নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২১
শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান মঙ্গলবারও জামিন পেলেন না। আদালতে যুক্তি-পাল্টা যুক্তির পর আবার তাঁকে ফিরে যেতে হল হাজতে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র আইনজীবী অনিল সিংহ দাবি করেন, প্রমোদতরীর সেই পার্টিতে আরিয়ান মাদক চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গেও শাহরুখ-পুত্রের যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু অনিলের এই দাবি পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন শাহরুখ-নিযুক্ত আইনজীবী অমিত দেশাই।
যে প্রমোদতরীতে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র আধিকারিকরা অভিযান চালিয়েছিলেন, সেখানে আরিয়ান উপস্থিত ছিলেন না। মঙ্গলবার আদালতে এমনই দাবি করলেন অমিত। তাঁর অভিযোগ, আরিয়ানের বিরুদ্ধে মাদক নেওয়ার যে মামলা করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। অমিত জানান, এনসিবি-র আধিকারিকরা যখন প্রমোদতরীতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন, তখনও আরিয়ান তাতে ওঠেননি। আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। নিজের দাবিকে আরও দৃঢ় করতে তিনি জানান, আরিয়ানের কাছে মাদক কেনার মতো কোনও টাকা ছিল না।
পাল্টা যুক্তি দিয়ে এনসিবি জানায়, বন্ধু আরবাজ শেঠ মার্চেন্টের থেকে নিষিদ্ধ মাদক নেওয়ার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান নিজেই। অমিত এই দাবি নাকচ করে জানান, জোর করে ২৩ বছর বয়সী আরিয়ানকে দিয়ে এ কথা বলিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মাদক-চক্রের ষড়যন্ত্রে আরিয়ানও শামিল ছিলেন। আদালতে এমনই দাবি করেছে এনসিবি। তাদের যুক্তি, আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের হদিশ পেতে তাঁর বয়ান জরুরি হয়ে উঠেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, সেই পার্টি থেকে বাকি যাঁরা আটক হয়েছেন, তাঁদের মতোই ভূমিকা পালন করেছেন শাহরুখ-তনয়ও। সূত্র: আনন্দবাজার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন