নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বে আছেন ‘কুছ পরোয়া নেহি’ টাইপ কিছু অভিনেত্রী। হিন্দী এ বাক্যটা তাদের জন্য যথার্থ। দেশী বিদেশী এমন কিছু তারকার খোঁজ নেয়া গেল। যারা শুধু পেশার জন্য নয়, নানা সময়ে তাদের এই সোজাসাপ্টা নির্ভীক কথা বলেও এসেছেন আলোচনায়। হয়তো সমলোচনার মুখে পড়েছেন। তাতে কি! তারা চুপ হয়ে থাকেন নি।
মেরিল স্ট্রিপ
সু অভিনেত্রী হিসাবে হলিউডে তার নাম সবারই জানা। স্বীকৃত বড় পুরস্কারগুলোতে কেবল মনোনয়নই পেয়েছেন চারশতাধিক বার! এর মধ্যে দেড়শোর বেশিবার জিতেছেন পুরস্কার। মেরিল স্ট্রিপ এই ৬৮ বছর বয়সেও দাপটের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর রাজত্ব। সোজসাপ্টা কথা বলতেও বেশ ওস্তাদ । এইতো সেদিন ট্রাম্পকে ধুয়ে দিলেন। গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসের ভরা মজলিশে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একহাত নিয়েছেন তিনবার অস্কারজয়ী এ হলিউড অভিনেত্রী ও গায়িকা। ট্রাম্পও চুপ করে থাকার লোক নন। টুইটারে পাল্টা আঘাত করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের বেভারলি হিলসে ৭৪তম গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসের আসরে ‘সেসিল বি ডেমিলে’ লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার গ্রহণ করেন মেরিল স্ট্রিপ। পুরস্কার গ্রহণকালে আবেগঘন এক জ্বালাময়ী ভাষণ দেন এই অভিনেত্রী। তাঁর ভাষণ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শোনেন দর্শকেরা। পুরো ভাষণে ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তাঁর কড়া সমালোচনা করে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছেন মেরিল স্ট্রিপ। পরবর্তীতে ভাষণটি ভাইরাল হয়েছে।
লেডি গাগা
বরাবরই সমলোচিত এ পপ গায়িকা। নানা বেফাস মন্তব্য করে থাকেন। কিনা স্টেজে হুট করে পোষাক খুলে ফেলেন। বিতর্কিত হয়েছেন তিনি আরো অনেক কারনে। যেমন তার পোশাক, আচার আচরন আর কিছু গানের লিরিকের জন্য। তার মধ্যে আলোচিত ছিল কাঁচা মাংসের তৈরি একটি পোষাক যার জন্যে পশুপ্রেমি প্রতিষ্ঠান গুলো যেমন `পেটা` এর অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছিল তাকে। আর তাঁর `পোকার ফেস` গানের কিছু লিরিক "ব্লাফিং উইথ মাই মাফিন" কথাটি বিতর্ক তুলে ছিল তাঁর জেন্ডার নিয়ে। এমন কি একটা অনুষ্ঠানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁর নারীত্ব নিয়ে। সেই অনুষ্ঠানে লেডি গাগা এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছিল। তাঁর খুল্লাম খুল্লা আচরণ এবং চিন্তা ভাবনা নিয়েও সমালোচনা কম হয় নি। এত সমালোচনা সত্বেও লেডি গাগা জিতে নিয়েছেন গ্র্যামি সহ বেশ কয়েকটি পুরষ্কার।
প্রিয়াংকা চোপড়া
ভারতে প্রিয়াংকা চোপড়াকে নিয়েও সমলোচনা কম নয়। সোজাসাপ্টা কথা বলতে কাউকে তোয়াক্কা করেন না এ অভিনেত্রী। আজান নিয়ে যখন সনু নিগম কথা তুললো। তখন এর প্রতিবাদ করলেন প্রিয়াংকা। সোজা উত্তর দিলেন ‘প্রতি সন্ধ্যায় আমি আজানের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি। কোনো দিনই আমি আজান না শুনে থাকতে পারি না। কারণ আজানে আছে একটা স্বর্গীয় সৌন্দর্য। ‘ তিনি একজন হিন্দু হয়েও মুসলমানদের পক্ষ নিয়ে এ কথা বলাতে তাকে নিয়ে সমলোচনা কম হয়নি। একবার প্রেসের সামনে বললেন ‘ভারতে বাক স্বাধীনতা নেই! না হয় আমি আমার মত সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারি না। কোন একটা মন্তব্য করলে যে সেটা সবার পছন্দ হবে এমন কথা নয়। কিন্তু সেটা নিয়ে এহেম সমলোচনা সত্যিই বাকরুদ্ধ করে দেয় ‘
ভারতে যেখানে সব সেলিব্রেটিরা ফেয়ারনেস ক্রীমের বিজ্ঞাপন করতে আগ্রহী। সেখানে তিনি তুললেন প্রশ্ন। বিজ্ঞাপনের বিপক্ষে গিয়ে বললেন, ‘আমি অনুতপ্ত! ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনে দেখানো হয় এই নায়িকার তরতাজা ত্বকের রহস্যের পেছনে আছে এই বিশেষ ক্রিমের অবদান, আর তখনই সবাই এই ক্রিম কিনতে শুরু করে। বেড়ে যায় সেই ক্রিমের বিক্রি। ’। আমিও এমন একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলাম। এখন যদি সেসব কথা ভাবি তখন অনুশোচনা হয়। আমি মনে করি , প্রত্যেক নারীর তাঁর নিজের সৌন্দর্য নিয়ে খুশি থাকা উচিত। তাতে আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়ে।
কঙ্গনা রানাউত
এই মুহূর্তে বলিউডের নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নাম কঙ্গনা। হৃত্বিকের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে বহু কথা বলেছেন। মামলা পর্যন্ত রটিয়েছে। সেখানে হেরেও গেছেন তিনি। তবে থেমে থাকেননি। সেলিব্রেটি চ্যাট শো ‘কফি উইথ করণ’- এসে সঞ্চালককেই করে বসলেন অপমান। জনপ্রিয় এই পরিচালকের বিরুদ্ধে ‘স্বজনপ্রীতি’র অভিযোগ আনেন তিনি। করণকে কয়েকদফা ধুয়েছেন এ অভিনেত্রী।
কঙ্গনা সোজাসাপ্টা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সকলের অভিযোগ আমি নাকি ঝগড়ুটে! কিন্তু আমি কেন ঝগড়া করি সেটা কেউ খতিয়ে দেখেন না। আমি কোনো ব্যক্তির সঙ্গে লড়াই করি না বরং একজন নারী হিসেবে নারীদের প্রতি পুরুষদের যে নীচু দৃষ্টিভঙ্গী, আমি তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করছি। ‘
শুধু হৃত্বিকই নন। বলিউডের তাঁর কয়েকটি প্রেমের সম্পর্কও চাউর হয়েছে। এইতো সেদিন সেলিব্রেটি চ্যাট শো ‘আপ কা আদালত’এ এসে তাঁর চেয়ে বয়সে বড় আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ‘কুইন’ খ্যাত এ অভিনেত্রী। শুধু আদিত্যই নয়, কথিত সাবেক প্রেমিক হৃতিক রোশান, অধ্যায়ন সুমন সহ আরও অনেক ভারতীয় তারকাদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।
পরীমনি
পোষ্টার নকল হয়েছে, সোজাসাপ্টা পরিচালকের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। মানহানির অভিযোগে একটি অনলাইন পোর্টালের দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অশ্লীল ইঙ্গিত করায় এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে করেছেন অভিযোগ। কোন লুকোছাপা নেই প্রেম নিয়ে। প্রেমিকের সঙ্গে স্যোশাল মিডিয়ায় নিয়মিত ছবি প্রকাশ করে থাকেন। সমাজের নানা অসঙ্গতি নিয়েও কথা বলে থাকেন স্যোসাল মিডিয়ায়। বলা চলে সেও ‘কুছ পরোয়া নেহি’ নীতিতে বিশ্বাসী।
শবনম ফারিয়া
২০১৩ সালের ঘটনা। তখন প্রায় নতুন বলা যায় ফারিয়াকে। তাঁর চেয়ে তুলনামূলক সিনিয়র অভিনেত্রী মেহজাবিনের সঙ্গে ফেসবুকে লড়াই। তাই নিয়ে মিডিয়া সরগরম। ফারিয়া নানা সময়ে স্যোসাল ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন পোষ্ট দিয়ে থাকেন। সেখানেও কাউকে পরোয়া করে কথা বলেন না এ অভিনেত্রী। ব্যক্তিগত জীবন কিংবা সমাজের অসঙ্গতি, খোলামেলা কথা বলে থাকেন। নাটক পাড়ায় আজকাল এমন কমই দেখা যায়।বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজেও তাকে দেখা যায়।
শুধু এরাই নন, আরও অনেক অভিনেত্রী আছেন যারা তোয়াক্কা কম করেন। নিজের মতো করে জীবন সাজান। মনের ভাষা মুখে বলতে আটকায় না।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা
ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান।
নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।
বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময়
শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক
পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের
বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময়
দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!
সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে
যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই
ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই
আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে
কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা
মেলেনি।
‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন
আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন
ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’
ব্র্যাড পিট জনপ্রিয়তা শাহরুখ খান বলিউড
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের
গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার।
শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে
পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী
দেখাও।
অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।
আরও পড়ুন: এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব
আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান
অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের
পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।
শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার
পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত
করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন।
শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।
একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত
দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই
নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে
বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।
শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো
মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি
জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে
বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি
গেলে আমিও যাব।’
শাকিব খান ঢালিউড অপু বিশ্বাস বুবলী
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন।
এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।