কালার ইনসাইড

লিভ টুগেদার অতঃপর বিয়ে

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail লিভ টুগেদার অতঃপর বিয়ে

শোবিজ জগতের তারকাদের নিয়ে তাদের ভক্তদের কৌতূহলের কমতি নেই। বিশেষ করে অবিবাহিত তারকাদের প্রেম, বিয়ে নিয়ে ভক্তদের থাকে নানারকম কৌতূহল ও আগ্রহ। তারকারা কে কার সঙ্গে প্রেম করছেন, কে কাকে বিয়ে করছেন, কবে কখন বিয়ে করছেন অথবা বিয়েটা আদৌ হবে কিনা- এসব খবর জানতে ভক্তরা থাকেন অপেক্ষায়।

অন্যান্য দেশের মত আমাদের শোবিজ পাড়তেও অনেকেই আছেন যারা  ‘লিভ টুগেদার’ই মেতেছেন। আজ বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্য থাকছে এমনই কিছু নির্মাতা ও নায়িকার কথা। যাদের নিয়ে ভক্তদের কানাঘুষার যেন শেষ নেই। চলুন দেখে নেই এরা কারা?

ভাবনা- অনিমেষ আইচ

পরিচয়ের ১৭ দিনের মাথায় অনিমেষ বিয়ে করতে চাইলেন দীপান্বিতাকে। কিছুটা দ্বিধায় দীপা। অনিমেষের অনুযোগ, ‘আমার ওপর কি তোমার আস্থা পুরোপুরি হয়নি এখনো?’ বিয়ে হয়েছিল। সংসার হয়েছিল। একসঙ্গে চুটিয়ে কাজও করা হয়েছে। কিন্তু সংসারটা টেকেনি। একটা সময় অনিমেষ পাড়ি জমায় ভাবনার তীরে। তারা কি বিয়ে করেছেন? কেউ তো জানে না বিয়ের খবর। ঘনিষ্ঠজনেরাই বলেন অনিমেষের ধানমন্ডির বাসায় নাকি থাকা হয় ভাবনার। নিন্দুকের কথা ভুলও হতে পারে। ভাবনার বাসাও তো ধানমন্ডি। তবে সব গুঞ্জনের অবসান ঘটে গেল বছর। গেল বছর ভাবনার ফেসবুকে ভেসে উঠে ছিল ‘ইন এ রিলেশনশিপ উইথ অনিমেষ আইচ’! আর এর পর থেকেই তাদের সম্পর্কের কথা সবার কাছে পরিষ্কার হয়।

জাকিয়া বারী মম- শিহাব শাহীন

পরিচালক শিহাব শাহীনের সঙ্গে অভিনেত্রী মম’র প্রেমের গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মম। মধ্যরাতে শিহাব শাহীনই মমকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের নিবন্ধন বইয়ে শিহাব শাহীনের নাম দেখার পর আলোচনায় আসে মম’র সঙ্গে নির্মাতা শিহাব শাহীনের প্রেমের বিষয়টি। জুটি হয়ে শুধু কাজই নয়। একসঙ্গে দেশ- বিদেশ ঘোরাও হয় তাঁদের। অনেকে বলেন, মমর উত্তরার বাসায় নিয়মিতই যাতায়াত শাহীনের।

এদিকে দুজনের কেউই অবশ্য তখন বিয়ের কথা স্বীকার করেননি। তবে বিনোদন অঙ্গনের বিভিন্ন ঘরোয়া অনুষ্ঠানে তাঁদের দুজনের একসঙ্গে উপস্থিতি বিয়ের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে। অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হলো। ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর নিজেদের ফেসবুকে নিজেরাই জানালেন তাঁদের বিয়ের খবর। শুধু তা–ই নয়, নিজেদের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে একে অন্যকে শুভেচ্ছাও জানান তাঁরা।

মৌসুমী হামিদ- সুমন আনোয়ার

নির্মাতা সুমন আনোয়ার ২০১৩ সালে বিয়ে করেছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী আয়শা মনিকাকে। অনাড়ম্বর সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মনিকার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে কিনা তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে একসঙ্গে থাকতে শোনা যাচ্ছে মৌসুমী ও সুমনকে। বর্তমান সময়ে তাদের অনেক কাজই একসঙ্গে করতে দেখা যায়।

কণ্ঠশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ ও তানজিন তিশাও শুরু করেছিলেন একই সঙ্গে বসবাস আর ঘুরাঘুরি। তবে সে সম্পর্ক খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। 

শোবিজে এমন আরো অনেকেই আছেন পছন্দের মানুষের সঙ্গে একই ছাদের নিচে থাকেন। হয়তো তারা সেই সম্পর্ককে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে ভয় পান, নয়তো অকপটে স্বীকার করতে ভয় পান তাদের আসলে সম্পর্কটা কি?



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শেষ দেখায় সামিনা চৌধুরীকে যা বলেছিলেন শাফিন আহমেদ

প্রকাশ: ০২:৩৫ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় ব্যান্ডতারকা শাফিন আহমেদ ও সামিনা চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একই মঞ্চে গান গাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর শাফিন অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তার গান গাওয়া হয়নি। অনুষ্ঠানের চার দিনের মাথায় সামিনা চৌধুরী জানতে পারেন যে শাফিন আহমেদ আর বেঁচে নেই।

মৃত্যুর তিন দিন আগে সামিনা চৌধুরী ও তার স্বামী ইজাজ খান স্বপন হাসপাতালে শাফিনকে দেখতে যান। তারা কিছু সময় শাফিনের পাশে কাটান এবং তার সঙ্গে কথা বলেন।

হাসপাতালের সেই দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে সামিনা চৌধুরী বলেন, “তিন দিন আগে কথা বলে, দেখে এলাম। বারবার আমাকে আর স্বপনকে থাকতে বলছিলেন।” শাফিন আহমেদ স্বপনকে বলেছিলেন, “আমাকে ছেড়ে যেয়ো না প্লিজ! আমার সঙ্গে গল্প করো। আমার অনেক ব্যথা হচ্ছে কোমরে। স্বপন, তোমাকে কিছু বলব, বসো।” শাফিনকে পানি খাওয়ান স্বপন। তারপর তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়। শাফিনের অবস্থা দেখে আয়োজকেরা তাদের চলে আসতে বলেন।

তিনি বলেন, “কী বলতে চেয়েছিলেন শাফিন ভাই, কে জানে। কোনো চাপা কষ্ট কি ছিল তার ভেতর? দেশের আরেকটি সম্পদ, আরেকটি মেধার বিয়োগ হলো। চোখে শুধু ভাসছে। তোমরা যেয়ো না প্লিজ...আমাকে আর পাবা না।”

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শাফিন আহমেদ স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। তাকে তার বাবা সুরকার কমল দাশগুপ্তের কবরে সমাহিত করা হবে। পাশেই রয়েছে তার মা সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের কবর।

শাফিন আহমেদের গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা...এ অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও হারানো প্রেম’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি।


শাফিন আহমেদ   সামিনা চৌধুরী   মৃত্যুবরণ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সামনে এল সৃজিতের 'শার্লক হোমস' এর ফার্স্ট লুক

প্রকাশ: ০১:০৮ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

টালিউডের পরিচালক সৃজিত মুখার্জি এর হাত ধরে বলিউডে আসছে শার্লক হোমস! যদিও খবরটি খুব নতুন নয়। 

সম্প্রতি সৃজিত সামাজিক মাধ্যমে কিছু ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানেই দেখা যায়, কয়েকটি ব্লক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে শার্লক হোমসের ছবি। মাথায় টুপি, সন্দেহজনক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন শার্লক হোমস; যেখানে এই আইকনিক গোয়েন্দার চরিত্রে অভিনয় করছেন কে কে মেনন।

সৃজিত এই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সব ছবিগুলোকে একসঙ্গে জুড়ে ফেলুন আর আপনি বুঝতে পারবেন, একমাত্র এই মানুষটাই সমস্ত রহস্যের সমাধান করতে পারেন।’

এটিই সৃজিতের শার্লক হোমসের প্রথম ঝলক বলা যেতে পারে। ছবিতে কে কে মেননকে দেখা যাবে প্রধান চরিত্রে, শার্লক হোমস হিসেবে। এছাড়া শার্লকের বন্ধু ওয়াটসনের ভূমিকায় থাকছেন রণবীর শোরে। স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবিটি মুক্তি পাবে জিও সিনেমাতে।

অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে তারা অধীর আগ্রহে এই ছবির জন্য অপেক্ষা করছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পরিচালক গত বছর থেকেই শ্যুটিং শুরু করেছেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সৃজিত ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ নামের ছবির শ্যুটিং শেষ করেছেন। ‘এক রুকা হুয়া ফয়সালা’ নামের একটি নাটক থেকে চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এই ছবিটির। প্রযোজনায় রয়েছে এসভিএফ। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন কৌশিক গাঙ্গুলি ও পরমব্রত চ্যাটার্জি।


শার্লক হোমস   সৃজিত মুখার্জি   কে কে মেনন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিয়ের বছর না ঘুরতেই পরিণীতির রহস্যময় পোস্ট

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের বাতাসে বিচ্ছেদের সুর যেন অবিরাম বেজে চলেছে, একের পর এক জনপ্রিয় জুটির জীবনে। বর্তমানে বলিউড তারকা অর্জুন কাপুর-মালাইকা অরোরা, হার্দিক পান্ডে-নাতাশা স্তানকোভিচ, এবং ঐশ্বরিয়া রায়-অভিষেক বচ্চনের জীবনে বিচ্ছেদের সুর শোনা যাচ্ছে। এবার সেই সুর যেন ছুঁয়েছে বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার জীবনেও। ইনস্টাগ্রামে তার একটি রহস্যময় পোস্টকে কেন্দ্র করে এমন গুঞ্জন চলছে নেটিজেনদের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পরিণীতি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেন।

ওই পোস্টে পরিণীতি লেখেন, "এই মাসে আমি নিজের জীবনকে আরেকটু ভালোভাবে দেখার জন্য থেমেছি। আবারও বুঝতে পেরেছি, একজনের মানসিকতাই সবকিছু। অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এ জন্য এক সেকেন্ডও নষ্ট করবেন না।"

পরিণীতি আরও লেখেন, "সময় কিন্তু বয়ে চলেছে। প্রতিটি মুহূর্ত কীভাবে কাটাবেন, তা আপনার উপরেই নির্ভর করছে। অন্য কারো জন্য বাঁচা বন্ধ করুন। নিজের মানসিকতার সঙ্গে মেলে, এমন মানুষ খুঁজে নিন। বিষাক্ত মানুষদের জীবন থেকে ছেঁটে ফেলতে ভয় পাবেন না।"

তিনি আরও যোগ করেন, "অন্যরা কী ভাবছেন, তা নিয়ে ভাবা বন্ধ করুন। পরিস্থিতিতে আপনার প্রতিক্রিয়া বদলান। জীবনে সময় সীমিত, তাই নিজে যেমন চান, তেমনভাবেই বাঁচুন।"

পরিণীতির এই হঠাৎ পোস্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার ভক্তরা। অনেকেই জানতে চেয়েছেন, "সব ঠিক আছে তো? আমরা সব সময় আপনার পাশে আছি।" যদিও তিনি কাকে নিয়ে পোস্টটি করেছেন তা প্রকাশ করেননি। প্রসঙ্গত, ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চড্ডাকে বিয়ে করেন পরিণীতি। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে স্বামীর সঙ্গেই অবকাশ যাপন করছেন। আর এমন সময়েই হঠাৎ এমন রহস্যময় পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি।


পরিণীতি   বিচ্ছেদ   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মা হারালেন ফারাহ খান

প্রকাশ: ১১:৫৪ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারাহ খান এবং সাজিদ খানের মা মেনকা ইরানি ৭৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। মেনকা ইরানি ছিলেন ডেইজি ইরানি এবং হানি ইরানির বোন। তিনি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সেলিম খানের ‘বচপন’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তবে তিনি বেশিদিন পর্দায় ছিলেন না, কারণ খুব অল্প বয়সেই তার বিয়ে হয়।

মায়ের জন্মদিনে ফারাহ খান ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করে লিখেছিলেন, "আমরা সবাই নিজেদের মাকে অনেক সময়  টেকেন ফর গ্রান্টেড নিয়ে ফেলি, বিশেষ করে আমি। গত মাসে আমি বুঝতে পেরেছি মা মেনকাকে আমি কতটা ভালোবাসি। আমার দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সাহসী ব্যক্তি। এতগুলো অপারেশন করার পরেও তার সেন্স অফ হিউমার অটুট ছিল। শুভ জন্মদিন মা! আজ বাড়ি ফিরে আসার (হাসপাতাল থেকে) জন্য একটি ভালো দিন। আমার সঙ্গে আবার লড়াই শুরু করার জন্য তুমি যথেষ্ট শক্তিশালী। আমি জানি তুমি পারবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি।"

তবে, জন্মদিনের দুই সপ্তাহ পরেই মেনকা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ইনস্টাগ্রামে পাপারাজ্জির অ্যাকাউন্ট ভাইরাল ভয়ানি ফারাহ খানের মায়ের মৃত্যুর খবর শেয়ার করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, "ফারাহ খান এবং তার ভাই সাজিদ খান এবং তাদের আশেপাশের সবার জন্য জীবন আর একই রকম থাকবে না। তাদের মা স্বর্গীয় আবাসের জন্য যাত্রা করেছেন, এমন একটি শূন্যতা রেখে গেছেন যা কেউ পূরণ করতে পারবে না। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।"


ফারাহ খান   মেনকা ইরানি   মৃত্যুবরণ   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাফিনকে নিয়ে যা বললেন হাসান

প্রকাশ: ১১:১৬ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গানের কাজে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যান শাফিন আহমেদ। একটি শো শেষে তিনি আরেকটি শোর প্রস্তুতিতে ছিলেন এবং আয়োজকদের নানা পরিকল্পনাও চলছিল। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভার্জিনিয়ার শো বাতিল করতে হয়।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে খবর আসে যে শাফিন আহমেদ আর বেঁচে নেই। ভার্জিনিয়ার হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকা দেশের সংগীতের উজ্জ্বল তারকাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শাফিন আহমেদের আকস্মিক মৃত্যুর খবর সবাইকে মর্মাহত করে। ভক্ত-শ্রোতাদের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের সহকর্মীরাও এ সংবাদে বিস্মিত হন।

শাফিন আহমেদের মৃত্যুর সংবাদে শোকাহত জনপ্রিয় ব্যান্ড 'আর্ক' এর হাসান। তিনি জানান, শাফিন আহমেদ ছিলেন তাঁর আদর্শ। শাফিনের চলাফেরা, কথা বলা, বাজনা বাজানো এবং গান গাওয়া সবকিছুই হাসানের কাছে প্রিয় ছিল। হাসান বলেন, ‘শাফিন ভাইকে অনুসরণ করেই আমি সুর করা শুরু করি। তিনি আমার প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন। শাফিন ভাই ছিলেন একজন অনুকরণীয় সংগীত ব্যক্তিত্ব। আইয়ুব বাচ্চু ভাইয়ের মতোই, শাফিন ভাইও আমার জন্য একজন শিক্ষাগুরু ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে সবসময়ই কিছু না কিছু শেখার ছিল। বাচ্চু ভাই ও শাফিন ভাই দুজনের কাছেই আমি ছিলাম সন্তানের মতো। শাফিন ভাইয়ের চলে যাওয়া সংগীত জগতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

হাসান আরও বলেন, ‘মিউজিশিয়ান হিসেবে শাফিন আহমেদ ছিলেন একজন মাস্টার। শিল্পী হিসেবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত স্টাইলিশ। তাঁর গাওয়ার ধরন সম্পূর্ণ ইউনিক ছিল। শুধু কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই নয়, সংগীতজ্ঞ হিসেবেও তিনি ছিলেন অনুকরণীয়। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, শাফিন ভাই নেই। এমন খবর শোনার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। দেশ-বিদেশের অনেক মঞ্চে তাঁর সঙ্গে গান করেছি। টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তাঁর সঙ্গে বসার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাঁর স্টুডিও রেকর্ডিং কাছ থেকে দেখেছি। রেকর্ডিং, প্লেয়িং, টেকনোলজি—সব দিক থেকেই তিনি অনেক এগিয়ে ছিলেন। আমিও অনেক কিছু তাঁর কাছ থেকে শিখেছি।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে মারা গেছেন শাফিন আহমেদ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তাঁকে তাঁর বাবা সুরকার কমল দাশগুপ্তের কবরে সমাহিত করা হবে। শাফিন আহমেদের মরদেহ এখনো ভার্জিনিয়ায় রয়েছে এবং শিগগিরই দেশে আনা হবে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বনানী কবরস্থানে বাবার কবরে তাঁকে সমাহিত করা হবে। তাঁর মা সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের কবরও সেখানে রয়েছে। ১৯৭৪ সালে মারা যান কমল দাশগুপ্ত। ফিরোজা বেগমকে বিয়ের পর তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। শৈশবে বাবার কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত ও মায়ের কাছে নজরুলসংগীত শিখেছেন তিনি। তাঁর গাওয়া জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা...এ অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও হারানো প্রেম’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি। 


শাফিন   হাসান   সঙ্গীতশিল্পী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন