নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ১০ অক্টোবর, ২০১৭
বিজ্ঞাপন, নাটক, মিউজিক ভিডিও সবকিছুতেই কাজ করছেন তাসনুভা তিশা। এ সময়ের সম্ভবনাময় এ অভিনেত্রী মুখোমুখি হয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের।
শুরুর গল্পটা যদি জানতে চাই……
ম্যাগাজিনের ফটোশুট থেকে শুরু। আমার বন্ধুর একটা অনলাইন বুটিক শপ ছিল। সেখানের জন্য মডেল হলাম। এরপর আরও কিছু ফটোশুট করি। সেগুলো ফেসবুকে দিলে বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব পাই। বিজ্ঞাপনের অনেকদিন পর নাটকে অভিনয় করলাম। প্রথম কাজটি ছিল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ের সঙ্গে। খুব বড় চরিত্র নয়। কিন্তু সেটাতেই রাজ ভাই কিংবা দর্শক অনেক প্রশংসা করে।
অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক…
‘বিবাহিত ব্যাচেলর’, ‘বউগিরি’, ‘১৩৮ কালাচাঁন লেন’, ‘বিটলাবাবুর বাম হাত’,‘ক্রস কানেকশন’, ‘পাখির ডানায় ভর’, ‘গল্পের পেছনের গল্প’,‘চোখ’, ‘আপনার গরুকে লাইক দিন’,‘নয় ছয়’, ‘ব্যাকবেঞ্চারস’, তরুণ তুর্কি’ সহ আরও অনেক নাটকে অভিনয় করেছি।
ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট বলতে কী মনে করেন?
এখন পর্যন্ত যেখানে পৌঁছেছি তার হিসেবে প্রথম নাটকে অভিনয়টা তো প্রশংসিত ছিলই। সেখান থেকে আরও নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব পাই খুব কাছাকাছি সময়ে। তারপর ম্যাংগো বারের বিজ্ঞাপনটির সংলাপ অনেকেই পছন্দ করেছেন। দেশে তো সব কটি চ্যানেলেই দেখিয়েছে, ভারতের জি বাংলা আর স্টার জলসায়ও দেখিয়েছে। ‘জানিস, আমাদের কলেজের কেমিস্ট্রির টিচার দেখতে যা হ্যান্ডসাম! আমি তো পুরাই প্রেমে পড়ে গেছি’। সংলাপটি বেশ আলোচিত হয়েছিল।
বর্তমান ব্যস্ততা কী?
কিছু মিউজিক ভিডিও করলাম। সেগুলো শিগগিরই অনলাইনে আসবে। সামনেও কিছু কাজের কথা চলছে। তবে নিয়মিত ব্যস্ততা বলতে নাটকের কাজ চলছে। সৈয়দ শাকিলের পরিচালনায় দুইটা সিরিয়াল করছি। সামনে জাকারিয়া সৌখিন ও মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় সিরিয়াল করার কথা চলছে। সামনেই শুরু হবে। ঈদের কিছু ব্যস্ততা গেল। তবে খুব বেশি ব্যস্ত হচ্ছি না। পরিবারকে সময় দিতে চাচ্ছি। দুই ঈদ মিলে বেশ ব্যস্ততা গেল।
সংসার সামলিয়ে কাজ করাটা কষ্টকর নয়?
বেশ কষ্টকর। আমার দুটোই ভালবাসার জায়গা। তাই দুটো একসঙ্গে করতে পারি। ওর বয়স মাত্র দুই বছর। ও তো আশা করতেই পারে আমি ওকে অনেক সময় দেই। দুইটা ঈদে কাজের প্রেশারটা অনেক বেশি ছিল। তাই ঈদের পর কাজের চাপটা একটু কম রেখেছি। এই সময়টা সংসার সন্তানের জন্য রেখেছি। প্রস্তাব থাকলেও সময় দিচ্ছি না। আর ওর মাত্র দুই বছর বয়স। সব সময় তো আমাকে ছাড়া থাকতেও চায় না। তারপর আমার স্বামী (ফারজানুল হক) অনেক হেল্প করে এ ব্যাপারে। এই জন্য অভিনয়টা কম হোক বেশি হোক চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
অনেকেই সন্তান-স্বামীর কথা লুকিয়ে রাখে, আপনি তো গর্ব করে বলেন মিডিয়ায়…
আমি ২০১৩ সালে মিডিয়ায় আসি। পরের বছর আমার বিয়ে হয়। ২০১৫ সালে আমার বাচ্চা হয়। এর মধ্যে মাতৃত্বকালীন ছুটি হিসেবে ছয় সাত মাস মিডিয়া থেকে বিরতি নিয়েছিলাম। তারপর কিন্তু আবার নিয়মিত। স্বামী সন্তান মিডিয়ায় প্রতিবন্ধকতা হবে কেন! চাপানোর কোনো মানে আমি দেখি না। শাবানা ম্যাম কিংবা তিশা আপু। বিয়ে কিন্তু তাদের ক্যারিয়ারে কোনো খারাপ প্রভাব ফেলতে পারেনি। অনেক নতুন এসে লুকায়। কিন্তু এর কোনো যৌক্তিকতা আমি দেখি না। আমার পার্সোনাল জীবন অভিনয়ের ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। এইটা আসলে আমার কোনো কাজের অংশ নয়। আমি কাজের মাধ্যমেই মিডিয়ায় পরিচিতি পেয়েছি। সেই পারফর্মটা যদি না করতে পারি হারিয়ে যাব।
আমার স্বামীকে তো মানুষজন চেনে। মিডিয়ায় ওনারও পরিচিতি রয়েছে। সেটা আমার মিডিয়ায় আসার অনেক আগেই। যেটাই হোক পার্সোনাল লাইফ মিডিয়ায় কোনো ইফেক্ট ফেলতে পারে বলে মনে হয় না।
নতুন হিসেবে লড়াইটা কেমন ছিল?
আমার লড়াই এখনো চলছে। খুব ছোট চরিত্র থেকে শুরু করেছি। এখন তো প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছি। এটা আমার লড়াইয়ের জন্য। আসল কথা হলো ভালবাসা। অভিনয় মডেলিংয়ের প্রতি আমার ভালবাসা ছিল বলেই আমি থেমে থাকিনি। থেমে থাকব না।
ছোটপর্দায় নিয়মিত এখন আপনি, চলচ্চিত্র নিয়ে কোন চিন্তা-ভাবনা আছে?
চলচ্চিত্রের জন্য আমি প্রস্তুত না। অনেক বড় জায়গা এটা। আপাতত কোনো ইচ্ছা না থাকলে ভালো পরিচালক, ভালো গল্প পেলে অবশ্যই কাজ করব।
বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন