নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪০ পিএম, ১১ অগাস্ট, ২০২০
কারগিল যুদ্ধের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর অফিসার গুঞ্জন সাক্সেনা প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা বহু সৈনিকের। তাঁর জীবন নিয়েই আসছে বায়োপিক, যে চরিত্রে অভিনয় করবেন জাহ্নবী কাপুর। গুঞ্জন সাক্সেনার বায়োপিক, ‘গুঞ্জন সাক্সেনা দ্য কারগিল গার্ল’সিনেমাটি আগামীকাল (১২ আগস্ট) নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে ছবিটি। ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করা জাহ্নবীকে টার্গেট করে কটুবাক্য ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর একটি কারণ করণ জোহর এই সিনেমার প্রযোজক, অন্যটি জাহ্নবী স্টার কিড।
এই চরিত্রে অবশ্যই হয়তো কঙ্গনা বা তাপসী ভাল করতে পারতো, কিন্তু এই রকম প্রশ্ন কি করা উচিত?অভিজ্ঞতা-অভিনয় পারদর্শিতা সব দিক দিয়েই জাহ্নবী সবে মাত্র শুরু করেছে বললেই চলে। সেখানে তার ভাল পারফর্ম্যান্স কে এপ্রেসিয়েট করার বাইরে অন্য কেউ তার চেয়ে ভাল করতে পারতো কিনা সেটা চিন্তা করা টা উচিত বলে মনে করা কতটা যুক্তিযুক্ত? ভাল একটা স্টোরি,সেটা ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে ট্রেলার দেখে সবার বাহবা পাচ্ছে জাহ্নবী। তার মানে সে পেরেছে,অন্য কেউ আরো ভালো পারতো কিনা সেটা নিয়ে আসার কি দরকার? ওভাবে ভাবলে তো অপশন এর কোন শেষ নেই!একের পর এক তুলনা আসতেই থাকবে...!
দুনিয়ার সব রোল ই যা কেউ করেছে অলরেডি,তার চেয়ে বেটার ভাবে করা যেত। জোকারের রোল হিথ লেজার এতো ভালোভাবে করেছেন,কিন্তু অন্য কেউ করলে হয়তো আরো বেশি ভালো হতে পারতো। সুতরাং, যা হয়নি সেই ব্যাপারে চিন্তা না করে যা হয়েছে সে ব্যাপারে এপ্রিশিয়েট করা উচিত।
গুঞ্জন সাক্সেনার ট্রেলার যেদিন বের হয়, সেদিন সেটা ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন সিনেমার অভিনেতা পংকজ ত্রিপাঠি। সেখানকার কিছু কমেন্টের নমুনা দেখলে অবাক হতে হয়। এই সমস্ত কমেন্টের মূল বক্তব্য একটাই- সিনেমাটা আমরা দেখব না কারণ এটাতে জাহ্নবি কাপুর আছে। আর তার সবচেয়ে বড় অপরাধ হচ্ছে সে শ্রীদেবীর মেয়ে, সে একজন স্টারকিড!
গুঞ্জন সাক্সেনার ঘোষণা আসে ২০১৮ এর ডিসেম্বরে। দুই বছরের শত শত মানুষের পরিশ্রম একটা সিনেমার পেছনে। সেই শত মানুষের সবাই কি স্টারকিড? আর হলেও বা সমস্যা কি? আলটিমেটলি সিনেমাটা কতটা ভাল- সেটাই কি মূল বিবেচ্য হওয়া বিষয় না? হলিউডে অনেক স্টারকিডেরা সিনেমা করে- আমরা কি তাদের সিনেমার বেলায় এমন করি নাকি ক্ষোভটা শুধুমাত্র কোন নির্দিষ্ট একটা ইন্ডাস্ট্রির প্রতি?
শুধুমাত্র একজন মারা গিয়েছেন দেখে তার একটা মোটামুটি মানের সিনেমাকে ১০/১০ দেয়া আর শুধুমাত্র একজন স্টারকিড বলে তার যেকোনো ভাল কাজকেও ইচ্ছে করে আইএমডিবিতে গিয়ে ২/১০ দিয়ে আসলেই কি নেপোটিজম বা ফেভারিটিজম শেষ হয়ে যাবে? এত সোজা?
গুঞ্জন সাক্সেনার ডিরেক্টর, রাইটার স্টারকিড নন। পংকজ ত্রিপাঠি, ভিনিত কুমার সিং স্টারকিড নন। এমনকি এই সিনেমাতে যে ছেলেটা সবাইকে চা সার্ভ করেছে, সে তো অবশ্যই কোন স্টারকিড নয়! তাহলে আমরা যদি না দেখেই একটা সিনেমার প্রতি এমন ঘৃণা দেখাই, সেক্ষেত্রে তারাও কি ভুক্তভোগী হন না? সেটা কি কোনদিক থেকেই মানবিক কাজ? বা সেটা কি একজন সিনেমাপ্রেমিকের কাজ হতে পারে?
গুঞ্জন সাক্সেনা নিয়ে যারা বাজে কমেন্ট করেছেন, তারা বেশিরভাগেই ইন্ডিয়ার। তবে আমাদের মাঝেও অনেকে এই ধারণা পোষণ করি যা ঠিক না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন