নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা সাদেক বাচ্চুর আজ প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। করোনা আক্রান্ত হওয়াসহ শারীরিক নানা জটিলতায় গত বছরের আজকের এই দিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বাংলা ইনসাইডারের পক্ষ থেকে রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।
মৃত্যুর আগে এই অভিনেতার সাথে চলচ্চিত্রের নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের প্রতিনিধির সাথে বেশ আলোচনা হয়েছিলো। পাঠকের জন্য সেই সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো।
চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বেশ কষ্ট ও ক্ষোভ উগড়ে দেন এই গুণী অভিনেতা বলেছিলেন, আগে একটি ছবি মুক্তি পেলে ছয় মাসের আগে হল থেকে নামতো না। কিন্তু এখন আজ মুক্তি পেলে কালই নেমে যায়। এখনকার ছবির গল্প নেই বলেই চলে। নায়ক মারছে, ভিলেন দূরে উড়ে গিয়ে পড়ছে কিন্তু কি কারণে পড়ছে তা বোঝা যায় না। আরে ভাই ছোটবেলায় বুড়ি দাদির গল্প শুনতাম। দাদির মুখ থেকে থুথু এসে মুখে লাগত অথবা মুখের গন্ধ আসতো। তারপরও দাদির গল্প শোনার জন্য আকুলতা ছিল।
এটা সবার জীবনেই ঘটেছে। গন্ধ, থুথু খেয়েও কেন এত আকুলতা? কারণ দাদির গল্প এবং গল্প বলার ধরণটা ছিল ভালো লাগার মতো। সিনেমার গল্প ও গল্প বলার ধরণ ভালো থাকলে হলের দুর্গন্ধ, নোংড়া পরিবেশেও সিনেমা দেখতে মানুষ প্রেক্ষাগৃহে যাবে। মৌলিক গল্প দরকার। কারণ ছাড়া সিনেমায় মারামারি কেউ দেখতে চায় না।
কারণ ছাড়া অস্ট্রেলিয়াতে শুটিং করলেও কেউ পছন্দ করে না। মোবাইল হাতে নিয়ে হুবহু তামিল ছবি তৈরি করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, আমি অনেক সময় দেখি হাতে মোবাইল নিয়ে তামিল ছবি দেখে বলা হচ্ছে এই পাশে এইভাবে দাঁড়ান। সেটা আমাদের শিল্পীদের মানাক আর নাই মানাক, ঠিকই তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের তো তাদের মতো ফিগার কিংবা কালচার নয়। যার ফলে ছবির মান নষ্ট হচ্ছে।
দেশের পরিচালকদের সম্পর্কে সাদেক বাচ্চু বলেছিলেন, পরিচালক হলো ক্যাপ্টেন অফ শিপ। আগে পরিচালক আসলে আমরা ভয় থাকতাম আর এখন কার পরিচালকদের দেখলে আমার মায়া হয়। এখন মেকআপ রুমে ঢুকেই দেখবেন হিরো হিরোইনরা পা তুলে চেয়ারে বসে আছেন। পরিচালক এসে পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘এখন শট আছে’।
উত্তরে শিল্পী বলেন, ‘যান যান আসতেছি।’ যে ঘরের ছেলের ধমকে বাবা মাথা নত করে সেই সংসার কি সুখের হতে পারে? আলাপ চারিতার মাঝে শুটিংয়ের ডাক পড়ায় সাক্ষাৎকারটি অসমাপ্তই থেকে যায়। সেসময় প্রতিবেদককে তিনি বলেছিলেন, ‘একদিন সময় নিয়ে আসো। অনেক কথা বলার আছে। আর কদিনই-বা বাঁচবো, সময় নিয়ে একদিন কথা বলবো আমরা।’ কিন্তু আর কথা হলো না। না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে ‘রামের সুমতি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন সাদেক বাচ্চু। খল-অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেও শুরুটা করেছিলেন নায়ক হিসেবে। ‘সুখের সন্ধানে’ চলচ্চিত্রে প্রথম খল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। অভিনয় ক্যারিয়ারে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সাদেক বাচ্চু। ২০১৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এই অভিনেতা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।
নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।
এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।