ইনসাইড বাংলাদেশ

যাত্রীবাহী বাস আটকে ট্রাকপার করছে পাটুরিয়া ঘাট প্রশাসন!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৫৫ এএম, ১৬ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষের প্রবেশদ্বার হিসেবেখ্যাত মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরি ঘাট। অভিযোগ উঠেছে, এই ঘাটে যাত্রীবাহী বাস ঘন্টার পর ঘন্টা সিরিয়ালে আটকে রেখে সাধারণ পন্যবাহী ট্রাক অগ্রধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও করছেন যাত্রীরা।

এ নৌরুট  দিয়ে গড়ে প্রতিদিন সাড়ে তিন থেকে চার হাজার যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস, রোগীবাহী এম্বুলেন্স, লাশের গাড়ি কাচামালের গাড়ি , ওষুধের গাড়ি ও  পারাপারের কথা থাকলেও সরেজমিনে সংবাদ - সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা যায়, সবচেয়ে বেশী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস পারাপারের কথা থাকলেও ট্রাক, কভার্ড ভ্যান   অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। এছাড়া ঘাটের তিন নম্বর ঘাটের প্রবেশমুখ, চার নম্বর ঘাট এবং পাচ নম্বর ঘাট গুলোতেও সবার আগে  সিরিয়ালে থাকে পন্যবাহী এ ট্রাকগুলো আর বাসে থাকা যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় পারের জন্য। এছাড়া দিনের বেলায় বাসট্রাকের সাড়ির   মাঝের ফাকা জায়গা দিয়ে পন্যবাহী ট্রাক ঘাট প্রশাসন ও টিসির কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের   ম্যানেজ করে রাজাবাবুর মতোন ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। আর রাতের বেলায় যানবাহন পারাপারের  দৃশ্যপটই পালটে ফেলে ঘাট প্রশাসন ও টিসির কর্মকর্তারা। রাতে বাসের যাত্রীদের অসহায়েত্বের সুযোগ নিয়ে ভিআইপি, বি-ভিআইপি, এবং ঘাটে সক্রিয় দালাল সিন্ডিকেটের সহায়তায় অহরহ ট্রাক পারেপারে মেতে উঠেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। রাতের বেলায় ফেরিতে শুধু ট্রাক আর ট্রাক পার হয় নামমাত্র দুই একটি বাস দেওয়া হয় ফেরিতে। অথচ নিয়মানুযায়ী  সকলের আগে যাত্রীবাহী বাস  পার হওয়ার কথা থাকলেও ফেরিতে সাধারণ পন্যবাহী ট্রাক পারাপারে ব্যস্ত সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। 

ঢাকা থেকে খুলনাগামী সোহাগ পরিবহনের যাত্রী তরিকুল ইসলাম জানান, বিকেল পাচটার দিকে ঘাটে পৌছেছি এখন রাত আটটা বাজে। তিন ঘন্টা অপেক্ষার পরও ফেরিতে উঠতে পারিনি আমরা। আর ফেরিতে কিভাবেই বা উঠবো আমরা  যাত্রীবাহী বাস আটকে রেখে  পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে থেকে শুধ ট্রাক আর ট্রাক ছাড়ছে তারা। এ কেমন দেশে বাস করছি ভাই আমরা দক্ষিণ- বঙ্গের মানুষ ঘাট দিয়ে পারাপার হতে এত দুর্ভোগ  পোহাচ্ছে অথচ কারো নজরেই পড়েনা এগুলো। 

ঢাকা- রাজবাড়ির জামালপুরগামী রাবেয়া পরিবহনের যাত্রী সুমাইয়া আক্তার জানান, সন্ধ্যার  পরপর আমরা ঘাটে এসে পৌছেছি ঘাটে এখন রাত নয়টার উপরে বাজে  এখনো ফেরি পায়নি আমাদের গাড়িটি। আর কখন ফেরি পাবে তাও জানিনা। পুলিশ শুধু ট্রাক আর ট্রাক ছাড়ছে কন্ট্রোল রুমের সামনে থেকে কিন্তু বাস পার করার নামে কোন খবর নেই। কন্ট্রোল রুমের সামনে দ্বায়িত্বরত পুলিশের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বললেন সবকিছু নিয়মমাফিকই ফেরি পারাপার হয়ে যাচ্ছে। উপরের যেমন নির্দেশনা সেভাবেই গাড়ি ছাড়ছি আমরা। আপনার কিছু জানার থাকলে বা বলার থাকলে কন্ট্রোল রুমে অফিসার আছে উনার সাথে কথা বলুন। 

ঢাকা- সাতক্ষীরাগামী কে লাইন পরিবহনের যাত্রী আছিয়া খাতুন বলেন, ঘাটে চারঘন্টার উপরে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় বসে আছি ভাই। এখনো ফেরি পাইনি আর কখন ফেরি পাবো তাও জানিনা। শিশু বাচ্চা নিয়ে খুবই সমস্যা হচ্ছে বাচ্চা- কান্নাকাটি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত অনাকাঙ্ক্ষিত এ যাত্রী দুর্ভোগের অবসান চাই আমরা ভাই। এ দুর্ভোগ লাঘবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ঢাকা-কুমারখালীগামী এসবি পরিবহনের যাত্রী জোবায়ের হোসেন  জানান, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘাটে পৌছেছি আমরা ভাই। প্রায় দেড় ঘন্টার উপরে ঘাটে বসে আছি। অথচ আমাদের সাথে একই সময়ে ছেড়ে আসা অন্য একটি পরিবহনের এসিবাস ঘাটের চৌরাস্তা থেকে বাইপাস সড়ক ব্যবহার করে ৫ নম্বর ফেরি ঘাট দিয়ে পার হয়ে গেছে। আর একই রুটের গাড়ি হয়েও আমরা যানজটের কবলে পড়ে আছি।  ঘাট প্রশাসনের এটা কেমন বিচার। শুনেছি ওই গাড়িটি প্রতিনিয়তই রাস্তাটি ব্যবহার করে ঘাট দিয়ে পারাপার হয়। আর আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা সিরিয়ালে পরে আছি ফেরি পারে অপেক্ষায় অথচ এখানে যাত্রীবাহী বাস পারনা করে ফেরিতে ট্রাক পারপারের ব্যস্ততায় মগ্ন ঘাটের প্রশাসন ও পারাপার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। এরাতো রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার খর্ব করছেন মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন এরা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে এদেরকে রাষ্ট্রের উচিত বিচারের মুখোমুখি করার। 

এ বিষয়ে পাটুরিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির (বানিজ্যিক) শাখার ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন আহাম্মেদ জানান, বর্ষা মৌসুম নদীতে পানি বৃদ্ধি আর স্রোতের কারনে ফেরি পারাপারে সময় বেশী লাগে। যে কারনে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে গিয়েছে। বর্তমানে ১৫ টি ফেরির সাহায্যে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। 

আর যানবাহন পারাপারে অগ্রাধিকারের বিষয়ে তিনি জানান, লাশবাহী গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস, ওষুধের গাড়ি, সরকারি পন্যবাহী যানবাহন, পচনশীল পন্যবাহী যানবাহন, একদিনের মুরগীর বাচ্চাবাহী যানবাহন ও কুরিয়ারের গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হয়। তবে ঘাটের পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবসময় লাশবাহী গাড়ি, রোগীবাহী এম্বুলেন্স, যাত্রীবাহী বাসের টিকিট অগ্রআধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হয়, অন্যান্য জরুরি পন্যবাহী যানবাহন ও সাধারণ ট্রাকের টিকিট বিবেচনাধীন দেওয়া হয়। আমাদের কাজ মুলত টিকিট দেওয়া লোড- আনলোড পয়েন্ট ক্লিয়ার করে যানবাহন ফেরিতে  পারাপার করা। কন্ট্রোল রুমের সামনে থেকে ঘাট প্রশাসন যে যাববাহন গুলো পারাপারে জন্য পাঠায় সেইগুলোই পার করে থাকি আমরা। পারাপারের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হলে সে দায়ভার ঘাট প্রশাসন এবং ঘাটের প্রশাসনিক ইনচার্জে যিনি থাকেন তার। কারন টিকিট দেওয়ার পর গাড়ির সিরিয়াল মেন্টেন করা, ঘাটের শৃঙ্খলা রক্ষাসহ যানবাহন ফেরিতে উঠার পুর্বমুহুর্ত পর্যন্ত দ্বায়িত্বটা ঘাটের প্রশাসনই পালন করে থাকেন। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির দায় কোনমতেই বিআইডব্লিউটিসি কতৃপক্ষ নিতে পারেনা। 

নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক ঘাটের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ভাই আমরা হুকুমুরের গোলাম আমাকে যেমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমি ঠিক তেমনভাবেই আমার দ্বায়িত্ব পালন করছি। আমরা প্রতক্ষ্য ভাবে মাঠে কাজ করি তাই সকল দোষ আমাদের উপরে বর্তায়। মাঝে মধ্যে ক্লোজ করা হয় আবার বদলি করা হয়েছে অনেককে। আপনাদের বোঝা উচিত ঘাটের ইনচার্জে যিনি আছেন তার নির্দেশনা মোতাবেকই আমরা যানবাহন গুলো ফেরি পারাপারের জন্য ছাড়ছি। যখন যেমন নির্দেশ দেওয়া হয় ঠিক সেভাবেই দ্বায়িত্ব পালন করে থাকি আমরা। ছোট পদে চাকুরী করি আমরা তাই সকল দোষ আমাদের উপরে বর্তায়। 

তবে এ বিষয়ে পাটুরিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের  ইনচার্জ  টিআই রাসেল আরাফাতের মুঠোফোন বার বার যোগাযোগ করা হলেও ফোনটি রিসিভ না করাতে এর বিস্তারিত কারন জানা যায়নি। আর এখানার স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা ঘাটে ফেরি পারাপারের যাত্রী দুর্ভোগের বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল উল্লেখ করে বলেন, ঘাটে যাত্রীবাহী বাস পারাপারের ক্ষেত্রে বৈষম্য ও প্রতিনিয়ত ফেরি পারাপারে যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কঠোর নজরদারিসহ  যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে দুর্ভোগ সৃষ্টিকারী মহলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার আহবান জানান। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহ: রেলের মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের জন্য ৫ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে নিজেকে সুরক্ষার জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৫টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের দু’টি প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে সম্প্রতি প্রকাশ করা আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার (পূর্বাঞ্চল) ডা. ইবনে সফি আব্দুল আহাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় নিচের উপায়গুলো অনুসরণের অনুরোধ করা হলো—

১. পানিশূন্যতা থেকে রক্ষার জন্য প্রচুর পানি পান করুন। অতিরিক্ত ঘাম হলে নিষেধ না থাকলে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন পান করুন। তৃষ্ণাবোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি পান করতে হবে।

২. ঠান্ডা পানি ও বরফ পানি পান থেকে বিরত থাকুন।

৩. সুতির ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করুন। বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা, টুপি ব্যবহার করুন।

৪. খাবারের মেন্যুতে আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে শাকসবজি বাড়াতে হবে।

৫. শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের রোগী এবং হৃদরোগের ওষুধ সেবন করেন এমন ব্যক্তির এই আবহাওয়ায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার স্বাক্ষরিত আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতেও এই পাঁচ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর সঙ্গে সূর্যের আলো থেকে চোখ সুরক্ষার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


তাপপ্রবাহ   রেল মন্ত্রণালয়   মাঠ কর্মরতা   নির্দেশনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্র বন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান শেখ হাসিনা। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।


থাইল্যান্ড   বাংলাদেশ   বাণিজ্য চুক্তি   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

প্রকাশ: ১২:০৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান তিনি। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।


থাইল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী   দ্বিপক্ষীয় বৈঠক   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত ডিসি এসপিরা

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপাররা (এসপি)। প্রভাব বিস্তারকারী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হলে নির্বাচন কমিশন পাশে থাকবে কি না সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ এসব কর্মকর্তা। তাদের আশ্বস্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নেওয়া যে কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে কমিশন অবশ্যই পাশে থাকবে।

ইসি বলেছে, উপজেলা পরিষদে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় কমিশন। বদলির ভয়ে কারও কাছে অবস্থান না বিকিয়ে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে অটল থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে ইসির এক সভায় এসব বিষয় উঠে আসে।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, আইজিপি, সব বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনার (সংশ্লিষ্ট), রেঞ্জের ডিআইজি, ডিসি, এসপি ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন। নির্বাচন ভবনে সকাল ১১টা থেকে টানা তিন ঘণ্টা এ সভায় সদস্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, ইভিএম, নির্বাচনে ডিউটিরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা, নির্বাচনী আচরণবিধি ও মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভা থেকে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে মাঠ প্রশাসনকে নানা দিকনির্দেশনা দেয় ইসি। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া মোবাইল আর্থিক সেবা সার্ভিসের মাধ্যমে নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানো বন্ধে কীভাবে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে—সে বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠকের শুরুতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা ব্যর্থ হবে। উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।

তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। এর মধ্যেও ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি আমরা ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেছেন সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে।

সিইসির বক্তব্যের পর উপজেলা নির্বাচনের মাঠ পরিস্থিতি জানতে ডিসি-এসপিদের কাছ থেকে বক্তব্য আহ্বান করা হয়। এরপর দুজন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ছয় থেকে সাতটি জেলার ডিসি ও এসপি, দুজন ডিআইজি ও দুজন বিভাগীয় কমিশনার তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন সচিব এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, বক্তব্যে কয়েকজন ডিসি ও এসপি মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তোলেন। এক্ষেত্রে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিদের ভূমিকা ও বাড়াবাড়ি নিয়েও কথা বলেন কেউ কেউ। ফলে উপজেলা নির্বাচনে তাদের নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মানাতে মাঠ প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নেবে কি না, সে সম্পর্কে কমিশনের কাছে জানতে চান। কারণ দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই নিজ স্বজনকে প্রার্থী করেছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে মাঠে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। সঙ্গে প্রশাসনকে তাদের পরিবারের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন।

এ নিয়ে সভায় পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে আর্জি জানানো হয়। তারা বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের পক্ষে কাজ না করলে অনেক সময় বদলির হুমকি আসে। পদোন্নতিসহ সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হতে পারে।

কোনো কোনো ডিসি ও এসপি প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপিদের নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে কমিশন আমাদের পাশে থাকবে কি না, আশ্রয় দেবে কি না। নাকি মন্ত্রী এমপিরাই উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তদবির করে আমাদের বদলি করে দেবেন।

জবাবে সিইসি শঙ্কিত ডিসি-এসপিদের আশ্বস্ত করে বলেন, কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বদ্ধপরিকর। আপনাদের সবার আন্তরিক সহযোগিতা ও জোরালো ভূমিকার কারণে সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সরকারও ওই নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করে কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনেও সরকার আমাদের পাশে রয়েছে। সেজন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে আপনারা যে ভূমিকা রাখবেন কমিশন সব সময় তার পাশেই থাকবে। নির্বাচন কমিশনের কথা শোনার কারণে উচ্চমহল থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বদলির জন্য সুপারিশ এলে তা কমিশন যথাযথ যাচাইয়ের পর প্রমাণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে। এ জন্য দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

বরিশালের পুলিশ কমিশনার বলেন, আমাদের ওপর চাপ রয়েছে। জবাবে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ভয়ের কিছু নেই। সর্বোচ্চ শাস্তি বদলি করবে। আরেক জায়গায় অর্থাৎ নতুন কর্মস্থলে চাকরি করবেন সমস্যা নেই, তবুও মাথা নত করা যাবে না। এ সময় সিইসিসহ সব কমিশনার এ বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন।

তারা বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। এটা চাকরির অংশ। কারও কথায় আপনাদের বদলি করা হবে না। কমিশন নিজস্ব উৎস থেকে তদন্ত করবে। সিইসি আরও স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনে চাপ থাকবে। চাপ সবার ওপরই থাকে। তদন্তে প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কমিশনকে জানালে তাৎক্ষণিক সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

বৈঠকে কোনো কোনো বক্তা মাঠের চিত্র তুলে ধরে জানান, নির্বাচনে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী যেসব উপজেলায় রয়েছেন, সেখানে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে যে কটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি বা জামায়াতের প্রার্থী রয়েছেন সেসব উপজেলায় এ আশঙ্কা আরও প্রকট। সেজন্য শুরু থেকেই এসব এলাকায় বিশেষ নজর দিতে হবে, যাতে বড় ধরনের কোনো কিছু না ঘটতে পারে।

বৈঠকে পার্বত্য এলাকার সর্বশেষ পরিস্থিতির চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ওই এলাকার চারটি উপজেলা ভোট স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তারা। এ ছাড়া পুরো পাহাড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদারের পরামর্শ আসে বৈঠক থেকে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সেভাবে নেই। সেজন্য তারা এ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করতে পারে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় বিশেষ নজর রাখতে হবে।


সভায় জামালপুরের ডিসি তার এলাকার সব নির্বাচন ইভিএমে হচ্ছে জানিয়ে বলেন, কিছু ইভিএমে ত্রুটি রয়েছে। সেগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। তার এ বক্তব্যের পর ইভিএমের চাহিদা দিলে নতুন করে তাকে ইভিএম সরবরাহ করা হবে বরণ জানায় কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন বাবদ বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধেরও দাবি জানান এই ডিসি।

বৈঠকে কেউ কেউ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে সহায়ক হিসেবে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসারদের দায়ী করে পাশের উপজেলা থেকে তাদের আনা যায় কি না সেটি বিবেচনার অনুরোধ জানান। একইভাবে গ্রাম পুলিশ বা আনসার বা চৌকিদার-দফাদার সদস্যদের নিয়েও প্রশ্ন তোলে তাদেরও পাশের ইউনিয়ন থেকে আনার অনুরোধ করেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে কমিশন সেটি নাকচ করে দেয়।

এ ছাড়া সকালে ব্যালট ও ইভিএম কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া নিয়ে বাড়তি খরচ দাবি করেন জেলা প্রশাসকরা। সেটিও নাকচ করে দেওয়া হয়। কুড়িগ্রামের ডিসি দুর্গম এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানোর দাবি জানান।

সভার পরে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভোট সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে প্রতিটি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। ইসি সচিব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধরনের প্রস্তুতি নেবে প্রশাসন, তাদের কী ধরনের সহযোগিতা করতে হবে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিজ নিজ জেলার সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেছেন কর্মকর্তারা।

অনেক জেলা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স চাওয়া হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে যেভাবে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেভাবেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে দায়িত্বপালনরতদের দু-তিন দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিনের ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।


মন্ত্রী-এমপি   উদ্বেগ   ডিসি   এসপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফ্লোরিডায় কনসাল জেনারেল হলেন সেহেলী সাবরীন

প্রকাশ: ১১:৫৫ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ের জনকূটনী‌তি অনুবিভা‌গের মহাপ‌রিচালক ও মুখপাত্র সে‌হেলী সাবরীন‌কে যুক্তরা‌ষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত বাংলা‌দেশ দূতাবাসের কনসাল জেনা‌রেল হি‌সে‌বে নিয়োগ দেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের প‌রিচালক সংস্থাপন মো. আনিসুজ্জামানের সই করা এক প্রজ্ঞাপ‌নে এ আদেশ জা‌রি করা হ‌য়ে‌ছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না হওয়া পর্যন্ত সেহেলী সাবরীনকে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ফ্লোরিডাতে কনসাল জেনারেল হিসেবে বদলির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। 

২০০৫ সালের ২ জুলাই ২৪তম বিসিএসের (পররাষ্ট্র) সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন সেহেলী সাবরীন। 

২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব এবং ২০১৪-২০১৭ সালে জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সেহেলী সাবরীন।


ফ্লোরিডা   কনসাল জেনারেল   সেহেলী সাবরীন   পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়   বাংলা‌দেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন