নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
অভিনেতা-অভিনেত্রী কিংবা সংগীত শিল্পী, তাঁদের রয়েছে হরেক রকম পেশা। এই চর্চাটা বাংলাদেশে ইদানিংকালে তুলনামূলক বেড়ে গেছে। একটা সময়ে কিন্তু এমন চল ছিল না। শোবিজ নিয়েই তাঁরা মেতে থাকতেন। অন্য কিছু করার সময় থাকতো না। বর্তমানে অন্য পেশায় নিজেকে জড়ানো যেন একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।
চিত্রনায়ক আলমগীরের পারিবারিকভাবেই রয়েছে পোশাক শিল্পের ব্যবসা। অভিনয়ের ব্যস্ততা হঠাৎ কমিয়ে সেই পেশায় নজর দেন। চলচ্চিত্রের প্রতি নজর ছিল না মাঝে বেশ কয়েকবছর। তাঁর রয়েছে একাধিক গার্মেন্টস। আরেক নায়ক ফারুকেরও রয়েছে গার্মেন্টস ব্যবসা। সেখানকার ব্যস্ততা মিটিয়ে অভিনয়ে নেই বললেই চলে।
জনপ্রিয় অভিনেতা আফজাল হোসেন ‘মাত্রা’ নামে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার মালিক। এই ব্যবসার সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। সেই ব্যস্ততার ভিড়ে অভিনয় কিংবা নির্মাণে নামমাত্র সময় দেওয়া হয়। আফসানা মিমিরও রয়েছে ‘কৃষ্ণচূড়া’ নামে একটি প্রডাকশন হাউজ ও একটি স্কুল। সেখানকার ব্যস্ততায় নাকি ফুরসত হয়ে উঠেনা অভিনয়ের। কন্ঠশিল্পী শহীদ পারিবারিকভাবে ব্যবসায়ী। চট্টগ্রামের বিখ্যাত ওয়েল গ্রুপের মালিক তাঁর পরিবার। ‘ওয়েল ফুড’ নামে রাজধানীসহ সারা দেশে ফাস্টফুড ও বেকারির ব্যবসা রয়েছে তাঁর। আরেক কন্ঠশিল্পী আসিফের রয়েছে অডিও ব্যবসা। কুমিল্লাতে তার মিষ্টির দোকানও রয়েছে। বাপ্পারাজের দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে বায়িং হাউসের ব্যবসা। তা নিয়েই তাঁর সব ব্যস্ততা।
গত কয়েক বছরে তারকাদের মধ্যে অনেকেই নৃত্যনতুন ব্যবসায় ঝুঁকছে। তাঁর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শাকিব খান। যমুনা ফিউচার পার্কে ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে তাঁর। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের দিকেও সামনে নজর দিবেন। হাবিব ওয়াহিদের রয়েছে ‘কাবাব অন সেভেন’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট। ঈশিতা, জয়, পারভেজ, মিলন মাহমুদ, শাফিন আহমেদ,এলিটা, অপূর্ব প্রত্যেকেরই রয়েছে খাবারে ব্যবসা। মাহফুজ আহমেদের ছিল ‘বিলবোর্ড’ ব্যবসা। নওশিন-হিল্লোল দম্পতি শুরু করেছিলেন ‘সিগনেচার’ নামে ফ্যাশন হাউস। কিছু দিন যেতে না যেতেই বন্ধ করে দেন সিগনেচার। বর্তমানে অনলাইন ভিডিও পোর্টাল ‘থার্ডবেল’ এর ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত আছেন দুজনেই। নারীদের রূপচর্চা বিষয়ক ‘টিউলিপ নেইলস অ্যান্ড স্পা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুলছেন চিত্র নায়িকা নিপুন। তৌকিরের রয়েছে রিসোর্ট।
নোবেল দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন কর্পোরেট পেশায়। তপু , তুহিনরাও আছেন কর্পোরেট পেশায়। দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন বেশ কয়েকজন নামী শিল্পী। অনেকে আছেন শিক্ষকতা পেশায়।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষের ভিন্ন পেশা। এমন উদাহরন যদি টানা হয়, তাহলে তার সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে। সিনিয়র থেকে জুনিয়র। সবাই ভিন্ন কোনো পেশার সঙ্গে নিজেকে জড়াচ্ছে। একটা সময়ে হারিয়ে যাচ্ছে। যখনই মিডিয়ায় নিজেদের জায়গা নড়বড়ে হয়ে যায়। ভিন্ন পেশায় নিজেদের পুরোপুরি জড়িয়ে ফেলে। এমনটা নিশ্চয়ই সাংস্কৃতিক মাধ্যমের জন্য সুখকর হতে পারে না। কারণ তাতে ক্রমশই মেধাশুন্য হয়ে পড়ছে এ মাধ্যম। আর নিজেদের কাজটাও তো যথাযথ ভাবে করতে পারেন না।
চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘এখন তো আমি অভিনয়ে নিয়মিত নই। তাই অন্যদিকে নজর দিয়েছি। যখন আমার অভিনয়টা মূল ফোকাস ছিল। তখন কিন্তু অন্যদিক খেয়াল করতে পারিনি। একজনের পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। এটা আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু যাঁরা অভিনয়ের পাশাপাশি অন্যকিছু করে থাকেন। তাঁদেরও বা কীভাবে দোষ দেবেন। অভিনয়কে বা মিডিয়াকে ভালবাসে বলেই তো তারা এ মাধ্যমে এসেছেন। কিন্তু জীবন যাপনের জন্য এ পেশার ওপর আসলে ভরসা করা সম্ভব হচ্ছে না। সবারই প্রয়োজনীয়তা একটা সময় শেষ হয়ে যায়। তখনো তো তাদের জীবন যাপন করতে হয়। কীভাবে সম্ভব হবে চলা তখন। ‘
অভিনেতা অপূর্বর রয়েছে রেস্টুরেন্ট ব্যাবসা। তিনি বলেন ‘ রান্নাবান্না আমার ভালো লাগে। শখ বলা চলে। সেখান থেকে এই রেস্টুরেন্টের প্ল্যানিং। আর সবচেয়ে বড় কথা , এই রেস্টুরেন্ট হয়েছে বন্ধুদের উৎসাহে। ওদের শেয়ারও আছে। শুধু আমার নয় এই ব্যবসা। ওরাই মূলত দেখাশুনা করে। আমি মাঝেমধ্যে সময় দেই। অভিনয়ের ব্যস্ততায় সেখানে সময় দেওয়া হয় না। আর যদি অভিনয়ের বাইরে কতটা জরুরি সে প্রশ্ন করা হয়। তাহলে বলব বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এটা জরুরি। কারণ শুধু অভিনয়ের ওপর নির্ভর করে এখন আর জীবিকা নির্বাহ করা সবার সম্ভব নয়।’
শুধু যে অভিনেতা-অভিনেত্রী কিংবা সংগীত শিল্পী, তা নয়। শিল্পের প্রায় সব মাধ্যমের মানুষেরই বিকল্প কিছু ভাবতে হচ্ছে। শিল্পটা যেন আজকাল আর কারও মূল ও একমাত্র পেশা হওয়ার যোগত্যা রাখে না।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন।
এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।