নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২০
পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম মারা গেলেন। এফডিসিতে জানাযা অনুষ্ঠিত হলো। অনেক স্বনামধন্য তারকা সেই জানাযায় উপস্থিত ছিলেন। অনেক তারকার কাছেই জানতে চাওয়া হলো এই স্বনামধন্য পরিচালকের সঙ্গে তাদের স্মৃতিকথা। আরে বাবা! হুট করে ওমর সানী বেজায় চটে গেলেন। ‘হ্যা তোমরা এখন আসবা। চাষী ভাই যখন জীবিত ছিলো তখন তোমাদের খবর ছিলো না।’ রাগে ক্ষোভে আরো কত কি! এমন অপ্রস্তুত উত্তরের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। পাশে ছিলেন মিশা সওদাগর। ঠান্ডা মাথায় তিনি বললেন, এই সানী থাম। মিশা সওদাগর পাশে ডেকে নিয়ে বললেন কি জানতে চাও আমার কাছেও জিজ্ঞাস করতে পারো। তিনি তখন সুন্দরভাবে উত্তর দিলেন। ওমর সানী এমনই। কেমন ওমর সানী? ওমর সানীকে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সহজ সরল মানুষ ভাবা হয়। তিনি যে কথাটা বলেন, আন্তরিকভাবেই বলেন। এরপর ওমর সানীর সঙ্গে আরো অনেক কথা হয়েছে। তিনি শুধু সংবাদের জন্যই কথা নয়, চাকরি কেমন চলছে। শরীর স্বাস্থ্য কেমন সব বিষয়েই খোঁজ খবর নেন। কিন্তু তার ঘরনী মৌসুমীকে পাওয়া বেশ দুরহ কাজ।
অ্যাকশন ছবির জন্য নায়ক রুবেল পরিচিত। অনেকেই হয়তো জানেন না, তিনি কত সুন্দর টোনে গুছিয়ে কথা বলতে পারেন। যেমনটা পারেন তার বড় ভাই সোহেল রানা। তবে সোহেল রানা গেল কয়েকবছরে কথা বলতে গেলে নিজের একরাশ হতাশা ব্যক্ত করেন। শরীরটাও ভালো যাচ্ছে না তার ইদানিং। নায়ক আলমগীর ফোনে সাক্ষাৎকার দেন না। কোন কিছুই তিনি ফোনে বলতে রাজি না। স্পষ্টতই তার ভাষ্য, খবর নেও আমি কখনো এই জীবনে ফোনে কথা বলিনি। সেক্ষেত্রে নায়ক ফারুক অন্যরকম। তার সঙ্গে ফোনে টানা দুই ঘন্টাও কথা হয়েছে। এত এত বলেন যে সবটা লেখা সম্ভবও হয় না। নায়ক রাজ রাজ্জাক ছিলেন স্বাভাবিক মানুষ। তবে তিনি চাইতেন তার সঙ্গে সম্মুখে কথা বলে যেন সাক্ষাৎকারটি ছাপা হয়। বাসায় গেলে নাতিকে পাশে বসিয়ে তিনি পুরো ইন্ডাস্ট্রির খোঁজ নিতেন। তিনি বরাবরই সাংবাদিকদের বন্ধু ছিলেন। এমনকি তার নায়ক রাজ বিশেষণটাও দিয়েছেন স্বনামধন্য সাংবাদিক আজাচৌ বা আহমেদ জামান চৌধুরী। নায়িকা কবরীকে ধরা খুবই টাফ। প্রশ্নটা একটু এদিক হলেই ধরে সাইজ করে দেন। ইলিয়াস কাঞ্জনকে পাওয়া যায় সহজেই। প্রসঙ্গ পছন্দ হলে কথা বলতে রাজি হন, না হয় এক কথায় না করে দেন। ববিতা, চম্পা, সুচরিতা সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় শাসনও করবেন।
কাজী হায়াত থেকে মালেক আফসারি- এফডিসির পরিচালকরা কথা বলতে ওস্তাদ। যে কোন প্রশ্নের স্বাবলিল উত্তর দিতে পারেন। শাকিব খান উত্তর বড় করেন না। উত্তর হয় দাম্ভিকতায় ভরা। সেক্ষেত্রে রিয়াজ বলেন গুছিয়ে কথা, ফেরদৌস আন্তরিক হয়ে। পপি- শাবনুরদেরও আন্তরিকভাবেই কথা বলতে দেখা যায়। পূর্ণিমা সবার সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলেন না। মিশা সওদাগরের অনেক কিছু মুখস্থ। অনেক অভিনয়শিল্পী নিজের কথা বলতে গেলেও তথ্য ভুলে যায়। সেক্ষেত্রে মিশা দশে দশ। এ প্রজন্মের অপু বিশ্বাসের কথা গভীরতা কম। তবে মাহি কথা বলতে গেলে অনেক উদাহরণ টানেন। পরীমণিকে কেউ না চিনে কথা বললে ভাববেন কলকাতার কেউ। একদিন বলেছিলেনও, যশোরে বড় হওয়া তো ওই টোনটা তাই রয়ে গেছে। জায়েদ খানের কথায় বরিশালের টোন স্পষ্ট। তবে তিনি বেশ আন্তরিকভাবে কথা বলেন। যখনই তাকে কল দেওয়া হয় যদি নাও ধরতে পারেন ব্যাক করবেন। কখনো তিনি কোন সাংবাদিকের সঙ্গে খারপ ব্যবহার করেছেন বলে শোনা যায়নি। জায়েদ খানের সাক্ষাৎকারে সবসময়ই একটা আবেদন থাকে যে তিনি ভালো কাজ করতে চান। আর যখন থেকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, তখন সেই সমিতি নিয়ে কিছূ বলতে তার হবেই। আরেফিন শুভর মধ্যে রয়েছে বেশ গাম্ভীর্য। তবে বাপ্পি বা সিয়ামরা সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বন্ধু হয়ে ওঠেন। বিদ্যা সিনহা সাহা মিম সাক্ষাৎকার দিলে ভয়ে ভয়ে থাকেন, মনে হয় এই বুঝি তাকে নিয়ে এমন কিছু লেখা হবে যেটা তার কল্পনাতেও ছিলো না। তার মুখে কোন নেগেটিভ কথা কেউ শুনেছে বলে মনে হয় না।
পরের পর্ব নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সাক্ষাৎকার….
এরপর গানের মানুষদের….
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।
নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।
এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।