নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০২০
বলিউড সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমোর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা ও জোর করে গর্ভপাতের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নির্যাতিতার লিখিত বয়ানে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে সম্পর্কে ছিলেন তিনি মিমোর সঙ্গে। এই সময়েই মিমো নির্যাতিতাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। পুলিশের কাছে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৫ সালে মিমো তাকে বাড়িতে ডেকে পানীয়তে মাদক মিশিয়ে অনুমতি ছাড়াই তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছিলেন। এরপরই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ৪ বছর লাগাতার ধর্ষণ করেছেন। যা মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত করেছে নির্যাতিতাকে। লাগাতার শারীরিক সম্পর্কের ফলে গর্ভবতী হয়ে যান ওই নারী। মিমো বাধ্য করেছিলেন তাকে গর্ভপাত করতে। এজন্য বেশ কিছু ওষুধও খাইয়েছিলেন এমনই গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে ৷
নির্যাতিতা আরও অভিযোগ করেছেন যে, মিমো ও তার মা যোগিতাবালি ভয় দেখিয়েছিলেন, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন। নির্যাতিতা এই মামলায় এর আগেই এফআইআর করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু কোনও কাজই হয়নি। এরই মাঝে নির্যাতিতা দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়ে যান।
দিল্লির রোহিণী আদালতে এফআইআর দায়েরের আবেদন জানিয়েছিলেন। প্রাথমিক প্রমাণাদির পরে আদালত এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে। এরপরই মুম্বাইয়ের এক থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন