নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ আত্মহত্যা নিয়ে আজ সোমবার দুপুরে ব্রিফিং করেছে পিবিআই। সেখানেই জানা গেছে যে পারিবারিক কলহের জেরেই আত্মহত্যা করেছিলেন সালমান শাহ। এই ব্রিফিংয়ে সালমান হত্যায় ঘুরে ফিরে আসছে নায়িকা শাবনূরের প্রসঙ্গ। পিবিআই জানিয়েছে, শাবনূরের সঙ্গে সালমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং সালমান তাকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন। তবে সতীনের সঙ্গে সংসার করতে রাজি ছিলেন না সালমানের স্ত্রী সামিরা। এ নিয়ে সালমান-সামিরার মধ্যে মনোমালিন্যও হয়।
সালমানের আত্মহত্যার আগের দিন আগে তার ডাবিং দেখতে এফডিসিতে গিয়েছিলেন সামিরা। ডাবিং রুমে শাবনূর ও সালমানকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেন তিনি। ব্রিফিংয়ে এমনটাই বলা হয়েছে।
এসময় আরও জানানো হয়, চিত্রনায়িকা শাবনূর সালমানের বাসায় প্রায়ই আসতো এবং যখন তখন টেলিফোন করতো। আত্মহত্যার আগে সালমান শাবনূরের দেওয়া উপহার ভেঙে ফেলেন সালমান। সালমানকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছে পিবিআই।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহকে ঢাকার নিউ ইস্কাটন রোডের নিজ বাসায় শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন