নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২০
ক্যান্সারে প্রায় ৮ মাস হস্পিটালাইজড থেকে চিকিৎসা নেয়ার পর চিকিৎসক জানালেন বাবা এখন সুস্থ, তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া যাবে। বাসায় নিয়ে এলেন তাকে শাহ্ রুখ। থ্রোট ক্যান্সার ছিলো। বাড়িতে এসেই বাবা খেতে চাইলেন ভ্যানিলা আইসক্রিম। আইসক্রিম দেয়া হলো। ঐদিন রাতেই সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন শাহ্ রুখ এর বাবা। কষ্টের কারনে বাবার চেহারা দেখতে পারেননি শাহ্ রুখ। ভ্যানিলা আইস্ক্রিম খেতে থাকা বাবার সেই খুশি মুখটাই বাবাকে নিয়ে শাহ্রুখ এর শেষ স্মৃতি।
বাবা চলে যাওয়ার পর ছেলে মেয়েকে মানুষ করার পুরো দায়িত্ব এসে যায় মায়ের কাঁধে। কখনো ছোটোখাটো কাজ করে, ধার দেনা করে সংসার চালিয়েছেন, পড়িয়েছেন ছেলেমেয়েদের। বাবার মৃত্যুর শোক, পারিবারিক পরিস্থিতি অনেকটা কাটিয়ে উঠছিলেন তখনি অসুস্থ হলো শাহ্ রুখ এর মা। মা বেশ হেলদি ছিলেন। তবে ডায়াবেটিকস এর সমস্যায় ভুগছিলেন। এক রাতে পায়ে একটু আঘাত পাওয়াতেই হপ্সিটালে ভর্তি হন। পরে অবস্থা খারাপ হওয়াতে আই.সি.ইউ তে নিতে হয়।
শাহ্ রুখ কারো থেকে শুনেছিলেন প্রিয় কেউ মৃত্যুশয্যায় থাকলে আল্লাহ্র কাছে যতক্ষণ ধরে দুয়া চাওয়া হয় ততক্ষণ আল্লাহ্ দুয়া শোনাতেই ব্যস্ত থাকেন, কোনো অ্যাকশনে যান না। হস্পিটালের পার্কিং লটেই দুয়ায় বসে পরেন শাহ্রুখ। একটা দুয়াই পারতেন তিনি ‘নাসরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন ক্বারীব’। পড়তে থাকেন একনাগাড়ে। একটা সময় ডক্টর এসে বলেন আপনি আই.সি.ইউ তে যান। তখন অন্য কাউকে আই.সি.ইউ তে ডাকার মানে রোগী আর বেঁচে নেই। তবুও শাহ্রুখ যেতে চাচ্ছিলেন না, দুয়া পড়তে থাকেন এই আশায় যে মা বেঁচে থাকবেন দুয়া পড়তে থাকলে।
শাহ্রুখ এর একটা থিওরি ছিলো মানুষ তখনই মারা যায় যখন সে পৃথিবীতে স্যাটিসফাইড হতে পারে। বিশেষ করে মা বাবা যখন বুঝতে পারে তার ছেলে মেয়ে তাদের ছাড়াও জীবন চালিয়ে নিতে পারবে তখন হয়ত চলে যায়। তো শাহ্রুখ এর মা যখন হপ্সিটালে খুব অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন, শাহ্রুখ সারাক্ষণ মায়ের পাশে বসে উল্টাপাল্টা কথা বলতেন যে, মা চলে গেলে সে পড়াশোনা করবেনা, বোনের খেয়াল রাখবেনা। এগুলা বলতেন যাতে মা স্যাটিসফাইড না থাকে। যাতে মা তাকে ছেড়ে চলে না যায়। কিন্তু মা হয়ত স্যাটিসফাইড ছিলেন, মা হয়ত জানতেন এই ছেলে তার বোনের খেয়াল রাখবে, জীবনে অনেক কিছু করবে।
কারণ `God knows better & Mother knows the best’
অতি আশ্চর্যের একটা ব্যাপার হচ্ছে, শাহরুখের বাবাকে দিনের পর দিন কেমোথেরাপি দেয়ার পরেও তার মাথার চুল কমে যায়নি যেখানে কেমো দেয়া মানেই চুল পড়ে যাবে। বাবার এই হেয়ার গ্রোথ সম্ভবত ছেলে পেয়েছে যেকারণে এই বয়সেও মাথা ভর্তি চুল। আর এই দুটো ঘটনার পর শাহরুখের বোনটা এত বাজে রকমের মানসিক আঘাত পেলেন যে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি।
মন্তব্য করুন
হ্যাকারদের কবলে পড়েছিলো জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের
অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ। তবে দুর্বৃত্তরা বেশিক্ষণ পেজটি নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হানিফ সংকেতের পেজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে
একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবি পোস্ট করে হ্যাকাররা। কিছুক্ষণের মধ্যেই হানিফ সংকেতের
কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
১ কোটির বেশি অনুসারীর এই পেজটি ফিরে পেয়ে সন্ধ্যা
সাতটার হানিফ সংকেতের নামে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পেজটি
হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই
আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’ ‘আমাদের এই পোস্ট দেওয়ার আগেই
অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন, সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
ও কৃতজ্ঞতা।’
জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র গ্রন্থনা, পরিকল্পনা
ও উপস্থাপনা করেন হানিফ সংকেত। তিনি নাটকও নির্মাণ করেছেন। হানিফ সংকেত করেছেন অভিনয়,
লিখেছেন রম্যরচনা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পিয়া জান্নাতুল
মন্তব্য করুন
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা
পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির
গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে
অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ
আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।
গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়।
তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন
‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে
গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’
সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো
সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার
সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’
রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায়
কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা
আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো
খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম
দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম
হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’
‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য
বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য
রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে।
(৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
(৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে
পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
মন্তব্য করুন
ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাসসের
খবর অনুযায়ী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী
ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ।
ইরাকের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত
ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা
এএফপি’কে এই কথা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা
এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র
জানায়, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর
জন্য পরিচিত হয়েছিলেন।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে
ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার
জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেয়।
ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু
সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার
অভিযান শুরু করে।
টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক
বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন
করে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।