কালার ইনসাইড

তারকাদের সর্বশেষ পড়া প্রিয় বই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০৫ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

এমন অনেক তারকাই আছেন যাদের বই নিত্যসঙ্গী। শত ব্যস্ততার মাঝেও নিয়মিত বইয়ের পাতায় চোখ থাকে তাদের। এমনই কয়েকজন তারকার কাছ থেকে জানা হলো সর্বশেষ কি বই ভালো লাগলো তাদের:

শম্পা রেজা

জিয়া হায়দার রহমানের ‘ইন দ্য লাইট অব হোয়াট উই নো’ নামে ইংরেজি ভাষায় একটি উপন্যাস সর্বশেষ আমার বেশ লেগেছে। ২০১৪ সালে প্রকাশ হয়েছে বইটি। বিশ্বজুড়ে সারা জাগানো বই। নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য নিউ ইয়র্কার বিশদ আলোচনা ছেপেছে বইটির। কারও কারও মতে, তাঁর এ উপন্যাস একবিংশ শতাব্দীর প্রথম ক্ল্যাসিক। জিয়া হায়দার রহমানের জন্ম বাংলাদেশের সিলেটের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর বালক বয়সে তিনি পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে।এ উপন্যাসের প্রধান দুই চরিত্রই অভিবাসী। কিন্তু তাদের একজন অভিবাসী হলেও তার কোনো অস্বস্তি নেই। এখানেই দুজনের মধ্যে পার্থক্য। একজনের নাগালে আছে বিশ্বের সবকিছু। আরেকজনের কাছে পৃথিবীর কোনো কিছুই নেই। উপন্যাসে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার অনেক কিছুই উঠে এসেছে। উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ২০০৮ সাল। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ব্রিটেন ও আমেরিকার বিস্তৃত পটভূমিতে বিন্যস্ত হয়েছে কাহিনি। অভিবাসী জীবনের যন্ত্রণা, হতাশা, পাশ্চাত্যের সবজান্তা মানসিকতা, পাশ্চাত্য শিক্ষার অন্তঃসারশূন্যতা, জঙ্গিবাদ থেকে শুরু করে ওয়াল স্ট্রিটের জীবন-মরণ প্রতিযোগিতা সবকিছুই প্রতিফলিত হয়েছে উপন্যাসে। উপন্যাসে এসেছে সত্তর, আশি ও নব্বই দশকের বিভিন্ন ঘটনা। সেই সময়ে অনাবাসী বাংলাদেশীদের জীবনচিত্র।এই বইটার আবেদন আসলে শেষ হবে না। কারণ বিশ্বজুড়ে অভিবাসীও তো শেষ হবে না।

এছাড়া নমিতা দেবিদয়ালের ‘দ্যা সিক্সথ স্ট্রিং অব বিলায়েত খান’ বইটিও গত বছর পড়া বেশ ভালো লাগা বই। বিলায়েত খানের বায়োগ্রাফিক্যাল। তবে আমি বরাবরই জীবনানন্দের ফ্যান।       

মাকসুদ

আমার ইংরেজি বইই পড়া হয় বেশি। এর মধ্যে সর্বশেষ যে বইগুলো পড়েছি তার মধ্যে শশী থারুরের নন-ফিকশন `হোয়াই আই অ্যাম অ্যা হিন্দু` বইটির কথা বলা যায়। বাংলায় যার অর্থ দাড়ায় আমি কেন হিন্দু? ভারতের কংগ্রেস নেতা এবং লেখক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার শশী থারুর। হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে খুব ভাসা ভাসা ধারণা ছিল আমার। অল্প কথায় খুব বিস্তারিতভাবে হিন্দু ধর্মের অনেককিছু তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। হিন্দু ধর্ম সম্বন্ধে আমাদের অনেকগুলো ভুল ধারণা আছে। সেই ভুল ধারণাগুলো ভাঙতে এই বইটা পড়া বেশ জরুরি। এখানে হিন্দু ধর্মের অনেক বড় বড় মনীষির নাম ও তাদের কর্মের কথা এসেছে। তাদের মূল ভাবটা ও চিন্তা ধারা কি ছিল আর এখনকার যে বিজেপি তাদের চিন্তাধারার যে কতটা অমিল সেটাও ফুটে উঠেছে। এখানে যেমন হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে বলা হয়েছে তেমনি এখনকার কট্টর হিন্দুদেরও তুলে ধরা হয়েছে। এই যে এনআরসি বা মুসলমান বিদ্বেষী হতে হবে এটা কেন তা খুব স্পষ্ট করে বলা হয়েছে বইটিতে।

তারিক আনাম খান

আমার নাটকের বইই বেশি পড়া হয়। কারও নাটকের বই বের হয়েছে শুনলে সংগ্রহ করার চেষ্টা করি। এ বছর মুনির চৌধুরী নাটক সমগ্রটা আবার পড়লাম। যেটা খুব মনে লেগে আছে। এটার তো দুটি পার্ট। দেখা যায় অনেকদিন পর পর এটা পড়া শুরু করি। গত বছর যত বই পড়েছি। এটা আমার একটু বেশি ভালো লেগেছে বলবো। সমকাল, ইতিহাস, ঐতিহ্য, পুরাণ ও মিথাশ্রয়ী জীবনভাবনা তাঁকে করেছে অসাম্প্রদায়িক, উদারমান বিক ও বস্তুবাদী শিল্পস্রষ্টা।তীব্র মননের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো সূক্ষ্ম রসবোধ, যা তাঁর সাহিত্যকর্মকে করেছে প্রাণবন্ত এবং ভিন্নমাত্রিক।তার নাটকগুলো আসলে এখনো যখন পড়ি, মনে হয় কিছু শিখি। কিছু শিখতে হলে তার বইগুলো পড়ি নতুন করে। অ্যা হান্ড্রেড শর্ট স্টোরিজ ওয়ার্ল্ড ক্লাসিক- এটাও এ বছর পড়া একটা ভালো বই। 

ফাহমিদা নবী

ডিডেক্টিভ আর গানের বই পড়তে আমার ভালো লাগে। গেল একবছরে পড়ার মধ্যে হিসেব করলে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ঋণ’ গল্পটা খুব ভালো লেগেছে। শীর্ষেন্দুর লেখায় কেমন যেন অন্যরকম একটা কিছু পাই।এই উপন্যাসে আমেরিকা-ফেরত এক বিত্তশালিনী ডিভোর্সি যুবতীর খুনের ঘটনার তদন্তকে কেন্দ্র করে গড়ে-ওঠা এই কাহিনি। শ্বাসরুদ্ধকর নানা উপাদানে ঠাসা,তদন্তের সূত্র ধরে পাতায়-পাতায় উন্মোচিত হয়েছে নতুন-নতুন চমকপ্রদ তথ্য, তুখোড় গোয়েন্দার অন্তর্ভেদী জেরার সামনে প্রত্যেককেই মনে হয় কোনো-না কোনোভাবে সন্দেহজনক, প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই মনে হয় রয়েছে খুনের অভ্রান্ত এক মোটিভ, অথচ শেষাবাধি যখন ধরা পড়ে যথার্থ খুনি, একবারও অবিশ্বাস্য মনে হয় না। অপরাধকে মেনে নেওয়া যায় না ঠিকই, কিন্তু অপরাধীর জন্যও পড়ে দীর্ঘশ্বাস। এখানেই এই উপন্যাসের প্রকৃত সার্থকতা। আমি যে দুই ধারার বই পছন্দ করি তার একটি থ্রিলার টাইপ, আরেকটি গানের বই। গানের বই আমি পড়তে থাকি। রবীন্দ্রনাথের গানের বই যেমন আমার ভীষণ প্রিয়।

সাজু খাদেম

অভ্যাস কিংবা টার্গেট যা-ই বলা হোক না কেন, আমি ভীষণ পলিটিক্যাল বই পড়তে পছন্দ করি। বাংলাদেশের পলিটিকস নিয়েই আমার আগ্রহ বেশি। এক একজন সিনিয়র নেতার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন জানার প্রতি আমার আগ্রহ বেশ।তবে গত বছরে একটু বেশিই পড়া হয়েছে যে বইটা তা হলো ‘জীবন যাপনে শিল্পকলা’। এটি একটি অনুবাদ বই। এটি অনুবাদ করেছেন কবির চৌধুরী স্যার। এই বইটা আসলে প্রতিটা বিষয়ে মিল্পকলা কিভাবে জড়িত তা তুলে ধরা হলো। বন্ধুত্তের শিল্পকলা, ভালোবাসার শিল্পকলা, প্রেমের শিল্পকলা, মানুষের ব্যবহারের শিল্পকলা, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যে একটা আর্ট থাকা দরকার সেটার ওপর ব্যসিক্যালি বইটা। বন্ধুত্বে কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে সেটারও যে একটা আর্ট থাকতে পারে বইটাতে তা তুলে ধরা হয়েছে। শিল্পকলা যে জীবনের প্রতিটা মুহুর্তের সঙ্গে কিভাবে উৎপোতভাবে জড়িয়ে আছে তা্ তুলে ধরা হয়েছে।

ইরেশ যাকের

পল থিরোউঁর ‘দ্য গ্রেট রেলওয়ে বাজার’ বইটি আমার গত বছরের পড়া সবচেয়ে ভালোলাগা বই বলবো। বইটি প্রকাশ হয়েছে তাও তো পার হয়ে গেছে ত্রিশ বছরের বেশি। এরই মাঝে সেটা স্থান করে নিয়েছে ভ্রমণ ক্লাসিকগুলোর মাঝে। এই বইটি ট্রেনকে ঘিরে। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন আর বিভিন্ন বৈচিত্র্যে ভরপুর সব রেল-রোড এবং ট্রেন নিয়ে এই বইটি। এটা আসলে একটা নন-ফিকশন ট্রাভেল বুক। রয়েছে রেলওয়ে সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম তথ্য যা আপনাকে ভ্রমণে সহযোগিতা করবে। কিন্তু একই সাথে এটাকে বলা যায় তাঁর নিজস্ব ভ্রমণ কথামালা। তিনি ঘুরেছেন, তাঁর বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।তাঁর এই সুবিশাল যাত্রায় আছে এশিয়া আর ইউরোপের বিভিন্ন রেল-রোড। ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস, দ্য খাইবার পাস লোকাল, দ্য ফ্রন্টিয়ার মেইল, কুয়ালালামপুর গোল্ডেন এ্যারো, দ্য মান্ডালা এক্সপ্রেস, ট্রান্স-সাইরেবিয়ান এক্সপ্রেস এই সব রেল-রোডই সেই সতেরো আর আঠারো শতকে ব্রিটিশ এম্পায়ার এর সময় তৈরি।সে ইউরোপ থেকে টার্কি, আফগাস্তিান থেকে পাকিস্তান, ভারত থেকে শ্রীলংকা, মায়ানমার, জাপান থেকে রাশিয়া হয়ে সে ইংল্যান্ডে ব্যাক করে।  পুরো বই জুড়ে ভরপুর হয়ে আছে পল থিরোউঁ এর উদ্ভট সব হিউমার, অসাধারণ সব ঘটনার বিবরণ আর সত্তরের দশকের নানা ঘটনায়।তার বহুদিনের ভ্রমণের গল্প নিয়ে লেখা। এর মধ্যে নানা মানবিক দিকও ফুটে উঠেছে। বইটায় আমি এমনভাবে মজে গিয়েছিলাম। একটা সময় মনে হচ্ছিল কখন তার ভ্রমন শেষ হবে। ভ্রমন কি শেষ হবে না।

মৌটুসি বিশ্বাস

গত বছর কয়েকটা বই আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো শাহাদুজ্জামান স্যারের ‘ক্রাচের কার্নেল’। কর্ণেল আবু তাহেরকে নিয়ে লেখা। এরপর যে উপন্যাসের নাটকে কাজ করছি আমরা হাসান আজিজুল হক স্যারের ‘আগুন পাখি’, এটাও অসাধারণ লেগেছে। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে বলেই পড়াটা শুরু করেছিলাম। কিন্তু একটা সময় সত্যিই মুগ্ধতায় ডুবে গেলাম।তবে গত বছরটা জুড়ে আমি রবীন্দ্রনাথের ওপর বেশ কিছু পড়াশুনা করেছিলাম। প্রথম আলোতে তো সুনীল গঙ্গোপাধ্যয় রবীন্দ্রনাথের ওপর বেশ সুন্দর করে লিখেছেন। সেখান থেকেও রবীন্দ্রনাথের আরো কিছু বই ঘেটেছি আমি। রবীন্দ্রনাথের বাড়ির যে মেয়েরা তারা কিন্তু ভীষণ স্বাধীনচেতা ছিলেন।সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ির মেয়েরা ভীষণ এগিয়ে ছিল, ভীষণ ভালো লিখতেন তারা। তখন কিন্তু নিউক্লিয়ার পরিবার খুব রেয়ার ছিল। কিন্তু জ্ঞানদা নন্দীনি জয়েন্ট ফ্যামিলি থেকে বেরিয়ে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি ইন্ট্রডিউস করেছিলেন। ঠাকুর পরিবার সম্পর্কে জেনেছি বিভিন্ন বই থেকে। ১০০ বছরের আগে তাদের পরিবার কতটা ফার্স্ট ছিল। সে বাড়ির মেয়েদের সম্পর্কে জেনেছি। এই জন্য আমি বেশ কিছু বই পড়েছি। যেমন ঠাকুর বাড়ির বিধবা বিবাহ ও অন্যান্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিষ্য মৈত্রী দেবীর বই ছিল।

বাংলা ইনসাইডার

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার, বললেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
 
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।  বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
 
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তামান্না ভাটিয়াকে ভারতীয় সাইবার সেলে তলব

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।

দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


তামান্না ভাটিয়া   ভারতীয় সাইবার সেল   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন