কালার ইনসাইড

ব্যান্ডের ভাঙা-গড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

বাংলাদেশের রয়েছে এক গৌরব উজ্জ্বল ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস। সময়ের স্রোতে বহু ব্যান্ডের আগমন ঘটেছে। সেসব ব্যান্ডে যেসব সদস্যরা মাত করেছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে তাদের ঠিকানা বদল করেছেন। সেসব ব্যান্ড বিচ্ছেদের খবর টুকিটাকি দেয়া হল:

সোলস:

`সোলস` বাংলা অর্থ দাঁড়ায় `আত্মারা`। বাংলা ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আলোচিত সংগীতজ্ঞরা এই ব্যন্ড থেকে আত্নপ্রকাশ করেছেন। এই ব্যান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে  তপন চৌধুরী, নকীব খান, পীলু খান, নাসিম আলী খান, আইয়ুব বাচ্চু ,কুমার বিশ্বজিৎ ও পার্থ বড়ুয়ার মতো বাংলাদেশের ব্যান্ডে সঙ্গীতের সব খ্যাতিমানদের নাম। সোলসের গঠন হয় স্বাধীনতার পরের বছর ১৯৭২ সালে। চট্টগ্রামের স্থানীয় কিছু গানপাগলা তরুনের হাত ধরে এর শুরু। শুরুর দিকে যাদের নাম ছিল তারা হলেন সাজিদ উল আলম (গিটার), লুলু (গিটার) নেওয়াজ (পারকিউশন), রনি বড়ুয়া(ড্রামস) ও তাজুল (ভোকাল)।

শুরুর বছরই ব্যান্ড ত্যাগ করেন লুলু। যোগ দেন নকীব খান। যিনি পরবর্তীতে ব্যান্ড ‘রেনেসা’ গড়েন। নকীবের পথ অনুসরণ করে সোলসে যোগ দিয়েছিলেন নকীবের বড় ভাই পীলু খান ও তপন চৌধুরী। ১৯৭৭ এ ব্যান্ড এ যোগ দেয় আরেক তরুণ নাসিম আলী খান। ১৯৭৮ এ যোগ দেন আরেক ব্যান্ড লিজেন্ড আইয়ূব বাচ্চু। আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন ব্যান্ডের একজন গিটারিস্ট , ভোকাল, গীতিকার ও সুরকার। ১৯৭৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে যোগ দেয় বাংলা আধুনিক গানের আরেক দিকপাল কুমার বিশ্বজিৎ।



১৯৮২ সালের দিকে নকীব খান ও পীলু খান ব্যান্ড ছেড়ে চলে যায়। পরবর্তীতে রেনেসাঁ ব্যান্ড গঠন করেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে কুমার বিশ্বজিতও ব্যান্ড ছেড়ে চলে যান। `সোলস` থেমে থাকেনি। তখন ব্যান্ড এর ভোকাল তপন এর পরেই ছিলেন নাসিম আলী ও আইয়ুব বাচ্চু। তিনজনেই সমান্তরলে গাইতেন।

ইতোমধ্যে `সোলস` এর পথ ধরে `চাইম` `অবসকিউর` `মাইলস` `ঝিঙ্গা` সহ আরও কয়েকটি ব্যান্ড এর তাদের পথচলা শুরু করেছিল। ধীরে ধীরে বাংলা গানে `ব্যান্ড সঙ্গীত` নামের একটি ধারার শাখা প্রশাখা বিস্তার লাভ করা শুরু করলো।

১৯৮৯ সালের দিকে আইয়ুব বাচ্চু `সোলস` ত্যাগ করেন। আইয়ুব বাচ্চুর শূন্যস্থান পূরণ করতে তখন চট্টগ্রামের আরেক সদ্য তরুণে পা দেয়া গিটারিস্ট ও ভোকাল হিসেবে দলে যোগ দেয় পার্থ বড়ুয়া। ১৯৯২ সালে `সোলস` এর ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত হয় `এ এমন পরিচয়` অ্যালবামটি। এই অ্যালবামটি ছিল সোলস এর সাথে তপন চৌধুরীর শেষ অ্যালবাম। এই অ্যালবাম পরেই তপন চৌধুরী পুরোপুরি একক অ্যালবাম এর দিকে নিজের পথ চলা শুরু করেন। একে একে সব ভোকাল চলে গেলে দলের সবচেয়ে পুরনো সদস্য ব্যান্ড লিডার রনি বড়ুয়া মূল ভোকাল পার্থকে সরিয়ে নাসিম আলী খানকে করেন। এভাবেই চলছে।

ফিলিংস এবং নগর বাউল :

ফিলিংসের যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই আশির দশকের শুরুতে- চট্টগ্রাম থেকে । শুরুতে এই ব্যান্ড কুমার বিশ্বজিৎ, আইয়ুব বাচ্চুও বাজাতেন । এহসাল এলাহি ফান্টি নামে একজন ব্যান্ডের মিউজিক অ্যারেঞ্জ করতেন। ১৯৮১ সালে ব্যান্ডে যোগ দেন নগরবাউল জেমস। চট্টগ্রামে শুরু হলেও একটা পর্যায়ে তারা ঢাকায় চলে আসেন। জেমসের জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ভেঙ্গে যায় ফিলিংস। জেমসের নিজস্ব ব্যান্ড নগর বাউল গড়া হয়।  ফিলিংস ব্যান্ডে তখন অর্থহীনের সুমনও ছিলেন। ফিলিংস ভেঙ্গে হলো দুটো ব্যান্ড। জেমসের নগর বাউল ও সুমনের অর্থহীন। ফিলিংস ও নগর বাউলে এক সময় পান্থ কানাই ছিলেন ড্রামার হিসেবে। জেমসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ‘তান্ডব’ নামের ব্যন্ড গড়েন। বর্তমানে তিনি আছেন অর্নব অ্যান্ড ফ্রেন্ডসে।

আইয়ুব বাচ্চু ও এলআরবিঃ

আইয়ুব বাচ্চু এলআরবি ব্যান্ড গঠনের অনেক আগ থেকেই সংগীতের সঙ্গে জড়িত। তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সোলস ও ফিলিংস ব্যান্ডও। সোলস ব্যান্ড ছেড়ে ১৯৯১ সালে গঠন করেন পিউর রক ব্যান্ড এলআরবি ! দীর্ঘদিন একই সেটআপ ছিল। সেখান থেকে ক্রমাগত বের হয়ে আসে এস আই টুটুল , রিয়াদ, সুমন, মিল্টন আকবররা। এল আর বি চলছে তার নিজের নিয়মে। এস আই টুটুল পরবর্তীতে ‘ধ্রুবতারা’ নামে ব্যন্ড গঠন করেন। ২৬ বছর হয়ে গেল। এলআরবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে মাত্র দুজন এখনো টিকে আছেন আইয়ুব বাচ্চু আর স্বপন।

আর্ক ও হাসানঃ

আশিকুজ্জামান টুল ১৯৯১ সালে চাইম ব্যন্ড থেকে বের হয়ে গঠন করেন আর্ক। এই । এই অ্যালবামের বেশিরভাগ গানের কথা ও সকল গানের সুর ছিল প্রিন্স মাহমুদের করা । ১৯৯৬ সালে ব্যান্ডে যোগ দেন গায়ক হাসান। তারপর ৯০ দশকের শেষের দিকে পঞ্চম, হাসান ও আশিকুজ্জামান টুলুর আর্ক ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০০০ সালে হাসান ব্যান্ড ছেড়ে দিয়ে নতুন ব্যান্ড ‘স্বাধীনতা’ গঠন করেন ।২০০৪ সালে তিনি ‘জন্মভূমি’ নামের আরেকটি ব্যান্ড গঠন করেন। হাসান ঘোষনা দিয়েছিলেন আর্কে আবার ফিরে যাবেন। কিন্তু টুলু কানাডায় স্থায়ী হওয়াতে আর্ক কখনো নবচেতনায় আর ফেরেনি। পঞ্চম ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সংগীতায়োজনের কাজে।

ফিডব্যাক-মাকসুদ ও ঢাকা:

শুরুটা সত্তরের দশকে। শুরুটা হয়েছিল ইংলিশ গান প্রাকটিসের মাধ্যমে। এই ব্যন্ডে রয়েছে বেশ কয়েকজন পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ। মাকসুদ-ফুয়াদ নাসের বাবু-লাবু রহমান-পিয়ারু খান। ১৯৯৬ সালে ফিডব্যাক ছাড়েন মাকসুদ। মাকসুদ ও ঢাকা নামে নতুন ব্যান্ড করেন তবে ফিডব্যাকের মত জনপ্রিয়তা পায়নি ব্যান্ডটি। মাকসুদের বদলে এখন লুমিন ফিডব্যাকের ভোকাল হিসেবে আছেন।

ওয়ারফেজের ভাঙ্গা গড়া :

ওয়ারফেজের যাত্রা শুরু সেই ১৯৮৪ সাল থেকে। সেই লাইনআপের একমাত্র কমল ছাড়া বর্ত‌মানে আর কেউ নেই। বর্ত‌মান প্রজন্মের কারো হয়তো তাদের নামও জানা নেই। অধিকাংশই মনে করেন ওয়ারফেজের প্রথম ভোকাল সঞ্জয় কিন্তু এই ধারনাটি ভুল। তবে হ্যাঁ, সঞ্জয় ভোকালেই তাদের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ পায় এবং দর্শ‌কদের চোখে পড়ে। ওয়ারফেজের প্রথম লাইনআপটি ছিল কমল(বেইস গীটার), হেলাল ( ড্রামস), মীর (গীটার), নাইমুল(গীটার), বাপ্পী(ভোকাল)। পরবর্তী‌তে মীর, হেলাল এবং বাপ্পী ব্যক্তিগত কারণে ব্যান্ড ছেড়ে দেন। এমন সময় কমল হাতে তুলে নিলেন লিড গীটার, বেইজ এ চলে এলেন বাবনা করিম, ড্রামে টিপু আর ভোকালে রাশেদ। এই লাইন আপটিও বেশী দিন স্থায়ী হলো না, নাইমুলও চলে গেলেন ইউএসএ। তখন সেইসময়ের আরেক জনপ্রিয় ব্যান্ড `ইন ঢাকা` এর মাসুক এবং ফুয়াড গেস্ট মেমবার হিসেবে সহায়তা করে ওয়ারফেজকে।

১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় তাদের তৃতীয় অ্যালবাম। এ অ্যলবামের পর ওয়ারফেজে আবার আসে পরিবর্তন। তাদের বেশ কিছু সদস্য চলে যান দেশের বাহিরে। বাবনা, কমল, সঞ্জয়, ফুয়াদ, টিপু, রাসেল। অনেকের মতে এটিই ছিল ওয়ারফেজের বেস্ট লাইন আপ।

এরপর বর্তমানে মাইলস ব্যান্ডের সদস্য হিসেবে পরিচিত জুয়েল এবং অর্থহীন ব্যান্ডের সুমন জয়েন করেন ওয়ারফেজে। সঞ্জয় ব্যক্তিগত কারনে মিউজিক ছেড়ে দেবার পর মিজানের কন্ঠে ওয়ারফেজ যেভাবে অসাধারন কিছু গান সৃষ্টি করেছে তার প্রশংসা করেছেন অনেক সংগীত বিশ্লেষকেরা।

মিজান তার সলো ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ভোকালে আসে বালাম। বলে রাখা ভালো বালামের সাথে ওয়ারফেজের সম্পর্কটা বেশ পুরনো। একটা সময় বালাম চলে গেলেন তার সলো ক্যারিয়ার নিয়ে। এসময় ওয়ারফেজ বেশ অস্থিতীশীল অবস্থায় ছিল। আর্টসেল ব্যান্ডের সেজানও বেশকিছু দিন ছিলেন ওয়ারফেজের সাথে। শুধুমাত্র ড্রামার টিপু ছাড়া সবারই বেশ পরিবর্তন হয়েছে ব্যান্ডে। পরবর্তীতে টিপু ব্যান্ডকে আবারও গুছিয়ে নিয়ে আসলেন। ব্যান্ড ভাইব থেকে অনি আর মেটাল মেইজ থেকে রজার জয়েন করলেন। অন্যদিকে কমল আবারও ফিরে আসলেন দেশে, মিজানও আবার জয়েন করলেন। মিজান নানা কর্মে দল থেকে বহিস্কিত হন। মিজানের পরে রেডিও অ্যাক্টিভের সাবেক ভোকাল পলাশ ওয়ারফেইজে ভোকাল হিসেবে যোগ দেন।

মাইলস

শুরুটা আশির দশকের প্রথমে। ২০১০ সালে ব্যান্ড থেকে বের হয়ে যান শাফিন আহমেদ। ব্যান্ডের দুই সদস্য শাফিন হামিনের দ্বন্দ্বের বিষয়টা সামনে আসে। ‘রিদম অব লাইফ’ নামে নতুন একটা ব্যান্ডও করেছিলেন শাফিন। তবে অভিমানটা খুব বেশিদিন থাকেনি। ওই বছরই মাইলসে ফেরত আসেন শাফিন। মাইলসের লাইন আপ এখনও অটুট আছে হামিন-শাফিন-মানাম-তূর্য-জুয়েল লাইনআপে।

‘বাংলা’ ভেঙ্গে ‘প্রেয়ার হল’, ‘অর্নব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’:

অর্নব , আনুশেহ , বুনো মিলে বেশ আলোড়ন তুলছিলো ‘বাংলা ব্যন্ড’। বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পাওয়া গেছে। আনুশেহ- বুনো বিয়ে করে। কিন্তু সে বিয়ে টিকলো না। অর্নবও সলো ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। মাঝখানে ‘প্রেয়ার হল’ নামে নতুন একটি ব্যান্ড গঠন করে। সে ব্যান্ড থেকে অ্যালবামও প্রকাশ করে। কিন্তু সে ব্যন্ডও টিকেনি। পরবর্তীতে অর্নব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস চলছে অনেকদিন ধরে। সেখানে অর্নবের পাশে আছে বুনো ও পান্থ কানাই।

ব্ল্যাক-তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ-ইন্দালো:

১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু হওয়ার পর বেশ জনপ্রিয়থা পেয়েছিল ব্যান্ডটি। জন-জাহান-টনি-তাহসান-মিরাজ লাইন আপের সবাই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু ভেঙ্গে গেল। সলো ক্যারিয়ারের টানে তাহসান বেরিয়ে যান, সেটা অনেকদিন আগের গল্প। রোড অ্যাকসিডেন্টে আহত হয়ে ব্যান্ড, গান দুটোই ছাড়েন মিরাজ। জন কিছুদিন আগে বেরিয়ে গিয়ে ‘ইন্দালো’ নামের ব্যান্ডে করেন। তাহসানও ব্যান্ড গড়েছিলেন ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ’। তবে তার কার্যক্রম খুব বেশি চোখে পড়েনি। টনি আর জাহান নিজের কাজে ব্যস্ত। ব্যান্ড থাকলেই সেই আগের স্বাধটা তো নেই।

আর্টসেল

ব্লাক ও আর্টসেল প্রায় একই সময়ে জন্ম নেয়। আর্টসেলের খোঁজ খবর নেই। লিঙ্কন-এরশাদ-সাজু-সেজান কেউই ব্যান্ড ছাড়েনি। তবে তাদের কার্যক্রম অনেকদিন থেকেই বন্ধ। মাঝেমধ্যে লিঙ্কন পুরনো গানগুলো গেয়ে ইউটিউবে ছাড়ে।

চিরকুট:

২০০২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি বেশ নাম করেছিল। বনিবনা না হওয়াতে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পিন্টু গতবছর ব্যান্ড ছেড়ে দেয়। কিন্তু তাতে জনপ্রিয়তার কোন কমতি পড়েনি। ভোকাল ও দলনেতা সুমিসহ লাইন আপে আছেন ইমন-দিদার-পাভেল।

শিরোনামহীন:

বর্তমান সময়ে ব্যন্ড সংগীতের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ‘শিরোনামহীন’ থেকে তুহিনের চলে যাওয়া। এ নিয়ে তুহিন ও ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্যদের কাদা ছোঁড়াছুড়ি চলছে। দেখার বিষয় আসলেই কি ভেঙ্গে যাচ্ছে ব্যান্ড।

দূরবীন:

এ ব্যান্ডেরও প্রায় পনেরো বছর বয়স হয়ে গেল। ব্যান্ডের অন্যতম দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কাজী শুভ ও আরেফিন রুমি ব্যান্ড ছেড়ে দেন। তবে দলনেতা ও ভোকাল শহীদ আছেন আগের মতোই। তার সঙ্গে আরও ছয় তরুন আছেন। শুরুর দিককার সদস্য আইয়ূব শাহরিয়ারও আছেন এখনও।

 

 বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

গভীর রাতে রহস্যজনক স্ট্যাটাস, সকালে মিলল অভিনেত্রীর লাশ

প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শোবিজ অঙ্গনে আবারও শোক সংবাদ। সম্প্রতি বিহারের ভাগলপুরে নিজের ফ্ল্যাটে ভারতীয় ভোজপুরি সিনেমার অভিনেত্রী অমৃতা পাণ্ডেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সিলিং ফ্যানে শাড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। যদিও এ অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিনেত্রী অমৃতার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নোট শেয়ার করেছিলেন। রিপোর্ট বলছে, অমৃতা তার স্বামীর সঙ্গে মুম্বাইতে থাকতেন। কিন্তু তিনি সম্প্রতি ভাগলপুরে একটি বিয়ের জন্য তার আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) গভীর রাত পর্যন্ত জেগে ছিলেন অমৃতা এবং তার হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে একটি নোট পোস্ট করেছেন। কয়েক ঘণ্টা পরে, তাকে তার ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে, হোয়াটসঅ্যাপে অমৃতার নোটে লেখা ছিল, কেনো দুই নৌকায় ভাসছিল জীবন, নৌকা ডুবিয়ে জীবন সহজ করে দিয়েছি।

অমৃতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং পরিচিতরা জানিয়েছেন, অভিনেত্রী বেশ কিছুদিন ধরে বিষণ্ণতা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছিলেন এবং তিনি এর জন্য চিকিৎসাও করাতে চেয়েছিলেন।

তদন্ত শুরু হলেও, পুলিশ সন্দেহ করছে যে তার আত্মহত্যার কারণ হতাশা। সিটি এসপি শ্রী রাজ জানিয়েছেন যে অমৃতার মৃত্যুর ঘটনায় একটি হাই প্রোফাইল তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এসপি আনন্দ কুমারের নির্দেশে একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে। অমৃতার পরিবার এবং তার স্বামী এখনো জনসমক্ষে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি।

অমৃতা দিওয়ানাপান সিনেমায় ভোজপুরি সুপারস্টার খেসারি লাল যাদবের সঙ্গে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।

ভোজপুরি সিনেমা   অমৃতা পাণ্ডে  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শিল্পী সমিতির শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বে তারা গেল শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সহসভাপতি ডিএ তায়েব, সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কোষাধ্যক্ষ কমল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, চুন্নু ও সনি রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি, নাহিদা আশরাফ আন্না, ডি জে সোহেলসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়। মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট এবং ২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।


বঙ্গবন্ধু   শিল্পী সমিতি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অপু বিশ্বাস কেন ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ জানাল ইমন

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদ উপলক্ষে বরাবরই তারকাদের নিয়ে আড্ডার আয়োজন করে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো। বিভিন্ন ব্যান্ডের ফটোশুটে প্রায় তাদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস ও তরুন নায়ক ইমন খান কে। কাজের সূত্র ধরেই দুই তারকার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। বন্ধুত্বের জায়গা থেকেই এবারে ইমন অপু বিশ্বাসকে ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ বলেন। 

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে হাজির হয়েছিলেন ইমন। ওই অনুষ্ঠানে ‘জানতে চাই’ নামের একটি অংশ নায়কের কাছে উপস্থাপক জানতে চান ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ কে। এমন প্রশ্নের জবাবে অবলীলায় ইমন অপু বিশ্বাসের কথাবলেন।

ইমন একটু হেসেই বলেন, অপু বিশ্বাসের কাছে ঢালিউডের সব খবর থাকে। মানে অপু বিশ্বাসকে সবাই বলে নায়ক মান্না ভাই। আগে মান্না ভাইয়ের কাছে সব ধরনের খবর থাকত। এখন থাকে তার কাছে। সে জানে ইন্ডাস্ট্রিতে কোথায় কী হচ্ছে। এমনকি সে খুব সঠিক তথ্যও দিয়ে দেয়।

ব্যক্তি জীবনের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনায় থাকেন অপু বিশ্বাস। ঢাকাই সিনেমার নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে এবং বিচ্ছেদ নিয়েই বেশি আলোচনা চলে এই অভিনেত্রীকে নিয়ে। বর্তমানে নিজের ব্যবসা নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী।


অপু বিশ্বাস   ঢালিউড   ‘গসিপ কুইন’ ইমন খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

হানিফ সংকেতের ফেসবুক হ্যাক

প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হ্যাক হয়েছিল। পেজটির দখলে নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবিও পোস্ট করেন হ্যাকাররা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই হানিফ সংকেতের কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

ফেসবুক পেজ ফিরে পাওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পেজটি হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের এই পোস্ট দেয়ার আগেই অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন, সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’

হানিফ সংকেত   ফেসবুক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লাবণ্যময়ী সেই ভাইরাল হাসি নিয়ে মুখ খুললেন পিয়া

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।

রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে উঠে যাওয়া কিংবা যাকে নিয়ে চারদিকে এত হইচই, এবার পিয়া জান্নাতুলই মুখ খুললেন বিষয়টি নিয়ে। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মোটেই আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ বুঝি, যারা ২ সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে আবার ১ সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।

পিয়ার ভিডিওটি দেখে তরুণদের একটি বড় অংশ তাকে ‘জাতীয় ক্রাশ’বলে ডাকছেন। কেউ কেউ তো সোশ্যালমিডিয়ায় অবলীলায় লিখেও ফেলছেন, ‘প্রেমে পড়ে গেলাম। আহ্ কী হাসি!’

বিষয়টিকে ‘দোষের’ দেখছে না পিয়া জান্নাতুল। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি কনটেন্ট বা রিলস যে যেটাই তৈরি করছেন, তাদের বেশিরভাগই তরুণ-যুবক। আর তাদের জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।

পিয়া আরও বলেন, আসলে এগুলো এখন ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে। আর যখন যে ট্রেন্ড আসে, সবাই সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে দোষের কিছু দেখছি না।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জিতে আলোচনায় আসেন পিয়া জান্নাতুল। এরপর ২০০৮ সাল থেকে র‍্যাম্প মডেলিং দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। পরবর্তীতে ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ারও সাফল্য অর্জন করেন।


ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন   পিয়া জান্নাতুল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন