কালার ইনসাইড

সৃজিত মুখার্জীঃ টালিগঞ্জের বাজিকর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

একটা সময় কলকাতার বাংলা সিনেমা আটকে গিয়েছিলো বিশেষ কিছু গল্পের চোরাবালিতে। ধনী গরীবের অসম প্রেমের গল্প, পিতার হত্যাকারীকে বছরের পর বছর ধরে খুঁজে চলার গল্প, দক্ষিনী সিনেমার ফ্রেম টু ফ্রেম কপি আর বি গ্রেডের রগরগে যৌনতা নির্ভর গল্পের ভার যেন আর সইতে পারছিলো না কলকাতার সিনেমাপ্রেমী দর্শকেরা।

সময়টা ২০০৮ কিংবা ২০০৯ হবে। প্রেসিডেন্সী কলেজ আর জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে অর্থনীতি আর পরিসংখ্যানের কর্মজীবনকে পেছনে ঠেলে এক যুবক আসলেন কলকাতার সিনেমা পাড়ায়। মনের মধ্যে বাংলা সিনেমার অংকের হিসেব বদলে দেবার ইচ্ছে নিয়ে ঘুরতে লাগলেন প্রয়োজকদের দ্বারে দ্বারে। অথচ গল্প শুনিয়ে প্রযোজকদের মন জয় করতেই পারছিলো না ছেলেটি। অর্থনীতির ছাত্রের সিনেমার গল্পে নাকি বাণিজ্য খুঁজে পাচ্ছিলেন না প্রযোজকগণ। তার গল্পে নাকি কমার্শিয়াল বিষয়টা ঠিক নেই। অবশেষে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের শ্রীকান্ত মোহতা শুনলেন সেই যুবকের গল্প। দুই বছর ধরে এই গল্পের সাথে বাস করতে থাকা ছেলেটি সেদিন তার গল্পের আকর্ষণে আকৃষ্ট করেছিলেন তাকে। গল্প শুনে মোহতা যখন ওই গল্পের পরিচালনা কে করবেন প্রশ্নটি করেছিলেন, সেদিন ওই যুবক দৃপ্ত কন্ঠে বলেছিলেন যদি পৃথিবীর কেউ এই গল্পটি বলতে পারে সেটি একমাত্র আমি। কলকাতার সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রির ভার অনেকটা একা বয়ে চলা নায়ক প্রসেনজিত এর ক্যারিয়ারে তখন বলতে গেলে এক রকমের ভাটা চলছিলো। সত্যজিৎ রায়ের “নায়ক” আর ইংরিদ বারিমানের “ওয়াইল্ড স্ট্রবেরিজ” থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রসেনজিত চ্যাটার্জিকে নিয়ে ধরলেন এক বিশাল বাজি। তৈরী করলেন “অটোগ্রাফ”। ঐ এক বাজিতেই বদলে গেলো টালিগঞ্জের সিনেমার ধারা, শুরু হলো নতুন এক যুগের। হ্যা সেই বাজি ধরা ছেলেটির নাম সৃজিত মুখার্জী, টালিগঞ্জের বাজিকর।

যুগে যুগে সিনেমায় বাণিজ্যের দরকার ছিলো। মূলত আপনি আপনার সিনেমাকে কিভাবে বেচবেন এটা নির্ভর করবে আপনার দর্শকের রুচি আর জ্ঞানের উপর নির্ভর করে। ওই সময়কার কলকাতার দর্শককের মধ্যে এক ধরণের বিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন সৃজিত মুখার্জী। গল্পই ছিলো তার সিনেমার মূল অস্ত্র। সেই সাথে এক্সপেরিমেন্টাল মাইন্ড দিয়ে অসাধারণ সব অভিনেতা আর হৃদয় জুড়িয়ে দেওয়া গানে যেন বদলে দিলেন গোটা একটা ইন্ড্রাস্ট্রির সিনেমার ধারাকেই।

পরের বছর সৃজিত বাঙ্গালীকে ডুবালেন এক ঘোর লাগা থ্রিলারের দুনিয়াতে। “বাইশে শ্রাবণ”! সৃজিত মুখার্জীর দ্বিতীয় সিনেমায় পর্দায় আনলেন পরমব্রতকে। সেইসাথে বদ্ধ ঘরের চার দেয়ালের মাঝে নিজের সাথে নিজে দাবা খেলে যাওয়া উন্মাদ পুলিশ অফিসার রুপে আবির্ভূত হলেন অটোগ্রাফের বদৌলতে প্রসেনজিত চ্যাটার্জি থেকে প্রসেনজিত বাবুতে বদলে যাওয়া চরিত্র “প্রবির রায় চৌধুরী”। বাঙ্গালি মুগ্ধ হলো, থ্রিলারের এই রুপ বাঙ্গালী আগে দেখেনি। বাজিমাত করলেন সৃজিত মুখার্জী।

বাঙ্গালী ভাবতেও পারেনি আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য কোনো কোচিং সেন্টার থাকতে পারে, আবার সেই গল্প থেকে আস্ত একটা বাংলা সিনেমা হতে পারে। হ্যা হয়েছিলো, সৃজিত নির্মাণ করলেন “হেমলক সোসাইটি” নামের অদ্ভুত কন্টেন্ট এর এক সিনেমা। যা অনেক মানুষকেই বুঝিয়েছে যে “আত্মহত্যা কোনো সমাধান হয়”।

এরপর একে একে কাকাবাবু, মিশর রহস্য, জাতিস্মর দিয়ে সৃজিত নিজের জাত চিনিয়েছেন কলকাতার দর্শকদের। যার ফলস্বরূপ ৬১ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নেয় সৃজিতের জাতিস্মর।

ডায়লগ যে একটা সিনেমাকে কতোটা উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে সেটির প্রতিফলন দেখালেন “চতুস্কোন” সিনেমাতে। চতুর্ভুজ প্রেম নিয়েও যে টুইস্টে ভরপুর থ্রিলার নির্মাণ সম্ভব তা দেখালেন সৃজিত মুখার্জী। সৃজিতের অদ্ভুত এক ক্ষমতা আছে, যে সকল অভিনেতারা অনেকদিন অভিনয় থেকে দূরে আছেন তাদের কাজ করার ক্ষুধাকে কাজে লাগিয়ে মাস্টারপিস তৈরী করেন তিনি। ৬২ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে জিতে নেন সেরা পরিচালক ও সেরা চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার।

সৃজিতের ক্যারিয়ারের সবথেকে বড় মাস্টারপিস ছিলো সম্ভবত “নির্বাক” নামের সিনেমাটি। অঞ্জন দত্তের নির্বাক হাসির সাথে মর্গের ড্রয়ার থেকে ধোঁয়ার সাথে সাথে উড়ে আসা প্রেম আর সমুদ্রের মাঝে মৃত লাশকে সিনেমার পর্দায় যেন জীবন্ত রুপ দিয়েছিলেন সৃজিত মুখার্জী।

বড় একটি ঘটনার ইমপ্যাক্ট যে ছোট একটি ব্রোথেলেও এসে পড়তে পারে এবং এই ঘটনা থেকেও যে সিনেমা নির্মান সম্ভব তা কলকাতাবাসীর সামনে আনলেন সৃজিত। নির্মাণ করলেন দেশভাগের ঘটনা নিয়ে “রাজকাহিনী” যা পরবর্তীতে হিন্দিতে “বেগমজান” নামেও তিনি নির্মাণ করেছিলেন। এরপর একে একে নির্মাণ করেন জুলফিকার, ইয়েতি অভিযান, উমা, শাহজাহান রিজেন্সি, এক যে ছিলো রাজা, ভিঞ্চিদা।

নেতাজী শুভাস বোস এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সৃজিত নির্মাণ করলেন “গুমনামী”, যা সৃজিতের রাজনৈতিক চিন্তার গভীরতার ছাপ রেখেছে। সৃজিত মুখার্জীর সিনেমাতে যেমন মুগ্ধ থাকেন সাধারণ দর্শকেরা, তেমনি সমালোচকদের মুগ্ধতাও কুড়িয়ে নেন গল্প আর কন্টেন্ট এর জোরে। সৃজিতের মধ্যে খুব জটিল সিনেমার প্লটকেও পাড়ার চায়ের দোকানের উঠতি যুবকদের আড্ডার টপিকে পরিণত করার গুণ রয়েছে। সাবলিল ভাষায় কোনো ভাঁড়ামি ছাড়া ডায়লগ কিভাবে মানুষের মন ছুঁয়ে যেতে পারে এটির বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে সৃজিতে মুখার্জীর সিনেমাগুলো। সামনে তিনি হাজির হচ্ছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিনের বিখ্যাত বই অবলম্বনে “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি” নিয়ে। যা দুই বাংলার দর্শকদের রহস্যময় চরিত্র “মুশকান জুবেরি” তে বুদ করবে বলে দেওয়া যায়।

টালিগঞ্জে সৃজিত সেই ২০১০ এ যে বাজি ধরেছিলেন সেই বাজি না ধরলে হয়তো কলকাতার দর্শকরা সেই ম্যাড়মেড়ে প্রেমের গল্প আর বি গ্রেড যৌনাচার দিয়েই মন ভরাতো। হয়তো সৃজিত নামের বাজিকরের কারণেই আজ কলকাতা পেয়েছে স্মার্ট দর্শকশ্রেনী। টালিগঞ্জের এই বাজিকরের আজ ৪৩ তম জন্মদিন। সৃজিত মুখার্জী তার নিত্য নতুন সিনেমা দিয়ে মুগ্ধ করে রাখুক বাঙ্গালীকে। বাংলা ভাষার দর্শকদের ডাল ভাত আর বিরিয়ানির পার্থক্য বুঝতে শেখানো টালিগঞ্জের বাজিকরকে জানাই শুভ জন্মদিন।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়গুণে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। তবে জানেন কি? অভিনেত্রী নয় সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা।

জানা গেছে, সবসময়ই একজন সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন অনুশকা। কিন্তু ভাগ্যের টানে হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করার বদলে নিজেই একজন পেজ থ্রির নিউজে থাকেন। আর অভিনেত্রীর এই সফরটাই তখন শুরু হয় যখন ফ্যাশন ডিজাইনার ভেন্ট্রেল রড্রিকস তাকে একটি শপিং মলে দেখেন।

আনুশকাকে সেখানে দেখার পর একটি ফ্যাশন শোতে হাঁটার জন্য বলেন ভেন্ট্রেল রড্রিকস। সেই থেকে শুরু হলো আনুশকার শোবিজে পথ চলা। প্রথমে মডেলিং, পরে সেখান থেকে বলিউড যাত্রা।

২০০৮ সালে ‘রাব নে বানা দি জোড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় আনুশকার। আর ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাতেই শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আনুশকা। তাদের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। মেয়ে ভামিকা এবং ছেলে অকায়। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   আনুশকা শর্মা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সালমান খানের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্তদের রহস্যময় মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায় বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।

সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।

গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।


সালমান খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মধ্যরাতে ফেসবুকে তানজিন তিশার রহস্য ঘেরা পোস্ট

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেওয়া বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের। এর আগে পরীমণি, মাহিয়া মাহিকে মাঝরাতে এরকম করতে দেখা গেছে। এবার তালিকায় নাম উঠল তানজিন তিশার। দুপুর রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে তিশা নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি চাইলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প শেয়ার করতে পারি। সেই সাহস এবং প্রমাণ আমার আছে।’ 

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘মনে রেখো আমি তোমার খারাপ কাজের জন্য তোমাকে সবার সামনে রক্ষা করেছি। বিখ্যাত অভিনেতা হওয়ার আগে একজন ভালো ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন।’

তিশার এমন উত্তপ্ত পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেন নেটিজেনরা। কাকে এমন হুমকি দিলেন নায়িকা এমনটা যখন ভাবছিলেন অনেকে তখন দেখা যায় ওই পোস্টটি আর নেই। নিজের ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তুলকালাম বাঁধিয়েছিলেন তিশা। পরে মিটেও যায় তা। অনেকের ধারণা ফের হয়তো তাকে ঘিরেই রাত দুপুরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে রাতের আঁধারেই পোস্ট মুছে দিয়ে বিরত রইলেন অপরাধীর গল্প বলা থেকে। 

বলে রাখা ভালো, মাঝে এই প্রেমজনিত কারণেই ঢাকা মেডিকেলেও ভর্তি হতে হয়েছিল মধ্যরাতে। জানা গেছে, সেই যাত্রায় তিনি আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনও উঠে আসে সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহানের নাম।

তানজিন তিশা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০১৭ সালে মায়ের ইচ্ছায় অভিনয়ে নাম লেখান। তারপর অংসখ্য নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

গত ঈদুল ফিতরে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামের গানটি দ্বৈতভাবে কণ্ঠে তুলেন তাহসান খান ও ফারিণ। গানটি ‘ইত্যাদি’-তে প্রচারের পর গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায়। তারপর গানটি যেন লুফে নেন শ্রোতারা।

এখন পর্যন্ত গানটির মোট ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। দর্শক-শ্রোতারা গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে (মিউজিক) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে গানটি।

বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্রিয় দর্শক, ঈদ উপলক্ষে ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে প্রচারিত সবগুলো গানই আপনারা পছন্দ করেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। গানটির মধ্যে শিল্পী তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি আপনাদের বিচারে সেরা গান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে মিউজিক বিভাগে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে, যা এখনো অটুট আছে।”

গায়িকা হিসেবে ফারিণকে দর্শক এখন চিনলেও অনেক আগে থেকেই গানের চর্চা করেন তিনি। এ বিষয়ে ফারিণ বলেন, ‘আমি কিন্তু নায়িকার আগে গায়িকা। যশোর থেকে ঢাকায় এসেও গানের চর্চা করেছি। দিনের পর দিন গান শিখেছি। জাতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে গান করেছি। গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের কারণে গানের প্রতিভা এতদিন কেউ জানতে পারেনি।’

‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামে গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।

তাসনিয়া ফারিণ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় তার নানান কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হতে হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন ঘটনায় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে হঠাৎ নিজের মেজাজ হারাতে দেখা গেছে। এবার তাকে দেখা গেছে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপে সাকিবের ক্ষোভের বিষয়টি দেখা গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তার ঠিক পাশেই দাঁড়ানো ছিল চিত্রনায়ক জায়েদ খান। হঠাৎ দেখা যায়, সাকিব তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি সুইমিংপুলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হেঁটে চলে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাকিবের এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যান জায়েদ খান। ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে ছুড়ে ফেলা ফোনটি জায়েদ খানের।

ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সেকারণেই হয়তো জায়েদ খানের ওপর চটেছেন সাকিব আল হাসান। শেষমেশ মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে হাতে থাকা ফোনটি পানিতে ছুঁড়ে মারেন। 

ভিডিওটি ঠিক কোন জায়গায় ধারণ করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে ভিডিওটির বিশ্লেষণে অনুমান করা যায়, সেটি কোনো রিসোর্ট কিংবা হোটেলের সুইমিংপুল হতে পারে।

জানা গেছে, ব্যক্তিগত কাজে গিয়ে সেখানে সাকিবের সঙ্গে দেখা হয় জায়েদ খানের। তখন একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মাঝেই ঘটে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

যদিও এই ঘটনার রেশ ধরে এখনো তাদের কেউই প্রকাশ্যে কথা বলেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

জায়েদ খান   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন