কালার ইনসাইড

কোরবানি; তারকাদের দান ও দৈন্যতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

২০১৬ সালে বিএফডিসিতে কোরবানি দেওয়ার রীতি শুরু করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। প্রথম বছর একটি দিয়ে কোরবানি শুরু হলেও পরের বছরগুলোতে যথাক্রমে দুটি, তিনটি ও চারটি করে গরু কোরবানি দেন এ নায়িকা।

২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিও একই উদ্যোগ নেয়। পরী ও সমিতির এই যৌথ কোরবানি কালচারের উদ্দেশ্য, অসচ্ছল ও কম আয়ের শিল্পীদের মাঝে মাংস বিতরণ করা।

তবে চলতি বছর করোনার কারণ দেখিয়ে শিল্পী সমিতি পিছু হটলেও পরীমনি অনড় রয়েছেন তার সিদ্ধান্তে। তিনি এবার এফডিসিতেই দিচ্ছেন কোরবানি। এবার তিনি দেবেন ৫টি গরু। কারণ এটি পঞ্চম বর্ষ। পরীমনি বলেন, ‌‘মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কোরবানি নিয়ে এবার একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এ বছর ৫টি গরু কোরবানি দেবো। করোনার কারণে কোরবানি বন্ধ রাখার মানে নেই।’

২০১৬ সাল থেকে পরীমনির হাত ধরে এফডিসিতে কোরবানি দেওয়াটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। যার মধ্যদিয়ে এই নায়িকা এফডিসিকেন্দ্রিক অসহায় মানুষদের কাছে অসম্ভব প্রিয়। কারণ, পরীর এসব সামাজিক উদ্যোগ বরাবরই থাকে সমিতি ও রাজনীতিমুক্ত।

পরীমনির মতো নায়িকা নিপুনও এবার এফডিসিতে কোরবানি দেবেন। নিপুণ বলেন বলেন, ‘বর্তমানে চলচ্চিত্রে কাজ কমে যাওয়া ও করোনায় বিপদে পড়েছেন বেশিরভাগ সহশিল্পী, যাদের কোরবানি দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই বললেই চলে। এসব শিল্পীর জন্য এবার কোরবানির আয়োজন করছি।’নিজের যুক্ত হওয়ার আরও একটি কারণ বললেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘চলতি বছর এফডিসিতে কোরবানি কম হচ্ছে। যে কারণে আমাদের মধ্যে যারা নিম্ন আয়ের শিল্পী রয়েছেন, তাদের অনেকেই ঈদের দিন কোরবানি দিতে পারবেন না। তাদের কথা ভেবেই আমি প্রথমবারের মতো এফডিসিতে কোরবানি দিচ্ছি।’

এবার নিপুণ এফডিসি ছাড়াও ঢাকা ও গ্রামে মোট ৫টি গরু ও ৪টি ছাগল কোরবানি দেবেন। তারমধ্যে তিনটি গ্রামের বাড়িতে আর একটি করে ঢাকা ও এফডিসিতে দেওয়া হবে।

তিনি জানালেন, গ্রামের বাড়িতেও গরিবদের মাঝে বেশি মাংস দেওয়ার জন্য বড় পরিসরে কোরবানি দিচ্ছেন।

সম্প্রতি এফডিসির প্রায় ৬০০ কলাকুশলীকে ঈদ উপহার দিয়েছেন নিপুণ। এর আগে তিন শতাধিক শিল্পীকে নিত্যপণ্য দেন তিনি।

২০১৬ সাল থেকে পরীমনির হাত ধরে এফডিসিতে কোরবানি দেওয়াটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু স্বচ্ছল নায়কদের সেক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে খুব দেখা যায়নি। শাকিব খান, নায়ক রাজ রাজ্জাকের পরিবার, শিল্পপতি নায়ক আলমগীর, সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক, সোহেল রানা, ফেরদৌস, রিয়াজদের মতো স্বচ্ছল নায়কদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। মিশা সওদাগর, ওমর সানী, মৌসুমী, পূর্ণিমা, পপি, আরেফিন শুভদের মতো তারকারাও এগিয়ে আসেননি। অনন্ত জলিলের এফডিসিতে কোরবানি দেওয়া প্রত্যাশিতই ছিলো। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেই রেওয়াজ তিনি শুরু করেননি। মিশা সওদাগর যদিও শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসাবে কিছুটা দায়িত্ব পালন করেন।

সিনেমার মানুষদের মধ্যে যেমন অস্বচ্ছল রয়েছে তেমনি আছে স্বচ্ছলও। কিন্তু উদ্যোগ নিতে খুব একটা দেখা যায় না। তাদের ভাষ্য, সবাইকে জানিয়ে আমরা দান করি না। অনেকে বলছেন, দেখিয়ে হলেও দানটা করেন। গরীব অস্বচ্ছল শিল্পী কলাকুশলীরা দেখবে না আপনি দান করে মানুষকে দেখাচ্ছেন না কি করছেন। তাদের পাশে দাড়ানোটাই তাদের প্রত্যাশা।

অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে তোপের মুখে থাকা শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বললেন, ‘কসাইরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করবে। তাই তাদের নিয়ে কোরবানির আয়োজন করাটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাংস পৌঁছে দেওয়াটাও কঠিন হবে। তাই এবার আমরা সমিতির পক্ষ থেকে কোনও কোরবানি দিচ্ছি না। তবে অসচ্ছল শিল্পীরা যেন মাংস কিনতে পারেন, এ জন্য নগদ অর্থ দিয়েছি।’

অন্যদিকে নাট্যাঙ্গনের মানুষদের এমন সম্মিলিত আয়োজনের কথা শোনা যায়নি। অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে কোরবানি দিয়ে তাদের যাকে মনে হবে তার কাছে মাংস পৌঁছে দেবেন বলে জানান। তবে মমসহ বেশ কয়েকজন তারকা অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে করোনার সময় কোরবানি দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেননি। তারা তাদের নির্ধারিত অর্থটা গরীব কিংবা অস্বচ্ছল মানুষদের মাঝে দান করবেন। সেক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কাজ করা মানুষদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। যদিও ইসলামে কোরবানি না দিয়ে অর্থ দানের কোন নিয়ম নেই।

সবচেয়ে বড় কথা- এফডিসি কিংবা নাট্যপাড়া হোক, স্বচ্ছল শিল্পীরা এগিয়ে আসলে অস্বচ্ছলদের আর দুর্দশা থাকে না। উৎসবের দিনগুলো আরো রঙিন হতে পারে। বছরের পর বছর ধরে সেরকম উদ্যোগ খুবই কম দেখা যায়। হয়তো ব্যক্তিগতভাবে দুয়েকজন এগিয়ে আসেন, সেটাও নিয়মিত নয়। যোগ বিয়োগ করলে তাই এখানে স্বার্থপরের সংখ্যাই বেশি।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগেই আটকে গেল রায়হান রাফির ‘অমীমাংসিত’

প্রকাশ: ১১:১৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।

গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’

রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’

‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে। (৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। (৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।


অমীমাংসিত   রায়হান রাফি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৯:৪৩ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাসসের খবর অনুযায়ী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ।

ইরাকের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এএফপি’কে এই কথা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর জন্য পরিচিত হয়েছিলেন।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেয়।

ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার অভিযান শুরু করে।

টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।


টিকটক তারকা   হত্যা   ইরাক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ: চিত্রনায়িকা অপু

প্রকাশ: ০৬:১৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টেনেছেন অনেক আগেই। তবে এখনও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মিডিয়ায় শাকিবের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন দুই নায়িকাই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অনেক খুঁটিনাটি ফাঁস করেছেন বুবলী। যা নিয়ে বর্তমানে দর্শকমহলে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।

সাক্ষাৎকারে বুবলী বলেছিলেন, ‘আইনগতভাবে আমি এখনও শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী।’ আবার বলছেন, ‘আমি শাকিবের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।’

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বুবলীর সেসব কথার প্রেক্ষিতে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

অপু বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’

অপু আরো বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগে আপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না। এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’

বুবলীকে ইঙ্গিত করে নাম প্রকাশ না করে অপু আরও বলেন, ‘এখন আমরা একটা জায়গায় চলে এসেছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখতে হবে। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি উনাকে সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   ঢালিউড   সুপারস্টার শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ল ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’!

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের স্বাধীনতা দিবসে বড়সড় ধামাকা আসতে চলেছে। মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। মুক্তির চার মাস আগে থেকেই এই সিনেমা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রচার শুরু হয়নি সিনেমার। তা সত্ত্বেও, খবরের শিরোনাম দখল করে নিচ্ছে ‘পুষ্পা’। কেন জানেন? 

শোনা যাচ্ছে, প্রচারের আগে, মুক্তির অনেক আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে এই সিনেমা। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এমন ঘটনা এটিই প্রথম। অনন্য নজিরটি গড়ল আল্লু অর্জুন অভিনীত এই সিনেমা।

১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শক্তি সামন্ত পরিচালিত ‘অমর প্রেম’ সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুরের কান্না দেখে রাজেশ খান্না বলেছিলেন ‘পুষ্পা, আই হেট টিয়ার্স’। কাট টু, ২০২১ সালে, ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমায় দক্ষিণের সুপারস্টার আল্লু অর্জুন বললেন, ‘পুষ্পা, ম্যায় ঝুঁকে গা নেহি সালা…’। 

পুষ্পাকে কেন্দ্র করে দুই সংলাপে আকাশ-পাতালের তফাত। তফাত সোয়্যাগে। এক পুষ্পা (‘অমর প্রেম’ সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত চরিত্রের নাম ছিল পুষ্পা) কান্নাকাটি করে ভাসায়। ১৯৭২ সাল থেকে দর্শকের মনে বদ্ধমূলভাবে গেঁথে গিয়েছে– ফুলের মতো নাজুক পুষ্পারা কেবল কাঁদতেই পারে। ফোঁস করতে পারেন না। 

২০২১ সালে আল্লু অর্জুন প্রথম দেখালেন, পুষ্পাদের কাঁটাও আছে। ফোঁস করতেও পারে। পুষ্পার নতুন সংজ্ঞা তৈরি করলেন এই বলে যে, সে মাথা নোয়াতে রাজি নয়, ‘পুষ্পা ঝুঁকে গা নেহি!’ সোয়্যাগে পরিপূর্ণ ডায়ালগ ডেলিভারি, থুতনির নিচ দিয়ে আঙুলগুলো কায়দা করে নিতে-নিতে পুষ্পা বলে ‘ঝুঁকে গা নেহি সালা’!

এই সিনেমায় অভিনয় করে প্রকৃত অর্থেই শোরগোল ফেলে দিলেন দক্ষিণ ভারতীয় তারকা আল্লু অর্জুন। যিনি অতীতে কেবল নিজের ঘরের মাঠেই গোল দিয়েছেন। কখনও ‘দেসামুদুরু’, কখনও ‘পারুগু’ তো কখনও ‘ইয়েভাদু’ সিনেমায়। রাতারাতি প্যান ইন্ডিয়া স্টারের তকমা পেয়ে গেলেন আল্লু। হয়ে উঠলেন গোটা দেশের ঘরের ছেলে।

গ্ল্যামারের মোড়ক থেকে আগাগোড়া বেরিয়ে, রোদে পোড়া চেহারা নিয়ে ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়ালেন পুষ্পারূপী আল্লু অর্জুন। পাখির চোখ করলেন গোটা দেশের দর্শককে। ‘মহাভারত’ মহাকাব্যের বীরের মতো লক্ষ্যভ্রষ্ট ছিলেন না বলেই পুষ্পার সিক্যুয়েল নিয়ে এখন থেকেই এত হাঙ্গামা শুরু হয়ে গেছে।


ইতিহাস   ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার, বললেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
 
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।  বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
 
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন