর! তিন মাসের মধ্যে মূল্য পরিশোধের কথা চুক্তিতে লেখা থাকলেও, সেই তিন মাস মাঝে মধ্যে তিন বছরেও শেষ হয় না কোনো কোনো চ্যানেলের। কিন্তু নাটক তো নির্মাণ হচ্ছে। দর্শক উপভোগ করছে।
কোন প্রযোজক সহসা আপনার চোখে পড়ে না কেন? উত্তরটা সহজ করে দিলে। বেশিরভাগ প্রযোজকরা মৌসুমী ফলের মতো। এদের দেখা সবসময় মেলে না। এদের সবাই চেনেও না। আর এই মৌসুমী প্রযোজকরা বাজেট দিতেও কার্পণ্য করে না। তাদের হাতে রয়েছে অজস্র টাকা। তাঁরা কি মিডিয়ায় শিল্প চর্চা করতে আসে? হঠাৎ করে একজন বিল্ডার্সের সংস্কৃতি চর্চার উদ্রেক কেন হবে মনে? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শোনা যায় পরিচালক আর নায়িকা ধরে নিয়ে আসে প্রযোজক। তারপর বাকিটা তারাই সেট করে। এইতো সেদিন এক পরিচালক আড্ডা দিতে দিতে বলছিলো ‘প্রযোজকরা গল্প চায় না। নায়িকা কাকে নিব তা আগে জানতে চায়। তারপর তার মতামত। সে কোন নায়িকাকে তার নাটকে চায়। সেখান থেকে পরিচালকের গল্প ভাবতে হবে। নায়িকা যেই হোক, আমার ম্যানেজ করতে হবে। তারপর হবে কাজ। যেন আমি একজন মধ্যস্থতাকারী।’
প্রশ্ন হলো সেই নাটক কি টেলিভিশনে প্রচার হয়? ‘সেই দায়িত্ব প্রযোজকের। নাটক প্রচার হতে হবে কে বলছে? আর প্রচারও হয়ে যায়। যদি চ্যানেলের কর্তাব্যক্তির পরিচিত হওয়া যায়।’
কীসের কী ? কোন নেশায় মিডিয়ায় এই প্রযোজকদের আমদানী। তখন বিপাকে পড়ে নিয়মিত প্রযোজকরা। মৌসুমী প্রযোজকের অর্থের কাছে হেরে যায়।
দেশে টেলিভিশন প্রযোজকদের সংগঠন আর নীতিমালা থাকলেও নেই কোন প্রয়োগ। যে যেভাবে পারছে মিডিয়াতে আসছে। তার ইচ্ছা পূরণ করছে, চলে যাচ্ছে। যা হচ্ছে, প্রতিনিয়ত টেলিভিশন মাধ্যম কলুষিত হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন