নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৪ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের ফরওয়ার্ডেড মেসেজ, যেখানে কোনও নতুন-পুরনো ঘটনার বর্ণনা বা ভাইরাল হওয়া ভিডিও... এগুলোর সত্যাসত্য কতটা? আমরা জানি না, হয়তো বা জানতেও চাই না। সকলেই যখন একই জিনিস শেয়ার করছে, তখন মনে হয়, ওটাই সত্যি। অথচ সকলেই জানে, মগজ ধোলাইয়ের স্বার্থে তথ্য বিকৃতও করা হয়। তবুও ওই মেসেজ বা ভিডিওগুলো প্রচারিত হতে থাকে। একই কথা বোধহয় সিনেমার ক্ষেত্রেও খাটে। একাধিক ছবিতে একপাক্ষিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে দেখতে সেটাই বাস্তব মনে হতে পারে। ঘটনাচক্রে সেই একপেশে ছবিগুলোই রমরমিয়ে চলে বাজারে। এর অন্যতম উদাহরণ বলিউড।
বলিউডের সাম্প্রতিক কিছু ছবিতে ইসলামোফোবিয়ার ছাপ স্পষ্ট। হিন্দুত্ববাদকে জাগ্রত করতে অন্য জাতিকে কোণঠাসা করার অভিপ্রায় কি একচোখো করে দিচ্ছে না? বলিউডের মুসলিম পরিচালক কবির খান। যিনি ‘বজরঙ্গি ভাইজান’র মতো সিনেমা নির্মাণ করেছেন। তিনি সাম্প্রতিক কিছু হিন্দি ছবির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কোন ছবিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা হচ্ছে, তা বুঝতে গেলে রাজনৈতিক সচেতনতা প্রয়োজন। যদি পরপর তিনটি ছবিতে দেখানো হয়, মুঘলরা আমাদের শত্রু ছিল, তা হলে চতুর্থ ছবিতে তো মনে হতেই পারে, হ্যাঁ, মুঘলরা তো ভিলেনই! কেউ পাল্টা প্রশ্ন তুলবে না। এখন লোকে অনলাইনে আসা যেকোন তথ্যকে সত্যি বলে ধরে নেয়। এতে ইতিহাস এবং সত্যি তো বিকৃত হবেই।’’
গত বছরের শেষে মুক্তি পেয়েছিল আশুতোষ গোয়ারিকরের ‘পানিপথ’। ইতিহাস-নির্ভর ছবিতেই ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ উঠেছিল। হিন্দু জয়গাথা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে মুঘলদের নিকৃষ্ট প্রমাণের তাগিদ ছিল সেখানে। অথচ এই পরিচালকই ‘জোধা আকবর’ বানান। সেখানে কোনও ধর্মকে নিচু দেখানোর প্রয়াস ছিল না। হয়তো যুগের হাওয়ায় ছবির গতিপথও বদলে যায়! ‘পানিপথ’ বক্স অফিসে সফল হয়নি কিন্তু মারাঠা সাম্রাজ্যের জয়ধ্বজা ওড়ানো ছবি ‘তানাজি: দি আনসাং ওয়ারিয়র’ এ বছরের অন্যতম সুপারহিট। সেখানেও একই প্রয়াস, একপক্ষকে নিচু দেখিয়ে অন্য পক্ষকে তোল্লাই দেওয়া। বিকৃত জিনিস সহজেই বিক্রীত। যেমন অক্ষয়কুমারের ‘কেশরী’। সুপারহিট এই ছবিতে ব্যাটল অব সারাগরহিকে অন্য আঙ্গিকে পেশ করা হয়। ছবিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ইতিহাসবিদরা।
বলিউডে যে এখন প্রোপাগান্ডা ফিল্মের ট্রেন্ড, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেলফি ব্রিগেডের অভিনেতারা সে সব ছবির নিয়মিত মুখ। কিন্তু এই ট্রেন্ড কি একেবারেই নতুন? যত বার ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে, তত বার সেই সংক্রান্ত ছবি তৈরি হয়েছে বলিউডে। ‘বর্ডার’, ‘এলওসি কার্গিল’, ‘গাদার’... তালিকা দীর্ঘ। সাম্প্রতিক উদাহরণ ‘উরি: দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক’। আতঙ্কের বিষয়, একপক্ষকে গ্লোরিফাই করতে গিয়ে অন্যপক্ষকে নিশানা করা হচ্ছে।
পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ বলেছিলেন, ‘‘প্রোপাগান্ডা ছবি আগেও হয়েছে। সেখানে হয়তো এত উগ্রতা ছিল না। এখন এগুলোকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।’’ ছবিতে উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রদর্শন নিয়ে কবির খানের বক্তব্য, ‘‘এই ছবিগুলো তৈরি হচ্ছে, কারণ তা আমাদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাচ্ছে। ইসলামোফোবিয়ার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে... রাইট উইং ন্যারেটিভ ইজ় বিয়িং পুশড। ছবিতে তাই প্রতিফলিত হচ্ছে।’’ অক্ষয়কুমারের ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’, ‘মিশন মঙ্গল’ মোদি সরকারের জয়গাথা মূলক ছবি। এই ধরনের ছবিতে হয়তো উগ্র মতাদর্শ ফুটে উঠছে না, কিন্তু জনমত প্রভাবিত করার ক্ষমতা অবশ্যই রাখে।
দিল্লির সাম্প্রতিক ঘটনা কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, যত মেরুকরণকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে, তত নিজেদেরই কোণঠাসা করতে থাকবে। এখন বলিউড তার কক্ষপথ বদলাবে কি না, সে জবাব ভবিষ্যৎ দেবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন।
এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।