নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০১৭
শিরোনামের সঙ্গে আপনিও নিশ্চয়ই একমত। যদি আপনি সিনেমা বা নাটকের নিয়মিত দর্শক হয়ে থাকেন। এই মুহুর্তে সিনেমায় যেমন প্রকট হারে চলছে নায়ক -নায়িকা সঙ্কট। তেমনি ছোট পর্দায়ও একই মুখ বারবার দেখে দর্শক বিরক্ত।
‘মুখ ও মুখোশ’ ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু ঢাকাই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির। এ ছবিতে প্রথম বাংলা সিনেমার নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন আমিনুল হক। তারপর বাংলা সিনেমায় নায়ক হয়ে আসেন ফজলে লোহানী, আনোয়ার হোসেন, শওকত আকবর, আজিম, খলিলুল্লাহ খান খলিল, মেহফুজ, আকতার হোসেন, নারায়ণ চক্রবর্তী।
৬০ দশকে কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে ‘বেহুলা লখিন্দর ছবিতে সর্বপ্রথম নায়ক হয়ে অভিনয় করেন নায়ক রাজ রাজ্জাক। এরপর এহসান, রহমান, ফারুক, বুলবুল আহমেদ,আলমগীর, সোহেল রানা, দারাশিকো, রাজ, আহমেদ শরীফ, ওয়াসিম, বেবি জামান চলচ্চিত্রে নাম লেখান। সত্তর দশকের শুরুতে ‘বসুন্ধরা’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এরপর চলচ্চিত্রে আসেন উজ্জ্বল, মাহমুদ কলি।
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় শুরু হয় - ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ এই প্রকল্পে নায়ক হয়ে আসেন মান্না, অমিত হাসান, জসিম মোহাম্মদ, সুব্রত চক্রবর্তীসহ আরো অনেকে।
তাঁদের পরবর্তী সময়ে আসেন ওমরসানি, আমিন খান, নাঈম, সালমান শাহ ও মান্না। বাংলা চলচ্চিত্রে মান্না ও সালমান শাহ ‘সুপারস্টার’ খেতাব অর্জন করেন। তবে নিয়তির নির্মম পরিহাস নায়ক মান্না ও সালমান শাহ অকাল মৃত্যু হয়।
এদিকে সালমান শাহর শূন্যস্থান পূরণ করার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রে অভিষেক হন এক ঝাঁক অভিনেতা। এদের মধ্যে শাকিল খান, রিয়াজ, ফেরদৌস। সে সময়-এই তিন নায়কের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হলেও তাদের মধ্যমনি হয়ে ‘সুপারস্টার’ খেতাব নিয়ে অভিনয় করে চলছিলেন নায়ক মান্না।
প্রায় একই সময়ে চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হয় শাকিব খান। মান্নার মৃত্যুর পর প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ‘সুপারস্টার’ হিসেবে খেতাব পান শাকিব খান। তার পরবর্তীতে বাপ্পী, সাইমন ও আরেফিন শুভদের দিয়ে সিনেমা চলছে। সে চলাকেচলা বলে না। এক শাকিবময় সিনেমা। বাকীদের নিয়ে দর্শকদের নেই কোন আগ্রহ।
এ সময়ে নায়িকারাও নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারছেন না। আসা-যাওয়ার মাঝে হয়তো কিছু আলোর ঝলকানি দেখাচ্ছে।
ববিতা, কবরী, শাবানা, সুচন্দা, সুচরিতা, আঞ্জুমান, ডলি জহুর, আনোয়ারা সবাই নিপুন অভিনয়শৈলী দিয়ে মানুষের হৃদয়ে শক্তপোক্ত অবস্থান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এবং আজও তাঁরা নিজেদের জায়গায় অধিষ্ঠিত রয়েছেন।
পরবর্তীকালে নব্বই এর দশকের শেষের দিকে আগমন ঘটে শাবনুর, মৌসুমী, দিতি, চম্পা সহ বেশ কয়েকজনের। তাঁরাও অগ্রজদের অনুসরণ করে বাংলা সিনেমাকে এগিয়ে নিয়েছে অনেকটা পথ।
এবার একটু আসি বর্তমান সময়ের দিকে। এখন বলতে গেলে বাংলা সিনেমা মানেই অপু,মাহি, পরিমনি, নুসরাত ফারিয়া, ববি,আঁচল ছাড়া নায়িকা নেই বললেচলে। আর যাদের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। তাঁরা কেউ নিজ দক্ষতায় জায়গা তৈরি করতে পারেননি। প্রত্যেকেই নায়ক নির্ভর। এই আছি এই নেই অবস্থা।
এভাবে কতদিন চলতে পারে ইন্ড্রাস্ট্রি? একটা সময়ে বছর প্রতি শাকিবের ছবির সংখ্যা কমে গেলে। হলগুলোর কী অবস্থা হবে? খোজ নিয়ে জানা যায়। এক শাকিব ছাড়া আর কারো ছবি লগ্নিকৃত টাকা ফেরত আনতে পারে না। তাহলে কীভাবে হবে? এফডিসিতে নেই নতুন মুখের সন্ধান। পরিচালকরা নতুন কিছু সৃষ্টি না করে। রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত।
টেলিভিশনেরও একই অবস্থা। একই মুখ দেখে দর্শক বিরক্ত। একটা সময়ে টেলিভিশন সেটের সামনে দেশের নাটক দেখতে বসলেই জাহিদ হাসান, শহীদুজ্জামান সেলিম, বিপাশা হায়াত, তৌকীর আহমেদ, শমী কায়সার, আফসানা মিমি, তানিয়া আহমেদদের মতো জনপ্রিয় সব শিল্পীকে দেখা যেত। এখনও তাঁদের কমবেশি দেখা যায়। এখনও তাদের নিয়ে দর্শকের মাঝে অন্যরকম আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়।
পরবর্তী সময়ে কালে কালে অনেক অভিনয় শিল্পীই মিডিয়ায় এসেছেন। কাজ করেছেন বা করছেন নতুন নতুন শিল্পীরা। কিন্তু আগের শিল্পীদের নিয়ে যে আগ্রহ বা তাদের যে পরিচিতি রয়েছে সেটার কোনো প্রভাব এ প্রজন্মের শিল্পীদের নেই বললেই চলে। নতুন এ শিল্পীদের নিয়ে নির্মাতারা বহু নাটক নির্মাণকরলেও দর্শক তাদের ঠিকভাবে চেনেন না। সর্বশেষ মোশাররফ করিম, নুসরাত ইমরোজ তিশা,চঞ্চল, মম, অপূর্ব, নিশোদের মত গুটি কয়েকজনের আবির্ভাব ঘটেছে। সময়ের গল্প গুলো নির্মান হচ্ছে জোভান , সিয়াম, মেহজাবিন, তাওসিফ দের নিয়ে। কিন্তু তাঁদের অভিনয় এখনো দর্শকের কাছে গ্রহনযোগ্যতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌছতে পারেনি। তাদের দর্শক বলতে অনলাইনে যারা নিয়মিত। শহর ছাড়িয়ে নেই তাদের গ্রহনযোগ্যতা।
এত এত শিল্পী কাজ করলেও ড্রইং রুম মিডিয়ায় শিল্পী সংকট রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। টিভি মিডিয়ায় এ সময়ে অনেক নতুন মুখ কাজ করলেওতাদের বেশিরভাগেরই অভিনয়ের ওপর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই।
দৈহিক সৌন্দর্যের কারণে দু-একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে আসছেন অভিনয়ে। কিন্তু একজন শিল্পীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অভিনয় জানা। সেটা যদি না থাকেদর্শক তাকে গ্রহণ করবেন কেন? আর ইদানীং অনেক নির্মাতাকেই দেখা যায় সেসব দর্শনধারী শিল্পীকে নিয়ে কাজ করছেন হরহামেশাই। অভিনয়ের ন্যূনতমযোগ্যতা যাদের নেই তাদের নিয়ে কাজ করার কারণে নাটকের মানও কমে গেছে অনেকাংশে।
বিশিষ্ট অভিনেতা ও নির্মাতা মামুনুর রশীদ বলেন ,‘মঞ্চ হলো অভিনয়ের আঁতুড়ঘর। কিন্তু সেই আঁতুড়ঘরে অভিনয় জানা দক্ষ শিল্পী কাজ করলেও তাদেরউঠিয়ে আনছেন না কেউ। গুটি কয়েকজন নিজ যোগ্যতা বলে টিভি পর্দায় নিজের অবস্থান তৈরি করে নিচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু বাকিরা কোনো সুযোগ পাচ্ছেননা। আর সেটার কারণ নির্মাতা-টেলিভিশন চ্যানেল এমনকি বিজ্ঞাপন এজেন্সির একটা বড় অংশের চাহিদার জায়গা ওই দর্শনধারী গ্ল্যামারাস মডেলদেরদিকে।’
বর্তমান সময়ে টিভি মিডিয়ায় শিল্পী সংকটের আরেকটা কারণ হলো রিয়েলিটি শো। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রায়ই সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সেসব রিয়েলিটি শো থেকে উঠে আসা তারকাদের দিয়ে অভিনয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থই হতে হয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে।
কারণ যাদের তুলে আনা হয় তাদের অধিকাংশই অভিনয় তেমন একটা জানেন না। আর যখন দর্শক সাড়া না পান সেসব তারকা নিজ থেকেই মিডিয়া থেকেউধাও হয়ে যান। এ কারণে মিডিয়ায় শিল্পী সংকট তৈরি হচ্ছে। আবার অনেক ভালো শিল্পীর সন্ধান পাওয়া গেলেও একটা সময় তিনি নাটকে থাকছেন না।টিভি পর্দাকে বিদায় দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখাচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যাওয়ার কারণে ওই শিল্পীকে টিভি নাটকের দর্শক আর দেখছেন না।
অনেক ক্ষেত্রে অলরাউন্ডারদের জন্যও টিভি নাটকে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কেউ একজন এসে নাটকে অভিনয় করছেন। কিছুদিন পর আঁটঘাট বেঁধেঅভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাণ ও প্রযোজনায় নাম লেখান। তিন মাধ্যম নিয়ে ভাবতে গিয়ে টানাপড়েনে পড়ে যান। শুধু তাই নয়, একটা সময় তাকেও মিডিয়াথেকে ছিটকে পড়তে হয়। দেখা যায় অভিনয়শিল্পী হিসেবে তার উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলেও নানামুখী ভাবনার জন্য টিকতে পারেন না। একজন শিল্পী মিডিয়ায়আসলে তাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা না করায় হারিয়ে যান অনেক সময়।
দেখা গেছে একজন অভিনেত্রী অভিনয়ে পারদর্শী। কিন্তু তাকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও ইভেন্ট গ্রুপ উপস্থাপনার জন্য প্রস্তাব দেয়। সেসময় প্রলুব্ধ হয়ে সেশিল্পী অভিনয়ের চেয়ে উপস্থাপনায় মনোযোগী হয়ে পড়েন। আর তখনই সে শিল্পীর শিল্পগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
এভাবেই যাচ্ছে বর্তমান সময়ে নাটকের হালচাল। তবে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান সব নাট্যবোদ্ধার। টিভি অঙ্গনের এসব জটিলতা কাটিয়ে উঠেশিল্পীদের সদ্ব্যবহার করে শিল্পী সংকট দূর করার দাবি করছেন তারা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
হলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘টাইটানিক’ ও ‘লর্ড অব দ্য রিংস’ খ্যাত
অভিনেতা বার্নার্ড হিল মারা গেছেন। রোববার (৫ মে) ভোরে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে
৭৯ বছর বয়স হয়েছিল এ অভিনেতার। স্কটিশ লোক সংগীতশিল্পী বারবারা ডিকসন টুইটারে বার্নার্ডের
মৃত্যুর খবর জানান।
অভিনেতার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও থিয়েটারে।
টাইটানিক সিনেমায় ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জে স্মিথ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বড় পরিচিত পান
তিনি।
বার্নার্ড হিলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন বারবারা ডিকসন টুইট করেছেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বার্নার্ড হিলের মৃত্যুর খবর। আমরা জন পল জর্জ রিঙ্গো এবং বার্ট, উইলি রাসেলের এই দুর্দান্ত শো-তে ১৯৭৪-১৯৭- এ একসঙ্গে কাজ করেছি। সত্যিই অসাধারণ একজন অভিনেতা। তার সঙ্গে পথ অতিক্রম করার সৌভাগ্য হয়েছিল।
বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে শোক প্রকাশ করেছেন অনুরাগীরা। টাইটানিক ও দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস-এ তার অভিনয়ের প্রশংসা করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীরা। অনেক ব্যবহারকারী ব্রিটিশ মিনি সিরিজ ‘বয়েজ ফ্রম দ্য ব্ল্যাকস্টাফ’-এ ইয়োসার হিউজের মতো একটি জটিল চরিত্রের চিত্রায়নের জন্য প্রশংসা করেছেন প্রয়াত অভিনেতার। দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস-এ কিং থিওডেনের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল বার্নার্ড-কে, যা ছিল বহুল চর্চিত।
বার্নার্ড জেমস ক্যামেরনের টাইটানিক সিনেমায় ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন
ও নৌ কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জে স্মিথের ভূমিকায় অভিনয় করেন। নৌকাডুবির সময়
তার সেই শান্ত-সৌম্য চেহারা, এখনও ভুলতে পারেনি দর্শকরা। যেভাবে সবাইকে বাঁচিয়ে নিজেকে
উৎসর্গ করেছিলেন সমুদ্র বুকে, তা ভোলার নয়।
বার্নার্ড একমাত্র অভিনেতা, যার একাধিক সিনেমা ১১টি একাডেমি পুরস্কার জিতেছিল।
টাইটানিক অভিনেতা বার্নার্ড হিল হলিউড
মন্তব্য করুন
দেশের জনপ্রিয় জুটি ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিন তিশা। টানা দুই
বছর দেখা যায়নি নতুন কোনও নাটকে। এবার ইমরোজ শাওনের পরিচালনায় ফিরলেন এই জুটি।
তরুণ নির্মাতা ইমরোজ শাওন পরিচালিত, যোবায়েদ আহসানের রচনায় সিএমভি’র
ব্যানারে নির্মিত বিশেষ নাটক নাম ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’ এর মাধ্যমে ফিরছেন তারা।
সদ্য শুটিং শেষ হওয়া এই নাটকে জোভান অভিনয় করেছেন রাকিব চরিত্রে
আর তিশারে নাম রিদা। দু’জনে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস
ক্লাবের নেতৃত্বে অন্যজন সাংস্কৃতিক ক্লাবের।
নির্মাতা বলেন, ‘তার মানে এই নয়, দুটি দলের প্রধান বলে তাদের মধ্যে
মধুর বা প্রেমময় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। গল্পে মূলত তাদের দেখা যাবে বিরোধী অবস্থানে। এমনকি
দুর্ঘটনাও ঘটে তাদের এই বিরোধের জেরে। গল্পটা প্রেমের বটে, তবে এটি দেখলে মূলত ক্যাম্পাস
জীবনে ফিরে যাবেন দর্শকরা।’
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’ নাটকটি শিগগিরই উন্মুক্ত হবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।
ফারহান আহমেদ জোভান তানজিন তিশা বাংলা নাটক
মন্তব্য করুন
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান এক বছরেই জাওয়ান, পাঠান এবং ডাঙ্কির মতো
হিট ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমা প্রেমিদের। বর্তমানে নতুন ছবির কাজ শুরুর আগে বিশ্রাম
নিতে পারেন বলিউডের এই কিং খান। বিশ্রাম সেরে এ বছরের জুনে তিনি তার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং
শুরু করতে চান।
শুক্রবার (৩ মে) ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা
জানিয়েছেন শাহরুখ খান।
অভিনেতা বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমার একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিত। তিনটি
সিনেমা পরপর করে ফেলেছি। যার জন্য আমার শরীরে অনেক ধকল গেছে। আমি কলকাতা নাইট রাইডার্স
দলকে বলেছিলাম যে এইবার শুধু মূল ম্যাচে আসব।
সৌভাগ্যবশত, আমার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং আগস্ট থেকে শুরু হবে বা
হয়তো জুলাই। যদিও আমরা জুনে শুরু করার প্ল্যান করছি। আমি সব হোম ম্যাচে আসতে চাই কারণ
কলকাতা আমার বাড়ির মতো। তবে শাহরুখ ছবির নাম বা অন্যান্য বিবরণ প্রকাশ করেননি।
এদিকে, শাহরুখকে স্টেডিয়ামে প্রায়ই তার ছোট ছেলে আব্রাম নিয়ে আসতে
দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন
বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। প্রায় দু'দশক ধরে জনপ্রিয়তার
শীর্ষে থেকে বলিউড ইন্ড্রাষ্ট্রিতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন
একের পর এক হিট সিনেমা। অবিনেত্রী নিজের মত করেই দায়িত্ব পালন করেন, হোক সেটা বলিউড
কিংবা নিজের পারিবারিক স্থান থেকে। কারিনা দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান
তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূত হিসেবে
মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।
শনিবার (৪ মে) নিজেই ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এ খবর জানান কাপুরকন্যা। তিনি
লেখেন, আমার জন্য খুব আবেগের একটা দিন। UNICEF-এর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেয়ে আমি ধন্য়।
ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত দশ বছর ধরে
ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন কারিনা কাপুর। শুরুটা হয়েছিল সেই ২০১৪ সালে সেলেব্রিটি অ্যাডভোকেট
হিসেবে। এবার সেই পদ থেকেই উত্তরণ হয়ে সরাসরি ইউনিসেফ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের
দায়িত্ব পেলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে কারিনা বলেন, গত দশ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছি। গত বছরগুলোতে দেশের শিশু এবং নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের টিম যে কাজগুলো করেছে, তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি প্রতিদিন অনুপ্রেরণা পাই সেগুলো থেকে। আশা রাখি ভবিষ্যতেও এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে যাব।
ইউনিসেফ রাষ্ট্রদূত কারিনা কাপুর বলিউড
মন্তব্য করুন
দক্ষিণী সিনেমার রকিং স্টার যশের সিনেমা পুরো বিশ্বে ব্যাবসায় রেকর্ড
গড়েছে। ‘কেজিএফ’ ও ‘কেজিএফ ২’ এর পর গীতু মোহনদাসের ‘টক্সিক’ ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ
হয়েছেন যশ।
জানা যায়, ‘টক্সিক’ এই সিনেমায় যশের বোনের চরিত্রে দেখা যাবে কারিনা
কাপুরকে। এমনকী, ‘ক্রু’ ছবির প্রচার চলাকালীন পরোক্ষভাবে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলিউড
বেবো নিজেই। কিন্তু সে আশা যেন উড়ে গেল কাপুরের মতো। সম্ভাবনার বাস্তব রূপ আর দেখতে
পাবেন না দর্শক।
ড্রাগ মাফিয়াদের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হবে এই সিনেমাটি। স্বাভাবিকভাবেই
‘কেজিএফ’ খ্যাত যশকে নিয়ে উন্মাদনা দর্শকমহলে। সম্প্রতি একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এই
সিনেমার নির্মাতার তরফ থেকে। দর্শকের মধ্যে উত্তেজনা দেখে টিম টক্সিক খুবই আনন্দিত।
তবে সিনেমাটি নিয়ে কোনো মিথ্যে তথ্য ছড়াতে বারণ করেছেন নির্মাতা।
এদিকে সিনেমার জন্য চলছে জোরদার প্রস্তুতি। ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিনেতাদের বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু যশের বিপরীতে কে অভিনয় করবেন
তা নিয়ে শুধু নির্মাতা নয়, যশ-প্রেমীরাও ছিলেন বেশ চিন্তিত। অবশেষে যশের নায়িকা হিসাবে
কিয়ারা আদভানি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্মাতা মনে করছেন, যাদের কাস্ট করা হয়েছে তারা
শতভাগ উপযুক্ত।
অন্যদিকে ধোঁয়াশা রেখেই সিনেমাটি থেকে সরে গেলেন কারিনা। জানা যায়,
তারিখ নিয়ে সমস্যার কারণেই অভিনেত্রীর এমন সিদ্ধান্ত। নির্মাতার তরফেও তারিখ বদল করার
কোনও সম্ভাবনা নেই। স্বভাবতই ঘটনাটি নিয়ে কিছুটা হতাশ বেবোর অনুরাগীরা। তার পরিবর্তে
কাকে কাস্ট করা হবে সে অপেক্ষায় সিনেপ্রেমীরা।
যশ কারিনা কাপুর বলিউড দক্ষিণী সিনেমা
মন্তব্য করুন
বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। প্রায় দু'দশক ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে বলিউড ইন্ড্রাষ্ট্রিতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। অবিনেত্রী নিজের মত করেই দায়িত্ব পালন করেন, হোক সেটা বলিউড কিংবা নিজের পারিবারিক স্থান থেকে। কারিনা দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।