নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২০
‘#মি টু’ অভিযানে অমিতাভ বচ্চন, নানা পাটেকার, অলোক নাথ, রাজ কুমার হিরানী, সাজিদ খান, সুভাষ কাপুর, বিকাশ বহেল, লাভ রঞ্জনসহ অনেকের নামই এসেছে। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এখন পর্যন্ত। এর মধ্যে অনেকের নামে তো ধর্ষণ কেসও আছে- শাইনী আহুজা, মাধুর ভান্ডারকার, সুভাষ কাপুর, অঙ্কিত তিওয়ারি, ইন্দার কুমারদের জেলেও যেতে হয়েছে। তাদের ছাড়াও যাদের নিয়ে কথা হয় না, কিন্তু নারী কেলেঙ্কারিতে ভরপুর এই মানুষগুলো। অনেকের নারী কেলেঙ্কারি ফাঁসও হয়েছে। কেউ কেউ আবার নিজেদের এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যাদের চরিত্র নিয়ে এখন আর আলোচনা হয় না। বলিউডের এমন অনেকে আছেন যারা নিজেদের ক্ষমতাকে নারী কেলেঙ্কারি হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
দুই স্ত্রী, একাধিক নায়িকার সঙ্গে প্রেম, নিজেকে ‘লাভ চাইল্ড’ বলতেও কোনও কুণ্ঠা ছিল না মহেশ ভাটের। ছোটবেলায় দেখতেন তাঁদের বাড়িতে এলে বাবা পা থেকে জুতো খোলেন না। মা এবং তাঁদের দুই ভাইয়ের কাছে বাবা বেশি ক্ষণ থাকতেনও না। আসার পর থেকেই যেন যাওয়ার তাড়া থাকত। মা বলতেন, তাঁর বাবার অন্য সংসার আছে। সে কথার অর্থ তখন বোধগম্য হত না। কৈশোরে পৌঁছে জানতে পেরেছিলেন, তাঁর বাবা মায়ের মধ্যে বিবাহিত সম্পর্ক ছিল না।
তাঁর বাবা নানাভাই ভাট ছিলেন হিন্দি সিনেমার নামী পরিচালক ও প্রযোজক। স্ত্রী হেমলতা ও সন্তানদের নিয়ে তাঁর বড় পরিবার। কিন্তু নানাভাই কোনও দিন শিরিন মোহাম্মদ আলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অস্বীকার করেননি। শিরিনকে নিজের স্ত্রী হিসেবেও গ্রহণ করেননি। কিন্তু শিরিন এবং তাঁদের সন্তানদের প্রতি কর্তব্য পালন করে গিয়েছেন বরাবর।
মহেশের জীবনেও এসেছে একাধিক নারী। লোরেন ব্রাইট বা কিরণের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেম করে বিয়ে করেন। কিন্তু সিনেমায় পরিচিতি পাওয়া শুরু করলেই তিনি অন্যত্র মজেন। কিরণের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে পারভিন ববির পথে হাটেন। মানসিক অস্থিরতার শিকার পারভিন আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিলেন মহেশের মধ্যে। তাঁদের দুরন্ত প্রেমপর্বের কথা লুকিয়ে রাখেননি দু’জনের কেউই।
১৯৯০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আশিকি’ ছিল তাঁর এবং কিরণের দুরন্ত প্রেম। প্রথম স্ত্রী কিরণের কাছে পরে ফিরে গিয়েছিলেন মহেশ। পারভিনের সঙ্গে প্রেম ভেঙে যাওয়ার পরে, ‘অর্থ’ সফল হওয়ার সময়ে মহেশ চেয়েছিলেন কিরণের সঙ্গে নতুন করে জীবনটাকে শুরু করতে। কয়েক বছর সংসার করলেন মহেশ-কিরণ। জন্ম হল তাঁদের ছেলে রাহুলের। কিন্তু আবার অন্য নারীর কাছে আত্মসমর্পণ করে বসলেন। এ বার মহেশ বিয়ে করলেন টেলিভিশনের অভিনেত্রী সোনি রাজদানকে। তবে কিরণের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদও কোনও দিন হয়নি।
এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন নিজের জীবনে শ্মশানের শান্তির থেকে সমুদ্রের উথালপাথাল ঢেউ বেশি পছন্দ করেন। বইয়ের খোলা পাতার মতো পড়ে থাকা সে জীবনে বিতর্কের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বার বার। মেয়ে পূজার সঙ্গে লিপলক কিস নিয়ে উত্তাল হয়েছে আলোচনা। হাল আমলে রিয়া চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ পুরুষ হিসেবেও উঠে এসেছে তাঁরই নাম। একাধিক নারীর সঙ্গে মহেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গল্প বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে চাওর রয়েছে।
পরিচালক-অভিনেতা রাজ কাপুর সম্পর্কে বহু কথা বলিউডের ঘোরাফেরা করে। নারীদের প্রতি তাঁর আসক্তি, মাদকের প্রতি তাঁর ভালবাসা নিয়ে বহু কথাই চালু রয়েছে। ঋষি কাপুর তার বইতে সে সব কথাই খোলাসা করেছেন। নিজের বইতে রাজ কাপুর এবং নার্গিসের সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন ঋষি। কিন্তু এও লিখেছেন এক মহিলায় সন্তুষ্ট থাকতে পারতেন না রাজ। অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেও তিনি জানিয়েছেন।
সিনিয়র কাপুরের এত মহিলা সঙ্গী, রাজ কাপুরের স্ত্রীর জীবন কেমন ছিল? ঋষি কাপুর জানিয়েছেন, অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে রাজ কাপুরের যখন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তখন তাঁর স্ত্রী ছোট চিন্টুকে(ঋষি কাপুর) নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন। মেরিন ড্রাইভের নটরাজ হোটেলে ছিলেন তিনি। আবার স্বামীর সঙ্গে প্রেমিকার সম্পর্ক ভাঙলে তবেই বাড়ি ফেরেন।
মহিলাদের পাশাপাশি মদেও তীব্র আসক্তি ছিল রাজ কাপুরের। দেশ-বিদেশের দারুণ সব মদ পানে আগ্রহ ছিল তাঁর।
বলিউড অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি তো সিরিজ কেলেঙ্কারির জনক। আদিত্য তার বাসার কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। প্রেমিকা মনিকা বেদির বাসার কাজের মেয়েকেও সে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনার কারণেই তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেন মনিকা। আদিত্যর বাসার কাজের মেয়ে বলেছেন, সিনেমার নায়িকা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে আদিত্য তাকে ধর্ষণ করেছে। আদিত্য মেয়ের বয়সী কঙ্গনা রানাউতকেও যৌন হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ আছে।
ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি ‘রকি’ করার পরে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শক্তি কাপুরকে। বর্তমানে শক্তির মেয়ে শ্রদ্ধা কাপুরও বলিউডের জনপ্রিয় একজন তারকা। শক্তি কাপুরকে এক সময় নায়িকারা বেশ ভয় পেতেন। শক্তি কাপুরের একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো। তবে শক্তি দ্বিতীয় সারির নায়িকাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তেই বেশি পছন্দ করতেন। প্রথম সারির কোন নায়িকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে না পরায় তার প্রেম নিয়ে তেমন চর্চাও হয়নি। তবে এক অভিনেত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনের আগ্রহ জানিয়েছিলেন । এমনকী তিনি সেই অভিনেত্রীদের নামও প্রকাশ্যে এসেছিলেন। এই রেকর্ডিং ভিডিও শোরগোল ফেলে দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পরিচালকা সুভাষ ঘাইয়ের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন মণীষা কৈরালা। সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গে সিনেমায় কাজ করাকালীন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। একে সময়ের নামী এ পরিচালকেরও আছে একাধিক নারী কেলেঙ্কারি। সুভাষ ঘাইয়ের মতো রাজকুমার সন্তোষীরও রয়েছে নারী কেলেঙ্কারি। বলিউডের অনেক প্রথম সারির নায়িকার সঙ্গেই তার সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। মমতা কুলকার্নী একবার তার সব কথা ফাঁসও করেছিলেন।
সমকামী হিসেবে পরিচিত করণ জোহরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে একাধিক পুরুষ মডেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে। করণের মতো একতা কাপুরও পুরুষ মডেল বশ করেন। তার সিরিয়ালে চান্স দেওয়ার নামে পুরুষ মডেলদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন বলে কথা রটা আছে বলিউডে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পিয়া জান্নাতুল
মন্তব্য করুন
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা
পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির
গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে
অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ
আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।
গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়।
তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন
‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে
গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’
সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো
সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার
সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’
রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায়
কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা
আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো
খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম
দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম
হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’
‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য
বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য
রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে।
(৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
(৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে
পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
মন্তব্য করুন
ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাসসের
খবর অনুযায়ী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী
ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ।
ইরাকের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত
ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা
এএফপি’কে এই কথা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা
এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র
জানায়, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর
জন্য পরিচিত হয়েছিলেন।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে
ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার
জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেয়।
ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু
সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার
অভিযান শুরু করে।
টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক
বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন
করে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।
মন্তব্য করুন
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে ঢালিউড
সুপারস্টার শাকিব
খান দাম্পত্য
সম্পর্কের ইতি টেনেছেন অনেক আগেই। তবে এখনও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মিডিয়ায় শাকিবের সঙ্গে
তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন দুই নায়িকাই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অনেক খুঁটিনাটি
ফাঁস করেছেন বুবলী। যা নিয়ে বর্তমানে দর্শকমহলে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।
সাক্ষাৎকারে বুবলী বলেছিলেন, ‘আইনগতভাবে আমি এখনও শাকিব
খানের বৈধ স্ত্রী।’ আবার বলছেন, ‘আমি শাকিবের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের
সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।’
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বুবলীর সেসব কথার প্রেক্ষিতে
কথা বলেছেন অপু
বিশ্বাস।
বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু। হাসতে
হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত
হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’
অপু বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ।
প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের
ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে
নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে
তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
অপু আরো বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি,
আবেগে আপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না। এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির
খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি
তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
বুবলীকে ইঙ্গিত করে নাম প্রকাশ না করে অপু আরও বলেন, ‘এখন আমরা একটা জায়গায় চলে এসেছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখতে হবে। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি উনাকে সুস্থ থাকা দরকার।’
অপু বিশ্বাস শবনম বুবলী ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।