নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ৩০ জুন, ২০২০
মিষ্টি মেয়ে কবরী, প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী, আইকনিক মডেল মৌ, ফ্যাশনের আজরা মাহমুদ কিংবা সুইটি, শাওন, তিশা, মম, ববি, জ্যোতিকা জ্যোতি, রুনা খান, টয়ার মতো শোবিজে প্রতিষ্ঠিত বেশিরভাগের গায়ের রং কালো বা শ্যামবর্নের।
অভিনেত্রীদের আইডেন্টিটির সঙ্গে যেমন তাঁর প্রতিভা জড়িয়ে আছে, তেমনই জড়িয়ে আছে চামড়ার রং- বহুদিনের এই দ্বন্দ্ব কি আদৌ মিটবে? তবে ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’ ফেয়ারটা সরিয়ে ফেললো। কারণ ফর্সা মানেই সুন্দরী না। বিশ্ববিখ্যাত এ কোম্পানির এতদিনে টনক নড়লো। আর তা নিয়ে কথা বলছে বলিউডসহ বাংলাদেশেরও অনেকে।
মানুষ আজও ‘সুন্দরী’ মেয়ের বর্ণনায় ভাবে লম্বা চুল, টিকোলো নাক, আর টকটকে ফর্সা রং। আর তাইতো কোন কালো অভিনেত্রীকে রংচং করে ফর্সা হতে হয়। এসব যুগযুগ ধরে চলে এসেছে। এই ‘ফর্সা’, ‘প্রকৃত সুন্দরী’ ট্যাগলাইন আজও কি শোবিজের পিছু ছেড়েছে? তা হলে কেন শ্রীদেবী থেকে কাজল, কিংবা দীপিকাদের প্রত্যেককেই মেলানিন ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে চামড়া ফর্সা করতে হয়? ভারতে কিন্তু তাদের আগে জিনাত আমান, রেখা, শাবানা আজমিদের মতো কালো অভিনেত্রী আছেন। বিপাসা বসুতো ভীষণ রেগে এই কালো ফর্সা দ্বন্দ্বে। এমনিতেই সবাই তাকে কালা বিল্লি বলে ডাকে। তার মতে, একটা দেশে যেখানে বেশির ভাগ মানুষের রং কালো সেখানে ফেয়ার কী করে লাভলি হয়ে গেল তা আজও বুঝতে পারেননি তিনি।
পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে টেলিভিশনে পণ্যের বিজ্ঞাপন পর্যন্ত সর্বত্রই ফর্সা রঙের মাহাত্ম্য প্রচার, সবখানেই ফর্সার জয়জয়কার। কোন মেয়ের গায়ের রং কালো হলে তাকে গড়পরতা হিসেবেও বিবেচনা করা হয় না, সুন্দরী হিসেবে তো দূরের কথা।
কালো-ফর্সা দিয়ে বিভেদ আসলে এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা বলে মনে করেন মডেল সাদিয়া ইসলাম মৌ। তিনি বলেন, ‘ওই সব কথা মাথায় রাখিনি। কারণ জানি, অভিনয় আর আত্মবিশ্বাস আসল। নয়তো আমাদের দেশে এত এত সু অভিনেত্রীর জন্ম হতো না।’
জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘ছোটবেলায় শুনতাম কালো! বিয়ে হবে? আমার ছোট বোনটা ফর্সা।ভাবতাম ইস ওর মতো গায়ের রং হতো। এটা কোনও কথা? সৌন্দর্যের সঙ্গে ফর্সা-কালোর কোনও সম্পর্ক নেই। আমার অভিনয় করার ক্ষেত্রে শুরু দিকে অনেকে বলেছে যে, এই টোনটা ক্যামেরার জন্য খুব সাপোর্ট করে। তবে কিছু মানুষ তো আছেই যে নায়িকা মানে ফর্সা হবে। সমাজের মতো মিডিয়াতেও কিছু মানুষ আছে। আসলে গায়ের রং দিয়ে তো সৌন্দর্য যাচাই হয় না। আমার গায়ের রং ওভাবে বাধা হয়নি। যেখানে রাজলক্ষী শ্রীকান্ত করলাম, একাধিক নাটক গ্লামারাস চরিত্র করেছি। ২০০৬-০৭ এর দিকে অনেক বাণিজ্যিক সিনেমারও প্রস্তাব ছিলো। সেটা আমি নিজে করিনি যেহেতু ছবির মান তখন খুব খারাপ ছিলো। নিশ্চয়ই হতে পারে অনেক পরিচালক আমাকে গায়ের রংযের জন্য নেয়নি। সেটা যে একদমই নেই মিডিয়াতে তা না।’
বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, আমি ফর্সা হলে কী হবে? সারাক্ষণ শুনছি, ‘‘বাবা! তুই যা ফর্সা অন্ধকারেও চকচক করিস! কালো ফর্সা জিনগত ব্যাপার, ও দিয়ে কিছু হয় না। ফেয়ারনেস শব্দ বিজ্ঞাপনে আলাদা প্রাধান্য পাক, চাইনি কখনও।’
ফর্সা-কালোর দ্বন্দ্ব নিয়ে বলতে বসে আক্ষেপও আছে তার, ‘আমার ক্ষেত্রে তো উল্টোটাই হয়েছে! ফর্সা রংয়ের জন্য অনেক ভাল চরিত্র হাতছাড়া হয়েছে। অনেক কম কাজ পেয়েছি। ফর্সা রং অনেক সময় মাইনাস পয়েন্টও হতে পারে।’ মেহজাবিন বলেন, ‘রং নিয়ে প্রশংসা-নিন্দা কিছুই চাইনা। যা স্বাভাবিক, যা নিজস্ব, তা স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করাতেই আমি বেশি খুশি।’
অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘ফেয়ারনেস নিয়ে বলতে বসেছি, এটাই কী ভীষণ লজ্জার, পিছিয়ে পড়া মানসিকতার, তাই না? আমার ১১ বছরের মেয়ে। একদিন বাইরে বের হবো, বললাম মা রেডি হয়ে আসো। সে জামা পাল্টিয়ে আসলো। দেখি কোন লিপস্টিক বা অন্য কিছু না। আজকালকার যুগের মেয়েরা আমার মনে হয় ফর্সা হওয়ার দৌড় থেকে অনেক বেরিয়ে এসেছে। সিম্পল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন শুদ্ধ থাকাটাই হলো আসল।’
প্রসূণ আজাদ বলেন, ‘আমার গায়ের রং বেশ চাপা। কালোই আমি। তাই নিয়ে সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চাইছেন?’’ তারপরে জানালেন, ‘‘না, কোনও সমস্যা হয়নি। বরং, সবাই আমার গায়ের রংয়ের প্রশংসাও করেন। বিশেষ করে সিনেমাটোগ্রাফার বা ডিওপি-রা বলেন, আমার গমরঙা গায়ের রং নাকি ক্যামেরার পক্ষে দারুণ কমফর্ট জোন। গায়ের রং আসলে কখনওই শিল্পীর প্রতিবন্ধকতা হয় না। তবে চরিত্র বিশেষে ম্যাটার করে। আমার মনে হয় এজন্য বরং আমি ভিন্ন ভিন্ন ক্যারেক্টার করতে পেরেছি।’
মৌসুমী এসব পাত্তা দেন না। তিনি বলেন, এই গায়ের রং নিয়েই আমি যত গ্ল্যামারাস সিনেমা করেছি, বাংলাদেশের আর কেউ করেছে কিনা জানা নেই। শাবনুরের গায়ের রংও চাপা। কবরী ম্যাম আছেন। আসলে নিজের যোগ্যতাটাই আসল।’
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।
নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।
এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির
নেতৃবৃন্দ। নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বে তারা গেল
শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা
নিবেদন করেন।
এ সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সহসভাপতি
ডিএ তায়েব, সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর
ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কোষাধ্যক্ষ কমল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুচরিতা, রোজিনা,
আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, চুন্নু ও সনি রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্রনায়িকা
রুমানা ইসলাম মুক্তি, নাহিদা আশরাফ আন্না, ডি জে সোহেলসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই
উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়। মিশা
সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট এবং ২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন
ডিপজল।
মন্তব্য করুন
ঈদ উপলক্ষে বরাবরই তারকাদের নিয়ে আড্ডার আয়োজন
করে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো। বিভিন্ন ব্যান্ডের ফটোশুটে প্রায় তাদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়া
যায় ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস ও তরুন নায়ক ইমন খান কে। কাজের সূত্র ধরেই দুই তারকার
বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। বন্ধুত্বের জায়গা থেকেই এবারে ইমন অপু বিশ্বাসকে ঢালিউডের ‘গসিপ
কুইন’ বলেন।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে
হাজির হয়েছিলেন ইমন। ওই অনুষ্ঠানে ‘জানতে চাই’ নামের একটি অংশ নায়কের কাছে উপস্থাপক
জানতে চান ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ কে। এমন প্রশ্নের জবাবে অবলীলায় ইমন অপু
বিশ্বাসের কথাবলেন।
ইমন একটু হেসেই বলেন, অপু
বিশ্বাসের কাছে ঢালিউডের সব খবর থাকে। মানে অপু বিশ্বাসকে সবাই বলে
নায়ক মান্না ভাই। আগে মান্না ভাইয়ের কাছে সব ধরনের খবর থাকত। এখন থাকে তার কাছে। সে
জানে ইন্ডাস্ট্রিতে কোথায় কী হচ্ছে। এমনকি সে খুব সঠিক তথ্যও দিয়ে দেয়।
ব্যক্তি জীবনের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনায় থাকেন অপু বিশ্বাস। ঢাকাই সিনেমার নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে এবং বিচ্ছেদ নিয়েই বেশি আলোচনা চলে এই অভিনেত্রীকে নিয়ে। বর্তমানে নিজের ব্যবসা নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী।
অপু বিশ্বাস ঢালিউড ‘গসিপ কুইন’ ইমন খান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বে তারা গেল শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ঈদ উপলক্ষে বরাবরই তারকাদের নিয়ে আড্ডার আয়োজন করে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো। বিভিন্ন ব্যান্ডের ফটোশুটে প্রায় তাদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস ও তরুন নায়ক ইমন খান কে। কাজের সূত্র ধরেই দুই তারকার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। বন্ধুত্বের জায়গা থেকেই এবারে ইমন অপু বিশ্বাসকে ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ বলেন।